জাতীয় সাপ্তাহিক ক্রাইম ডায়রি একটি অপরাধ বিষয়ক পত্রিকা।।

national weeklycrime diary

national weeklycrime diary
ক্রাইম ডায়রি(জাতীয় সাপ্তাহিক, অনলাইনদৈনিক, অনলাইন টেলিভিশন ও অপরাধ গবেষণা )

মঙ্গলবার, ২৫ আগস্ট, ২০১৫


শুধু গাড়ির কাগজপত্র নেই তাই তারা সাংবাদিক

ক্রাইম ডায়রি ডেস্ক রিপোর্ট,২৬/৮/১৫,ঢাকাঃ

 

ভুয়া সাংবাদিকদের দৌড়াত্ব্যে অস্থির প্রশাসন ও সাধারন মানুষ । এ বিষয়ে একাধিকবার ক্রাইম ডায়রি সংবাদ পরিবেশন করা হলেও এখনও হয়নি কোন প্রতিকার। অনেক সাংবাদিক আছেন যারা ব্যবসা কিংবা অনেক প্রতিষ্ঠানে কনসালটেন্সি করেন আর সেটা তারা করতেই পারেন। কিন্তু যারা সরকারী কিংবা প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে সরাসরি চাকরি করেন তারা যদি অফিসে যাবার পথে তাদের মোটরসাইকেলে সাংবাদিক লিখে ঘুরে বেড়ান কিংবা পরিচয় দেন সাংবাদিক তবে তা অবশ্যই গর্হিত কাজ। ইদানিং কালে এমনটাই পরিলক্ষিত হচ্ছে। রাজধানীতেই এমন প্রবণতা বেশি।গাড়ি চালানোর জন্য তারা অনেক টাকার বিনিময়ে সাংবাদিকতার আইডি কার্ড ক্রয় করেন। আর কালেভদ্রে প্রকাশিত কিংবা নতুন ছোট পত্রিকা কিংবা আন্ডারগ্রাউন্ডের অনেক পত্রিকার সম্পাদকই শুধু আইডি কার্ড বিক্রি করে চলেন। যারতার মোটরসাইকেলে লেখা সাংবাদিক কিংবা নম্বরপ্লেটই নেই। মনে রাখা প্রয়োজন রাজধানীতে সাধারনতঃ ষ্টাফ রিপোর্টারাই চাকুরী করেন। আর তারা নিয়মিত চাকুরে হিসেবে গণ্য। ষ্টাফ রিপোর্টাররা পত্রিকার এ্যাসাইনমেন্ট অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট জায়গায় ডিউটি পালন করেন । ফটোসাংবাদিকরাও যদি ফ্রি ল্যান্সার না হন তবে তাকেও সুনির্দিষ্ট পরিসীমাই কাজ করতে হয়।সুতরাং তাদের পক্ষে চাকুরী অপিস এবং ডি উটি বাদ দিয়ে যেনতেন ভাবে যে কোন সময় ঘুরে বেড়ানে সম্ভব নয়্। বিশেষ করে বিকেল বেলা সারাদিনের কাজ শেষে বেশির ভাগ সাংবাদিকদের অফিসে গিয়ে নিউজ জমা দিতে হয়। স্পেশাল কোন এ্যাসাইনমেন্ট কিংবা সম্পাদক কিংবা ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক ছাড়া এই সময়ে বাইরে হাওয়া খাওয়া তাদের পক্ষে সমভব নয়।তাই যে কোন সময় রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো ব্যক্তিরা প্রকৃত সাংবাদিক কিনা তা যাচাই প্রয়োজন।। এছাড়া ইদানিং কালে কিছু নামমাত্র দৈনিক কিংবা কালেভদ্রে ছাপানো কিছু পত্রিকা বিশেষতঃ অনলাইন প্রকাশনার পরিচয়ে কিছু লোক সুবিধা আদায়ের চেষ্টায় লিপ্ত। মনে রাখা দরকার কেউ বে আইনি কাজ করলে পুলিশ কিংবা সাংবাদিকরাই সেটা নিয়ে মাতামাতি করেন। আর নিজেরা বে আইনি কাজ করেন কোন অধিকারে। আইন সবার জন্যই সমান। কেউই আইনের উদ্ধে নন। রেজিষ্ট্রেশন সবার জন্য বাধ্যতামূলক। ড্রাইভিং লাইসেন্স সবার জন্যই বাধ্যতামুলক। সে হোক পুলিশ কিংবা সাংবাদিক।। একজন সৎ পুলিশ অফিসারের বক্তব্য থেকে বিষয়টি আরও স্পষ্ট ,
“আমার এক বন্ধু রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের সামনে থেকে আজ দুপুরে ছবিটি তুলে আমাকে ইনবক্সে পাঠিয়েছে! সেই সাথে আমাকে প্রশ্ন করেছে , পুলিশের মোটরসাইকেল এর পিছনে "পুলিশ" লিখা থাকলে যারা ছবি তুলে পত্রিকার পাতায় ছাপায় , পুলিশ কোথায় কি করছে না করছে সেদিকে ক্যামেরা তাক করিয়ে বসে থাকে ,সেই তারাই যদি রেজিট্রেশন ছাড়া মোটরসাইকেল এ স্টিকার লাগিয়ে রাস্তায় ঘুরে বেড়ায় এই ছবি কি তাদের চোখে পড়েনা?
আইন তো সবার জন্যই সমান। হোক সে পুলিশ বা সাংবাদিক বা অন্য কেও।
একটি ছবি যখন একটি বাহিনীর ইমেজ এর প্রশ্ন হয়ে দাড়ায় তখন যে/যারা এই কাজটি করেন তিনি/তারা কি নিজেরা আইনের প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল থেকে এই কাজটি করেন? আবার তাকে/তাদেরকেই যখন আইন মেনে চলতে বলা হয় তখন কতই না বিড়ম্বনার সৃষ্টি হয়! ভালো কাজ করতে গেলেও তখন জনগণের সামনে একজন পুলিশ অফিসার কে ভিলেইন হিসেবে উপস্থাপন করা হয়।
আমি বিশ্বাস করি সবাই এই কাজটি করে না। ভালো মন্দ সব পেশাতেই আছে। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা ক্ষমতার বাহাদুরী দেখাতে খুব পছন্দ করি! যার হাতে ক্যামেরা আছে সে তার ক্যামেরার বাহাদুরী দেখায় , যার হাতে কলম আছে সে তার কলমের বাহাদুরী দেখায় , যার গায়ে পোশাক আছে সে তার পোশাকের বাহাদুরী দেখায়! যার মামা , চাচা আছে সে দেখায় তার মামা , চাচার বাহাদুরী!
এক অদ্ভুদ নিয়মের ভিতরে চলছি আমরা। নিজে আইন না মেনে বড় গলায় কথা বলতে বা অন্যায় সুপারিশ করতে আমাদের কারো এতোটুকু লজ্জা লাগেনা।”
এতেই বোঝা যায় ,আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল পুলিশ অফিসার ও সাংবাদিক আছেন। তারা চান আইন সমভাবে প্রয়োগ হোক। আর এ চর্চাই জাতীকে উন্নতির শিখরে নিতে পারে।

https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl

কোন মন্তব্য নেই: