জাতীয় সাপ্তাহিক ক্রাইম ডায়রি একটি অপরাধ বিষয়ক পত্রিকা।।

national weeklycrime diary

national weeklycrime diary
ক্রাইম ডায়রি(জাতীয় সাপ্তাহিক, অনলাইনদৈনিক, অনলাইন টেলিভিশন ও অপরাধ গবেষণা )

শনিবার, ১৫ আগস্ট, ২০১৫

 

রাজধানীর রূপসী বাংলা (শেরাটান) হোটেল মোড়ে ডিএমপির ভ্রাম্যমাণ আদালত

 মোঃওমর ফারুক রবিন,ক্রাইম ডায়রি,১৪/৮/১৫ইং,ঢাকাঃ
বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালালোর দায়ে এক চালককে ৫শ’ টাকা জরিমানা ও ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন পুলিশের ভ্রাম্যমাণ আদালত। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত চালকের নাম মো. কালাম (৩২)। রাজধানীর মিরপুর-যাত্রাবাড়ী রুটে চলাচলকারী ‘শিখর পরিবহন’ নামের একটি গাড়ির চালক তিনি। বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজধানীর রূপসী বাংলা (শেরাটান) হোটেল মোড়ে ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন নিয়ে বেপরোয়া গতি চালানোর কারণে তাকে এ কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ফিটনেসবিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে এ অভিযান পরিচালনা করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মশিউর রহমান। অভিযানে ৭টি বাস ও একটি মাইক্রোবাস আটক করে ডাম্পিংয়ে পাঠানো হয়। এর মধ্যে এভারেস্ট পরিবহন (ঢাকা মেট্রো-ব ১১-৭৪৩০), তিন নম্বর বাস (ঢাকা মেট্রো-জ ১১ ২৫৫৬), এফটিসিএল পরিবহন (ঢাকা মেট্রো-ব ১৪- ০৪৫৪), তরঙ্গ প্লাস (ঢাকা মেট্রো-ব ১১- ৪২৬৯), শিখর পরিবহন (ঢাকা মেট্রো-ব ১১-৩৫৮৩), দিপন পরিবহন (ঢাকা মেট্রো-ব ১১-২১৩৫), শিকড় পরিহন (ঢাকা মেট্রো-জ ১১-১৬৬৭) এবং একটি মাইক্রোবাস (ঢাকা মেট্রো-চ ১৩-৮০৩৯) রয়েছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, শিখর পরিবহনের একটি গাড়ি বেপরোয়া গতিতে চালিয়ে যাওয়ার সময় সামনে থাকা অন্য একটি বাসকে পেছন থেকে ধাক্কা মারলে পুলিশ ওই বাস চালককে থামার সিগন্যাল দেয়। কিন্তু চালক না থেমে গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরে কয়েকজন ট্রাফিক পুলিশ ওই গাড়িটি আটক করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মশিউর রহমান ক্রাইম ডায়রিকে বলেন, শিখর পরিবহনের ওই চালক বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। তাকে থামার সিগন্যাল দিলেও চালক পালানোর চেষ্টা করেন। পরে গাড়ির কাগজপত্র পরীক্ষা করলে সেখানে গাড়ির ফিটনেস সনদ ও চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকায় মোটরযান আইনের ১৩৭ ধারা অনুযায়ী চালক কামালকে ৫শ’ টাকা জরিমানা ও ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। যতোদিন না পরিস্থিতি সহনীয় পর্যায়ে আসছে ততোদিন আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি। বাবুল নামে এক যাত্রী বলেন, সরকারের এ উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই। তবে যাত্রীদের সাময়িক ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। ভোগান্তিতে পড়লেও আগামীতে আমরা এর সুফল পাবো।
https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl

কোন মন্তব্য নেই: