জাতীয় সাপ্তাহিক ক্রাইম ডায়রি একটি অপরাধ বিষয়ক পত্রিকা।।

national weeklycrime diary

national weeklycrime diary
ক্রাইম ডায়রি(জাতীয় সাপ্তাহিক, অনলাইনদৈনিক, অনলাইন টেলিভিশন ও অপরাধ গবেষণা )

শনিবার, ২৯ আগস্ট, ২০১৫

কি ভয়াবহ! কি ভয়ানক!

মানুষের কিডনি অপসারনকারী চক্রের ৫ সদস্য গ্রেফতার

 

আয়াতুস সাইফ মুন,ক্রাইম ডায়রি,২৯/৮/১৫ইং,ঢাকাঃ
সাবাশ ডিবি!সাবাশ বাঘের বাচ্চা! মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রতি সাধারনজনতার এখন এমনই উচ্ছসিত আবেগ প্রকাশ। মানুষের কিডনি কেটে অপসারন করে এরাও কি মানুষ?? এ রকম অমানুষদের গ্রেফতার করে সত্যিই মানবজাতীর বড় উপকার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।। ভুক্তভোগীদের দোয়া সবসময় তাদের সাথে থাকবে। এমন আবেগও প্রকাশ করলেন সাধারন মানুষ। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ সন্ত্রাস নিরসনে সবসময় তৎপর। তারই ধারাবাহিকতায় রাজধানীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও গাবতলী বাসটার্মিনাল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আন্তুর্জাতিক কিডনী ক্রয়-বিক্রয় চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হল- আব্দুল জলিল, শেখ জাকির ইবনে আজিজ ওরফে শাকির, আশিকুর রহমান ওরফে জেবিন, ফজলে রাব্বি ও জিহান রহমান। এ সময় তাদের হেফাজত হতে ২টি চেতনানাশক ইনজেকশন ও সিরিঞ্জ, ১ টি ধারালো ছোরা ও ১টি তোয়ালে উদ্ধার করা হয়। কিডনী ক্রয়-বিক্রয় চক্রের দালাল আব্দুল জলিল জয়পুরহাট থেকে কিডনী বিক্রির উদ্দেশ্যে আবু হাসান নামের এক যুবককে নিয়ে ঢাকায় আসার পথে গাবতলীতে গ্রেফতার হয়। ভিকটিম আবু হাসান জানায়, একটি কিডনীর বিনিময়ে দালাল জলিল তাকে একটি সিএনজি কিনে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ঢাকায় নিয়ে আসে। পরবর্তী সময়ে আব্দুল জলিলের প্রদত্ত তথ্য মতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা একাডেমীর পার্শ্ববর্তী এলাকা হতে ভিকটিম মাহাবুবুর রহমান শান্তকে উদ্ধার করে ডিবি পুলিশ। একই স্থান থেকে আরও ৪ জন আসামীকে গ্রেফতার করে তারা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী আশিকুর রহমান ওরফে জেবিন জানায়, মাত্র ২০ হাজার টাকার লোভে সে তার পূর্ব পরিচিত ভিকটিম মাহাবুবুর রহমান শান্তকে রক্ত দেওয়ার কথা বলে সেখানে নিয়ে এসেছে। গ্রেফতারকৃত অপর আসামী শেখ শাকির জানায়, সে ৪ লাখ টাকার বিনিময়ে তার অন্যান্য সহযোগীদের (আশিক,ফজলে রাব্বি ও জিহান) নিয়ে ভিকটিম শান্তকে ইনজেকশন দিয়ে অচেতন করে কিডনী অপসারনের জন্য আন্তর্জাতিক দালাল চক্রের হাতে তুলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করেছিল। জিজ্ঞাসাবাদে শেখ শাকির আরও জানায়, কিডনী অপসারনের পর ভিকটিম শান্তকে হত্যা করে বুড়িগঙ্গা নদীতে ফেলে দেওয়ার পরিকল্পনাও তাদের ছিল এবং সে নিজেই এই মাস্টার প্ল্যান করেছিল। ঢাকা মহানগরী গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য (দক্ষিণ) বিভাগের তিন নক্ষত্র উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ মাশরুকুর রহমান খালেদ এর সার্বিক দিক নির্দেশনায় সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার মাহমুদা আফরোজ লাকী, পিপিএম এর নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়। সাধারন জনতার দাবী এসব অমানুষ নরপশুদের যেন সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যদন্ড হয়।

https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl

কোন মন্তব্য নেই: