আইনজীবি কর্তৃক গৃহকর্মী নির্যাতিতঃ
গ্রেফতার ১
ক্রাইম ডায়রি,যশোর সংবাদদাতা,১৭/৮/১৫ইং,ঢাকাঃরক্ষক যখন ভক্ষক হয় তখন কারো কিছুই করার থাকেনা। আর রক্ষন যদি হন আইনজীবি তবে তো কথাই নেই। যশোরে জজ আদালতের আইনজীবী হেলাল উদ্দিন ও তার স্ত্রী ইভা বেগমের নামে কোতোয়ালী থানায় ধর্ষণ, যৌন নিপীড়ন ও মারপিটের মামলা করেছে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের শিকার এক শিশু গৃহকর্মী । শুক্রবার এ ব্যাপারে এজাহার দিলেও আজ শনিবার তা মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়। এজাহার দেওয়ার পরপরই গৃহকর্মীকে ধর্ষণ, যৌন নিপীড়ন ও মারপিটের মামলায় যশোরের ঐ আইনজীবীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আদালত সূত্র জানায়, বিকেলে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মারুফ আহমেদের কাছে নির্যাতিত গৃহকর্মী তাঁর জবানবন্দি দেওয়ার জন্য হাজির হন।
পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার ওই গৃহকর্মী মা কোতোয়ালি থানার মামলার আবেদন করেন। তারপর রাতেই যশোর শহরের কাজীপাড়া এলাকার নিজ বাসা থেকে জজ আদালতের আইনজীবী হেলাল উদ্দিনকে আটক করা হয়। আজ শনিবার মামলাটি রেকর্ড করে পুলিশ।
মামলা সুত্রে জানা গেছে, আইনজীবী হেলাল উদ্দিনের বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার মল্লিকপুর গ্রামের এক দিনমজুরের স্ত্রী। তিনি বর্তমানে শহরের কাজীপাড়ায় আনু কাজীর বাড়িতে ভাড়া থাকেন।
মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, ২০০০ সাল থেকে তিনি ওই বাসায় কাজ করতেন। আট বছর আগে তিনি তাঁর ১০ বছরের মেয়েকে ওই বাসায় কাজে দেন। গত বছর মে মাসে তিনি ওই বাড়িতে গিয়ে মেয়েকে অসুস্থ অবস্থায় পান। মেয়েটির শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল। সে কারণে তিনি মেয়েকে বাড়ি নিয়ে যান।
পরে মেয়েটি তার মাকে জানায়, গৃহকর্ত্রী ইভা বেগম সন্তানসম্ভবা থাকাকালে আইনজীবী হেলাল উদ্দিন প্রায় রাতেই তাকে ধর্ষণ করতেন। বিষয়টি টের পেয়ে হেলালের স্ত্রী ইভা বেগম কাঁচি দিয়ে গৃহকর্মীর যৌনাঙ্গ জখম করে দেন। পাশাপাশি কারণে অকারণে তার ওপর চলত মারধর ও নির্যাতন।
বাদী অভিযোগে আরো বলেন, এ ঘটনা এলাকাবাসীকে জানালে তাঁরা সালিস করেন। সালিসে সিদ্ধান্ত হয়, আইনজীবী হেলাল মেয়েটির বিয়ের ব্যবস্থা করবেন। বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত প্রতি মাসে তিন হাজার টাকা করে চিকিৎসা খরচ দিতে বাধ্য থাকবেন। কিন্তু হেলাল প্রথম কয়েক মাস টাকা দিলেও পরে বন্ধ করে দেন। মেয়েটির শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত এখনো রয়ে গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আজ শনিবার কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিকদার আককাস আলী সময়ের কণ্ঠস্বরকে জানান, আইনজীবী হেলালকে আজ শনিবার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে । জেলা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মারুফ আহমেদ আইনজীবীকে আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। একই মামলায় আইনজীবীর স্ত্রী ইভা বেগমকেও আসামি করা হয়েছে। তাঁকে পাওয়া যায়নি। ইভাকে গ্রেপ্তারে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে। অবাক চোখে ওসি শিকদার আককাস আলী বলেন, ‘এ রকম একটি অসহায় মেয়েকে কেউ এভাবে নির্যাতন করতে পারে ভাবাই যায় না।’
https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hlপুলিশ সুত্রে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার ওই গৃহকর্মী মা কোতোয়ালি থানার মামলার আবেদন করেন। তারপর রাতেই যশোর শহরের কাজীপাড়া এলাকার নিজ বাসা থেকে জজ আদালতের আইনজীবী হেলাল উদ্দিনকে আটক করা হয়। আজ শনিবার মামলাটি রেকর্ড করে পুলিশ।
মামলা সুত্রে জানা গেছে, আইনজীবী হেলাল উদ্দিনের বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার মল্লিকপুর গ্রামের এক দিনমজুরের স্ত্রী। তিনি বর্তমানে শহরের কাজীপাড়ায় আনু কাজীর বাড়িতে ভাড়া থাকেন।
মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, ২০০০ সাল থেকে তিনি ওই বাসায় কাজ করতেন। আট বছর আগে তিনি তাঁর ১০ বছরের মেয়েকে ওই বাসায় কাজে দেন। গত বছর মে মাসে তিনি ওই বাড়িতে গিয়ে মেয়েকে অসুস্থ অবস্থায় পান। মেয়েটির শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল। সে কারণে তিনি মেয়েকে বাড়ি নিয়ে যান।
পরে মেয়েটি তার মাকে জানায়, গৃহকর্ত্রী ইভা বেগম সন্তানসম্ভবা থাকাকালে আইনজীবী হেলাল উদ্দিন প্রায় রাতেই তাকে ধর্ষণ করতেন। বিষয়টি টের পেয়ে হেলালের স্ত্রী ইভা বেগম কাঁচি দিয়ে গৃহকর্মীর যৌনাঙ্গ জখম করে দেন। পাশাপাশি কারণে অকারণে তার ওপর চলত মারধর ও নির্যাতন।
বাদী অভিযোগে আরো বলেন, এ ঘটনা এলাকাবাসীকে জানালে তাঁরা সালিস করেন। সালিসে সিদ্ধান্ত হয়, আইনজীবী হেলাল মেয়েটির বিয়ের ব্যবস্থা করবেন। বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত প্রতি মাসে তিন হাজার টাকা করে চিকিৎসা খরচ দিতে বাধ্য থাকবেন। কিন্তু হেলাল প্রথম কয়েক মাস টাকা দিলেও পরে বন্ধ করে দেন। মেয়েটির শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত এখনো রয়ে গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আজ শনিবার কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিকদার আককাস আলী সময়ের কণ্ঠস্বরকে জানান, আইনজীবী হেলালকে আজ শনিবার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে । জেলা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মারুফ আহমেদ আইনজীবীকে আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। একই মামলায় আইনজীবীর স্ত্রী ইভা বেগমকেও আসামি করা হয়েছে। তাঁকে পাওয়া যায়নি। ইভাকে গ্রেপ্তারে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে। অবাক চোখে ওসি শিকদার আককাস আলী বলেন, ‘এ রকম একটি অসহায় মেয়েকে কেউ এভাবে নির্যাতন করতে পারে ভাবাই যায় না।’
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন