এ বর্বরতার শেষ কোথায়?
শিশু সোলায়মান হত্যার নিষ্ঠুর হত্যাকারী নির্মল দাস গ্রেফতার
কাজি সিরাজ ,ক্রাইম ডায়রি ,১৭ ফেব্রুয়ারী,২০১৬, আপডেট: ৯:৪৫ ,ঢাকা, www.crimediarybd.blogspot.com //www.crimediarybd.com:
বর্বরতার দিক দিয়ে আইয়ামে জাহেলিয়াতকেও ছাড়িয়ে গেল বাংলাদেশে মানবতা। ইদানিং কালে শিশু হত্যার বিষয়টি সেদিকেই ইঙ্গিত বহন করে। এনজিও থেকে নেওয়া ঋণের টাকার জামিনদার না হওয়ায় জেলার ভাঙারি ব্যবসায়ী মোকাররমের শিশুপুত্র সোলায়মানকে (৪) হত্যা করেছেন প্রতিবেশী সেলুন মালিক নির্মল রবিদাস।
গ্রেফতার হওয়া নির্মল রবিদাস (৩০) র্যাব-১-এর কাছে এ স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। রবিদাস নেত্রকোনার রামচরণ দাসের ছেলে এবং গাজীপুর সিটি করপোরেশনের আউটপাড়া এলাকার ‘ঈশিতা হেয়ার কাটিং’ সেলুনের মালিক।
মঙ্গলবার রাতে র্যাব-১-এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রবিদাস কিছুদিন আগে একটি এনজিও থেকে ঋণ নিতে চেয়েছিলেন এবং এই ঋণের জামিনদার হতে মোকাররমকে অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু তিনি জামিনদার না হওয়ায় তিনি প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত হন।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত শনিবার বিকেলে মোকাররমের শিশুপুত্র সোলায়মান তার দোকানে এলে নির্মল দোকানের শাটার বন্ধ করে দেন এবং শিশুটিকে গলা টিপে হত্যা করেন। এরপর লাশ পুরোনো কাপড় দিয়ে পেঁচিয়ে বাজারের ব্যাগে ঢুকিয়ে রিকশাযোগে কোনাবাড়ী যান। এরপর রিকশা বদল করে আরেকটি রিকশায় উঠে কাশিমপুর এলাকার সুরাবাড়ি (ডিবিএল গ্রুপের নির্মাণাধীন কারখানার নিকট) বাঁশঝাড়ের ভেতর ফেলে দিয়ে চলে আসেন।
এদিকে সোমবার বিকেলে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সুরাবাড়ি এলাকার বাঁশঝাড় থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার করে জয়দেবপুর থানা-পুলিশ। রাতে শিশুর স্বজনরা গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ মর্গে শিশুটির লাশ শনাক্ত করেন।
সোলায়মানের হত্যাকারীকে ধরার জন্য ব্যাপক কার্যক্রম শুরু করে র্যাব। মঙ্গলবার ভোরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিউল ইসলামের নেতৃত্বে একটি বিশেষ দল অভিযান চালিয়ে আউটপাড়া এলাকার ঈশিতা হেয়ার কাটিং সেলুনের মালিক নির্মল রবিদাসকে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদে নির্মল সোলায়মানকে অপহরণ ও হত্যার কথা স্বীকার করেন।
প্রসঙ্গত, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের চান্দনা চৌরাস্তা আউটপাড়া এলাকার ভাঙারি ব্যবসায়ী মোকাররমের একমাত্র ছেলে সোলায়মান গত শনিবার বিকেলে দোকানের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। পরে মোকাররম বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেন। ওই রাতে তার মোবাইলে অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তি ফোন করে দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। মুক্তিপণ না দিলে তার শিশুকে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেন। পরে এ ব্যাপারে মোকাররম জয়দেবপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি এবং র্যাব-১, উত্তরা, ঢাকায় একটি অভিযোগ করেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন