https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl
ফলোআপ
এখনও কমেনি অশ্লীলতা ও ছিনতাই
প্রকাশ্য ছিনতাইকারীদের অভয়ারন্য
রাজধানীর বিনোদন পার্র্র্র্র্র্ক
শরীফা আক্তার স্বর্না,,ক্রাইম ডায়রি,১৫ ই এপ্রিল,২০১৫,আপডেট সময়: ৮ এ এম ঃ
রাজধানীর ইট কাঠ পাথরে বন্দীমানুষ
একটু স্বস্থির নিঃশ্বাস ফেলার জন্য অবসর পেলেই ছুটে যায় জিয়া উদ্যান, রমনা পার্ক,ভিক্টোরিয়া
পার্কসহ রাজধানীর বিভিন্ন পার্কগুলোতে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে স-পরিবারে মানুষ বেড়াতে
আসে এই সব ঐতিহাসিক পার্কে। কিন্তুু, স্বস্থির বদলে অস্বস্থি আর তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়েই
ঘরে ফিরতে হয় তাদের। এক শ্রেনীর ছিচ্কে ছিনতাইকারীর প্রকাশ্যে আক্রমনে অসহায় সাধারন
মানুষের কিছুই যেন করার নেই।বার বার এসব ঘটনা নিয়ে পত্রিকায় একাধিক প্রতিবেদন ছাপানো
হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এখনও আগের মতোই
অশ্লীলতা,ছিনতাইও হয়রানী। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, জাতীয় চন্দ্রিমা উদ্যান
তথা সাবেক জিয়া উদ্যানে বেড়াতে আসা দম্পতি,প্রেমিক-প্রেমিকা কিংবা একাকী কোন মানুষ
কোথাও বসা বা দাঁড়ানো দেখলেই বিয়ার কোক্ কিংবা পেপসি হাতে একশ্রেনীর বখাটে যুবক দলবেঁধে
তাদেরকে ঘিরে ধরে। তারপর হাতে থাকা বিয়ার কিংবা পেপসি জোর পূর্বক কিনতে তাদেরকে বাধ্য
করে। এক্ষেত্রে ২০ থেকে ২৫ টাকা দামের এসব পানীয়ের দাম হাঁকা হয় ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা।
লাঞ্জিত কিংবা মার খাওয়ার ভয়ে অসহায় এসব দর্শনার্থীরা এগুলো কিনতে বাধ্য হয়। কোন কোন
ক্ষেত্রে এসব শিকারের হাতের ঘড়ি বা পছন্দনীয়
মোবাইল ফোনও জোরপূর্বক কেড়ে নেয়া হয়। আবার বেদের দলের কিছু মহিলারা দল বেঁধে
কিংবা একাকী সাপের ভয় দেখিয়ে বা অশ্লীল মন্তব্য
করে বা শরীরে হাত দিবে এরকম ভয় দেখিয়ে পাবলিককে তাদের দাবী অনুযায়ী টাকা দিতে বাধ্য
করে। রহিম নামের বিয়ার বিক্রিরত একজন টোকাইয়ের
সঙ্গে বন্ধুত্বের ভান করে জানা যায়, এদের মদদ দেয় পার্ক প্রশাসন এবং স্থানীয়
দলীয় প্রভাব যুক্ত বড় ভাইয়েরা। তাদেরকে উপযুক্ত মাসোহারা দিয়েই এ কাজ করে তারা। এ জন্য
পত্রিকায় লেখালেখি হলেও কিছু যায় আসেনা বলে মন্তব্য করে সে। এ ব্যাপারে পার্কের প্রশাসনিক
ভবনে গুরুত্বপূর্ন কাউকে না পেয়ে অবস্থানরত একজন কর্মকর্তার সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি
বলেন আমরা এগুলো উৎখাতে যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। তিনি কৌশলে তাদের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার
করেন। ডিউটিরত একজন আনসার সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, পার্ক প্রশাসন একটু
আন্তরিক হলে এগুলো মুহুর্তেই বন্ধ সম্ভব। বেড়াতে আসা যুবক যুবতীদের প্রকাশ্য অশ্লীলতার
কারনেও অস্বস্থিকর অবস্থার মধ্যে পড়তে হয় স্ব-পরিবারে বেড়াতে আসা দর্শনার্থীদের। উত্তরা এলাকা থেকে স্ত্রী-কন্যা নিয়ে বেড়াতে আসা বে-সরকারী
কোম্পানীতে চাকুরীরত হেদায়তুল বাকী মহব্বত জানান, যুবক যুবতীদের গাছের নীচে কিংবা লেকের
ধারে প্রকাশ্য চুম্বন এবং শরীর হাতাহাতির দৃশ্য দেখে তিনি পরিবার নিয়ে লজ্জাস্কর পরিস্থিতির
মধ্যে পড়েন। অন্যদিকে পতিতারা ভদ্রমহিলাদের মত সেজেগুজে বসে থেকে খদ্দের আহবান করার
কারনেও বিশ্রি অবস্থায় পড়তে হয় অনেককে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রকাশ্যে পতিতারা পদচারনায়
মুখরিত থাকে জিয়া উদ্যান এলাকা। সন্ধ্যার পর থেকেই প্রকাশ্যে টিজ করা সহ খদ্দের আহবান
করে পতিতারা। এতে বখাটেরা যেমন উৎসাহিত হয় অন্যদিকে নব্য যুবকেরা হাতের কাছে পেয়ে নিজেদের
চরিত্রকে কলুষিত করার সুযোগও হাত ছাড়া করেনা।জাতীয় ও সামাজিক চরিত্র ধ্বংসে এগুলো যথেষ্ট
ভুমিকা রাখছে।কারন জাতীয় এই উদ্যানে সারাদেশ
থেকেই ছেলে বুড়ো সবাই জীবনে একবার হলেও আসে।
তাছাড়া প্রেমের অভিনয়করে ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটে অনেক। এ রকম ঘটনায় সর্বস্ব হারানো
সরকারী কর্মচারী মোঃ শাকিল জানান, একটি সুন্দরী মেয়ে তাকে চোখের ইশারায় কাছে ডেকে নিয়ে
নির্জনে বসতে চায়। তিনি ঐ মেয়ের ডাকে সারা দিয়ে একটু নির্জন স্থানে বসলে কয়েকজন যুবক
তাকে ঘিরে ধরে। এরপর ঐ মেয়েটি হাস্যচ্ছলে তার পকেট থেকে মানিব্যাগ,মোবাইল ফোন ও হাতঘড়ি
কেড়ে নেয় এবং কোন কথা না বলে চুপচাপ সরে পড়তে বলে। তিনি একটু দুরে গিয়ে দেখেন মেয়েটি
ঐ যুবকদের সঙ্গে সেখান থেকে সটকে পড়েছে। এভাবে দিনের পর দিন চলছে সাধারন জনতার উপর নিরব এবং নির্মম ছিনতাই। চন্দ্রিমা উদ্যানের সামনেই সংসদ
ভবন এবং পাশে গনভবন। সেখানে প্রশাসনের লোকজনের রয়েছে সরব উপস্থিতি। এ রকম জায়গায় এ
ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা খুবই উদ্বেগের বিষয়। জাতীয় পর্যায়ের এ রকম উদ্যানের এই ঘটনাগুলো
নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এবং
জাতীয় চরিত্রের উপর। প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা সাধারন মানুষ এবং উঠতি বয়সি ছেলে
মেয়েরা এগুলো কালচার হিসেবে গ্রহন করছে বলেই অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে। অতিদ্রুত সংশ্লিষ্ট
কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারগুলোতে হ¯তক্ষেপ না করলে অপরাধীরা এসব কাজে উৎসাহ পাবে বলে অভিজ্ঞমহলের
ধারনা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন