জাতীয় সাপ্তাহিক ক্রাইম ডায়রি একটি অপরাধ বিষয়ক পত্রিকা।।

national weeklycrime diary

national weeklycrime diary
ক্রাইম ডায়রি(জাতীয় সাপ্তাহিক, অনলাইনদৈনিক, অনলাইন টেলিভিশন ও অপরাধ গবেষণা )

শনিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০১৫


সাবান দিয়ে ধোয়া যাবে ‘ডিগনো রাফরি’ হ্যান্ডসেট

মোঃ মাসুদুল হক,নাটোর জেলা প্রতিনিধি,ক্রাইম ডায়রিঃ
Decrease font Enlarge font
  তথ্যপ্রযু্ক্তিতে যোগ হলো পানি প্রতিরোধী, অভঙ্গুরসহ স্মার্টফোনের নিত্যনতুন ফিচারের সঙ্গে প্রযুক্তিপ্রেমীরা ইতোমধ্যে পরিচিত হলেও ‘কেডিডিআই অ্যান্ড কায়োসিরা’ নতুন যে ফিচারে তাদের স্মার্টফোনটি তৈরি করেছে তা প্রযুক্তিপ্রেমীদের জন্য একেবারের নতুন। সাবান দিয়ে ধোয়া সম্ভব ‘ডিগনো রাফরি’ নামে হ্যান্ডসেটটি স্মার্টফোনের জগতে নতুন মাত্র যোগ করবে। শুধু তাই নয়, ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার পানিতেও এটি পরিষ্কার করা যাবে, দাবি প্রতিষ্ঠানটির। ভেজা হাতে পর্দা অপারেটে সক্ষম ‘ডিগনো রাফরি’ শকপ্রুফও। অ্যান্ড্রয়েড ৫.১ ললিপপ ভার্সনের অপারেটিং সিস্টেমে চালিত হ্যান্ডসেটটির পর্দা ৫ ইঞ্চি। দুই গিগাবাইট ৠামের ‘ডিগনো রাফরি’র প্রসেসর সর্ম্পকে কিছু জানা যায়নি। ১৬ গিগাবাইট অভ্যন্তরীণ ধারণক্ষমতার হ্যান্ডসেটটি বাড়ানো যাবে ১২৮ গিগাবাইট পর্যন্ত। ১৩ মেগাপিক্সেল মূল ক্যামেরার হ্যান্ডসেটটির টকটাইম বিশ ঘণ্টা। এর ব্যাটারির ধারণক্ষমতা তিন হাজার এমএএইচ। আগামী ১১ ডিসেম্বর জাপানের বাজারে হ্যান্ডসেটটি ছাড়ছে ‘কেডিডিআই অ্যান্ড কায়োসিরা’। এর মূল্য ধরা হয়েছে বত্রিশ হাজার রুপি (এ রুপি ১.১৭ টাকা)।https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl

রাজশাহী মহানগর আ’লীগের প‍ূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা

ড.ফজলুল করিম রিগ্যান,রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি,ক্রাইম ডায়রিঃ

Decrease font Enlarge font
জাতীয় সম্মেলনের প্রায় এক বছর পর পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করলো রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ।শনিবার (০৫ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ অডিটোরিয়ামে নব-গঠিত কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে গঠিত রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ৭১ সদস্য বিশিষ্ঠ পূর্ণাঙ্গ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে ২১ সদস্যের উপদেষ্টা মণ্ডলীর নামও ঘোষণা করা হয়। নবনির্বাচিত কমিটির পরিচিতি সভায় দলের সভানেত্রীর অনুমোদিত প‍ূর্ণাঙ্গ কার্যনিবাহী কমিটি উপদেষ্টাদের নাম ঘোষণা করে তাদের পরিচয় করিয়ে দেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. আবদুল খালেক।মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের সভাপতিত্বে পরিচিতি সভায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর সাইদুর রহমান খান, রাজশাহী নাগরিক কমিটির সভাপতি ভাষা সৈনিক আবুল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ উপস্থিত ছিলেন।এর আগে গত বছরের ২৫ আক্টোরব সম্মেলনে সভাপতি পদে এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ডাবলু সরকার নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে নতুন সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ৭১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কার্যনির্বাহী কমিটিসহ ২১ সদস্যের উপদেষ্টার তালিকা অনুমোদনের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে পাঠান। পরে কমিটির অনুমোদন দেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।গত ২৬ নভেম্বর অনুমোদিত কমিটিসহ দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এমপি রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের কাছে চিঠি ইস্যু করেন।কার্যনির্বাহী কমিটিতে দুই নারীনেত্রী শাহীন আকতার রেনী ও নিঘাত পারভীনসহ ৯ জনকে সহ-সভাপতি করা হয়েছে। অন্য সহসভাপতিরা হলেন, মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল, আলহাজ্ব রফিক উদ্দিন আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, সৈয়দ শাহদত হোসেন ও অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা ও আলহাজ্ব মাহফুজুল আলম লোটন।যুগ্ম সম্পাদক হয়েছেন মোস্তাক হোসেন, রেজাউল ইসলাম বাবুল ও নাঈমুল হুদা রানা। সাংগঠনিক সম্পাদক হলেন- আজিজুল আলম বেন্টু, আসাদুজ্জামান আজাদ ও অ্যাডভোকেট আসলাম সরকার। এছাড়াও আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকে মোসাব্বিরুল ইসলাম, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক জহির উদ্দিন তেতু, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সাইদুর রহমান রেন্টু, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক ফিরোজ কবির সেন্টু, দফতর সম্পাদক মাহবুবুল আলম বুলবুল, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, প্রচার সম্পাদক প্রভাষক কামরুজ্জামান, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক নকিবুল ইসলাম নবাব, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব ওয়াহেদুন্নবী অনু, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ইয়াসমিন রেজা ফেন্সি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা সফিকুর রহমান রাজা, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মীর তৌফিক আলী ভাদু, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সিদ্ধার্থ শংকর, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক এএসএম ওমর শরীফ রাজীব, শ্রম সম্পাদক মাহাতাব হোসেন চৌধুরী, সংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক কামার উল্লাহ সরকার কামাল, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. ফ. ম. আ. জাহিদ, উপ-দফতর সম্পাদক শফিকুল ইসলাম দোলান, উপ-প্রচার সম্পাদক মীর ইসতিয়াক আহম্মেদ লিমন, কোষাধ্যক্ষ শামসুজ্জামান খান আওয়াল। এছাড়া ৩৪ জন নির্বাহী সদস্য হলেন, অ্যাডভোকেট মোজ্জাফফর হোসেন, আরিফা বেগম, শরিফুল ইসলাম বাবু, এহসানুল হক পিন্টু, নফিকুল ইসলাম সেন্টু, ডা. তবিবুর রহমান শেখ, মুক্তিযোদ্ধা ডা. আব্দুল মান্নান, হাফিজুর রহমান বাবু, আখতারুল আলম, আতিকুর রহমান কালু, আব্দুস সালাম, নজরুল ইসলাম তোতা, আব্দুল রউফ, হাবিবুর রহমান বাবু, আলহাজ্ব শাফিকুজ্জোহা, এনামুল হক কলিন্স, কামরুজ্জামান কামরু, এ কে এম রাশেদুল হাসান টুলু, নিযাম উল আযীম, মোখলেসুর রহমান খালিল, সিরাজুল ইসলাম, আব্দুল হামিদ টেকন, আইরিন পারভীন, অ্যাভোকেট শামসুন্নাহার মুক্তি, মকিতুজ্জামান জুরাত, মোসফিকুর রহমান হাসনাত, আফসার আলী মাস্টার, রবিউল ইসলাম রবি, এবিএম হাবিবুল্লাহ ডলার, মুক্তিযোদ্ধা সাহাব উদ্দিন, আল মামুন, বেলাল হোসেন, ডা: এটিএম শফিকুর রহমান ও খাজা আহম্মেদ।কমিটির উপদেষ্টারা হলেন- প্রফেসর মুহ. কায়েস উদ্দিন, প্রফেসর ড. ওয়াজেদ আলী, অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান, কাজী জিয়ারত হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক চৌধুরী, প্রফেসর নুরুল আলম, প্রফেসর গোলাম কবির, অধ্যাপক রাশেদা খালেক, প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর রুহুল আমিন প্রামাণিক, প্রশান্ত কুমার সাহা, মঞ্জুশ্রী রায়, প্রকৌশলী লৎফর রহমান খোকন, অধ্যাপক ডা. এস আর তরফদার, নুরুল হুদা সরকার, ওবাইদুর রহমান, আলতাব উদ্দিন চৌধুরী, মাওলানা তাজুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন শেখ ভুলু, আবেদা রায়হান বুলি ও মনিরুল ইসলাম।অনুষ্ঠান শেষে মহানগর আওয়ামী লীগের নব-গঠিত ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির সকল সদস্যের নাম ঘোষণা করা হয়। পরে তাদের একটি করে চাদর ও বঙ্গবন্ধুর জীবনী সম্বলিত বই উপহার দেওয়া হয়।

https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl

 আগামী ২রা জানুয়ারি ঢাকায় জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সম্মেলন

শাহাদাত হোসেন রিটন, বিএনএস:
জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার স্থায়ী পরিষদের এক সভা ২৮শে নভেম্বর ঢাকার গুলিস্তান ভবনে অনুষ্ঠিত হয়। সংস্থার সভপতি মুহম্মদ আলতাফ হোসেন সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভায় আগামী ২রা জানুয়ারি ২০১৬ শনিবার বেলা ২টায় ১৭তম দ্বিবার্ষিক সাধারণ পরিষদ সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। তাছাড়া  সংস্থার গঠনতন্ত্রের কয়েকটি সংশোধনী ও সভাপতি ঘোষিত নির্বাচনী তফশিল অনুমোদন করা হয়। সভায় উপস্থিত স্থায়ী পরিষদ সদস্যদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে বক্তব্য পেশ করেন  গনি মিয়া বাবুল, সামসুল আলম জুলফিকার, নূরুজ্জামান প্রধান, বাবু রতন কুমার রায়, শাহজাহান মোল্লা, আলতাফ হোসেন ,সাজ্জাদুল কবির ও আবুল বাসার মজুমদার। পর্য বেক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ সচিব শাহাদাত হোসেন রিটন, বিদেশ সচিব আবু হানিফ খান, সাধারণ পরিষদ সদস্য মো. লুৎফর রহমান, নাটোরের  বাগাতিপাড়া উপজেলা সভাপতি আবদুল মজিদ ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম তপু।
https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl

বুধবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৫


বাংলাদেশ অভিশাপ থেকে মুক্তি পাচ্ছে

2015_11_08_14_14_39_9OBY5lIO6KFXpm5IZIQt3KplAlzliv_original 
শাহাদাত হোসেন রিটন,ক্রাইম ডায়রি,২৫/১১/১৫ ইং,ঢাকাঃ
বাংলাদেশে ক্রমশঃ উন্নত রাষ্ট্র হবার পথে এগিয়ে চলেছে। আর এতে জাতির কান্ডারি শেখ মুজিব কণ্যা প্রধানমন্ত্রী গনমাতা শেখ হাসিনার অবদান অবিস্মরনীয় ও অনস্বীকার্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করেছি, রায়ও কার্যকর করতে সক্ষম হয়েছি। যে অপরাধ তারা করেছিলেন সেই অপরাধের সীমা নেই। বিচার সম্পন্ন করতে না পারলে অভিশাপ থেকে মুক্তি হবে না, বাংলাদেশ ধীরে ধীরে অভিশাপ থেকে মুক্তি পচ্ছে বলেও মত দেন তিনি।
সোমবার (২৩ নভেম্বর) রাতে দশম জাতীয় সংসদের অষ্টম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মধ্যে দিয়ে যারা স্বজন হারানো বেদনা নিয়ে বেঁচে আছেন, তাদের মন শান্তি পাবে। বিচার সম্পন্ন করতে না পারলে অভিশাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ অভিশাপ থেকে আস্তে আস্তে মুক্তি পাচ্ছে। মুক্তি পচ্ছে বলেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। অর্থনৈতিক উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl

ডিবি পুলিশের বিশেষ সাফল্যঃ

  ইসলামিক স্টেট (আইএস) এর পক্ষে অনলাইনে প্রচারনায়  দায়ে গ্রেফতার০১ঃ

ফেসবুকে তার একাউন্ট নেম “জিহাদী জন”(Jihadi John) 

আরিফুল ইসলাম কাইয়্যুম,ষ্টাফ রিপোর্টার,২৫/১১/১৫ইং,ঢাকাঃ
ফেসবুকে প্রচার করে সাধারন জনতাকে উস্কানি দেয়া নতুন কিছু নয়। এ ব্যাপারে সরকার অত্যন্ত সোচ্চার ও যথোপযুক্ত আইন ও তার প্রয়োগ থাকা সত্বেও থেমে নেই উস্কানি মুলক অপপ্রচার। ফেসবুকে জিহাদি জন নামে আই এস এর উস্কানি মুলক প্রচারের দায়ে এবার গ্রেফতার হলো নাহিদ হাসান নামের এক ব্যাক্তি। গত ২৪/১১/১৫ তারিখ রাত ০৯.১৫ টায় “জিহাদী জন”(Jihadi John) পরিচয়ে কথিত ইসলামিক স্টেট (আইএস) এর পক্ষে অনলাইনে প্রচারের দায়ে তাকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা ও অপরাধতথ্য বিভাগ। ডিসি ডিবি (পশ্চিম) জনাব মোঃ সাজ্জাদুর রহমান এর নিদের্শনায়, এডিসি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম পিপিএম এর তত্বাবধানে সিনিঃ সহকারী পুলিশ কমিশনার মোহাম্মাদ নাজির আহমেদ খাঁন এর নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে  তাকে বাড্ডা থানার হোসেন মার্কেট এলাকা থেকে  গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার হেফাজত হতে  তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। 
গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, সে ফেসবুকে আইএস লোগোসহ ইসলামিক স্টেট-দাওলা আল  ইসলামীয়া নামে একটি পেজ খুলে কথিত আইএস এর পক্ষে বাংলায় বিভিন্ন উসকানীমূলক বক্তব্য প্রচার করে আসছিল। উক্ত পেজে সে নিজে এডমিন হিসাবে দায়িত্ব পালন করে। সে এই ফেসবুক পেজে কথিত আইএস এর নামে সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া কয়েকটি হত্যাকান্ডের দায় স্বীকারমূলক বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ আপলোড করে। তাছাড়া সে ফেসবুকে বিভিন্ন লেখার মাধ্যমে এই গ্রুপের অন্যান্য সদস্যদেরকে আইএস এর বিভিন্ন  কার্যক্রম সম্পর্কে  অবহিত করে। আসামী নাহিদকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও জানা যায় যে, সে এর আগে “শিয়া কাফের” নামে একটি ফেসবুক পেজের এডমিন হিসাবে দায়িত্ব পালন করত যেখানে শিয়া  সম্প্রদায় সম্পর্কে বিভিন্ন উসকানীমূলক মন্তব্য প্রচার করা হতো।  এছাড়া সে “খালিদ বিন ওয়ালিদ” “জিহাদী জন” সহ আরও কয়েকটি নামে ফেসবুক আইডি খুলে Army Captain at caliphate  পরিচয়ে বিভিন্ন উসকানীমূলক বক্তব্য প্রচার করে আসছিল। 
গ্রেফতারকৃত আসামী উক্ত পেজের মাধ্যমে কথিত আইএস নামে অনলাইনে কার্যক্রম পরিচালনা করে দেশের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন সহ দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য গ্রুপের অন্য সদস্যদের উৎসাহিত করে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে বাড্ডা থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।
 

https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl

নির্বাচনি আমেজে সারাদেশ

ক্রাইম ডায়রি নিউজ ডেস্ক,২৫/১১/১৫ ইং,ঢাকাঃ
 সারাদেশের ২৩৬ পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে (চলতি বছর) আগামী ৩০ ডিসেম্বর।এ উপলক্ষে  নির্বাচন কমিশন (ইসি) তফসিল ঘোষণা করেছে গতকাল।
এজন্য ২৩ নভেম্বর রাত হতেই মনোনয়নপত্র ছাপানো শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১২টার মধ্যে বিজিপ্রেস থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহের নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে, এ সংক্রান্ত চিঠি ইতোমধ্যে দেওয়া হয়েছে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে।
প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে স্থানীয় এ নির্বাচন হচ্ছে। মেয়র পদে দলীয় প্রতীকে ভোটগ্রহণ করা হবে। এই নির্বাচন সবচেয়ে কম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে যাচ্ছে ইসি। এতে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের জন্য ৯ দিন, বাছাইয়ের জন্য ১ দিন, আপিল দায়েরের জন্য ৩ দিন, আপিল নিষ্পত্তির জন্য ৪ দিন, প্রার্থিতা প্রত্যাহারে ১ দিন ও প্রচারণার জন্য ১৫ দিন বেঁধে দেওয়া হবে।
১ মেয়র, ৯ কাউন্সিলর ও ৩টি সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে মোট ৩০৬৮টি পদে নির্বাচন হবে। তিনটি পদের জন্য তিন রঙের ব্যালট পেপার থাকবে। মেয়র পদে নিবন্ধিত ৪০ দলই দলীয়ভাবে অংশ নিতে সুযোগ পাবে। তবে প্রার্থী মনোনয়নকারীর নাম তফসিলের ৫ দিনের মধ্যে জানাতে বিধান করা হয়েছে। অন্যদিকে, স্বতন্ত্রপ্রার্থীর ১০০ ভোটারের সমর্থন প্রয়োজন, ইসির একটি সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে।

https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl

মিয়ানমারে ভয়াবহ ভুমিধ্বস,নিহত ১০০ ছাড়িয়েছে

ক্রাইম ডায়রি আন্তর্জাতিক ডেস্ক,২৫/১১/১৫,৫পি এম,ঢাকাঃ
  মিয়ানমারে উত্তরাঞ্চলে ভয়াবহ খনি ধসের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে। সরকারি হিসেব অনুযায়ী ভূমিধসে এখন পর্যন্ত ১০৪ জন মারা গেছে বলে জানিয়েছে গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার।
উদ্ধার কাজে অংশগ্রহণকারী কমিউনিটি গ্রুপ কাচিন নেটওয়ার্ক ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি দাশি নাউ লন বলেন, উদ্ধার অভিযান চলছে এবং আমরা এখনো মৃতদেহ সংগ্রহ করছি। এখন পর্যন্ত শতাধিক মৃতদেহের সন্ধান পেয়েছি।
রাষ্ট্রীয় সংবাদপত্র গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার বলেছে, দুর্ঘটনার পর এখরো আরো অনেক লোক নিখোঁজ রয়েছেন।
প্রত্যন্ত শহর পাকান্তে শনিবার খনিটির বর্জ্যের স্তূপ ধসে পড়ে। কর্তৃপক্ষ মাটির নিচ থেকে বিপুলসংখ্যক মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। এই ধসের ঘটনায় যারা মারা গেছে তাদের অধিকাংশই অস্থায়ী কর্মী বলে ধারণা করা হচ্ছে। দারিদ্র্যের নির্মম কষাঘাত থেকে মুক্তি পাবার আশায় এরা ফেলে দেয়া খনি বর্জ্যের স্তূপে তল্লাশি চালানোর সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্গম ও অনগ্রসর ঐ এলাকায় সাম্প্রতিককালে এটাই সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিধসের ঘটনা।
https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl

দেশবরেণ্য বুদ্ধিজীবিদের হুমকি প্রদানকারী জঙ্গি গ্রেফতার 

ক্রাইম ডায়রি নিউজ ডেস্ক,২৫/১১/১৫,৩পি এম,ঢাকাঃ 

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা মহানগরীর তেজগাঁও এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে দেশবরেণ্য বুদ্ধিজীবি ও শীর্ষ স্থানীয় রাজনীতিবিদ’দের মোবাইলে বিভিন্ন ধরণের অশ্লীল ও প্রাণ নাশের হুমকি’র বার্তা প্রদানকারী আনসার উল্লাহ বাংলা টিম ও কথিত আইএস দাবি করার অভিযোগে এক জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপি গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য (পশ্চিম) বিভাগ। গ্রেফতারকৃতের নাম আব্দুল হক।
ডি এম পি সুত্রে জানা যায়, আসামী আব্দুল হক দীর্ঘদিন যাবৎ নিজ পরিচয় গোপন করে ১। ফাইজুর রহমান, ২। সালেহ আহম্মেদ ফোয়াদ ও ৩। মাওলানা সাদ নামে আইডি খুলে তাদের মোবাইল ফোন নাম্বার স্পুফিং এর মাধ্যমে ব্যবহার করে আসছিল। সে পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে তাদের মোবাইলে বিভিন্ন ধরণের অশ্লীল এবং প্রাণনাশের হুমকি মূলক বার্তা প্রেরণ করে আসছিল।
  তখন ডিবি এআইজি (গোপনীয়) মোঃ মনিরুজ্জামান  পিপিএম বার ও ডিসি ডিবি (পশ্চিম) মোঃ সাজ্জাদুর রহমান এর নির্দেশনায়, এডিসি ডিবি (পশ্চিম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম পিপিএম এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে, সিনিয়র এসি মোঃ যায়েদ শাহরিয়ার এবং সিনিয়র এসি মোঃ আবু বক্কর এর নেতৃত্বে ডিবি, ডিএমপি, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স এলআইসি ও এসএমপি, ডিবি’র যৌথ উদ্দ্যেগে অভিযান পরিচালনা করে আব্দুল হককে গ্রেফতার করা হয়।
 
গ্রেফতারকৃত জঙ্গ ২৯/৯/১৫ তারিখে স্পুফিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে মোবাইল নং-০১৭১২৩১৮৬৮২ হতে  মিজানুর রহমান খাঁন, যুগ্ম সম্পাদক, সম্পাদকীয় বিভাগ, প্রথম আলো’কে তার অফিসে অবস্থানকালে মোবাইল নাম্বার ০১৭১৩০৬৭৫৮৬’তে সন্ধ্যা ০৭:২০ টায় মেসেজ পাঠায়। যেখানে Stop publishing malicious reportages against the oppressed  Uyghur  Muslims, or we’ll stop your heart-beat forever  ! লেখা একটি বার্তা আসে। পরবর্তী সময়ে একই মোবাইল নাম্বার হতে সন্ধ্যা ০৭:৩০ টায় Stop reporting against Islam and Muslim’s interest, otherwise we’re here to push you down to the hell.-IS BD  লিখা আরেকটি বার্তা আসে। এই সংক্রান্তে মিজানুর রহমান খান তেজগাঁও থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন। 
উল্লেখ্য গ্রেফতারকৃত আসামী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর অ্যামিরেটাস আনিসুজ্জামান, শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রফেসর মোহাম্মদ জাফর ইকবাল,  প্রথম আলো যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খাঁন, বিখ্যাত বুদ্ধিজীবি ও ইতিহাসবিদ প্রফেসর মুন্তÍসির মামুন, বুদ্ধিজীবি ও ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি নেতা শাহরিয়ার কবির, অর্থ মন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, কৃষি মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, সাবেক আইন মন্ত্রী শফিক আহম্মেদ এবং সমাজের গুরুত্বপূর্ন নাগরিক, রাজনীতিবিদ সহ বিভিন্ন পেশাজীবীদের মোবাইলে প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরণের অশ্লীল ও প্রাণনাশের হুমকি’র বার্তা প্রদান করে আতংক সৃষ্টি করে দেশকে একটি বিশৃংখল পরিস্থিতির দিকে নেওয়ার চেষ্টা করে। এছাড়া আরো বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মোবাইল নাম্বারে বিভিন্ন ধরণের অশ্লীল এবং প্রাণনাশের হুমকি মূলক বার্তা প্রেরণ করেছে। 



https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl

সোমবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৫

 

এ বরবর্তার শেষ কোথায় ??

গাজিপুর, কালিয়াকৈর এলাকার নিলয়ের মা,য়ের উপর সমাজপতিদের নির্যাতনের যথাযথ বিচার চায় এলাকাবাসী !!
মোঃ ওমর ফারুক রবিন,ক্রাইম ডায়রি,২7/10/১৫ইং,ঢাকাঃ


 
বিচারপ্রার্থী ছেলের আর্তনাদ :আমরা গরীব বলে আমার মায়ের উপর সমাজপতির মধ্যযোগীয় কায়দায় এমন বর্বরোচিত নির্যাতনের বিচার কি পাবো না।সমাজে কেউকি নেই, দেশে কি আইন বলতে কিছুই নেই...গাজীপুরের কালিয়াকৈরের ছোট লতিফপুরে গার্মেন্টস কর্মী বাবা-মাকে নিয়ে আমরা বসবাস করি...আজ দুপুরে ভাত খাওয়ার সময় স্থানীয় জালাল উদ্দিন ঘরে ঢুকে চুল ধরে টেনে হিচরে মাকে বের করে বিনা দোষে নির্যাতন করে...বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি...
....................................
গাজীপুরের কালিয়াকৈরের ছোট লতিফপুরে গার্মেন্টস কর্মী জ্যোৎস্না বেগম (৩৫), স্বামী বুলবুল আহমেদ এবং এক ছেলে কে নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন । স্বামী-স্ত্রী দুজনেই চাকরি করে দিন এনে দিন খাওয়ার মাধ্যমেই চলছিল তাদের সুখের সংসার । হঠাৎ করে সেই সুখের সংসারে অসুর হয়ে আগমন ঘটে স্থানীয় অর্থশালী ও প্রভাবশালী জালাল উদ্দিনের! চরিত্রহীন জালাল বিভিন্ন সময় জ্যোৎস্না কে কুপ্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করতে থাকে । জালালের কুপ্রস্তাবের কথা জ্যোৎস্না তার ভাইকে জানালে সোমবার সকালে জ্যোৎস্নার ভাই জালালকে গিয়ে তার বোনকে বিরক্ত না করতে অনুরোধ করে । এতেই বিগড়ে যায় জালাল । আজ দুপুর ২টার দিকে জ্যোৎস্না গার্মেন্টস্ থেকে টিফিন খেতে বাসায় এলে জালাল তার সাঙ্গ-পাঙ্গ সহ জ্যোৎস্না কে ঘড় থেকে চুলের মুঠি ধরে টেনে-হিঁচড়ে বাইরে বের করে লোহার রড দিয়ে বেদম পেটাতে থাকে । বাসায় জ্যোৎস্নার স্বামী না থাকায় তাকে অমানুষের মত পেটাতে থাকে জালাল ।

প্রিয় পাঠক, আমরা অসহায়দের উপর অত্যাচারের তামাশা দেখতে পছন্দ করি । বরাবরের মত এবারও ভুল করেনি কালিয়াকৈরের ছোট লতিফপুরের বাসিন্দারাও । তাদের সামনেই জালাল জ্যোৎস্না কে বিনা দোষে পেটালেও সমান্যতম বাঁধা দেয়নি তারা । এক পর্যায়ে জ্যোৎস্না মার খেয়ে অজ্ঞান হয়ে গেলে জালাল তাকে ফেলে রেখে চলে যায় । এরপর স্থানীয়দের একজন জ্যোৎস্নার স্বামীকে খবর দিলে তিনি বাসায় এসে জ্যোৎস্নাকে উদ্ধার করে কালিয়াকৈর হাসপাতালে ভর্তি করান । এখনও জ্যোৎস্নার জ্ঞান ফেরেনি বলে জানা গেছে ।
এ বিষয়ে কালিয়াকৈর থানার ওসি মোঃ ওমর ফারুক জানান, এ ঘটনায় আমরা একটি মামলা গ্রহণ করেছি । আসামী কে ধরার চেষ্টা চলছে ।
সব শেষে অসহায় মা জ্যোৎস্নার ১৬ বছর বযসী পুত্র আমাদের কাছে প্রশ্ন করেছে-- আমরা গরীব বলে আমার মায়ের উপর সমাজপতির মধ্যযুগীয় কায়দায় এমন বর্বরোচিত নির্যাতনের বিচার কি পাবো না? সমাজে কেউ কি নেই! দেশে কি আইন বলতে কিছুই নেই...!
আমরা উত্তর দিয়েছি, দেশে আইন আছে, এখন গাজীপুর পুলিশ সুপারের মাধ্যমে সেটির প্রয়োগ আমরা সবাই দেখতে চাই
 ।
This news is courtesy by taza khobor and Mr. robin,picture collected from online and taza khobor

https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl

সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

রবিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

সামাজিক কর্মকান্ডে যার বিস্তর অংশগ্রহন।। 

একজন আফতাব চেয়ারম্যানের গল্প।।

জাকির হোসেন রণি,শেরপুর চান্দাইকোনা সংবাদদাতা,ক্রাইম ডায়রি,২১/৯/১৫ইং,ঢাকা,www.crimediarybd.com,www.crimediarybd.blogspot.com:


 

বগুড়া জেলার শেরপুর থানার একেবারে শেষপ্রান্ত আবার উত্তরবঙ্গের শুরুর ইউনিয়ন ছায়াঢাকা,পাখির কলকাকলিতে মুখর সীমাবাড়ি ইউনিয়ন।। সিরাজগঞ্জ ও বগুড়ায় সীমানায় অবস্থিত বলে নামই হয়েছে যার সীমাবাড়ি।। সারাদেশে যখন রাজনৈতিক আন্দোলনে উত্তাল তখন সীমাবাড়ির মানুষ রাজনৈতিক বৈরিতা নয়,,আমরা সবাই ভাই ভাই নীতিতে অটল ছিল। দেশের ১১তম বৃহত্তম হাইওয়ে হোটেল ফুডভিলেজ লিঃ খ্যাত সীমাবাড়ি ইউনিয়নের যতগুলো চেয়ারম্যান ছিলেন প্রশংসার দাবীদার কারও চেয়ে কেউ কম ছিলেন না। এলাকার কৃতি সন্তান ধনকুন্ডী গ্রামের গর্ব আশরাফ উদ্দিন সরকার মুকুল হতে সব চেয়ারম্যানই ছিলেন আমেরিকান গনতন্ত্রের সঠিক অনুসরনকারী।। রাজনীতি করো আর যাই করো,সীমাবাড়ির উন্নয়নে সবাই একাট্টা।। সহিংসতার বদলে দরকার হলে আলোচনা।।। সীমাবাড়ির বর্তমান চেয়ারম্যান যাকে নিয়ে এই লেখা।। ইউপির গাড়ই গ্রামে যার জন্ম। গাড়ই বাসী কি ভেবেছিল একদিন েএই গ্রামেই আসবে তাদের গর্ব।। ছাত্র জীবন থেকেই রাজনীতির সাথে অল্পবিস্তর যোগাযোগ থাকলেও যার নেশাই ছিল জনসেবা। তাই বড় ব্যবসায়ী হওয়া সত্বেও জনসেবার জন্য রাস্তা খুঁজছিলেন তিনি।অবশেষে দেখা মিলল সেই কাংখিত রাস্তার।। এলাকার চেয়ারম্যান নির্বাচনে অংশগ্রহন করলেন।। উঠেও গেলেন।। এরপর থেকেই মানুষের পাশেই আছেন তিনি। কি এলাকার যুবক যুবতীদের বিয়ে শাদী,কি খেলাধুলা, কি শিক্ষার উন্নয়ন,কি রোগশোকে কাতর মানুষের পাশে,বিচারসালিশ এমনকি মানুষের সকল প্রয়োজনে তিনিই সবাই পাশে।। সম্প্রতি জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য,জাতীয় গোয়েন্দা সাংবাদিক ইউনিটির মহাসচিব,ভিকটিম সাপোর্ট এন্ড হউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের পরিচালক প্রশাসন,গ্রামে চল আন্দোলনের চেয়ারম্যান ও ক্রাইম ডায়রি পরিবারের পরিচালক এবং ক্রাইম ডায়রি বিটিভি অনুষ্ঠান, নিউজমিডিয়া ও পত্রিকার বার্তা প্রধান ও দৈনিক কালের ছবির যুগ্ম সম্পাদক জনাব আতিকুল্লাহ আরেফিন রাসেল ভাই কোন এক কাজে সীমাবাড়ি ছুটে এসেছিলেন এই ব্যাক্তিত্বের কাছে। । যার বাড়িতে গেলে তিনি এমন সেবা করলেন যাতে মনেই হলোনা তিনি একজন চেয়ারম্যান। একজন মুরব্বী,একজন অভিভাবক হিসেবে তাকে দাড় করালেন ক্রাইম ডায়রির বার্তা প্রধান। শুধুই তিনিই নন এলাকার মানুষের মুখে মুখে তার প্রশংসা্।। যিনি চান জনগনের সেবা করতে।। জনগনের পাশে থাকতে। এলাকায় গেলেই তাকে পাওয়া যাবে কোন না কোন মানুষের পাশে।।








 রাজপথই যার বাড়ি। রাজপথের এই সৈনিক,জনতার সেনাপতি আফতাব হোসেন আগামী নির্বাচনেও জনগণের এই অব্যহত ভালবাসা প্রত্যাশী।।। (চলবে)

ঘোষনাঃ.......................................

ক্রাইম ডায়রি এখন বাজারে ।।। আপনার কপির জন্য আজই যোগাযোগ করুনঃ ০১৯৭১-৪৭২৫১১
বিটিভির ক্রাইম ডায়রি অনুষ্ঠানের জন্য প্রাথমিক পর্ব নির্মান চলছে। অপরাধ বিষয়ক ঘটনার অনুসন্ধান দিন।।জিতে নিন পুরস্কার।।।

https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl

শুক্রবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫


শিক্ষায় ভ্যাট কেন???

এড.মোঃ সোহরাব হোসেন ভুইয়া(মিঠু),বিশেষ প্রতিনিধি,ক্রাইম ডায়রি,১২/৯/১৫ইং,ঢাকাঃ
শিক্ষার্থীরা বাসে উঠলে হাফ ভাড়া দেয়ার সময় যুক্তি দেখায় আমরা কি ইনকাম করি যে ফুল ভাড়া দিব।। সেইসব কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ভ্যাট দিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যাবে এমনটি কল্পনা করাও কঠিন ব্যাপার। পিতামাতার চান তাদের সন্তান সুশিক্ষিত হোক। সেজন্য ভিটেমাটি বিক্রি করে হলেও তারা সন্তানের লেখাপড়া চালিয়ে যান। বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এমনিতেই শিক্ষাখরচ অনেক বেশি। এর উপর যদি বাড়তি ভ্যাট আরোপ করা হয় তবে তা অত্যন্ত দুঃখ জনক।টিউশন ফির ওপর আরোপিত মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) প্রত্যাহারের দাবিতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন। 'শিক্ষার্থীরা নয়, ভ্যাট দেবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ'_ সরকারের পক্ষ থেকে এমন ব্যাখ্যা দেওয়া হলেও পরিস্থিতি এখনও পুরোপুরি শান্ত হয়নি। ভ্যাট প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ-কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তবে গত রাতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি বলেছে, এই ভ্যাট শিক্ষার্থীদের দিতে হবে না। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষই ভ্যাট দেবে।সমিতির জরুরি এক সভা শেষে সভাপতি শেখ কবির হোসেন সমকালকে বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে বুধবার ঘোষণার পর শিক্ষার্থীদের ওপরে কোনোভাবেই আর ভ্যাট বর্তায় না। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ট্রাস্টি বোর্ডের ওপরই এ দায়িত্ব বর্তায়। কী করে ভ্যাট পরিশোধ করা হবে তা ট্রাস্টি বোর্ড সদস্যদের ব্যাপার। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ছাত্রছাত্রীরা আন্দোলন ছেড়ে ক্লাসে ফিরে আসবে। তারা লেখাপড়ায় মনোযোগী হবে। এদিকে গতকাল এক অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকরাই ভ্যাট দেবেন। এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে 'সমঝোতা' হয়েছে। গতকাল রাতে সোনারগাঁও হোটেলে ডেইলি স্টার ও আন্তর্জাতিক লজিস্টিক সার্ভিস প্রতিষ্ঠান ডিএইচএল আয়োজিত 'বিজনেস অ্যাওয়ার্ড' অনুষ্ঠানে যোগদানের আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। তার মতে, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের যৌক্তিকতা নেই।
বিশ্ববিদ্যালয় মালিকদের নতুন এ ঘোষণা দেওয়ার পরও 'নো ভ্যাট ইন এডুকেশন' এর ব্যানারে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা গত রাতে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ঘোষিত কর্মসূচি প্রত্যাহার করেনি। তারা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
শিক্ষায় ভ্যাট আরোপ নতুন না হলেও এবার এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এর আগে ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলোর টিউশন ফির ওপরে ভ্যাট আরোপ করা হয়। তা এখনও বহাল আছে। তবে প্রকৃতপক্ষে শিক্ষায় ভ্যাট আরোপের যৌক্তিকতা আদৌ আছে কি-না তা নতুন করে ভেবে দেখার অনুরোধ জানিয়েছে সমাজের বিশিষ্টজন। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষাবিদ, সংবিধান বিশেষজ্ঞ, ভ্যাট কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছে। তাদের অনেকেই বলেছেন, শিক্ষা মৌলিক অধিকার। এটা কোনো পণ্য ও সেবা নয়। শিক্ষায় ভ্যাট বসানো ঠিক হয়নি। উচ্চ শিক্ষায় ভ্যাট আরোপ অযৌক্তিক বলেও মনে করেন তারা। তারা আরও বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভ্যাট পরিশোধ করলেও মূলত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকেই তা আদায় করে নেওয়া হবে। ফলে পরোক্ষভাবে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের ওপরই করের বোঝা এসে পড়বে। একই আশঙ্কা প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরাও। জানা গেছে, গত জুলাইয়ে ভ্যাট আরোপ করার পর দেশের অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে ইতিমধ্যেই আগের চেয়ে বেশি টিউশন ফি আদায় করছে।এনবিআর বলেছে, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করার জন্য নতুন করে ভ্যাট আরোপ করা হয়নি। বিদ্যমান টিউশন ফির মধ্যেই ভ্যাট অন্তর্ভুক্ত আছে। রাজস্ব বোর্ডের বক্তব্য অনুযায়ী, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ভ্যাট অন্তর্ভুক্ত করেই শিক্ষার্থীদের জন্য টিউশন ফি নির্ধারণ করতে হবে। বিষয়টি আরও পরিষ্কার করে বলা যায়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনো শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ১০০ টাকা টিউশন ফি আদায় করলে এর মধ্যে নির্ধারিত ৭ টাকা ৫০ পয়সা ভ্যাট সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হবে। বাকি ৯২ টাকা ৫০ পয়সা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নেবে। ভ্যাট আরোপের ফলে বাড়তি টিউশন ফি নিতে হবে না।বর্তমানে দেশে ৮৩টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে। এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় চার লাখ। যোগাযোগ করা হলে এনবিআরের সাবেক সদস্য আলী আহমেদ বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভ্যাট আরোপের বিষয়ে এনবিআরের বক্তব্য সঠিক নয়। তার ভাষায়, এটা তাদের বোকামি হয়েছে। তিনি বলেন, যেভাবেই বলা হোক না কেন ভোক্তা হিসেবে শেষ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ওপরই এই ভ্যাট চাপবে।এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, এ খাত থেকে সর্বসাকল্যে ভ্যাট আদায় হতে পারে মাত্র ৫৫ থেকে ৬০ কোটি টাকা। সাবেক ভ্যাট কমিশনার আবদুল্লা কাফি বলেন, দেশে অনেক সম্ভাবনাময় খাত আছে। ওই সব খাত থেকে শিক্ষা খাতের চেয়ে পাঁচ গুণ ভ্যাট আদায়ের সুযোগ আছে। সামান্য কয়েক কোটি টাকার জন্য শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ঠেলে দেওয়া ঠিক হয়নি।কিন্তু এনবিআর কর্মকর্তারা বলছেন, সেবা খাত হিসেবে শিক্ষায় ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে। বর্তমান আইনে শিক্ষাসহ অন্তত ১০০টি সেবা খাত আছে । এসব খাতে বিভিন্ন হারে ভ্যাট আরোপিত আছে। নিয়ম অনুযায়ী পণ্য ও সেবা খাত থেকে ভ্যাট আদায় করা হয়। তবে সেবার মধ্যে ভ্যাট অন্তর্ভুক্ত থাকে। অপরদিকে, পণ্যে ভ্যাট যোগ করা হয় না। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল ও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পাশাপাশি বর্তমানে ইংরেজি মাধ্যম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাড়ে ৭ শতাংশ হারে ভ্যাট রয়েছে।খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয় গত জুলাই থেকেই ভ্যাট বাবদ বাড়তি টাকা আদায় করেছে। টিউশন ফি হিসেবে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসের (ইউল্যাব) সাংবাদিকতা বিভাগের দশম সেমিস্টারের ছাত্র শামিমুজ্জামান শাকিল প্রতি সেমিস্টারে ৪৮ হাজার টাকা পরিশোধ করতেন। কিন্তু গত ৪ জুলাই জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভ্যাট আরোপ করায় চলতি সেমিস্টারে তাকে টিউশন ফির সঙ্গে অতিরিক্ত পাঁচ হাজার ৩০০ টাকা পরিশোধ করতে হয়েছে। একইভাবে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ছাত্র রেজা চৌধুরী জানান, তাকেও টিউশন ফির সঙ্গে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ টাকা হিসাব করে অতিরিক্ত টাকা পরিশোধ করতে হয়েছে। এভাবেই এ বছর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর আরোপিত ভ্যাটের টাকা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত আদায় করেছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে এই ভ্যাট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কেন দেবে না।ভ্যাট আরোপের বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর যুক্তি হচ্ছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসব শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে, তাদের বেশির ভাগই অবস্থাসম্পন্ন পরিবারের। তা ছাড়া এ খাতে ভ্যাটের হার সাড়ে ৭ শতাংশ। এটি খুবই কম, যা শিক্ষার্থীদের দেওয়ার সামর্থ্য আছে।এর আগে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের আমলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভ্যাট আরোপ করা হয়েছিল। তখন এটা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হলে পরে তা প্রত্যাহার করা হয়।
এদিকে ক্রাইম ডায়রির বিশেষ প্রতিনিধিকে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ শিক্ষা নিয়ে কাজ করা গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীই উচ্চবিত্ত নয়। মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত অনেক শিক্ষার্থীও এখানে পড়াশোনা করেন। ভ্যাট আরপের আগে তাদের কথাও সরকারকে ভাবতে হবে। শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীরা কোনো ইনকাম গ্রুপ নয়, তাই তাদের কাছ থেকে কর আদায় না করার সিদ্ধান্ত হওয়া উচিত। শিক্ষা কোনো পণ্য হতে পারে না।বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পিআরইর নির্বাহী পরিচালক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সাবেক কর্মকর্তা ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভ্যাট আরোপের বিধান বৈষম্যমূলকও অযৌক্তিক। কেননা, এখানে স্বচ্ছল পরিবারের পাশাপাশি অনেক অসচ্ছল পরিবারের শিক্ষার্থীরাও লেখাপড়া করছে। তা ছাড়া শিক্ষা মৌলিক অধিকার। শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবার মতো মৌলিক বিষয়ের ওপর কর আরোপ করা যায় না। সরকারের উচিত হবে, এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা। আর প্রবীণ আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল-হক বলেন, ভ্যাট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দেওয়া উচিত। শিক্ষার্থীদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া ঠিক হবে না।

https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl

মঙ্গলবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৫


ক্রাইম ডায়রি ফ্যান পেইজের ব্যাপারে সতর্কবানী

 নিচের ছবিটি উক্ত ভুয়া পেইজে ব্যবহার করা হয়েছে।।।

 

Crimediary Crimediary ফেসবুক একাউন্টের সাথে ক্রাইম ডায়রি পত্রিকার কোন সম্পর্ক নেই। এই একাউন্টের প্রকাশিত কোন নিউজ,প্রিন্ট প্রকাশনা কিংবা কোন ব্যাপারে ক্রাইম ডায়রি পত্রিকা এবং প্রধান উপদেষ্টা,সম্পাদক কিংবা বার্তা সম্পাদক এর কোন যোগসাজশ নেই।। অনুমতিহীন ভাবে এই একাউন্ট খোলায় উক্ত একাউন্ট ওপেনারের প্রতি ক্রাইম ডায়রি পরিবার ক্ষুদ্ধ।।। ক্রাইম ডায়রি ওয়েব পেজঃ www.crimediarybd.com///www.crimediarybd.blogspot.com///
এবং ফ্যান পেইজ হলো---https://www.facebook.com/…/Natio…/639786429398358,,,,,,গ্রুপ নেম---https://www.facebook.com/groups/434428909964060.
এর বাহিরে কোন কিছুই ক্রাইম ডায়রির সাথে রিলেটেড নয়।।
আদেশক্রমে
মুহম্মদ আলতাফ হোসেন
প্রধান সম্পাদক ও পৃষ্ঠপোষক
ক্রাইম ডায়রি
ও চেয়ারম্যান
জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা
**হেলাল উদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক
ক্রাইম ডায়রি


https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl

আগামীতে যুদ্ধ জাহাজ রপ্তানি করবে বাংলাদেশ : প্রধানমন্ত্রী

 

মিল্টন ও হাবীব, বাগেরহাট সংবাদদাতা,ক্রাইম ডায়রি,৭/৯/২০১৫ইং,ঢাকাঃ
খুলনা শিপইয়ার্ড আগামীদিনে উন্নত ও আধুনিক যুদ্ধ জাহাজ রপ্তানিতে সক্ষম হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, খুলনা শিপইয়ার্ড বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য বর্তমানে বড় ও ছোট যুদ্ধজাহাজ নির্মাণ ও সংস্কারের পাশাপাশি সমুদ্রগামী বড় ও মাঝারি জাহাজ তৈরি করছে। আমি বিশ্বাস করি আগামীতে উন্নত ও আধুনিক যুদ্ধজাহাজ রপ্তানির সক্ষমতা অর্জনে সক্ষম হবে ইনশাল্লাহ।
গতকাল দুপুরে খুলনা শিপইয়ার্ডে নৌবাহিনীর জন্য দুটি বড় যুদ্ধজাহাজ লার্জ পেট্রোল ক্রাফট (এলপিসি) নির্মাণকাজের উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এটি হচ্ছে বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় যুদ্ধজাহাজ নির্মাণ প্রকল্প।
প্রধানমন্ত্রী খুলনা শিপইয়ার্ড এক সময় দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিপইয়ার্ডে পরিণত হবেÑ এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে বাংলাদেশে খুলনা শিপইয়ার্ডই প্রথমবারের মতো যুদ্ধজাহাজ লার্জ পেট্রোল ক্রাফট (এলপিসি) নির্মাণ কার্যক্রম শুরু করায় আনন্দ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার সূচনালগ্নেই নদী ও সমুদ্রের গুরুত্ব উপলব্ধি করেছিলেন। যে কারণে নৌবাহিনীকে শক্তিশালী করার কাজে হাত দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা আজ যেখানে সমবেত হয়েছি, তার অদূরেই রূপসা নদীতে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে ১০ ডিসেম্বর শহীদ হয়েছিলেন বীর শ্রেষ্ঠ রূহুল আমিনসহ পদ্মা ও পলাশ জাহাজের আরও অনেক নৌ মুক্তিযোদ্ধা। তিনি মহান নৌ মুক্তিযোদ্ধাদের আÍার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, পদ্মাসেতু এখন আর স্বপ্ন নয়। ইতোমধ্যেই সেতুর ২৩ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এ সেতু নির্মাণ শেষ হলে এটি দক্ষিণাঞ্চলের উন্নতির প্রবেশদ্বার হবে। বিভিন্ন শিল্পের কাঁচামাল আমদানি ও রপ্তানি করতে মংলাবন্দর ব্যবহার হবে। তিনি বলেন, আমাদের নদীবন্দর নিয়ে গবেষণা করতে হবে। এজন্য দেশে দুটি নৌ ইন্সটিটিউট গড়ে তোলা হয়েছে। এছাড়া ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়েও এ বিষয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে। অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, খুলনা সিটি মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এমপি, এসএম মোস্তফা রশিদী সুজা এমপি, মিজানুর রহমান মিজান এমপি, নৌবাহিনী প্রধান ভাইস অ্যাডমিরাল এম ফরিদ হাবিব, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকালে বাগেরহাটের মংলার নেভাল বার্থ দ্বিগরাজে বানৌজা কে জে আলী, বানৌজা স›দ্বীপ ও বানৌজা হাতিয়ার কমিশনিং এবং নবনির্মিত ল্যান্ডিং ক্রাফট ট্যাংক (এলসিটি) ১০৩ ও ১০৫-এর সংযুক্তিকরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় তিনি স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সংরক্ষণের পাশাপাশি দেশকে সমৃদ্ধিশালী করার জন্য নৌবাহিনীকে শক্তিশালী করে গড়ে তোলার পরিকল্পনার কথা তুলে ধরনে। তিনি বলেন, আমাদের নৌবাহিনী শুধু দেশে নয়, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে যেকোনো স্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখতে সক্ষম হবেÑ এটাই আমাদের সবার প্রত্যাশা।
দেশের জলসীমার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নৌবাহিনীকে ‘দক্ষ, আধুনিক ও ভারসাম্যপূর্ণ একটি ত্রিমাত্রিক’ বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে দুটি সাবমেরিন সংযোজনের প্রক্রিয়া চ‚ড়ান্ত হয়েছে, যা ২০১৬-এর মাঝামাঝি নৌবাহিনীতে সংযোজিত হবে। নৌবাহিনীর কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মনে রাখতে হবে, আমাদের যে সীমিত সম্পদ, তা দিয়ে নৌবাহিনীর মতো একটি প্রযুক্তিনির্ভর ব্যয়বহুল বাহিনীকে যুগোপযোগী রাখার প্রয়াস অব্যাহত রাখতে সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে।
শেখ হাসিনা তার বক্তৃতায় বলেন, দেশের ৭২০ কিলোমিটার উপক‚লীয় এলাকায় প্রায় তিন কোটি মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জীবিকা নির্বাহের জন্য সমুদ্রের ওপর নির্ভরশীল। বহির্বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যের ৯০ শতাংশের বেশি সমুদ্রপথেই পরিচালিত হয়। এ কারণে সমুদ্র এলাকার নিরাপত্তা বিধান ‘অপরিহার্য’। দেশের অধিকাংশ নাগরিক সমুদ্র সম্পদের গুরুত্ব সম্পর্কে যথেষ্ট ‘সচেতন নয়’ বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমাদের নৌবাহিনীর সদস্যরা প্রতিনিয়ত লোকচক্ষুর অন্তরালে অনেক প্রাকৃতিক প্রতিক‚লতা মোকাবিলা করে সমুদ্র এলাকার নিরাপত্তার নিশ্চয়তা বিধান করছে।

https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl

শনিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

 জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বর্ধিত সভা সম্পন্ন

 

 শাহাদাত হোসেন রিটন,ক্রাইম ডায়রি,৫/৯/২০১৫ইং,ঢাকাঃ

জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের এক বর্ধিত সভা ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ শনিবার রাজধানীর পুরানা পল্টনস্থ মুক্তি ভবনের সেমিনার কক্ষে সংস্থার সভাপতি মুহম্মদ আলতাফ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে।সভায় আসন্ন দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ নির্বাচন, সংস্থার স্থায়ী তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন এবং গঠনতন্ত্র সংশোধন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।আলোচনায় অংশ নেন লায়ন গনি মিয়া বাবুল, মো. নূরুজ্জামান প্রধান, সামসুল আলম জুলফিকার, কাজী আমিরুল ইসলাম রুমী, বাবু রতন রায়, আলমগীর গনি, এস.এম. সারওয়ার, মামুনুর রশিদ, আলতাফ হোসেন, আবুল বাসার মজুমদার, সাজ্জাদুল কবির, মুহাম্মাদ আবু মুসা, হাসানুজ্জামান, এম. এ. মান্নান, খোকন রানা প্রমুখ।সভায় আগামী ২৬শে ডিসেম্বর ঢাকায় সংস্থা সপ্তদশ দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ নির্বাচনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং কাউন্সিলর হওয়ার জন্য জনপ্রতি এক হাজার টাকা রেজিস্ট্রেশন ফি নির্ধারণ করা হয়।আগামী ৩০শে নভেম্বরের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে ৭ই ডিসেম্বর কাউন্সিলর/ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়। কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ নির্বাচন পদ্ধতি গঠনতন্ত্রের আলোকে নির্ধারণের জন্য স্থায়ী পরিষদের ওপর দায়িত্ব প্রদান করা হয়।তাছাড়া আগামী ৩১শে অক্টোবরের মধ্যে সংস্থার গঠনতন্ত্র সংশোধনী প্রস্তাব মহাসচিব বরাবর পৌঁছানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় এবং লায়ন গনি মিয়া বাবুল, সামসুল আলম জুলফিকার ও মুহাম্মদ আবু হানিফ খান সমন্বয়ে গঠিত কমিটি তা বিবেচনা করে চূড়ান্ত প্রস্তাবনা স্থায়ী পরিষদে উপস্থাপন করবে।

https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl

শনিবার, ২৯ আগস্ট, ২০১৫



মানুষের লোভের শিকাড় ১১০০ বাঙ্গালীর জীবন

মোঃ ওমর ফারুক রবিন,ক্রাইম ডায়রি,২৯/৮/১৫ইং,ঢাকাঃ

লোভ মানুষের জন্য সর্বনাশা হতে পারে তার প্রমান ২০১৪ সালের জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত সময়ে প্রায় এক হাজার একশ জনের বেশি বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গা মারা গেছে বিদেশ যাবার প্রতিযোগীতায়। এছাড়া চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত অনাহারে, পানিশূন্যতায়, রোগে এবং পাচারকারীদের নির্যাতনের শিকার হয়ে জাহাজ থেকে পালিয়ে সমুদ্রে ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে। জাতিসংঘের উদ্বাস্তুবিষয়ক সংস্থা গতকাল এ তথ্য জানায়। জাতিসংঘ উদ্বাস্তুবিষয়ক সংস্থা এপ্রিল-জুন মাসের ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে জানায়, জাহাজ থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় অনেক মানুষ ডুবে মারা যায় ও অনেকে নিখোঁজ হয়। এশিয়ার অভিবাসী সমস্যা পর্যবেক্ষণকারী মালয়েশিয়ায় অবস্থিত অঞ্চলভিত্তিক এনজিও ক্যারাম এশিয়া গত জুন মাসে জানায়, অনুমানিক পাঁচ শতাধিক বাংলাদেশি নিখোঁজ রয়েছে। মে মাসের প্রথম দিকে থাই কর্তৃপক্ষ অবৈধ অভিবাসী প্রবেশ বন্ধের জন্য অভিযানে নামলে এবং থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া নৌকায় ভাসমান এ উদ্বাস্তুদের নিজের দেশে স্থান না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর এসব মানুষ মারা যান। কিছু কিছু ক্ষেত্রে মানবপাচারকারীদের পরিত্যক্ত কিছু জাহাজ অভিবাসীসহ গভীর সমুদ্রে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরে অবশ্য এ দেশগুলো প্রায় চার হাজার বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেছে। জাতিসংঘ উদ্বাস্তু সংস্থা বলেছে, মে মাসে সমুদ্রে থাকা এক হাজার মানুষের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। সংস্থাটি আরও বলেছে, মনে হয় এ মানুষগুলো কর্তৃপক্ষের নজর এড়িয়ে সমুদ্রে ডুবে মারা গেছেন। মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং থাইল্যান্ডের উদ্ধার করা বাংলাদেশিদের স্বদেশে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। জাতিসংঘ উদ্বাস্তু সংস্থা আরও বলেছে, ২০১৪ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৫ সালের জুন পর্যন্ত প্রায় ৯৪ হাজার উদ্বাস্ত বা অভিবাসী বাংলাদেশ বা মিয়ানমার ত্যাগ করেছেন। তার মধ্যে চলতি বছরের গত ছয় মাসে ৩১ হাজার জন দেশত্যাগ করেছেন। গত মে মাসের ২৯ তারিখে আঞ্চলিক দেশগুলো, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থাইল্যান্ডে মানবপাচার রোধের জন্য এবং এর মূল কারণ বের করার জন্য আলোচনায় মিলিত হয়েছিল। তবে জাতিসংঘের উদ্বাস্তু সংস্থা জানিয়েছে, একটি যৌথ টাস্কফোর্স গঠনসহ সম্মেলনে গৃহীত বেশিরভাগ প্রস্তাব বাস্তবায়নের কাজ এখনও শুরু হয়নি।
https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl

কি ভয়াবহ! কি ভয়ানক!

মানুষের কিডনি অপসারনকারী চক্রের ৫ সদস্য গ্রেফতার

 

আয়াতুস সাইফ মুন,ক্রাইম ডায়রি,২৯/৮/১৫ইং,ঢাকাঃ
সাবাশ ডিবি!সাবাশ বাঘের বাচ্চা! মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রতি সাধারনজনতার এখন এমনই উচ্ছসিত আবেগ প্রকাশ। মানুষের কিডনি কেটে অপসারন করে এরাও কি মানুষ?? এ রকম অমানুষদের গ্রেফতার করে সত্যিই মানবজাতীর বড় উপকার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।। ভুক্তভোগীদের দোয়া সবসময় তাদের সাথে থাকবে। এমন আবেগও প্রকাশ করলেন সাধারন মানুষ। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ সন্ত্রাস নিরসনে সবসময় তৎপর। তারই ধারাবাহিকতায় রাজধানীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও গাবতলী বাসটার্মিনাল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আন্তুর্জাতিক কিডনী ক্রয়-বিক্রয় চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হল- আব্দুল জলিল, শেখ জাকির ইবনে আজিজ ওরফে শাকির, আশিকুর রহমান ওরফে জেবিন, ফজলে রাব্বি ও জিহান রহমান। এ সময় তাদের হেফাজত হতে ২টি চেতনানাশক ইনজেকশন ও সিরিঞ্জ, ১ টি ধারালো ছোরা ও ১টি তোয়ালে উদ্ধার করা হয়। কিডনী ক্রয়-বিক্রয় চক্রের দালাল আব্দুল জলিল জয়পুরহাট থেকে কিডনী বিক্রির উদ্দেশ্যে আবু হাসান নামের এক যুবককে নিয়ে ঢাকায় আসার পথে গাবতলীতে গ্রেফতার হয়। ভিকটিম আবু হাসান জানায়, একটি কিডনীর বিনিময়ে দালাল জলিল তাকে একটি সিএনজি কিনে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ঢাকায় নিয়ে আসে। পরবর্তী সময়ে আব্দুল জলিলের প্রদত্ত তথ্য মতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা একাডেমীর পার্শ্ববর্তী এলাকা হতে ভিকটিম মাহাবুবুর রহমান শান্তকে উদ্ধার করে ডিবি পুলিশ। একই স্থান থেকে আরও ৪ জন আসামীকে গ্রেফতার করে তারা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী আশিকুর রহমান ওরফে জেবিন জানায়, মাত্র ২০ হাজার টাকার লোভে সে তার পূর্ব পরিচিত ভিকটিম মাহাবুবুর রহমান শান্তকে রক্ত দেওয়ার কথা বলে সেখানে নিয়ে এসেছে। গ্রেফতারকৃত অপর আসামী শেখ শাকির জানায়, সে ৪ লাখ টাকার বিনিময়ে তার অন্যান্য সহযোগীদের (আশিক,ফজলে রাব্বি ও জিহান) নিয়ে ভিকটিম শান্তকে ইনজেকশন দিয়ে অচেতন করে কিডনী অপসারনের জন্য আন্তর্জাতিক দালাল চক্রের হাতে তুলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করেছিল। জিজ্ঞাসাবাদে শেখ শাকির আরও জানায়, কিডনী অপসারনের পর ভিকটিম শান্তকে হত্যা করে বুড়িগঙ্গা নদীতে ফেলে দেওয়ার পরিকল্পনাও তাদের ছিল এবং সে নিজেই এই মাস্টার প্ল্যান করেছিল। ঢাকা মহানগরী গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য (দক্ষিণ) বিভাগের তিন নক্ষত্র উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ মাশরুকুর রহমান খালেদ এর সার্বিক দিক নির্দেশনায় সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার মাহমুদা আফরোজ লাকী, পিপিএম এর নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়। সাধারন জনতার দাবী এসব অমানুষ নরপশুদের যেন সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যদন্ড হয়।

https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl

মাদকনিয়ন্ত্রনে ডিবির সাফল্যঃ

বিশেষ অভিযানে ৩০০০পিস ইয়াবা সহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

 

আরিফুল ইসলাম কাইয়্যুম,ক্রাইম ডায়রি,২৯/৮/১৫ইং,ঢাকাঃ
মরননেশা ইয়াবার বিরুদ্ধে জিহাদের অংশ হিসেবে রাজধানীর ভাটারা থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে হাজী সুপার মার্কেটের সামনে হতে ইয়াবাসহ ৪ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ’র গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগ। গ্রেফতারকৃতরা হলো- মোঃ রুবেল, মোঃ মাসুদ রানা, মোঃ মাকসুদুল আলম স্বপন ও হিরু হাওলাদার। এ সময় তাদের হেফাজত হতে ৩০০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানায়, তারা বিভিন্ন উৎস হতে ইয়াবা সংগ্রহ করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কৌশলে বহন করে পাইকারী ও খুচরা বিক্রি করে থাকে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ইয়াবার ভয়াবহতা এখন আর অজানা কোন বিষয় নয়। এ অভিশাপ থেকে জাতীকে মুক্ত করতে ডিবিপুলিশ অঙ্গিকারাবদ্ধ। দেশ ও জাতীর প্রতি এ দায়বদ্ধতা থেকেই বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের চৌকস কর্মকর্তা উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি-দক্ষিণ) মোঃ মাশরুকুর রহমান খালেদ এর সার্বিক নির্দেশনায়, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন পিপিএম(বার) এর তত্ত্বাবধানে পুলিশ পরিদর্শক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান এর নেতৃত্বে উক্ত অভিযান পরিচালিত হয়।


https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl

বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশকে ভয়ঙ্কর সংকেত দিলেন নাসা !

 

ক্রাইম ডায়রি ডেস্ক,২৯/৮/১৫ইং,ঢাকাঃ
আগামী এক থেকে দুই শতকের মধ্যে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাবে প্রায় তিন ফুট বা এক মিটারের মতো। এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।
বুধবার নাসার বিজ্ঞানীরা আনুষ্ঠানিকভাবে জানান, সমুদ্রপৃষ্ঠের এই উচ্চতা বৃদ্ধি অবশ্যম্ভাবী। কোনোভাবেই এটা এড়ানো সম্ভব নয়।
সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে হুমকির মুখে রয়েছে বিশ্বের বেশ কিছু ধনী শহর, গুরুত্বপূর্ণ বন্দরও। সবচেয়ে ভয়ের ব্যাপার হলো এই ঝুঁকির তালিকায় রয়েছে এশিয়ার একটা বড় অংশ। যার ভেতরে রয়েছে বাংলাদেশও।
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার আর্থ সায়েন্স বিভাগের পরিচালক মাইকেল ফ্রেইলস বলেন, সমুদ্রপৃষ্ঠের এই উচ্চতা বৃদ্ধি পুরো বিশ্বের ওপর গভীর প্রভাব ফেলবে। বিশ্বের ১৫০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ বর্তমানে সমুদ্রপৃষ্ঠের তিন ফুটের মধ্যে বাস করে। আর এর বেশির ভাগই এশিয়া অঞ্চলের।
যুক্তরাষ্ট্রের নিচু এলাকা ফ্লোরিডা বিলীন হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। সেই সাথে সিঙ্গাপুর ও টোকিওর মতো বড় শহরগুলোর বিলীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় কিছু দেশেও পুরোপুরি বিলীন হয়ে যেতে পারে বলে জানান নাসার ওই বিজ্ঞানী।
সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধিতে বিশ্বব্যাংক প্রকাশিত ঝুঁকিপূর্ণ ১২টি দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থায় দশম। বাংলাপিডিয়া বলছে, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা তিন ফুট বা এক মিটার বেড়ে গেলে বাংলাদেশের প্রায় ২২ হাজার ৮৮৯ বর্গ কিলোমিটার ভূমি হারিয়ে যাবে। আর এই ভূমি দেশের মোট এলাকার ১৫ শতাংশের বেশি।
মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র থেকে পাঠানো তথ্যে জানা গেছে, যে কোনো সময়ের চেয়ে দ্রুতগতিতে গলছে গ্রিনল্যান্ড ও অ্যান্টার্কটিকার বরফ। মহাসাগরগুলো উষ্ণ হয়ে উঠছে এবং আগের চেয়ে অনেক দ্রুতভাবে প্রশস্ত হচ্ছে। ফলে বাড়ছে ঝুঁকি।
রেসপন্ডিং টু ক্লাইমেট চেঞ্জ ওয়েবসাইটের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিলীন হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে থাকা উন্নয়নশীল দেশগুলোর বেশির ভাগেরই সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাওয়া সংক্রান্ত সমস্যা মোকাবিলায় সামান্যতম প্রস্তুতিও নেই।
তবে ইউরোপে যে দেশগুলো ঝুঁকিতে রয়েছে তারা এরই মধ্যে বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ করে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। তবে আগামী ৩০ বছরের মধ্যে আরো অনেক স্থানে এই বাঁধ নির্মাণ করতে হবে।
অন্যদিকে বাংলাদেশ, মিসর ও চীনের মতো দেশগুলোর অনেক অংশই এখন সাগরে বিলীন হয়ে গেছে।
নাসা বলছে, সামনের সময়গুলোতে বৈশ্বিক উপকূলের চেহারা পুরোপুরি বদলে যাবে এতে কোনো সন্দেহ নেই।
এনডিটিভি জানিয়েছে, কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ও নাসার সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি-সংক্রান্ত দলের প্রধান স্টিভ নেরেম বলেছেন, বর্তমান বৈশ্বিক উষ্ণতা ও ভবিষ্যতে উষ্ণতা কেমন হতে পারে তার ওপর ভিত্তি করে ধারণা করা হচ্ছে যে, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা তিন ফুটের বেশি বেড়ে যাবে। তবে সম্ভবত ভবিষ্যতে পরিস্থিতি আরো বেশি খারাপের দিকে যাবে। সবচেয়ে বড় অনিশ্চয়তা হলো এটা ধারণা করা যে, মেরু অঞ্চলের বরফ কত দ্রুত গলবে।
২০১৩ সালে জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন-বিষয়ক প্যানেল (আইপিসিসি) বরফ গলার বিষয়ে সবশেষ পূর্বাভাস দিয়েছিল।
আন্তর্জাতিক পর্যায়ের এক গবেষণা শেষে সে সময় তারা জানিয়েছিল, এই শতাব্দীর শেষ নাগাদ সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা এক থেকে তিন মিটার বাড়তে পারে। স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া সবশেষ তথ্য বলছে, এর চেয়ে বেশি উচ্চতায়ও বাড়তে পারে সমুদ্রের উচ্চতা।
১৯৯২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্বের সমুদ্রপৃষ্ঠের গড় উচ্চতা বেড়েছে প্রায় তিন ইঞ্চি। তবে কোথাও কোথাও এই উচ্চতা বেড়েছে নয় ইঞ্চিরও বেশি।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এই বাড়তি পানি এসেছে বরফ আর হিমবাহ গলে। তাই গ্রিনল্যান্ডের বরফের দিকে বেশি নজর রাখছেন বিজ্ঞানীরা। এক দশক ধরে এখানে ৩০৩ গিগা টন বরফ দ্বারা আচ্ছাদিত এই অঞ্চলটি। এ ছাড়া প্রতিবছর আটলান্টিক থেকে প্রায় ১১৮ গিগা টন বরফ গলে যায়।
নাসা বলছে, বিজ্ঞানীরা যে পরিমাণ আশা করেছিলেন, তার চেয়ে অনেক দ্রুতগতিতে গলছে বরফ। আগামী ২০ বছরের মধ্যে এই বরফ গলার হার আরো বাড়বে। তাই আরো বেশি প্রস্তুত থাকতে হবে বলে মনে করছে সংস্থাটি।
এখন পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা বরফের খণ্ড ভেঙে পড়তে দেখেননি। তাই কখন সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা হঠাৎ করে বেড়ে যাবে সে সম্পর্কে কিছু বলতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। তবে যদি বরফের খণ্ডগুলো দ্রুত নিজেদের থেকে আলাদা হয়ে যেতে শুরু করে তবে এক বা দুই শতকের মধ্যে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ১০ ফুট বেড়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন নাসার বিজ্ঞানী টম ওয়াগনার।
বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে পুরো পৃথিবীর তাপমাত্রাই বাড়ছে। তাই বরফ গলার হার আগের মতো থাকবে এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই বলে মনে করছেন গবেষকরা।
পদার্থবিজ্ঞানের সূত্র বলছে, বিশ্বের উষ্ণতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বরফ গলার হার বাড়বে। এবং সেটা এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে।

https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl

বৃহস্পতিবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৫


কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় নির্মমভাবে স্ত্রীকে আহত করল স্বামী

 

জামাল আহমেদ,কক্সবাজার প্রতিনিধি,ক্রাইম ডায়রি,২৬/৮/১৫ইং,কক্সবাজারঃ
নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সরকারের মহত্তর অনেক উদ্যেগ,উৎকন্ঠা থাকার পরও কমেনি নারী নির্যাতন। এরই ধারাবাহিকাতয় স্ত্রীর উপর নির্যাতন চালিয়েছে এক পাষন্ড স্বামী। স্বামীর নির্যাতনের শিকার পারভীন আক্তারকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার(২৪ আগষ্ট) সকাল ৭ টায় উপজেলার দক্ষিণ ধুরুং পেচার পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী ও নির্যাতিতা জানান,উত্তর ধুরুং হায়দার আলী সিকদার পাড়ার আবু সামা‘র কন্যা পারভীন আক্তার(২০)‘র সাথে দক্ষিণ ধুরুং পেচার পাড়ার টেক্সী চালক আনছারের সাথে গত ১৪ মাস আগে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় সে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা নিয়ে আসে। টেক্সী চালকের এটি দ্বিতীয় স্ত্রী। নির্যাতিতা পারভীন জানায়,গতকাল সকালে বিনা কারণেই তার স্বামী ও শ্বাশুড়ী মিলে তার উপর দা,রড দিয়ে অমানষিক নির্যাতন চালায়। এক পর্যায়ে প্লাস দিয়ে হাতের নখ তুলে ফেলে পাষন্ড স্বামী। দায়ের কোপে মুখে,মাথায় পিঠে গুরতর আহত রক্তাক্ত অবস্থায় প্রাণে বেচেঁ স্থানীয় আলী ফকির ডেইল মামার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। সেখান থেকে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।প্রতিদিনই তার স্বামী নির্যাতন চালিয়ে যৌতুকের টাকা দাবী করতো বলে সে জানায়।তার ৪ মাসের একটি শিশু সন্তান রয়েছে।

https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl

 বীর আব্দুল জলিল একজন সত্যিকারের মহৎ মানুষঃ

একজন সৎ ও দক্ষ পুলিশ কমিশনার


মোঃওমর ফারুক রবিন,ক্রাইম ডায়রি,২৭/৮/১৫ইং,ঢাকাঃ

একাত্তরের রণাঙ্গণে লড়াই করেছিলেন অসীম সাহসী কিশোর আব্দুল জলিল মন্ডল। ১৯৮৮ সালে যোগ দেন পুলিশ বিভাগে। ‘পুলিশ জনগণের বন্ধু’, কাজ করতে গিয়ে বারবার এর প্রমাণ দিয়েছেন আব্দুল জলিল মন্ডল। সাধারণ প্রথা ভাঙার জন্য আলোচিত আব্দুল জলিল মন্ডল ২০১৪ সালের ২১ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার হিসেবে যোগ দেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর ভূমিকার পাশাপাশি নগরীর এখানে সেখানে আবর্জনা অপসারণে ঝাড়ু হাতে নেমে পড়ে নগরবাসীকে চমকে দিয়েছেন বার বার। পুলিশের চিরন্তন রীতি থেকে বেরিয়ে মন্ডল
কখনও রাস্তায় নেমে গর্ত ভরাট করছেন, কখনও গণপরিবহনের সংকট মেটাতে পুলিশের যানবাহন নিয়ে যাচ্ছেন নগরবাসীর কাছে। সিএমপি কমিশনারের এই সেবাধর্মী কর্মযজ্ঞে খুশি সাধারণ মানুষ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তাকে নিয়ে আলোচনা চলে। পাবনার ছেলে মন্ডলের পুলিশ সার্ভিসে যোগদানের স্মৃতিচারণ দিয়েই
আলোচনার শুরু। মন্ডল ‍জানালেন, পুলিশ হবেন এমন কোন স্বপ্ন তিনি দেখেননি। তবে মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রশিক্ষণ নেওয়ার ‍সুবাদে নিজের অজান্তেই এমন একটি চিন্তা তার মনে ঠাঁই পায়, যে কারণে যুদ্ধের পর সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় প্রথম পছন্দ হিসেবে তিনি পুলিশ বিভাগকেই বেছে নিয়েছিলেন। ‘পুলিশে চাকরি হওয়ার আগ পর্যন্ত আমি কোনদিন লোকাল থানায়ও যাইনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় দু’য়েকবার
পুলিশের কাছে যেতে হয়েছিল। তবে মুক্তিযুদ্ধের সময় তো আমি হাফ পুলিশ ছিলাম,’
বললেন জলিল মন্ডল। ‘মুক্তিযুদ্ধের পর আমাদের পাবনা জেলা শহরে এনে ক্যাম্পে রাখা হলো। প্রশিক্ষণ দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের কাউকে সেনাবাহিনীতে, কাউকে নৌবাহিনীতে, ‍কাউকে পুলিশে নেয়ার কথা ছিল। আমি পুলিশের জন্য সিলেক্টেডও
হলাম। কিন্তু বাবা-মা বললেন, পড়ালেখা কর। তখনই আর আমার পুলিশে যাওয়া হলো না। আমি পড়ালেখা করলাম। তবে ট্রেনিং যেহেতু ছিল, গোলাবারুদের গন্ধ ভাল লাগত, সুপ্ত একটা আকর্ষণ তখন থেকেই ছিল। অগোচরে সেটারই বাস্তবায়ন হয়ে গেছে। ’ বললেন মন্ডল। মন্ডল জানালেন, ছোটবেলা থেকেই সাহসটা
তার একটু বেশি। পুলিশে এসে তার ব্যতিক্রম হয়নি। প্রথম পোস্টিং পার্বত্য জেলা
খাগড়াছড়িতে, ব্যাটালিয়নে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) পদে। খাগড়াছড়ি তখন অশান্ত। তিনি বলেন, ‘খাগড়াছড়িতে সহকর্মীরা সবাই খালি আতঙ্কে থাকত। সবাই বলত, এই গুলি আসবে, গুলি আসবে। আমি জানতাম গুলি ছোট একটা জিনিস। এটা মাথায়-বুকে লাগলে মরব, আর কোথাও লাগলে মরব না। সুতরাং আমি অতটা ভয় করতাম না। যখন কোথাও মুভ করতাম, সবাই গাড়ির জানালা বন্ধ করে দিত। আমি বলতাম কেন-জানালা বন্ধ করবো কেন?’ পুলিশ মানেই চোর-ছিনতাইকারীর পেছনে দৌঁড়ানো, অপরাধ দমন, মানুষ পেটানো-- প্রথাগত এই ধারণা থেকে শুরুতেই বেরিয়ে আসার পথ খুঁজতে লাগলেন মন্ডল। পুলিশেরও তো কিছু সামাজিক দায় রয়েছে,আছে দায়িত্ববোধও। সেটাকেই সম্বল করলেন তিনি। ‘নীলফামারীর এসপি যখন ছিলাম, সেখানে থানায় নারী নির্যাতনের মামলা বেশি হত। গরীব লোকজন, ছেঁড়া লুঙ্গি, ছেঁড়া শাড়ি পরে আমার কাছে আসতেন। ১৯৯৮ সালের দিকে নীলফামারিতে মাত্র একশ’ টাকায় ভাল ভারতীয় শাড়ি পাওয়া যেত, ৬০-৭০ টাকায়
লুঙ্গি পাওয়া যেত। আমার কাছে সবসময় একশ’টা করে শাড়ি, লুঙ্গি, গামছা মজুদ থাকত। গরীব লোকজন এলে তাদের দিতাম।’ - মানবসেবার একটি উদাহরণ ক্রাইম ডায়রির  সামনে তুলে ধরেন মন্ডল। মন্ডল বলেন, ‘আমি আগে মানুষ, তারপর আমি
পুলিশ, তারপর আমি অফিসার। বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, তিনিও তো প্রথমে মানুষ, তারপর প্রেসিডেন্ট। রাস্তার ভিখারিকে যেমন জবাবদিহি করতে হবে, আমি পুলিশ, আমাকেও করতে হবে। সুতরাং মানুষ হিসেবে
আমার দায়িত্ব তো আমাকে পালন করে যেতেই হবে। ’ মানবিক এবং সামাজিক দায়িত্ববোধ থেকেই চট্টগ্রাম নগরীতে আবর্জনা অপসারণ, সড়কের
গর্ত ভরাট, সাধারণ মানুষের জন্য গণপরিবহনের ব্যবস্থা করার মত কাজগুলো
করেছেন বলে জানালেন মন্ডল। সিএমপিতে যোগদানের পর নিজেই ঝাড়ু হাতে
রাস্তায় নেমেছিলেন, থানায় থানায় সভা করে সাধারণ মানুষকে নগরী পরিচ্ছন্ন রাখার
ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। এরপর মাঝে হঠাৎ সিএমপি কমিশনারের এই কর্মযজ্ঞ
কিছুটা থেমে থাকে। সম্প্রতি গর্ত ভরাটের কাজে নেমে আবারও মানুষের মুখে মুখে তাকে নিয়ে ‍আলোচনা। হঠাৎ আবর্জনা অপসারণের কাজ বন্ধ করে দেয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাকে তো বলা হয়েছে, এই কাজটা আমার না। দুই-একজন
মন্ত্রী বলেছেন, এ কাজটা আমার না। কিন্তু আমি মনে করেছি-কে কি বলল সেটা বড় কথা না। কাজটা আমার না, কিন্তু যখন কাজটাতে হাত দিয়েছি তখন তো আমি দশজন মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে পেরেছি, সচেতন করতে পেরেছি। ‘আমার কাজ শুধু চুরি-ডাকাতি বন্ধ করা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা, ঠিক আছে। কিন্তু বিবেকবান মানুষ হিসেবে আরেকটা মানুষকে সচেতন করাও তো আমার কাজ।’ ‘আমাদের ডিপার্টমেন্ট থেকেও বলা হয়েছে এটা তো তোমার কাজ না। কিন্তু কেউ যত্রতত্র ময়লা ফেলছে, তার বিরুদ্ধে মামলা করার, পানিশমেন্ট দেয়ার ক্ষমতা তো পুলিশকে দেওয়া আছে। সেই দায়িত্ব তো আমি এভয়েড করতে পারবনা,’ বলেন মন্ডল। ভবিষ্যতে পরিচ্ছন্নতার কাজ অব্যাহত রাখবেন কিনা, জানতে চাইলে সিএমপি কমিশনার
বলেন, আমাকে বলা হচ্ছে এটা তোমার কাজ না, তুমি করছ কেন? ভবিষ্যতে হিসাব করে করব, কেউ যেন আমার শত্রু কিংবা প্রতিপক্ষ হয়ে না যান। ‘মেয়র সাহেব (আ জ ম নাছির উদ্দিন) একটা ভিশন দিয়েছেন। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি মানুষকে সচেতন করবেন। তারপর জানুয়ারি থেকে ফাইনাল পানিশমেন্ট (শাস্তি) দেবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। মেয়র সকালে বের হন, রাত পর্যন্ত সচেতন করার কাজ করেন। কাজটা আমরাই শুরু করেছিলাম। তিনি (মেয়র) বলছেন, এটা সিটি করপোরেশনের কাজ, তার দায়িত্ব। সুতরাং সেটা তিনি করছেন। কাজটা কিন্তু
থেমে নেই। মেয়রকে আমরা সহায়তা করব, ইনশল্লাহ। ’
‘জানুয়ারি থেকে পানিশমেন্ট দেবেন মেয়র, তখন পুলিশের প্রয়োজন হবে। আমরা মেয়রকে সার্বিক সহযোগিতা দেব,’ বলেন মন্ডল। সম্প্রতি গর্ত ভরাটের কাজে নামার বিষয়ে মন্ডল বলেন, রাস্তায় বড় বড় গর্ত। ইপিজেডের সামনে একটা গর্তে আমরা দেড় হাজার ইট দিয়েছি। ওই গর্তে গাড়ি পড়লে ব্রেক ধরতে হয়। গাড়ির গতি স্লো হয়ে যায়। দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ মাঠে থাকে। তাদের সবার আগে বিষয়গুলো চোখে পড়ে। এটা দেখে তো আমরা বসে থাকতে পারি না। ‘গর্ত ভরাট করার পর আমি মেয়র সাহেবকে ফোন দিয়েছিলাম। উনি বলেছেন, আপনি করবেনই তো। সবার করা উচিৎ। আপনাকে দেখে সবাই করবে। ’ বলেন পুলিশ কমিশনার।
‘এটা করতে গিয়ে আমাকে যে খুব বেশি টাকাপয়সা খরচ করতে হয়ে তা নয়। পদ্মা
অয়েলকে বলেছি পাঁচ হাজার ইট দিতে। বন্দরকে বলেছি, শ্রমিক দিতে। এতে কাজ
হয়েছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো টাকা দিয়েছে। ভাল কাজে সবাই এগিয়ে আসে। আর
লাখ দু’য়েক টাকা খরচ করার মত তহবিল তো সিএমপি’র নিজেরও রয়েছে। ’
‘রমজানে দেখি গণপরিবহনের সংকট। ইফতারের সময় মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে
হচ্ছে। আমি পুলিশের বাস দিয়ে তাদের বাড়ি পৌঁছানোর ব্যবস্থা করলাম। টাকাপয়সা বিষয় না, আসল কথা হচ্ছে সদিচ্ছা,’ বলেন সিএমপি কমিশনার। সামাজিক কাজগুলো প্রাতিষ্ঠানিকভাবে, সরকারি বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে করা উচিৎ বলে মনে করেন আব্দুল জলিল মন্ডল। তিনি বলেন, আমরা যখন ঝাড়ু হাতে চট্টগ্রামে নামলাম, তার দুইদিন পর গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন সাহেব ঢাকায় শুরু করলেন। তারপর তো সারা দেশে শুরু হয়ে গেল। এতে তো বুঝতে পারছেন, মানুষ এটাকে গ্রহণ করেছে। এভাবে সব প্রতিষ্ঠানের এগিয়ে আসা দরকার। ‘সরকারি চাকরি মানেই হচ্ছে সার্ভিস দেয়া, মানুষের সেবা করা। কিন্তু এখন অবস্থা এমন
হয়েছে যে, সরকারি চাকরিজীবী মানে অনেক ক্ষমতাবান ব্যক্তি। ফাইলপত্র আসবে, আটকে রাখব, মানুষকে হয়রানি করব। ’ পুলিশ হব, টাকা কামাব-এমন চিন্তা থেকে এ
পেশায় আসেননি জানিয়ে মন্ডল বলেন, সততার জন্য চট্টগ্রামের সর্বমহলে এর প্রশংসা আছে। সামাজিক কাজ কোনভাবে নগরীতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, মোটেই না, একেবারেই না। এতে আমাদের অফিসাররা, সদস্যরা আরও উৎসাহিত হচ্ছেন। মানুষ পুলিশকে ভাল বলছে, এতে তারা অনুপ্রেরণা পাচ্ছে, আরেকটা ভাল কাজে উৎসাহিত হচ্ছে। আর খারাপ কাজের দিকে যাচ্ছে না। নেতিবাচক মন্তব্যে হতাশা আসে কি না জানতে চাইলে সিএমপি কমিশনার বলেন, হতাশা মাঝে মাঝে ধাক্কা দেয়, তবে প্রবল কিছু না। আমি মুক্তিযোদ্ধা। অল্প বয়সেই দেশ মাতৃকার টানে যুদ্ধে গিয়েছিলাম। মুক্তিযুদ্ধ তো আরেকবার আসবে না। আমার তো আর চাওয়া- পাওয়ার কিছু নেই। ‘যখন দেখি ফেসবুকে আমার কাজের ছবিতে ৭০ হাজার, ৭৫ হাজার লাইক পড়েছে, তখন হতাশা
আর থাকে না। আমার চাকরির জন্য হয়ত ফেসবুকের লাইক খুব ইতিবাচক কিছু না। তবে এই যে ৭০-৭৫ হাজার, এক লক্ষ লোক ছবিতে লাইক দেন, এটা তো তারা আমার কাজকে ভালবেসেই দিচ্ছেন। অতীতে অনেকে কমিশনার ছিলেন, ভবিষ্যতে অনেকে আসবেন, এই ভালবাসা তো সবাই পায়নি, পাবেও না। ’মুখে পরিতৃপ্তির হাসি মন্ডলের।
https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl

ডি এমপির সাফল্যঃ

পল্লবী থানা পুলিশের হাতে ৭ ডাকাত গ্রেফতার

 

মোঃওমর ফারুক রবিন,ক্রাইম ডায়রি,২৭/৮/১৫,ঢাকাঃ
রাজধানীর পল্লবী থানার কালশিতে অভিযান চালিয়ে দেশীয় অস্ত্রসহ পুলিশ পরিচয়দানকারী ৭ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পল্লবী থানা পুলিশ । গ্রেফতারকৃতরা হলেন মোঃ লিয়াকত আলী, মোঃ কামরুল, মোঃ শহীদুল ইসলাম ওরফে কামাল, মোঃ নাজমুল হক দিদার, মোঃ রুহুল আমিন ওরফে রিপন, ওবায়দুর রহমান বতু ও মেহেরুন নেছা কেয়া। এ সময় তাদের নিকট হতে ৩টি ছোরা, ১টি রামদা, ২টি খেলনা পিস্তল ও ১০ টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা তাদের দলের মেয়ে সদস্যদের মাধ্যমে মোবাইল ফোনে বিত্তবান ব্যক্তিদের টার্গেট করে। পরবর্তী সময়ে ঐ টার্গেটকৃত ব্যক্তিদের সাথে কৌশলে কথা বলে তাদের নির্দিষ্ট স্থানে ডেকে নিয়ে যায়। মেয়ের সাথে কথা বলার সময় পুরুষ সদস্যরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে উক্ত ব্যক্তিদেরকে জিম্মী করে বিভিন্ন বাসায় নিয়ে আটক করে। পরবর্তী সময়ে বিত্তবান ব্যক্তিদের নিকট থাকা মালামাল ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। শুধু তাই নয়, অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাদের দলের মেয়ে সদস্যদের সাথে বিবস্ত্র করে ছবি তুলে মান সম্মানের ভয় দেখিয়ে আটক ব্যক্তির মোবাইল দিয়ে তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে বিকাশের মাধ্যমে মুক্তিপন আদায় করে থাকে। টাকা আদায়ের পর চোখ বেঁধে তাদেরকে অজ্ঞাত স্থানে ছেড়ে দিয়ে ডাকাত সদস্যরা পালিয়ে যায়।
পল্লবী থানার এসআই/মোঃ রাসেল পিপিএম এর নেতৃতে উক্ত অভিযানটি পরিচালিত হয়। পল্লবী থানা পুলিশের এই সাফল্যে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এলাকার সুধীমহল।

https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl

বুধবার, ২৬ আগস্ট, ২০১৫

 বিজ্ঞানী মুন্নার আবিষ্কৃত ‘গ্যালাক্সি বাইক’ঃ

 অসাধারন সাফল্যে স্বীকৃতি, ৮ লাখ টাকার অনুদান ঘোষণা

মেহেদি হাসান ভূইয়া,ক্রাইম ডায়রি,২৬/৮/১৫ইং,ঢাকাঃ
 
ভাল সেবা ও স্বীকৃতি পেলে গ্রামবাংলায়ও তৈরি হতে পারে বিষ্ময়।। এমনই একটি বিষ্ময় সীতাকুণ্ড উপজেলার মুন্নার আবিষ্কৃত ‘গ্যালাক্সি বাইক’ সরকারি স্বীকৃতি পেল। বিস্ময় জাগানো আবিষ্কারটি পরীক্ষা করে গাড়িটি দেশের কল্যাণে ব্যবহার করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকারের তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। এই মন্ত্রণালয় থেকে ইতিমধ্যে তাকে ৮ লাখ টাকার অনুদানও প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া ভবিষ্যতে আরো অনুদানের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে দপ্তরটি। ফলে নতুন প্রেরণা নিয়ে অধিকতর গবেষণা শুরু করেছে মুন্না। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সীতাকুণ্ড উপজেলা গেইট সংলগ্ন পেশকারপাড়ার বাসিন্দা মো. তাজুল ইসলামের পুত্র কলেজ ছাত্র মনোয়ারুল ইসলাম মুন্না বিগত কয়েক বছরের মধ্যে বেশ কয়েকটি যন্ত্র আবিষ্কার করে এলাকাবাসীকে চমকে দেন। বিশেষত তার সর্বশেষ আবিষ্কার মোটর সাইকেলটি সর্বত্র ব্যাপক আগ্রহের সৃষ্টি করেছে। মাত্র ৩ টাকার বিদ্যুৎ খরচে এ গাড়িটি চলে সারাদিন। এতে কোন প্রকার তেল গ্যাসের দরকার পড়ে না। মুন্নার এই প্রযুক্তি বিস্মিত করেছে বুয়েটের প্রকৌশলীদেরও। বুয়েটের চৌকস প্রকৌশলীরা মুন্নার গ্যালাক্সি মোটর সাইকেলের ডায়োগ্রাম পরীক্ষা নিরীক্ষা করে বাংলাদেশের বাজারের জন্য এ ধরণের মোটর সাইকেল প্রয়োজন আছে বলে অভিমত দিলে সরকারের তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় তাকে উৎসাহিত করতে ৮ লাখ টাকা অনুদান ঘোষণা করে। যার মধ্যে ৪ লাখ টাকা ইতিমধ্যে প্রদানও করা হয়েছে।

পরিদর্শনকালে দেখা যায়, আবিষ্কৃত গ্যালাক্সি মোটর সাইকেলটি বাজারের অন্য মোটর সাইকেলগুলোর চেয়ে কিছুটা ব্যতিক্রম। এতে যন্ত্রপাতির ব্যবহার, গায়ের রং সবকিছুতেই কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে। এ গাড়ির বডিতে ব্যবহার করা হয়েছে স্টেইনলেস স্টিল। এছাড়া অন্যসব বাইকের মত হ্যান্ডল, ব্রেক, সিট, হেড লাইট, ব্রেক লাইট, ড্রাম ব্রেকসহ সবই আছে। মুন্না নিজের আবিষ্কৃত মোটর সাইকেলটির নাম রেখেছেন ‘গ্যালাক্সি বাইক’।
তার আবিষ্কৃত মোটর সাইকেল প্রসঙ্গে ক্ষুদে বিজ্ঞানী কলেজ ছাত্র মনোয়ারুল ইসলাম মুন্না জানান, এই মোটর সাইকেলটির বিশেষত্ব হলো এটি কোনরকম তেল গ্যাস ছাড়াই হলে। তবে এতে চার্জের প্রয়োজন হয়। মাত্র ৩/৪ ঘণ্টা চার্জ দিয়েই গাড়িটি পুরোদিন চালানো সম্ভব। মুন্না জানান, এই গাড়িটি তৈরিতে প্রচুর স্টেইনলেস স্টিল ব্যবহার করায় এর বডি দীর্ঘসময় সুরক্ষিত থাকবে। কোনরকম মরিচা পড়বে না। গাড়িটি চালানোর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে ১২ ভোল্টের ৫টি ব্যাটারি। অর্থাৎ ৬০ ভোল্টের ব্যাটারিতে মাত্র ৩ ঘণ্টা চার্জ দিলেই মোটর বাইকটি চলবে পুরোদিন।

একবার চার্জে কমপক্ষে ৬০ কি.মি. চলবে এই গাড়ি। এটি তৈরি করতে ৮০ হাজার টাকার মত খরচ পড়েছে জানিয়ে আবিষ্কারক মুন্না আরো বলেন, প্রথমে পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ বিভিন্ন কারণে ব্যয় একটু বেশি হয়েছে। যদি একসাথে অনেকগুলি মোটর সাইকেল তৈরি করা হয় তবে খরচ অনেক কম পড়বে। সেক্ষেত্রে ৫০ হাজার টাকাতেও একটি মোটর সাইকেল বাজারজাত করা যাবে।

প্রাথমিকভাবে মোটর সাইকেলটির নাম রেখেছেন গ্যালাক্সি বাইক। এই বাইক তৈরি করতে তার প্রায় দেড় মাস সময় লেগেছে। তবে উপযুক্ত পৃষ্টপোষকতা পেলে অল্প সময়ে আরো আধুনিক মোটর সাইকেল তৈরী করা যাবে বলে তার অভিমত। কিভাবে এই আবিস্কারের কথা মাথায় এলো ?

এমন প্রশ্নের জবাবে মুন্না বলেন, বাড়ি থেকে অনেক দূরে মৎস্য চাষের ব্যবসা থাকায় সেখানে তাকে প্রতিদিন যেতে হত। নিয়মিত এত দূরত্বে যাতায়াত করতে খরচ পড়ত অনেক বেশি। তাই কিভাবে খরচ কমানো যায় সেই চিন্তা করতে গিয়েই এই বাইক তৈরির চিন্তা মাথায় আসে। আবিষ্কারের প্রতি ঝোঁক তো আগে থেকেই ছিলো। তার উপর বাইকের চিন্তা এসে যাওয়ায় শুরু হয়ে গেল চেষ্টা। ২০১৪ সালের শেষ দিকে মোটর সাইকেলটি আবিষ্কার করা সম্ভব হয়। প্রথমদিকে তার মোটর সাইকেলে একটি চেইনও লাগানো হয়। পরে আরো আধুনিক করার পর চেইনটি তুলে ফেলা হয়। গ্যালাক্সি বাইকের আবিষ্কারক মুন্না আরো বলেন, প্রথমদিকে অনেকেই এই আবিষ্কার নিয়ে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য শুরু করে। এতে আমি অনেকটা হতাশ হয়ে পড়ি। শেষে আমি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, ডায়োগ্রাম ইত্যাদি সহকারে ফাইল তৈরি করে আইসিটি মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করি। সেখানে তারা বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নেন এবং আবিষ্কারটি কতটা নির্ভরযোগ্য তা খতিয়ে দেখতে বুয়েটের একটি প্রতিনিধি দলকে দায়িত্ব দেন। এরপর বুয়েটের প্রকৌশলীরা মোটর সাইকেলটির বিষয়ে আমার সাথে কথা বলেন এবং যন্ত্রপাতি, প্রযুক্তির ব্যবহারগুলো পর্যবেক্ষণ করেন।
তারা সব কিছু দেখে বিস্মিত হন এবং এটি দেশের বাজারে কতটা উপযোগী সে সম্ভাবনার বিষয়টিও যাচাই করে আবিষ্কারটি গুরুত্বপূর্ণ বলে নির্বাচন করেন। শেষে আমার ফাইলটি তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হলে এই মন্ত্রাণালয় আমাকে এই গবেষণায় সহযোগিতার জন্য ৮লাখ টাকা অনুদান প্রদানের ঘোষণা দেয়। ঘোষণা অনুযায়ী ইতিমধ্যে ৪ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে। মোটর সাইকেলটি আরো আধুনিক করাসহ কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা করে অবশিষ্ট ৪লাখ টাকাও প্রদান করা হবে। তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীসহ সকল কর্মকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ক্ষুদে বিজ্ঞানী মুন্না আরো বলেন, আমাদের দেশে ভালো কাজকে কেউ উৎসাহিত করতে চায় না। অনেক প্রতিবদ্ধকতার মধ্যেই এসব গবেষণা করতে হচ্ছে। বিগত কয়েক বছরে মোবাইল কলে যন্ত্রপাতি স্টার্ট, মটর অটো স্টার্ট যন্ত্র, অটোমেটিক পানির ট্যাংক ভর্তিকরণ ও খালি করার যন্ত্রসহ ১৭টি প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছেন তিনি।

তবে সর্বশেষ আবিষ্কার গ্যালাক্সি মোটর বাইকটি নিয়ে ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেছে। বেশ কয়েকটি মোটর সাইকেল প্রস্তুতকারক কোম্পানি তার সাথে যোগাযোগ করেছে। তাদের প্রস্তাবগুলোতে নিজেদের স্বাথের্র বিষয়টি বেশি ছিল। ফলে পরিস্থিতি বুঝে তিনি এড়িয়ে গেছেন বলে উল্লেখ করেন।

মুন্না বলেন, এখন আর সেরকম চিন্তা ভাবনা করছি না। আপাতত সরকারি অনুদান পেয়ে গবেষণায় আরো উন্নতি ঘটানোর চেষ্টা করছি। স্বল্পমূল্যে এই মোটর সাইকেলে দেশের মানুষ উপকৃত হলে তার আবিষ্কার সার্থক হবে বলে মনে করেন তিনি।

মুন্নার এই আবিষ্কার প্রসঙ্গে তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাসের বলেন, মুন্নার মোটর সাইকেল আবিষ্কারসহ গবেষণা কাজে সহযোগিতা করতে আইসিটি মন্ত্রণালয়ে একটি ফান্ড থেকে ৮ লাখ টাকা অনুদান প্রদানের সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ৪ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। কাজের অগ্রগতির উপর নির্ভর করে অবশিষ্ট টাকাও প্রদান করা হবে।

https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl

 বরিশালে ডাকাতি মামলায় ৪ জনের কারাদন্ড

মোঃ আরমান মৃধা, বরিশাল প্রতিনিধি, ক্রাইম ডাইরি,২৬/৮/১৫ইং,ঢাকাঃ

 বরিশালে ডাকাতি মামলা  ৪ ডাকাতকে পৃথক পৃথক ধারায় ১২ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ৪ মাসের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। ২৪/০৮/২০১৫ ইং তারিখ বরিশাল ১ম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ আদীব আলী এ রায় প্রদান করে। আসামীরা হলো বরিশাল জেলার মুলাদী থানার গোবিন্দপুর এলাকার ফজলুল রহমান রাড়ীর পূত্র মোঃ সালাউদ্দিন রাড়ী, আঃ মালেক সরদারের পুত্র ইউসুফ সরদার, মামুন সরদার ও  বরিশাল জেলার হিজলা থানার মাটিয়ালা এলাকার রত্তন রাড়ীর পুত্র মোঃ বাবুল রাড়ি। মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ২ জুলাই রাত পৌনে ৪ টায় ১২/১৩ জনের একদল ডাকাত ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে বরিশাল জেলার মুলাদী থানার গোবিন্দ্রপুর এলাকায় স্থানীয় গিয়াস উদ্দিনের ভাড়াটিয়া বসতঘরে বসে প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সময় স্থানীয় বালু শ্রমিকরা খবর পেয়ে ১৩ জনের মধ্যে থেকে ৪ জনকে আটক করে মুলাদী থানার পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে ঘটনস্থল থেকে ২টি রামদা, ১টি ছোরা ও ২টি গুপ্তি উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ওই বছর ৩ জুলাই মুলাদী থানার এসআই মোঃ জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে মোঃ সালাউদ্দিন রাড়ী, ইউনুস সরদার, মামুন সরদার ও মোঃ বাবুলকে অভিযুক্ত করে থানায় ডাকাতি মামলা দায়ের করে। একই বছর ২৯ জুলাই মুলাদী থানার এসআই মোঃ আবুল খায়ের অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট প্রদান করে । আদাতের বিচারক ৮ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামীদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমানিত হলে প্রত্যেক আসামীকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ২ মাসের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করে। এছাড়া ৪০২ ধারায় ৫ বছরের সশ্রম কারাদন্ড, ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ২ মাসের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করে।
https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl

মঙ্গলবার, ২৫ আগস্ট, ২০১৫

 কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় নির্মমভাবে স্ত্রীকে আহত করল স্বামী


জামাল আহমেদ,কক্সবাজার প্রতিনিধি,ক্রাইম ডায়রি,২৬/৮/১৫ইং,কক্সবাজারঃ

 
নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সরকারের মহত্তর অনেক উদ্যেগ,উৎকন্ঠা থাকার পরও কমেনি নারী নির্যাতন। এরই ধারাবাহিকাতয় স্ত্রীর উপর নির্যাতন চালিয়েছে এক পাষন্ড স্বামী। স্বামীর নির্যাতনের শিকার পারভীন আক্তারকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার(২৪ আগষ্ট) সকাল ৭ টায় উপজেলার দক্ষিণ ধুরুং পেচার পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী ও নির্যাতিতা জানান,উত্তর ধুরুং হায়দার আলী সিকদার পাড়ার আবু সামা‘র কন্যা পারভীন আক্তার(২০)‘র সাথে দক্ষিণ ধুরুং পেচার পাড়ার টেক্সী চালক আনছারের সাথে গত ১৪ মাস আগে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় সে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা নিয়ে আসে। টেক্সী চালকের এটি দ্বিতীয় স্ত্রী। নির্যাতিতা পারভীন জানায়,গতকাল সকালে বিনা কারণেই তার স্বামী ও শ্বাশুড়ী মিলে তার উপর দা,রড দিয়ে অমানষিক নির্যাতন চালায়। এক পর্যায়ে প্লাস দিয়ে হাতের নখ তুলে ফেলে পাষন্ড স্বামী। দায়ের কোপে মুখে,মাথায় পিঠে গুরতর আহত রক্তাক্ত অবস্থায় প্রাণে বেচেঁ স্থানীয় আলী ফকির ডেইল মামার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। সেখান থেকে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।প্রতিদিনই তার স্বামী নির্যাতন চালিয়ে যৌতুকের টাকা দাবী করতো বলে সে জানায়।তার ৪ মাসের একটি শিশু সন্তান রয়েছে।

https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl

শুধু গাড়ির কাগজপত্র নেই তাই তারা সাংবাদিক

ক্রাইম ডায়রি ডেস্ক রিপোর্ট,২৬/৮/১৫,ঢাকাঃ

 

ভুয়া সাংবাদিকদের দৌড়াত্ব্যে অস্থির প্রশাসন ও সাধারন মানুষ । এ বিষয়ে একাধিকবার ক্রাইম ডায়রি সংবাদ পরিবেশন করা হলেও এখনও হয়নি কোন প্রতিকার। অনেক সাংবাদিক আছেন যারা ব্যবসা কিংবা অনেক প্রতিষ্ঠানে কনসালটেন্সি করেন আর সেটা তারা করতেই পারেন। কিন্তু যারা সরকারী কিংবা প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে সরাসরি চাকরি করেন তারা যদি অফিসে যাবার পথে তাদের মোটরসাইকেলে সাংবাদিক লিখে ঘুরে বেড়ান কিংবা পরিচয় দেন সাংবাদিক তবে তা অবশ্যই গর্হিত কাজ। ইদানিং কালে এমনটাই পরিলক্ষিত হচ্ছে। রাজধানীতেই এমন প্রবণতা বেশি।গাড়ি চালানোর জন্য তারা অনেক টাকার বিনিময়ে সাংবাদিকতার আইডি কার্ড ক্রয় করেন। আর কালেভদ্রে প্রকাশিত কিংবা নতুন ছোট পত্রিকা কিংবা আন্ডারগ্রাউন্ডের অনেক পত্রিকার সম্পাদকই শুধু আইডি কার্ড বিক্রি করে চলেন। যারতার মোটরসাইকেলে লেখা সাংবাদিক কিংবা নম্বরপ্লেটই নেই। মনে রাখা প্রয়োজন রাজধানীতে সাধারনতঃ ষ্টাফ রিপোর্টারাই চাকুরী করেন। আর তারা নিয়মিত চাকুরে হিসেবে গণ্য। ষ্টাফ রিপোর্টাররা পত্রিকার এ্যাসাইনমেন্ট অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট জায়গায় ডিউটি পালন করেন । ফটোসাংবাদিকরাও যদি ফ্রি ল্যান্সার না হন তবে তাকেও সুনির্দিষ্ট পরিসীমাই কাজ করতে হয়।সুতরাং তাদের পক্ষে চাকুরী অপিস এবং ডি উটি বাদ দিয়ে যেনতেন ভাবে যে কোন সময় ঘুরে বেড়ানে সম্ভব নয়্। বিশেষ করে বিকেল বেলা সারাদিনের কাজ শেষে বেশির ভাগ সাংবাদিকদের অফিসে গিয়ে নিউজ জমা দিতে হয়। স্পেশাল কোন এ্যাসাইনমেন্ট কিংবা সম্পাদক কিংবা ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক ছাড়া এই সময়ে বাইরে হাওয়া খাওয়া তাদের পক্ষে সমভব নয়।তাই যে কোন সময় রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো ব্যক্তিরা প্রকৃত সাংবাদিক কিনা তা যাচাই প্রয়োজন।। এছাড়া ইদানিং কালে কিছু নামমাত্র দৈনিক কিংবা কালেভদ্রে ছাপানো কিছু পত্রিকা বিশেষতঃ অনলাইন প্রকাশনার পরিচয়ে কিছু লোক সুবিধা আদায়ের চেষ্টায় লিপ্ত। মনে রাখা দরকার কেউ বে আইনি কাজ করলে পুলিশ কিংবা সাংবাদিকরাই সেটা নিয়ে মাতামাতি করেন। আর নিজেরা বে আইনি কাজ করেন কোন অধিকারে। আইন সবার জন্যই সমান। কেউই আইনের উদ্ধে নন। রেজিষ্ট্রেশন সবার জন্য বাধ্যতামূলক। ড্রাইভিং লাইসেন্স সবার জন্যই বাধ্যতামুলক। সে হোক পুলিশ কিংবা সাংবাদিক।। একজন সৎ পুলিশ অফিসারের বক্তব্য থেকে বিষয়টি আরও স্পষ্ট ,
“আমার এক বন্ধু রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের সামনে থেকে আজ দুপুরে ছবিটি তুলে আমাকে ইনবক্সে পাঠিয়েছে! সেই সাথে আমাকে প্রশ্ন করেছে , পুলিশের মোটরসাইকেল এর পিছনে "পুলিশ" লিখা থাকলে যারা ছবি তুলে পত্রিকার পাতায় ছাপায় , পুলিশ কোথায় কি করছে না করছে সেদিকে ক্যামেরা তাক করিয়ে বসে থাকে ,সেই তারাই যদি রেজিট্রেশন ছাড়া মোটরসাইকেল এ স্টিকার লাগিয়ে রাস্তায় ঘুরে বেড়ায় এই ছবি কি তাদের চোখে পড়েনা?
আইন তো সবার জন্যই সমান। হোক সে পুলিশ বা সাংবাদিক বা অন্য কেও।
একটি ছবি যখন একটি বাহিনীর ইমেজ এর প্রশ্ন হয়ে দাড়ায় তখন যে/যারা এই কাজটি করেন তিনি/তারা কি নিজেরা আইনের প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল থেকে এই কাজটি করেন? আবার তাকে/তাদেরকেই যখন আইন মেনে চলতে বলা হয় তখন কতই না বিড়ম্বনার সৃষ্টি হয়! ভালো কাজ করতে গেলেও তখন জনগণের সামনে একজন পুলিশ অফিসার কে ভিলেইন হিসেবে উপস্থাপন করা হয়।
আমি বিশ্বাস করি সবাই এই কাজটি করে না। ভালো মন্দ সব পেশাতেই আছে। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা ক্ষমতার বাহাদুরী দেখাতে খুব পছন্দ করি! যার হাতে ক্যামেরা আছে সে তার ক্যামেরার বাহাদুরী দেখায় , যার হাতে কলম আছে সে তার কলমের বাহাদুরী দেখায় , যার গায়ে পোশাক আছে সে তার পোশাকের বাহাদুরী দেখায়! যার মামা , চাচা আছে সে দেখায় তার মামা , চাচার বাহাদুরী!
এক অদ্ভুদ নিয়মের ভিতরে চলছি আমরা। নিজে আইন না মেনে বড় গলায় কথা বলতে বা অন্যায় সুপারিশ করতে আমাদের কারো এতোটুকু লজ্জা লাগেনা।”
এতেই বোঝা যায় ,আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল পুলিশ অফিসার ও সাংবাদিক আছেন। তারা চান আইন সমভাবে প্রয়োগ হোক। আর এ চর্চাই জাতীকে উন্নতির শিখরে নিতে পারে।

https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl

সোমবার, ১৭ আগস্ট, ২০১৫


আইনজীবি কর্তৃক গৃহকর্মী নির্যাতিতঃ

 গ্রেফতার ১

ক্রাইম ডায়রি,যশোর সংবাদদাতা,১৭/৮/১৫ইং,ঢাকাঃ
রক্ষক যখন ভক্ষক হয় তখন কারো কিছুই করার থাকেনা। আর রক্ষন যদি হন আইনজীবি তবে তো কথাই নেই। যশোরে জজ আদালতের আইনজীবী হেলাল উদ্দিন ও তার স্ত্রী ইভা বেগমের নামে কোতোয়ালী থানায় ধর্ষণ, যৌন নিপীড়ন ও মারপিটের মামলা করেছে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের শিকার এক শিশু গৃহকর্মী । শুক্রবার এ ব্যাপারে এজাহার দিলেও আজ শনিবার তা মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়। এজাহার দেওয়ার পরপরই গৃহকর্মীকে ধর্ষণ, যৌন নিপীড়ন ও মারপিটের মামলায় যশোরের ঐ আইনজীবীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আদালত সূত্র জানায়, বিকেলে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মারুফ আহমেদের কাছে নির্যাতিত গৃহকর্মী তাঁর জবানবন্দি দেওয়ার জন্য হাজির হন।
পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার ওই গৃহকর্মী মা কোতোয়ালি থানার মামলার আবেদন করেন। তারপর রাতেই যশোর শহরের কাজীপাড়া এলাকার নিজ বাসা থেকে জজ আদালতের আইনজীবী হেলাল উদ্দিনকে আটক করা হয়। আজ শনিবার মামলাটি রেকর্ড করে পুলিশ।
মামলা সুত্রে জানা গেছে, আইনজীবী হেলাল উদ্দিনের বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার মল্লিকপুর গ্রামের এক দিনমজুরের স্ত্রী। তিনি বর্তমানে শহরের কাজীপাড়ায় আনু কাজীর বাড়িতে ভাড়া থাকেন।
মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, ২০০০ সাল থেকে তিনি ওই বাসায় কাজ করতেন। আট বছর আগে তিনি তাঁর ১০ বছরের মেয়েকে ওই বাসায় কাজে দেন। গত বছর মে মাসে তিনি ওই বাড়িতে গিয়ে মেয়েকে অসুস্থ অবস্থায় পান। মেয়েটির শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল। সে কারণে তিনি মেয়েকে বাড়ি নিয়ে যান।
পরে মেয়েটি তার মাকে জানায়, গৃহকর্ত্রী ইভা বেগম সন্তানসম্ভবা থাকাকালে আইনজীবী হেলাল উদ্দিন প্রায় রাতেই তাকে ধর্ষণ করতেন। বিষয়টি টের পেয়ে হেলালের স্ত্রী ইভা বেগম কাঁচি দিয়ে গৃহকর্মীর যৌনাঙ্গ জখম করে দেন। পাশাপাশি কারণে অকারণে তার ওপর চলত মারধর ও নির্যাতন।
বাদী অভিযোগে আরো বলেন, এ ঘটনা এলাকাবাসীকে জানালে তাঁরা সালিস করেন। সালিসে সিদ্ধান্ত হয়, আইনজীবী হেলাল মেয়েটির বিয়ের ব্যবস্থা করবেন। বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত প্রতি মাসে তিন হাজার টাকা করে চিকিৎসা খরচ দিতে বাধ্য থাকবেন। কিন্তু হেলাল প্রথম কয়েক মাস টাকা দিলেও পরে বন্ধ করে দেন। মেয়েটির শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত এখনো রয়ে গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আজ শনিবার কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিকদার আককাস আলী সময়ের কণ্ঠস্বরকে জানান, আইনজীবী হেলালকে আজ শনিবার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে । জেলা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মারুফ আহমেদ আইনজীবীকে আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। একই মামলায় আইনজীবীর স্ত্রী ইভা বেগমকেও আসামি করা হয়েছে। তাঁকে পাওয়া যায়নি। ইভাকে গ্রেপ্তারে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে। অবাক চোখে ওসি শিকদার আককাস আলী বলেন, ‘এ রকম একটি অসহায় মেয়েকে কেউ এভাবে নির্যাতন করতে পারে ভাবাই যায় না।’
https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl