জাতীয় সাপ্তাহিক ক্রাইম ডায়রি একটি অপরাধ বিষয়ক পত্রিকা।।

national weeklycrime diary

national weeklycrime diary
ক্রাইম ডায়রি(জাতীয় সাপ্তাহিক, অনলাইনদৈনিক, অনলাইন টেলিভিশন ও অপরাধ গবেষণা )

মঙ্গলবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৭



বিশ্বজুড়ে পরিবেশ দুষণঃ পৃথিবী বাসীর জন্য ভয়ানক সংবাদ

বিশ্বজুড়ে পরিবেশ দুষণঃ পৃথিবী বাসীর জন্য ভয়ানক সংবাদ
আবু সাঈদ সিদ্দিকঃ
লাখ লাখ বছর আগে পৃথিবীর বুকে যে প্রাণ ও প্রাণীর সৃষ্টি হয়েছিল সেদিন প্রকৃতি ও পরিবেশে সাম্য ছিল। এ ভারসাম্য বজায় রাখতে ভূমিকা ছিল প্রকৃতি ও পরিবেশের। সভ্যতার ক্রমবিবর্তনের পথ ধরেই মানুষ একটু একটু করে গড়ে তুলেছে নিজের পরিবেশ। মানুষের রচিত পরিবেশ তারই সভ্যতার বিবর্তন ফসল। মানুষ তার নতুন নতুন আবিষ্কারের প্রতিভা, পরিশ্রম আর দক্ষতা দিয়ে সংগ্রহ করেছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিভিন্ন পদ্ধতি। অধিগত করেছে জীবন-বিকাশের নানা উপকরণ। তাই দিয়ে সে তার নিজের প্রয়োজন ও রুচি অনুযায়ী তৈরি করেছে তার পরিবেশ। এ পরিবেশের মধ্যেই তার বিকাশ, তার বিনাশের ইঙ্গিত। পরিবেশ দুষণ না বুঝলে আর তা রোধ না করতে পারলে ধ্বংস নিশ্চিত। সব কিছুই তো একদিন শেষ হবে কিন্তু আল্লাহ তায়ালা প্রকৃতিতে তার নিজের খেয়ালে সুন্দর অবস্থায় চলতে দেয়ার কথা নানা ভাবে মানুষকে বলেছেন। মানুষ তারপরেও বিবেকের কু তাড়নায় পরিবেশের ক্ষতি করে। পরিবেশের দুষণ করে। পরিবেশের স্বাভাবিক পথচলা ব্যহত করে।

পরিবেশ দূষণের কারণঃ  জনসংখ্যা বৃদ্ধি পরিবেশ দূষণের অন্যতম কারণ। জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে প্রাকৃতিক সম্পদ জল, মাটি, বায়ুর ওপর পড়েছে প্রচন্ড চাপ। শুরু হয়েছে বন সম্পদ বিনষ্টের অমিত উল্লাস। একই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে উদ্ভিদ জগৎ ও প্রাণী জগৎ। প্রকৃতি ও পরিবেশের ভারসাম্য এসে পৌঁছেছে এক সংকটজনক অবস্থায়। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ক্রমবর্ধমান হারে শক্তি উৎপাদনের চাহিদা। শক্তি উৎপাদনের সঙ্গে সঙ্গে নির্গত হয় মানুষের স্বাস্থ্য ও পরিবেশ-দূষন নানা রাসায়নিক দ্রব্য। দূষিত রাসায়নিক দ্রব্যই নানা দুরারোগ্য ব্যাধির দ্রুত প্রসারণের কারণ। এতে বায়ু-জল-খাদ্যদ্রব্য মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে।

বায়ু দূষণ ও নানা প্রতিক্রিয়াঃ দূষণের প্রকৃতি ও পদ্ধতির মধ্যেও রয়েছে বিভিন্নতা। আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদের অন্যতম উপকরণ হলো বায়ু। সেই বায়ু দূষণ আজ বিশ্বজুড়ে। সবার স্বাস্থ্যের পক্ষেও এ এক গুরুতর সমস্যা। বাতাসে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ নিয়ত বাড়ছে। ফলে আবহাওয়ায় তাপমাত্রা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। অকাল-বর্ষণ, ঝড়জল, কুয়াশা এরই ফল। এ রকম আবহাওয়ায় চাষবাস হয় অনিশ্চিত। কুয়াশা আর তেল, কয়লা দহনের ফলে নির্গত গ্যাসের মিশ্রণে ধোঁয়াশার সৃষ্টি। তার ক্ষতিকারক ক্ষমতা মারাত্মক। মাথাধরা, শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, দীর্ঘস্থায়ী ব্রংকাইটিস, ফুসফুস-ক্যানসার এ জাতীয় দূষণের ফল। বিভিন্ন যানবাহনের নির্গত ধোঁয়া সূর্যের আলোর সংস্পর্শে এসে তৈরি করে আলোক রাসায়নিক ধোঁয়াশা। অক্সাইড ও হাইড্রো কার্বনের বিক্রিয়ায় আরও কিছু বায়ু দূষকের সৃষ্টি হয়।

পানি দূষণঃ পানি দূষণ আধুনিক সভ্যতার আরেক অভিশাপ। পৃথিবীর সমুদ্র, নদ-নদী, পুকুর, খালবিল ইত্যাদির পানি নানাভাবে দূষিত হচ্ছে। নদীর তীরে গড়ে উঠেছে সমৃদ্ধ জনপদ, শহর। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আধুনিক চটকল, কাপড়কল, কয়লা ধোলাইকল, চিনিকল, কাগজের কল, ভেষজ তেল তৈরির কারখানা, চামড়া পাকা করার কারখানা ইত্যাদি। এসব কলকারখানার আবর্জনা প্রতিনিয়ত নদ-নদীর পানি দূষিত করছে। প্রতি দিন বিভিন্ন শিল্পাঞ্চল থেকে ক্ষার, অ্যামোনিয়া, সায়ানাইড, ন্যাপথালিন, ফিনল ও বিবিধ রাসায়নিক জল দূষক উপাদান এসে মিশছে। দূষণের কবলে বাংলাদেশের প্রায় সব নদীর পানি। পুকুর, খাল-বিল দূষণের জন্য নালা-নর্দমা, ঘরবাড়ির আবর্জনা ইত্যাদি দায়ী। এর থেকেই দূষিত হয় মাটি, দূষিত হয় পানীয় জল। সমুদ্র নদী খালবিল পুকুরের মাছেও নানারূপ দূষণ ঘটছে। ছড়িয়ে পড়ছে নানা রকমের সংক্রামক রোগ। মাঝেমধ্যে তা মহামারির আকার ধারণ করে। মৃত্যু এসে ছিনিয়ে নিয়ে যায় কত জীবন। এমনি করেই দিনের পর দিন জনস্বাস্থ্য বিনষ্ট হচ্ছে।

শব্দ দূষণঃ  শব্দ দূষণ এ যুগের এক গুরুত্বপূর্ণ, জলজ্যান্ত সমস্যা। দিন দিন এ সমস্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। শহরে শব্দ দূষণের মাত্রা সর্বাধিক। প্রতিনিয়তই এখানে মোটরগাড়ির হর্ন, কলকারখানার বিকট আওয়াজ, বাজি পটকার শব্দ, রেডিও, টেলিভিশনের শব্দ, লোকজনের চিৎকার চেঁচামেচি, উৎসবের মত্ততা, মাইকে চড়া সুর, সব মিলেমিশে এক অপস্বর সৃষ্টির মহাযজ্ঞ চলছে। শব্দ দূষণের পরিণাম ভয়াবহ।শব্দ দূষণের উৎস অনেক এবং অনেক ধরনের। যথাযথ কারণ ছাড়া যত্রতত্র মাইক বা ক্যাসেট প্লেয়ার বাজানো বন্ধ করতে হবে। প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে হর্ন বাজানো এবং হাইড্রোলিক হর্ন বাজানো আইনগতভাবে বন্ধ করতে হবে। আবাসিক এলাকায় যাতে কলকারখানা গড়ে উঠতে না পারে, তার ব্যবস্থা করতে হবে।বন ও পরিবেশ আইন ১৯৯৭ অনুসারে হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ আরও কিছু প্রতিষ্ঠান থেকে ১০০ মিটার পর্যন্ত এলাকাকে নীরব এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। শব্দ দূষণ রোধে মানুষের সচেতনতা সবচেয়ে বেশি।ঢাকা এখন শব্দ দূষণের নগর। ২০০৩ সালে দুই স্ট্রোকবিশিষ্ট অটোরিকশা ঢাকা শহর থেকে উঠিয়ে দেওয়ার পর বায়ু দূষণের পাশাপাশি শব্দ দূষণের মাত্রাও অপেক্ষাকৃত কমে যায়, ফলে নগরবাসী কিছুটা স্বস্তি পেয়েছিল। কিন্তু তাদের সে স্বস্তি বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। শব্দ দূষণের ফলে যে অসুখ হয়, তার মেয়াদ দীর্ঘমেয়াদি হয় বলে মানুষ তৎক্ষণাৎ এর কুফল বুঝতে পারে না। তাই এদিকে মানুষের নজরও থাকে কম। এ কারণে ঢাকার আবাসিক এলাকা, হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান—কোনো কিছুই রেহাই পাচ্ছে না যানবাহনের হাইড্রোলিক হর্ন, কারখানার উচ্চশব্দ, মাইক ও সিডি প্লেয়ারের উদ্দাম আওয়াজ থেকে।

শব্দ দূষণের ভয়াবহতাঃ
শব্দ দূষণ যে শুধু বিরক্তি সৃষ্টি করে তাই নয়, মানবদেহের আর্টারিগুলো বন্ধ করে দেয়, এড্রনালিনের চলাচল বৃদ্ধি করে এবং হূৎপিন্ডকে দ্রুত কাজ করতে বাধ্য করে। ধারাবাহিক উচ্চ শব্দের মধ্যে থাকলে হার্টঅ্যাটাক ও স্ট্রোকের আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, শব্দ দূষণ স্নায়বিক বৈকল্যের কারণ হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ধারাবাহিক শব্দ দূষণ শ্রবণশক্তি নষ্ট করে এবং স্নায়ুর স্থায়ী ক্ষতি সাধন করে। তাঁদের মতে, রাজধানীতে বসবাসকারী মানুষের হার্ট, কিডনি ও ব্রেনের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ছে। শব্দ দূষণে শিশুদের মেজাজ হচ্ছে খিটখিটে। তারা শ্রবণশক্তি হারাচ্ছে, হারাচ্ছে তাদের একনিষ্ঠতা। এর প্রভাব তাদের লেখাপড়ার ওপর পড়ছে। সব ধরনের শব্দ দূষণের ফলেই মানুষের ঘুম, শ্রবণশক্তি, মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের অবনতি হয়। যেকোনো ধরনের শব্দ দূষণই গর্ভবতী মায়েদের ক্ষতি করে দারুণভাবে। শব্দ দূষণে মানুষের স্থায়ী মানসিক বৈকল্য দেখা দিতে পারে।

তেজস্ক্রিয় দূষণঃ
পারমাণবিক যুদ্ধ, পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যে তেজস্ক্রিয় দূষণের বিপদ সবচেয়ে বেশি নিহিত। ১৯৬৩ তে একটি মার্কিন নিউক্লিয় সাবমেরিন আটলান্টিক সাগরে হারিয়ে যায়। তা থেকে প্রচুর পরিমাণে তেজস্ক্রিয় পদার্থ ছড়িয়ে পড়ে প্রাকৃতিক পরিবেশে। নিউক্লিয় জ্বালানি উৎপাদনকেন্দ্রের আবর্জনা তার ক্ষতিকারক ক্ষমতা নিয়ে ৬০০ বছর পর্যন্ত টিকে থাকতে পারে।

দূষণের প্রতিকারঃ
দূষণের ভয়াবহ পরিণামের কথা ভেবে বিশ্বের সভ্য মানুষ আজ আতঙ্কিত। কী উপায়ে এ ভয়ংকর সমস্যার মোকাবিলা সম্ভব তা নিয়ে ভাবনা, পরিকল্পনার শেষ নেই। বায়ু দূষণের প্রতিকারের জন্য গ্রহণ করা হয়েছে কলকারখানার দহন-প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে নির্গত দূষকের পরিমাণ কমানোর ব্যবস্থা। তা ছাড়া গ্রহণ করা হয়েছে বৃক্ষ রোপণ পরিকল্পনা। এক গবেষণায় দেখা গেছে, একমাত্র বনায়নের মাধ্যমেই প্রায় সব ধরনের পরিবেশ দূষণের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। দূষিত পানিকে পানযোগ্য করে তুলতে হলে উপযুক্ত পরিস্রবণ দরকার। শব্দ দূষণের কুপ্রভাব কমানোর প্রধান উপায় হলো, শব্দবিরোধী কক্ষের ব্যবহার। প্রযুক্তিবিদ্যার সাম্প্রতিক অগ্রগতিতে এমন কতকগুলো পদ্ধতির উদ্ভাবন হয়েছে, যাতে পরমাণু চুল্লির আবর্জনা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়েছে। এর ফলে নিউক্লিয় বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিবেশে কোনো তেজস্ক্রিয় থাকবে না।

মোদ্দা কথা, পরিবেশ দূষণ সমস্যা নিয়ে আজ সব দেশই চিন্তিত। সভ্যতার অস্তিত্বই আজ এক সংকটের মুখোমুখি এসে দাঁড়িয়েছে। তাই ১৯৭২ সালে ‘মানুষের পরিবেশ’ নিয়ে সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের অধিবেশন হয়ে গেল স্টকহোমে। ১৯৯২ সালে ব্রাজিলের রিওডি জেনিরোতে অনুষ্ঠিত হয়েছে ১২ দিনব্যাপী ধরিত্রী সম্মেলন। বাংলাদেশের সংবিধানেও পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধের শর্ত আরোপ করা হয়েছে। এখানেও প্রতি বছর ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত হচ্ছে। আজ পরিবেশ দূষণ মানব সভ্যতার জন্য ভয়ংকর বিপদের পূর্বাভাস। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ পৃথিবী গড়ে তোলার লক্ষ্যে যেকোনো মূল্যে পরিবেশ দূষণ রোধ করার প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।


  
লেখকঃ
আবু সাঈদ সিদ্দিক,স্বর্নাকুঞ্জ,ধনকুন্ডী,শেরপুর,বগুড়া।
নির্বাহী পরিচালক,বাংলা ডায়রি মিডিয়া লিঃ
ব্যবস্থাপনা পরিচালক,এরাবিক কেমিক্যাল লিঃ
www.crimediarybd.com
https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl


সমগ্র বিশ্বে ২০১৭ সালে ৬৫ সাংবাদিক ও মিডিয়াকর্মী নিহত, খুন হয়েছে ৩৯ জন

By on স্পেশাল
অনলাইন ডেস্কঃ
২০১৭ সালে বিশ্বজুড়ে মোট ৬৫ জন সাংবাদিক ও মিডিয়াকর্মী নিহত হয়েছেন। জিম্মি করা হয়েছে ৫৪ জনকে। বন্দী করা হয়েছে ৩২৬ জনকে। নিখোঁজ রয়েছেন ২ জন। নিখোঁজ দুজনের মধ্যে একজন হচ্ছেন বাংলাদেশের উৎপল দাস। সংবাদ-ভিত্তিক ওয়েবসাইট পূর্বপশ্চিমবিডিডটনিউজ’এর এই জেষ্ঠ্য রিপোর্টার ১০ই অক্টোবর নিখোঁজ হন।
এখন পর্যন্ত তার কোন সন্ধান পায়নি পুলিশ। মঙ্গলবার রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্সের(আরএসএফ) এক বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য ওঠে এসেছে।
আরএসএফের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি’র এক খবরে বলা হয়, নিহত ৬৫ জনের মধ্যে খুন হয়েছেন ৩৯ জন। বাকিরা কর্মরত অবস্থায় বিমান হামলা, আত্মঘাতী হামলা ও বিভিন্ন দুর্ঘটনার শিকার। ১৪ বছরের মধ্যে এই বছরই বিশ্বজুড়ে খুন হওয়া পেশাদার সাংবাদিকের সংখ্যা সবচেয়ে কম। সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, এই বছর খুন হওয়া সাংবাদিক ও মিডিয়াকর্মীর হার কম হওয়ার পেছনে একটি বিশেষ কারণ হচ্ছে, যুদ্ধ-আক্রান্ত অঞ্চলগুলোতে কাজ করতে যাওয়া সাংবাদিকদের এখন আগের চেয়ে ভালো নিরাপত্তাজনিত প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। পাশাপাশি অনেক সাংবাদিক এখন বিপজ্জনক দেশগুলোতে কাজ করা ছেড়ে দিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, সিরিয়া, ইরাক, ইয়েমেন ও লিবিয়ার মতো বিপজ্জনক দেশগুলো থেকে সাংবাদিকরা সরে যাচ্ছে। আরএসএফ অনুসারে, বর্তমান বিশ্বে সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক দেশ হলো যুদ্ধ-বিপর্যস্ত সিরিয়া। এর পরেই রয়েছে মেক্সিকো। এই বছর সিরিয়াতে খুন করা হয়েছে ১২ সাংবাদিককে। আর মেক্সিকোতে ১১ জনকে। প্রতিবেদন অনুসারে, মেক্সিকো সাংবাদিকদের জন্য যুদ্ধের কারণে বিপজ্জনক নয়। তবে, যারা সেখানে রাজনৈতিক দুর্নিতী বা সুসংগঠিত অপরাধ নিয়ে কাজ করেন, প্রায়শই তাদেরকে সিস্টেম্যাটিকভাবে টার্গেট করে হুমকি দেয়া হয় ও হত্যা করা হয়। প্রতিবেদনে, ফিলিপাইনকে এশিয়ার মধ্যে সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক দেশ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। গত বছর সেখানে পাঁচ জন সাংবাদিককে গুলি করা হয়। তাদের মধ্যে চার জন পরবর্তীতে মৃত্যুবরণ করেন। অথচ এর আগের বছর সেখানে কোন সাংবাদিকই হত্যার শিকার হননি।
এদিকে, বিশ্বে সবচেয়েবেশি সাংবাদিক আটক হয়েছে তুরস্কে। সবমিলিয়ে সেদেশে বর্তমানে কারাগারে আটক রয়েছেন ৪২ জন রিপোর্টার ও একজন মিডিয়া কর্মী। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারের সমালোচনা, ‘সন্দেহভাজন’ মিডিয়া সংস্থার জন্য কাজ করা, সরকারের জন ¯পর্শকাতর এমঙ্কোন সূত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা বা কোন গোপন বার্তার ব্যবহার করলেই সেখানে সাংবাদিকদের সন্ত্রাসী মামলায় কারাদ- দেয়া হয়। অন্যদিকে, ব্লগার আটক করার ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে চীন। সেখানে মোট ৫২ জনকে আটক করা হয়েছে। আরএসএফ অভিযোগ তুলেছে যে, চীনে সাংবাদিক ও ব্লগারদের কঠোরভাবে নির্যাতন করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনা সরকার তাদের বিরুদ্ধে কথা বলা মানুষদের আর হত্যা করেনা। তার বদলে, তাদেরকে জেলে আটকে রাখা হয়। যেখানে তারা ঢুকে ঢুকে মারা যায়। তুরস্ক ও চীন ব্যতিত অন্যান্য দেশের মধ্যে সিরিয়ায় আটক করা হয়েছে ২৪ জনকে, ইরানে ২৩ জনকে ও ভিয়েতনামে ১৯ জনকে।
ক্রাইম ডায়রি//সুত্রঃ মানবজমিন
FacebookTwitterGoogle+Print
www.crimediarybd.com
https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl


এমন শিশুই দেশের জন্য প্রয়োজনঃ ট্রেন থামানো দুই শিশুকে ইউএনও’র পুরস্কার

ডক্টর ফজলুল করিম,রাজশাহী অফিসঃ
”আমাদের দেশে সেই ছেলে হবে কবে,কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে।” হ্যা , সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে আমরা পরের তরে। এমন শিশুর সন্ধান পাওয়া গেছে। নিজের কথা না ভেবে দেশের সম্পদ ও মানুষের জীবনকে বাচিয়ে দিল বাঘার দুই বাঘের বাচ্চা শিশু। আর তাদের কাজে মুল্যায়নও করে থানা সর্বোচ্চ কর্মকর্তা।
সিগন্যাল দিয়ে তেলবাহী ট্রেনকে দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা করা সেই দুই শিশুকে বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুরস্কার দিয়েছেন।
মঙ্গলবার সকাল ১১টায় রেল দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা দুই শিশুর হাতে স্কুল ব্যাগ, টিফিন বক্স ও শীত নিবারণের জন্য কম্বল পুরস্কার হিসেবে দিয়েছেন।

এই ঘটনায় সোমবার বিকেলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি দুই শিশুর লেখাপড়ার সব দায়িত্ব নিয়েছেন।

তাদের দুজনেক প্রতি মাসে এক হাজার টাকা করে নিজের অর্থায়নে বৃত্তি প্রদান ও এসএসসি পাসের পর উচ্চ শিক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
ক্রাইম ডায়রি//জেলা
pic: Crime Diary
www.crimediarybd.com
https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl

বুধবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৭


ক্রাইম ডায়রি সম্পাদকের বাসায় চুরি

 0
আরিফুল ইসলাম কাইয়্যুমঃ
মিরপুর পীরের বাগ এলাকায় ইদানিং কালে ছিচকে চুরির পরিমান আশংকাজনক হারে বেড়ে গেছে। আজ ০৭/১২/২০১৭ইং তারিখ আনুমানিক ভোর ৫ ঘটিকার দিকে ক্রাইম ডায়রির সম্পাদক ও প্রকাশক আতিকুল্লাহ আরেফিন রাসেলের বাসা ১৩০/২,দক্ষিণপীরেরবাগের মরহুম ডাক্তার আলম খানের বাসার(তুহিনদের বাসা) দ্বিতীয় তলার পশ্চিম পাশের কাঁচের বন্ধ জানালা কৌশলে খুলে চার্জার লাগানো অবস্থা হতে নিউজের কাজে ব্যবহৃত গুরুত্বপুর্ন ট্যাব সি-৯৬ টি চুরি হয়। ট্যাবটি পিসির মতো কাজ করত। চুরি অবস্থায় ট্যাবে গুগল মোবাইল লষ্ট অপশন, জি মেইল, ম্যাসেঞ্জার ও আমার ফেসবুক পেইজ অটোমেটিক চালু ছিল এবং ট্যাবটি চালু থাকলে এগুলো অটো চালু ছিল। এছাড়া ট্যাবে দুইটি সিম চালু ছিল। একটি হলোঃ ০১৮২৭-৫৩৮৬৭৪,০১৬৭৯-৮৮৫৭৫৮। ইমেইল দুটি হলোঃ ৎধংবষপৎরসবফরধৎু@মসধরষ.পড়স ্ পৎরসবফরধৎু১১@মসধরষ.পড়স /// ভধপবনড়ড়শ ্ গবংবহমবৎ : অঃরশঁষষধয অৎবভরহ জধংবষ //নেট চালু ছিল রবি নম্বরে। এছাড়া ট্যাবটিতে অনেক গুরুত্ব নিউজ ডকুমেন্ট ,ইনফরমেশন ও অফিস ডাটা ছিল যেগুলোর মাধ্যমে সহজেই যে কেউ মারাত্বক ক্ষতি ও ঝুকির মধ্যে ফেলতে পারে। এবিষয়ে আজকে থানায় জিডি করার প্রক্রিয়া চলছে। এদিকে চুরির ঘটনায় সাংবাদিক সমাজ উদ্বিগ্ন প্রকাশ করেছেন। মিরপুুর এলাকার পীরেরবাগের এই এলাকায় অসংখ্য ছিচকে চোরের বসবাস উল্লেখ করে সাংবাদিক সমাজের দাবী অতি দ্রুত মিরপুর থানা পুলিশের নিজ উদ্যেগে এই চোরদের গ্রেফতার করা হোক। সুশীল মহল মনে করছেন, এ ধরনের উদ্যেগ না নিলে যে কোন বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে।
ক্রাইম ডায়রি//ক্রাইম //রাজধানী

ABOUT AUTHOR



https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl

বুধবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৭


রায়গঞ্জে ফল ব্যবসায়ীর রহস্যজনক মৃত্যু


স.ম আব্দুস সাত্তার, চলনবিল প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে এক ফল ব্যবসায়ীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। এলাকা সূত্রে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার সকালে উপজেলার চান্দাইকোনা ইউনিয়নের সারুটিয়া গ্রামের শ্রীচরণের পুত্র ফল ব্যবসায়ী রতন চন্দ্র মন্ডল(৪০) এর মৃতদেহ নাকেমুখে রক্তের দাগসহ বাড়ির পাশেই মুড়াগাছা শশ্মান ঘাটের গঙ্গা মন্দিরের বারান্দায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় এলাকাবাসী ও তার স্বজনেরা রায়গঞ্জ থানা-পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে রায়গঞ্জ থানা-পুলিশ দুপুরে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করেছেন। নিহতের স্বজনদের সাথে কথা বলে আরও জানা যায়, সে চান্দাইকোনা বাজারে ফল ব্যবসা করে প্রতিদিন বাড়ি ফিরলেও গত সোমবার রাতে বাড়ি ফেরেনি। এ হত্যা নিয়ে এলাকায় চলছে নানা গুঞ্জন। এ রিপোর্ট লেখা পযর্ন্ত থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিল।

ক্রাইম ডায়রি/ক্রাইম/গ্রাম বাংলা
a



https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl


বগুড়ার শেরপুর থানার এ এস আই আব্দুর জব্বার শ্রেষ্ঠ পদকে ভুষিত


জাকির হোসেন রণি ও শাহাদাত হোসেনঃ

নিম্মপদস্থ কর্মকর্তাদের  কেউ যদি পদক পায় তবে তা মিডিয়ায় কখনও ফলাও করে প্রচার হয়না। ওরা যে পারে তা যদি ওদের উৎসাহ দিয়ে বলা হয় তবে তারাও যে বড় ভুমিকা রাখতে পারে সে ব্যাপারে েএখন মিডিয়া বোদ্ধাদের সময় বোঝার সময় এসেছে। পুলিশ যদি পদক পায় তবে বুঝতে হবে আর দশের চেয়ে তার কাজের মান ভাল বৈ কম নয়। এরকমই একজন পুলিশ কর্মকর্তা এ এস আই আব্দুর জব্বার। বগুড়া জেলায় আর দশজন পুলিশের চেয়ে সে কোন অংশে কম নয় তা সে প্রমাণ করতে পেরেছে। ফলশ্রুতিতে সে পেয়েছে জেলার শ্রেষ্ঠ এ এস আই পদক। বগুড়া জেলার পুলিশ সুপার মোঃ আসাদুজ্জামান বিপিএম তাকে এই পদক তুলে দেন। শেরপুর থানার পুলিশ শ্রেষ্ঠ পদকে ভুষিত হওয়ায় ক্রাইম ডায়রি পরিবার হতে তাকে অভিনন্দন ।
ক্রাইম ডায়রি//জেলা
 www.crimediarybd.com
https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl
আলহাজ্ব মুন্সী সাইফুল বারী ডাবলু এক অন্য রকম মানুষ

আলহাজ্ব মুন্সী সাইফুল বারী ডাবলু এক অন্য রকম মানুষ

ডাঃ মোমিনুল খন্দকার আলালঃ
শেরপুরের সাধারন মানুষের সত্যিকারের বন্ধু আজকের শেরপুর পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক জনাব আলহাজ্ব সাইফুল বারী ডাবলু। কোন কিছুতেই যার না নেই।যিনি শেরপুর বাসীর কাছে কখনও লৌহ মানব, কখনও মহান বন্ধু বলে পরিচিত। ক্রাইম ডায়রি ও ক্রাইম ডায়রি বিডি ডটকমের শুভাকাংখী এই মানুষটি গরীব দুখী মেহনতী মানুষের পাশে থেকেই সারাদিন কাটান। এই কখন এই ইউনিয়নে কারো বিয়ে কিংবা বিচার কিংবা সাহায্য কিংবা আইনশৃংখলা সংক্রান্ত মিটিং কখনও বা দাতব্যকাজে আবার ছুটে চলেন অন্য ইউনিয়নে কারো সাহায্য লাগবে সেখানে। এই নিরন্তর ছুটে চলায় যার মোটেও বিরক্তি নেই তিনি হলে মুন্সী সাইফুল বারী ডাবলু। শেরপুর কি বিদেশী কিংবা দেশী সকল সামাজিক কার্যক্রমে যার বিস্তর অংশগ্রহণ। সাপ্তাহিক ক্রাইম ডায়রি ও অনলাইন সংবাদমাধ্যম ক্রাইম ডায়রি বিডি ডট কমের পক্ষ হতে তাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

বগুড়ার আরডিএ মিলনায়তনে অ্যাকশন রিসার্চ অন এনার্জি এফিসিয়েন্সির প্রজেক্ট ম্যানেজার লিন্ডা রবার্টস ও আজকের শেরপুর পত্রিকার সম্পাদক আলহাজ্ব মুনসী সাইফুল বারী ডাবলু।

ক্রাইম ডায়রি//জেলা// স্পেশাল/By on জেলার সংবাদ, স্পেশাল

www.crimediarybd.com
https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl

মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১৭

শেরপুর থানার আইনশৃংখলা পরিস্থিতি পুরো প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে


ক্রাইম ডায়রি হাতে শেরপুর থানার ওসি খান মোঃ এরফান,শেরপুর প্রতিনিধি জাকির হোসেন রণি ও সংবাদদাতা শাহাদাৎ হোসেন। ছবিঃ ক্রাইম ডায়রি
জাকির হোসেন রণি ও শাহাদৎ হোসেনঃ
উত্তরাঞ্চলের প্রবেশ দ্বার বগুড়া-৫ আসনের শেরপুর থানার আইন শৃংখলা পরিস্থিতি অন্য যে কোন সময়ের চেয়ে এখন পুরোপুরি পুলিশ প্রশাসনের নিয়ন্ত্রনে বলে বলেছেন শেরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ খান মোঃ এরফান। ক্রাইম ডায়রিকে এক একান্ত সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, মাদকের সাথে কোন আপস নয়। যুব সমাজকে বাঁচাতে হলে মাদক ধ্বংসের কোন বিকল্প নেই। এছাড়া থানা এলাকার কোথায়ও চুড়ি ডাকাতি কিংবা কোন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড হচ্ছেনা। ছোট খাট অপরাধ এটা নৈমিত্তিক ব্যাপার। সবাই সচেতন ও আন্তরিক হলে এগুলো সমাজ থেকে এমনিতেই চলে যায়। তিনি ক্রাইম ডায়রি.দৈনিক কালের ছবি. ও ভিকটিম সাপোর্ট এন্ড হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের উত্তরাঞ্চলীয় কার্যালয় তার থানার ধনকুন্ডীতে দেওয়ার জন্য ক্রাইম ডায়রি কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান। পুলিশ সাংবাদিক বন্ধুত্ব ও একত্রে কাজ করার মানসিকতা নিয়ে তিনি সকল সাংবাদিককে দেশ সেবায় মনোযোগী হয়ে বস্তুনিষ্ট ও সঠিক সংবাদ পরিবেশনের আহবান জানান।
ক্রাইম ডায়রি/ব্লগসাইট/২৮.১১.১৭ইং




https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl

বুধবার, ২২ নভেম্বর, ২০১৭



হিমালয়ের পানি এবার আসছে ঢাকায়ঃ ওয়াসা

শাহাদাত হোসেন রিটনঃ

কি? ভাবতে অবাক লাগছে। অবাক লাগারই কথা। কিন্তু না, এবার সব অবাককে দুর করে দিয়ে বাস্তবেই হিমালয়ের পানি ঢাকায় এনে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের উদ্যেগ নিয়েছে ঢাকা ওয়াসা।মহানগরবাসীর পানি সংকট মেটাতে ঢাকা ওয়াসা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। আগামী মার্চেই শুরু হচ্ছে এর কাজ। তা থেকে প্রতিদিন ১৫ কোটি লিটার পানি ঢাকায় সরবরাহ করা যাবে।
ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান সাংবাদিকদের বলেছেন, মাটির নিচ দিয়ে সাভারের ভাকুর্তায় হিমালয় পর্বতের একটি চ্যানেল রয়েছে। সে চ্যানেল দিয়ে হিমালয় পর্বত থেকে সরাসরি পানি চলে আসে ভার্কুতায়। সেখান থেকে পানি তোলার সঙ্গে সঙ্গেই পুনরায় তা পূর্ণ হয়ে যায়।
ভাকুর্তা থেকে হিমালয়ের সেই চ্যানেলের পানি পাইপলাইনের মাধ্যমে ঢাকায় আনা হবে। প্রাথমিকভাবে পানি সরবরাহ করা হবে মিরপুর অঞ্চলে। পরবর্তীতে প্রয়োজনে অন্যান্য এলাকায়ও দেয়া যাবে। হিমালয় চ্যানেলের পানি তোলায় পরিবেশের কোনো ক্ষতি হবে না বলে জানিয়েছে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ। এতে ভূমিধসেরও কোনো সম্ভাবনা নেই। প্রতিবছর শুষ্ক মৌসুম এলেই নগরীতে পানির সংকট দেখা দেয়। তাই পানির সংকট মেটাতে প্রকল্পটি বড় অবদান রাখবে বলে মনে করে ওয়াসার কর্মকর্তারা। ওয়াসা জানায়, গেল ৫০ বছরের মধ্যে বর্তমানে চাহিদার চেয়েও বেশি পানি উৎপাদন করছে ওয়াসা। ২০০৯ সালে নগরীতে পানির চাহিদা ছিলো ২১২ কোটি লিটার। তখন চাহিদা ছিলো ১৮৮ কোটি লিটার। এই মুহূর্তে পানির উৎপাদন ২৪৫ কোটি লিটার। চাহিদা ২৩৫ থেকে ২৪০ কোটি লিটার।
উৎপাদিত পানির ৭৮ শতাংশই তোলা হয় ভূ-গর্ভ থেকে। ভূ-পৃষ্ঠের পানি মাত্র ২২ শতাংশ। ২০২১ সালের মধ্যে ওয়াসা ৭০ শতাংশ ভূ-পৃষ্ঠের পানি ব্যবহার করতে চায়। তখন ভূ-গর্ভের পানি থাকবে মাত্র ৩০ শতাংশ।
এ উদ্যেগের খবরে আশান্বিত ঢাকা বাসী। তারা বঙ্গকন্যা এমন চিন্তাধারার ভুয়সী প্রশংসা করছেন।
ক্রাইম ডায়রি// রাজধানী




www.crimediarybd.com

https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl

এখনও বড় দুর্নীতিবাজরা ধরা ছোয়ার বাইরে আছেঃ দুদক চেয়ারম্যান


শরীফা আক্তার স্বর্নাঃ
দুদকের অনেক কর্মকান্ড নিয়ে আলোচনা সমালোচনা থাকলেও দুর্নীতির বিরুদ্ধে থেমে নেই দুদকের অভিযান। দুদকের নতুন চেয়ারম্যান এর দৃপ্ত শপথ দেশে কোন দুর্নীতিবাজ থাকবেনা।  দুদকের চেয়ারম্যান তাই যথার্থই বলেছেন, অনেক সমালোচকদের সাথে আমিও একমত-যে অনেক বড় দুর্নীতিবাজদের কাছে হয়তো আমরা এখনো যেতে পারিনি। তবে সকলকে এটাও মনে রাখতে হবে, পরিবেশ-পরিস্থিতি দেখে যদি আমরা এদের ধরতে হাত বাড়াই, তাহলে এ হাত তুলে আনবো না, মাঝ পথে থেমে যাব না। গতকাল মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর ত্রয়োদশ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় একথা বলেন চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। তিনি আরও বলেন, আমি কখনই বলব না, আমরা সফল হয়েছি। আমাদের ব্যর্থতা আছে এবং তা আমরা নিয়মিত পর্যালোচনা করি, যাতে আমরা আরও পরিশুদ্ধভাবে কাজ করতে পারি। আমি প্রথম থেকেই বলে আসছি, দুর্নীতি ঘটার আগেই তা প্রতিরোধ করতে হবে-একারণেই কমিশনে দুর্নীতি প্রতিরোধে অধিকতর গুরুত্ব দিচ্ছে। আমরা এমন কোনো কাজ করতে চাই না, যে কাজে কোনো ফল আসবে না; অথবা যে কাজ আমরা শেষ করতে পারব না; বা আদালতে প্রমাণ করতে পারব না।
তিনি বলেন, উন্নয়ন এবং দুর্নীতি সম্ভবত যমজ ভাই। তবে দুর্নীতি দমন কমিশনসহ রেগুলেটরি ফ্রেমওয়ার্ক যদি সঠিকভাবে কাজ করে তাহলে অবশ্যই দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরা সম্ভব। সরকারি কর্মকর্তা, সিভিল সোসাইটি, মিডিয়াসহ আমরা সবাই যদি সম্মিলিতভাবে চেষ্টা করি তাহলে দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরা অসম্ভব নয়। দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তাদের কাজের মান বেড়েছে, তবে তাদেরকে কাজে আরও অধিকতর মনোনিবেশ করতে হবে। তদন্তের গুণগত মান বৃদ্ধিতে কমিশন যেসকল নির্দেশনা দিয়েছে তা অনুসরণ করতে হবে; কোনো মানুষকে হয়রানি করা যাবে না;  প্রতিটি অনুসন্ধান বা তদন্ত আইন ও বিধি-বিধানের আলোকে সম্পন্ন করতে হবে যাতে  অভিযোগটি আদালতে প্রমাণ করা যায়।
শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন দরকার জানিয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, তথাকথিত কোচিংয়ের মাধ্যমে ক্যাপসুল মার্কা শিক্ষা আমরা চাই না। আমরা এমন শিক্ষা চাই, যাতে আমাদের সন্তানেরা সক্ষম নাগরিক হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে পারে। কমিশন ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মূল্যবোধ সম্পন্ন নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য দেশের প্রায় ২২ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সততা সংঘ গঠন করেছে এবং উত্তম চর্চার বিকাশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সততা স্টোর স্থাপন করছে।
তিনি সকল খাতের দুর্নীতি দমনে ভুক্তভোগী সহ সকলের সহযোগীতা কামনা করেন।
ক্রাইম ডায়রি//জাতীয়

https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl
www.crimediarybd.com

মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭


পুলিশকে জনগণের সেবক হয়ে কাজ করার কথা বললেন বঙ্গকণ্যা শেখ হাসিনা


শরীফা আক্তার স্বর্নাঃ
পুলিশ জনগণের বন্ধু এ কথা শুধু মুখে বললেই হবেনা,তা প্রমাণ করে দেখাতে হবে। তাই পুলিশ বাহিনীকে জনগণের সেবক হয়ে কাজ করা আহ্বান জানিয়েছেন বঙ্গকণ্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  বৃহস্পতিবার রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার সারদায় অবস্থিত বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে বক্তব্যে প্রদানকালে তিনি এই কথা বলেন।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারযোগে বেলা ১০টায় সারদা পুলিশ একাডেমিতে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। পরে একাডেমিতে শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপারদের শিক্ষা সমপানী কুচকাওয়াজে অংশ নেন এবং তাদের দেওয়া অভিবাদন গ্রহণ করেন । প্রশিক্ষণে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ পারদর্শিতা দেখানোর জন্য শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপারদের পুরস্কৃত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর রাজশাহীতে সফরের সূচি অনুযায়ী বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে এই কর্মসূচির পরে দুপুরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নেবেন তিনি। পরে বেলা ২টায় পবার হরিয়ানে রাজশাহী চিনিকল মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন তিনি।
রাজশাহী বাসীর স্বপ্ন পুরণে তিনি ২৭টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন । এর মধ্যে ছয়টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও বাকি ২১টির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন বলে জানা গেছে। প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষ্যে রাজশাহীবাসী উৎফুল্ল বলে স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে।
ক্রাইম ডায়রি/জাতীয়

https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl

রবিবার, ৯ এপ্রিল, ২০১৭




<<<<<<<<<<<<<<<<বঙ্গবন্ধু>>>>>>>>>>>>>>>>
……আতিকুল্লাহ আরেফিন রাসেলের বঙ্গবন্ধু ভাবণার বহিঃপ্রকাশ……….
১৭ই  মা র্চ।  জাতীরপিতার  জন্মদিন।  যাকে  সপরিবারে  শহীদ  করেছিল বেইমানের  দল শোকাবহ ১৫ই আগষ্টএ ।  দলমত নির্বিশেষে যিনি ছিলেন বাংলা ও বাঙ্গালী জাতির প্রাণ। যিনি নিজের জীবনের সুখ স্বাচ্ছ্যন্দের জন্য নয় যিনি শুধু ভাবতেন এই দেশ ও মানুষের জন্য। যিনি রেসকোর্সের ভাষণে দীপ্ত কন্ঠে বাঙ্গালী জাতির মুক্তি ঘোষণা করেছিলেন সেই মহান ব্যক্তিকে একদল কুচক্্রী হায়েনা নির্মমভাবে স্বপরিবারে গুলি করে শহীদ করেছিল। তিনি মরেও মরেননি। তিনি বেঁচে আছেন আমাদের হৃদয় মাঝে।
9
বঙ্গ পিতা বঙ্গবন্ধু
বাঙ্গালী জাতির জান ও প্রাণ,
প্রজন্মের পর প্রজন্ম যাবে
বাংলায় রবে তোমার ঘ্রাণ।
দুঃখ কষ্ট শত বেদনায়
রয়েছ তুমি মোর চেতনায়,
হৃদয়ের মাঝে রক্তক্ষরণ
কেড়ে নিল কে তোমার প্রাণ?
বেইমান সব কুকুরের দল
পিতার বুকে গুলি কেন বল?
ঘরের শত্রু বিভিষণ সব
বাংলায় শুধু কান্নার রোল।।
বছর ঘুরে পার হয়ে যায়
দিব্য চোখে তোমায় দেখি,
তোমার প্রতি বাঙ্গালী জাতির
ভালবাসার গল্প লেখি।
আগষ্ট এলো বছর ঘুরে
বাঙ্গালীর চোখে শোকের জল,
তোমার জন্য বঙ্গবন্ধু
শোকের জলই বাঙ্গালীর বল।

লেখকঃ
আতিকুল্লাহ আরেফিন রাসেল
সম্পাদক
ক্রাইম ডায়রি ও ক্রাইম ডায়রিবিডি.কম
৫৫,আজাদ সেন্টার,লেভেল ৭,পুরানা পল্টন,ঢাকা-১০০০।
বিকেল ৫ ঘটিকা। তারিখঃ১৭ মার্চ ,২০১৭  পুনঃলিখন এবং ১৫ ই আগষ্ট,২০১৬ইং।
5


https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl


একজন মহৎ মানুষের গল্প বলি শোন

 0

আতিকুল্লাহ আরেফিন রাসেলঃ
ছাত্রজীবন থেকেই তিনি  মানুষের  জন্য  কাজ  করতেন। মানুষের কিসে কল্যান  তাই  নিয়ে  তার ছিল  অন্তহীন  ভাবণা। তিনি এখনও  তার সেই  মানব কল্যানকে  অব্যহত রেখেছেন। দেশের জন্য  সাধারন মানুষের  জন্য যে  প্রাণ কেঁদে ফেরে  সারাক্ষন আসুন এক নজরে জেনে নেই আমার এবং  সবার নেতা হাসানুল  হক ইনু    ভাইয়ের গল্প।
গ ল্পর  শুরু সেই  ১২ নভেম্বর ১৯৪৬ সালে।পিতা  মরহুম এইচ, এম, কামরুল হক। তিনি    কর্ণফুলী পেপার মিলস্ লিঃ এর জেনারেল  ম্যানেজার ছিলেন। মাতা   মরহুম বেগম হাসনাহেনা হক। স্ত্রী  আফরোজা হক রীনা। তিনি জাতীয় নারী জোট (জাসদের সহযোগী নারী সংগঠন)এর  সভাপতি এবং  সাধারন সম্পাদক, পেশাজীবি নারীসমাজ।  ব্যাক্তিগত  জীবনে এই দম্পতি  ১ ছেলের  জনক।  নাম  তার, প্রকৌশলী শমিত আশফাকুল হক । কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এ স্নাতক। পৈত্রিক নিবাস  গোপাল নগর, থানা ও  উপজেলা: ভেড়ামারা, জেলা: কুষ্টিয়া।  ঢাকায় ১৩৭, দারুস সালাম, মিরপুর এ  স্থায়ীভাবে  বাস করেন। লেখাপড়া  করেছেন বিএসসি-ইন-কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়(বুয়েট), ১৯৭০।    উচ্চ মাধ্যমিক, নটরডেম কলেজ ও  মাধ্যমিক, কর্ণফুলী পেপার মিলস্ হাইস্কুল, চন্দ্রঘোনা,রাঙ্গামাটিতে। 
ছাত্র রাজনীতি, জাতীয়তাবাদী আনেদালন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ
  • ১৯৬৯ ছাত্রলীগ বুয়েট শাখার সাধারণ সম্পাদক
  • ১৯৭০ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি শহীদ সার্জেন্ট জহুর স্মরণে গঠিত ছাত্রলীগের ‘সার্জেন্ট জহুর বাহিনী’র সামরিক কায়দায় মার্চ পাস্টে নেতৃত্ব প্রদান
  • ১৯৭০ সালের ৭ জুন ছাত্রলীগের ‘জয়বাংলা বাহিনী’র সামরিক কায়দায় মার্চ পাস্টে নেতৃত্ব প্রদান
  • ১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ পল্টনে স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলনের দায়িত্ব পালন
  • ১৯৭১ এ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ। ভারতের ‘তান্দুয়াতে’ স্থাপিত বাংলাদেশ লিবারেশন ফ্রন্ট -বি এল এফ (মুজিব বাহিনী) এর  গেরিলা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ক্যম্প প্রধান ও প্রশিক্ষক এর দায়িত্ব পালন। প্রায় ১০,০০০ মুক্তিযোদ্ধাকে গেরিলা যুদ্ধের প্রশিক্ষণ প্রদান।
জাতীয় রাজনীতি
  • ১৯৭২ মে জাতীয় কৃষক লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক হিসাবে বঙ্গবন্ধু কর্তৃক দায়িত্ব প্রদান।
  • ১৯৭২ সালের ৩১ অক্টোবর গঠিত দেশের প্রথম বিরোধী দল জাসদের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসাবে ভূমিকা পালন।
  • ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহী জনতার অভ্যুত্থানে গণবাহিনীর উপ-প্রধান ও কর্ণেল তাহেরের সহকারী হিসেবে ভূমিকা পালন।
  • ১৯৮৩ সালে সামরিক স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী ঐক্যবদ্ধ গণতান্ত্রিক আন্দোলন গড়ে তোলা তথা ১৫ দলীয় জোট গঠন, ১৫ দল ও ৭ দলের লিঁয়াজো কমিটি গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন। পরবর্তীতে এরশাদ সামরিক স্বৈরাচার বিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে আপসহীন ধারায় পরিচালিত করতে ৫ দল গঠন এবং ৫ দল, ৭ দল, ৮ দলের লিয়াজো কমিটি গঠন করে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন পরিচালনা এবং ৯০ এর গণঅভ্যূত্থান সংগঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন।
  • ১৯৮৬ সালে জাসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত।
  • ১৯৯২ এ বামফ্রন্ট গঠনে ভূমিকা পালন, বাম ফ্রন্টের প্রথম আহবায়ক।
  • ২০০২, ৩১ অক্টোবর জাসদের সভাপতি নির্বাচিত।
  • ২০০৫, ৩১ মে দ্বিতীয়বার জাসদের সভাপতি নির্বাচিত।
  • ২০১০, ৮ জানুয়ারি তৃতীয় বারের জন্য জাসদের সভাপতি নির্বাচিত।
  • ২০০১ সাল থেকে তৎকালীন বিএনপি-জামাত জোট সরকারের দুঃশাসন ও সাম্প্রদায়িক-জঙ্গীবাদী-মৌলবাদী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক আন্দোলন গড়ে তোলা তথা ১৪ দল ও মহাজোট গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন।

অন্যান্য অবস্থান
  • সাবেক সভাপতি, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি (২০০৮-১৩, সেপ্টেম্বর, ২০১২)
  • সভাপতি, কৃষি-খাদ্য ও গ্রামীণ উন্নয়ন বিষয়ক সর্বদলীয় গ্রুপ
  • কো-চেয়ারপারসন, আদিবাসী অধিকার বিষয়ক সংসদীয় ককাস
  • ফেলো ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ
গ্রেফতার ও কারাবরন
  • ২৩ নভেম্বর ১৯৭৫ এ গ্রেফতার ও কারাবরন।
  • ১৯৭৬ এ গোপন সামরিক আদালতে কর্ণেল তাহেরের ফাঁসির মামলায় ১২বছর কারাদন্ড।
  • ১৩ জুন, ১৯৮০ কারাগার থেকে মুক্তি লাভ।
  • এরশাদ সামরিক শাসন আমলে দুইবার গ্রেফতার ও কারাবরন।
খেলাধুলা
  • ফুটবল ব্লু , বুয়েট,  ১৯৭০
  • ১৯৬৫-১৯৭০ পর্যন্ত ঢাকা প্রথম বিভাগ ফুটবল লীগে সেন্ট্রাল প্রিন্ট্রিং এন্ড ষ্টেশনারী ক্লাব, ইস্ট এন্ড ক্লাব, ওয়ারী ক্লাব এবং সর্বশেষ ঢাকা মোহামেডান স্পোটিং ক্লাবের পক্ষে অংশগ্রহণ
  •  ১৯৬৯ সালে পূর্ব পাকিস্তান চ্যাম্পিয়ন সম্মিলিত পূর্ব পাকিস্তান বিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল দলের সদস্য হিসাবে লাহোরে সর্বপাকিস্তান জাতীয় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ
  • ১৯৬৯-৭০ সালে পূর্ব পাকিস্তান যুব ফুটবল দলের সদস্য হিসাবে অংশগ্রহণ
  • ১৯৬৫ সালে পূর্ব পাকিস্তান ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ ও হাইজাম্পে ২য় স্থান অধিকার
  • ১৯৬৬ সালে পাকিস্তান ক্রীড়া দলের সদস্য হিসেবে পাক-জার্মান ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ এবং হাইজাম্পে ৩য় স্থান অধিকার
তিনি একজন লেখকও  বটে।  তার লেখা   বইগলো হলোঃ
  • তিনদাগে ঘেরা বাংলাদেশ
  • বাংলাদেশের রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি
  • গণতান্ত্রিক সংগ্রামের নয়া কৌশল
  • দুই শতাধিক রাজনৈতিক প্রবন্ধ
তিনি আমার নেতা।  মহৎ এই  মানুষটি আমাদের স্বপ্নপুরুষ।  তাকে  অজ্ঞাতে আমি  অনুসরন করে চলেছি  সুদীর্ঘ  সময়  ধরে।  অামার এবং  গণ মানুষের  হৃদয়ে তিনি  জাগ্রত  থাকবেন সর্বদা এই আশাই  করি।
ক্রাইম  ডায়রি/স্পেশাল/সম্পাদক 
SHARE.
https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl

জীবন ও বনঃ বনরক্ষা এখন সময়ের দাবী




জীবন ও বনঃ বনরক্ষা এখন সময়ের দাবী




আতিকুল্লাহ আরেফিন রাসেল
প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান,গ্রামে চল আন্দোলন
(প্রকাশিত- ক্রাইম ডায়রি মার্চ ২ সংখ্যা /কপিরাইট 2016/সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত/কপি করা আইনগত অপরাধ।/দৃষ্টিগোচর হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।)
একটি দেশের প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার জন্য ২৫ভাগ বনভুমি প্রয়োজন । ১৯৭১ সালে আমাদের দেশে বনভ’মি ছিল ১৬ ভাগ। নব্বইয়ের দশকে যা নেমে এসেছিল ৯ ভাগ। এখন কয় ভাগ বনভুমি তা না হয় নাই বললাম। বন আমাদের কতটুকু প্রয়োজন। তা সিডর দিয়ে অনেকেই বুঝেছেন আশা করি। সুন্দরবন না থাকলে এ দেশের কি অবস্থা হতো তা ঐ অঞ্চলের মানুষ হারে হারে বুঝতে পেরেছে। রোগ শোক মুক্ত,দারিদ্রতামুক্ত, প্রাকৃতিক বিপর্যয়মুক্ত এবং যুদ্ধ বিগ্রহের কারনে মানুষের আতœরক্ষা বিভিন্ন প্রয়োজনে কিংবা সুখী সম্মৃদ্ধ জীবন যাপনের জন্য বণের ভ’মিকা অনস্বীকার্য।
মানুষকে বাঁচতে হলে যেমন প্রয়োজন পরিবেশ, তেমনি একটি পরিবেশ টিকে থাকার জন্যও দরকার বনভূমি। আর সেই বনভূমিকে টিকিয়ে রাখার দায়িত্ব আমাদের। বনভূমি টিকে থাকলে আমাদের পরিবেশ টিকে থাকবে। পরিবেশ ঠিক থাকলে আমরাও স্বাচ্ছন্দ্যে থাকব। বন-বনানীর ভূমিকার কথা স্বীকার করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতিবছরর্ বিশ্ব বনদিবস পালন করা হয়। কিন্তু আমাদের দেশে এ দিবসের কথা অনেকেই হয়তো জানেন না। তবে এ সচেতনতা সমাজের সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে বাড়িয়ে তোলার জন্যই এ রকম একটি দিবস পালনের মুখ্য উদ্দেশ্য। এই দিবসটি পালনের মাধ্যমে সামাজিক বনায়নের গুরুত্ব সবার কাছে তুলে ধরতে হবে। বর্তমান বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তনে সামাজিক বনায়নের প্রয়োজনীয়তার কথা নতুন করে কিছুই বলার নেই।
সামাজিক বনায়ন হলো এমন ব্যবস্থাপনা— কর্মকাণ্ড, যার সঙ্গে পল্লীবাসী ওতপ্রোতভাবে জড়িত এবং নিবিড় সম্পর্কযুক্ত। তাই বনায়নে স্থানীয় সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ ছাড়া বন সংরক্ষণ সম্ভব নয়। সুতরাং পল্লীবাসীর প্রয়োজনকে বিবেচনায় রেখে বনায়ন কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। কারণ পল্লীবাসীরা জীবন রক্ষার প্রয়োজনেই গাছ কাটে। তবে তা যেন মাত্রাতিরিক্ত না হয় এবং একটি গাছ কাটলে সঙ্গে সঙ্গে এক বা একাধিক গাছ লাগানোর প্রচেষ্টাও যেন তাদের মধ্যে বিদ্যমান থাকে এমন সচেতনতা তাদের মধ্যে রোপণ করে দিতে হবে। মনে রাখতে হবে বন যেমন আমাদের ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষা করে তেমনি বনের কাঠ শুকিয়ে গেলে তা দিয়ে আমাদের অর্থের জোগান হয়ে থাকে। এছাড়াও বনভূমি থেকে আমরা অনেক সুফল লাভ করি।
১৯৯২ সালে রিও ঘোষণায় বনসৃজন ও রক্ষার্থে সিদ্ধান্ত নেয়ার পরও সারা পৃথিবীতে উজাড় হয়েছে বাংলাদেশের সমান আয়তনের ২০টি বনভূমি। আমাদের মতো ছোট্ট একটি দেশেও প্রয়োজনের তুলনায় বনভূমির আয়তন অনেক কম। জীবনের প্রয়োজনে বনভূমির পরিমাণ বাড়ানো এখন সময়ের দাবি। আজ আমরা সেই বনভূমি সাময়িক সুখ-শান্তির জন্য এবং অর্থের জন্য কেটে উজাড় করে দিচ্ছি। গাছ শুধু বিশুদ্ধ অক্সিজেনের মাধ্যমেই আমাদের জীবনই রক্ষা করে না, একইসঙ্গে বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে আমাদের রক্ষা করতেও ঢাল হিসেবে কাজ করে। এর প্রমাণ ২০০৭ সালে ১৫ নভেম্বরের সিডর। স্মরণকালের এই ভয়াবহ প্রাকৃতিক ঝড়ের আঘাত থেকে বাংলাদেশকে আরো বড় ধরনের বিপর্যয়ের কবলে পতিত হওয়া থেকে রক্ষা করেছিল সুন্দরবনের বনাঞ্চল। সুন্দরবন না থাকলে হয়তো উপকূল একেবারেই নিশ্চিহ্ন হয়ে যেত। সুন্দরবনের বনাঞ্চল ঝড়ো-হাওয়ার একেকটি আঘাত বুক পেতে না ঠেকালে দক্ষিণাঞ্চলের মতো অনেক জেলা বিরানভূমিতে পরিণত হতো।
জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বনের গুরুত্ব অপরিহার্য। বন ছাড়া জীববৈচিত্র্যের অস্তিত্ব টিকে রাখতে পারে না। পৃথিবীতে যা কিছু আছে তাকে প্রধানত ২ ভাগে ভাগ করা হলে জীব জগত্ ও প্রাণী জগেকই বোঝাবে। জীববৈচিত্র্য হচ্ছে প্রকৃতির সন্তান। উদ্ভিদ ও প্রাণী তথা জীববৈচিত্র্যের একমাত্র আশ্রয়স্থল হচ্ছে বন। বন মহাকালের সৃষ্টি, এতে মানুষের কোনো হাত নেই। কিন্তু মানুষের অপরিণামদর্শী কর্মকাণ্ডের কারণে জীববৈচিত্র্য আজ বিলুপ্তির পথে। বন সুরক্ষায় ও জীববৈচিত্র্যের ভারসাম্য রক্ষা এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংগঠন দিবসটি পালন করে আসছে। বিশ্বব্যাপী শিল্প বিপ্লবের পর থেকে পরিবেশ দূষণ শুরু হয়। বর্তমানে পরিবেশ দূষণের কারণে পৃথিবী বসবাসের বিপদমুখী হচ্ছে প্রাণীকূল। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা জীববৈচিত্র্যের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। কিন্তু আজ বিশ্ব জীববৈচিত্র্য হুমকির সম্মুখীন। বিশ্বের মোট ভূমির পরিমাণ প্রায় ১৫ হাজার মিলিয়ন হেক্টর। মোট ভূমির ৭৮ ভাগ চাষাবাদের অনুপযোগী, ২২ ভাগ ভূমি চাষাবাদযোগ্য। ২০০ বছর আগেও বিশ্বের ৪৭ ভাগ এলাকা বনভূমিতে পরিবেষ্টিত ছিল। কিন্তু বর্তমানে ২৯ ভাগ এলাকা বনভূমি রয়েছে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য একটি দেশের মোট আয়তনের ২৫ ভাগ বনভূমি থাকা প্রয়োজন। অথচ বাংলাদেশে মোট বনভূমির পরিমাণ রয়েছে ১৭.৪ ভাগ। দেশের মোট আয়তন ১ লাখ ৪৮ হাজার ৩৯৩ বর্গ কি. মি.। এর মধ্যে বনাঞ্চল ২৩ হাজার ৯৯৮ বর্গ কি. মি.। জনসংখ্যা চাহিদার তুলনায় বনভূমির পরিমাণ খুবই কম। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ছড়ানো-ছিটানো যে অল্প বনভূমি রয়েছে তাও মানুষ নির্বিচারে কেটে সাবাড় করছে। দেশের মানুষের কাঠ ও জ্বালানি কাঠের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে গিয়ে বনভূমি দ্রুত সঙ্কুচিত হয়ে আসছে। শুধু বাংলাদেশেই নয়, সারা পৃথিবী থেকে দ্রুত বনভূমি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। প্রতি মিনিটে পৃথিবী থেকে ১৯০ একর বন উজাড় হয়ে যাচ্ছে। ক্রমবর্ধমান নগরায়ন ও শিল্পায়নের প্রয়োজনে পরিবেশ তথা বন ধ্বংস হওয়ার মূল কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পৃথিবীর প্রায় ১০০টির বেশি দেশ মরুময়তার শিকার। ড্রাইল্যান্ডের ৭০ ভাগ ভূমি আজ বন হারিয়ে যাওয়ায় মরুময়তায় চলে যাচ্ছে। এর আয়তন প্রায় ৩.৬ বিলিয়ন হেক্টর। এশিয়ার প্রায় মিলিয়ন হেক্টর জমি মরু বিস্তারের সম্মুখীন। অস্ট্রেলিয়াসহ অন্যান্য দেশে প্রায় ২.৬ মিলিয়ন বর্গ কি.মি. মরুভূমির সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিবছর এ মরুভূমির ৩-৪ কি. মি. করে বাড়ছে। ভারতের থর মরুভূমি প্রতি বছর প্রায় ১ কি. মি. বাড়ছে। মানুষের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের ফলে পৃথিবীর ১০ ভাগ বন ও তৃণভূমি মরুময়তার শিকার হচ্ছে, আর ২৫ ভাগ হুমকির সম্মুখীন। প্রতি মিনিটে মরুভূমি গ্রাস করছে ৪৪ হেক্টর উর্বর জমি এবং ২০ হেক্টর বনভূমি বিরান হচ্ছে। বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে ব্যাপকহারে বন উজাড়ের ফলে মরুময়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা মানুষ হলেও আমাদের এখনও সচেতনতার অভাব রয়েছে। এদেশের মানুষের মধ্যে গাছ লাগানো কর্মসূচিকে আরও বেগবান করে তুলতে কার্যকরী উদ্যোগ নিতে হবে সচেতন মহলের। সামাজিক বনায়ন কার্যক্রমে স্থানীয় ভূমিহীন কৃষি-শ্রমিক ও দরিদ্র বেকার যুবক সম্প্রদায়কে কাজে লাগানো যেতে পারে। তাদের জন্য বন থেকে প্রাপ্ত সুফল ভোগ করার সুযোগ রাখলে তারা আগ্রহের সঙ্গেই এ কাজে সম্পৃক্ত হবে। আমাদের স্বার্থে, আমাদের বাঁচার তাগিদে সম্মিলিতভাবে প্রচেষ্টায় এ লক্ষ্য অর্জন করা খুব কঠিন নয়। তাই আসুন আমরা পরিবেশ রক্ষার্থে, আমাদের জীবন বাঁচাতে বনজ সম্পদ রক্ষা করি। প্রাকৃতিক বন ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্য সরকার এবং এলাকাবাসীকে সম্মিলিত প্রয়াস চালাতে হবে। বন ব্যবস্থাপনায় বননির্ভর মানুষকে সম্পৃক্ত করতে হবে। বন বিভাগের সাথে সাধারণ মানুষের দূরত্ব কমাতে হবে।
গতকাল রবিবার রাঙামাটি জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ইউএনডিপি সিএইচটিডিএফ এর সহায়তা প্রকল্পের পার্বত্য চট্টগ্রামের বন ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ শীর্ষক আঞ্চলিক কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
ইউএনডিএফ সিএইচটিডিএফের উপ-পরিচালক প্রসেনজিৎ চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন রাজা ব্যরিস্টার দেবাশীষ রায়, মং সার্কেলের প্রধান সাচিং প্রু চৌধুরী, বন সংরক্ষক মো. সামশুল আজম, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য গুণেন্দু বিকাশ চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম বন ও ভূমি অধিকার রক্ষা আন্দোলনের সভাপতি গৌতম দেওয়ান, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য সাধনমণি চাকমা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য সিয়ং ইয়ং ম্রো, আইইউসিএনের পরিচালক ইশতিয়াক উদ্দিন আহমেদ, আরণ্যক ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইউএনডিপি-সিএইচটিডিএফ প্রকল্পের জনগোষ্ঠী ক্ষমতায়ন প্রকল্পের প্রধান বিপ্লব চাকমা। রাজা দেবাশীষ রায় বলেন, জনগণের অংশীদারিত্ব ছাড়া আইন, বন্দুক, বনপ্রহরী দিয়ে বনরক্ষা করা যায় না। বন রক্ষার নামে অনেক মামলা হয়েছে কিন্তু বন রক্ষা করা যায়নি।
সাবেক প্রধান বনসংরক্ষক ইশতিয়াক উদ্দিন আহমেদ বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের আলাদা বৈশিষ্ট্য হল এখানে প্রাকৃতিক বন আছে। এখানে জীব বৈচিত্র্য বিদ্যমান। কিন্তু তা হারিয়ে যাবে তা ভাবতে কষ্ট হয়।
কমিটি সিএইচটিডিএফকে দায়িত্ব দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এ আঞ্চলিক পর্যায়ের কর্মশালা আয়োজন করা হয়েছে।
বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ, প্রাণি, কীটপতঙ্গ, অণুজীব, মাটি, পানি, বাতাস এবং অন্যান্য জড় পদার্থের সম্মিলনে পৃথিবীর প্রাতিবেশিক অবস্থা বা বাস্তুসংস্থান সৃষ্টি হয়। আমরা খালি চোখে দেখি আর না-ই দেখি, এই প্রাতিবেশিক অবস্থা মানবসভ্যতার উন্নয়ন বজায় রাখার জন্য অনেকাংশে ভূমিকা পালন করেছে। এ অবস্থাগুলোই পৃথিবীর সমগ্র প্রকৃতি প্রকাশ করে। এটি এখন সর্বজনগৃহীত যে, পৃথিবীর যতটুকু টেকসই উৎপাদন ক্ষমতা আছে, তার থেকে অনেক বেশি প্রাকৃতিক সম্পদ মানুষ ভোগ করছে। অনেক বাস্তুসংস্থান তাই এখন কঠিন বিপর্যয়ের মুখে আছে, যা আগের অবস্থায় আর কখনও ফিরে যাবে না। জনংখ্যা বৃদ্ধি, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জনগণের অপরিণামদর্শী আচরণ এর জন্য দায়ী বলে অনেকে মনে করেন। প্রত্যেক মানুষের গড়ে ২.৭ গ্লোবাল হেক্টরের মাটি ও পানির চাহিদা রয়েছে। যেখানে পৃথিবীর উৎপাদনশীল মাটি ও পানির যোগান হচ্ছে ২.১ গ্লোবাল হেক্টর। তার মানে, এখনই পৃথিবীর উৎপাদন ক্ষমতার তুলনায় আমরা ৩০ শতাংশ সম্পদ বেশি ব্যবহার করছি। পৃথিবীর অনেক বাস্তুসংস্থান এখন কঠিন বিপর্যয়ের মুখে আছে, যা আগের অবস্থায় আর কখনও ফিরে যাবে না পৃথিবীর অনেক বাস্তুসংস্থান এখন কঠিন বিপর্যয়ের মুখে আছে, যা আগের অবস্থায় আর কখনও ফিরে যাবে না ওদিকে, ২০০৭ সালের হিসাব মতে, বাংলাদেশের প্রত্যেক মানুষের গড় চাহিদা হচ্ছে ০.৬২ গ্লোবাল হেক্টর। যেখানে উৎপাদন ক্ষমতা হচ্ছে মাত্র ০.৩৮ গ্লোবাল হেক্টর। যার মানে দাঁড়ায়, বাংলাদেশের বাস্তুসংস্থান আনেক আগেই টেকসই উৎপাদনশীলতা হারিয়েছে। পৃথিবীর বর্তমান ভোগ ও উৎপাদন ক্ষমতার ধারা যদি বজায় থাকে, তাহলে ২০৫০ সাল নাগাদ ৯.৬ বিলিয়ন জনসংখ্যার প্রয়োজন মেটানোর জন্য বর্তমান পৃথিবীর সমান মোট তিনটি পৃথিবীর প্রয়োজন পড়বে। ২০৫০ সালের মধ্যে এ রকম উৎপাদনশীল তিনটি পৃথিবীর মতো গ্রহ পাওয়া একেবারেই অসম্ভব। তাহলে পৃথিবীর সম্পদ-উৎপাদনের প্রাকৃতিক যে ক্ষমতা আছে, এর মধ্য থেকেই আমাদের সতর্ক হয়ে চলার বিকল্প নেই। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যেন তা পৃথিবীর প্রাকৃতিক উৎপাদন ক্ষমতা বিঘ্নিত করতে না পারে। তাই এবারের বিশ্ব পরিবেশ দিবসের থিম হচ্ছে, ‘‘ঝবাবহ নরষষরড়হ ফৎবধসং. ঙহব ঢ়ষধহবঃ. ঈড়হংঁসব রিঃয পধৎব.” — বাংলায় মোটামুটি এ রকম বলা যায়, ‘‘শত শত কোটি মানুষের জীবন ও স্বপ্ন হচ্ছে একটি গ্রহ নিয়েই, তাকে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে ব্যবহার করতে হবে।’’ আধুনিক বৈশ্বিক অর্থনীতি ও পৃথিবীর প্রাকৃতিক সুস্বাস্থ্য পরস্পরেরর সঙ্গে অপরিহার্যভাবে জড়িয়ে রয়েছে। সর্বত্র আজ ডাক উঠেছে ক্ষয়শীল প্রকৃতি পুনর্জীবিত করার; কারণ তা না হলে বৈশ্বিক অর্থনীতির সুস্থতাও হারাতে হবে। আজকের প্রকট বিশ্ব মন্দা পরিস্থিতি যে কারণেই সৃষ্টি হোক না কেন, এটি দ্রুত কাটিয়ে ওঠার ক্ষেত্রে প্রকৃতির সুস্থতা যে মহৌষধ হিসেবে কাজ করবে, সে বিশ্লেষণ অনেকেই করছেন। পৃথিবীর প্রকৃতিস্থতা রক্ষার জন্য বনের ভূমিকা অপরিসীম। কিন্তু বনের ক্রমবর্ধমান ক্ষয় তা অত্যন্ত দ্রুতগতিতে নষ্ট করছে। পৃথিবীতে এখনও প্রায় চার বিলিয়ন হেক্টর বন টিকে আছে। সুতরাং বৈশ্বিক অর্থনীতি সুস্থ রাখার জন্য এই বন যে কোনো মূল্যে টিকিয়ে রাখতে হবে। হারিয়ে যাওয়া বনভূমিও ফিরিয়ে আনতে হবে বন্য আবহে।
পৃথিবীতে এখনও প্রায় চার বিলিয়ন হেক্টর বন টিকে আছে
একটি তথ্যে দেখা যায়, এপ্রিল ২০০৯ পর্যন্ত পৃথিবীর মোট জনসংখ্যা প্রায় ৬.৭৭ বিলিয়ন। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সর্বোচ্চ হার ১৯৬২-১৯৬৩ সালে বার্ষিক ২.২ শতাংশ হলেও ২০০৭ সালে তা ১.১৯ শতাংশে এসে পৌঁছেছে। তা সত্ত্বেও ২০৫০ পর্যন্ত পৃথিবীর মোট জনসংখ্যা বাড়তেই থাকবে বলে জনসংখ্যা বিশারদদের ধারণা। তাদের হিসাবে ২০৫০ সাল পর্যন্ত এই জনসংখ্যা প্রায় ৯.৬ বিলিয়নে পৌঁছাবে। পৃথিবীর সর্বত্র জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ও ঘনত্ব সমান নয়। মহাদেশ হিসাবে মোট জনসংখ্যা ও ঘনত্বের বিচারে এশিয়া সবচেয়ে জনবহুল। বাংলাদেশ শুধু এশিয়াতেই নয়, সমগ্র পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি জনবহুল। বর্তমানে এর মোট জনসংখ্যা হচ্ছে ১৫,৫৬,৮৮,৬৬০ জন। আর প্রতি বর্গ কিলোমিটারে এখানে প্রায় ১,০৫৫ জন বাস করে। বাংলাদেশের জনসংখ্যার ঘনত্বের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ নিয়ে ভারত পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম জনবহুল দেশ। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা প্রতিনিয়তই তাদের নিজস্ব প্রয়োজনে প্রাকৃতিক বন ও সৃজিত বনের উপর কাষ্ঠল ও অকাষ্ঠল দ্রব্য সংগ্রহের মাধ্যমে চাপ প্রয়োগ করছে। শুধু তাই নয়, অধিক জনসংখ্যার জন্য অধিক বসতবাটি নির্মাণ, অধিক খাদ্যের প্রয়োজন মিটানোর জন্য কৃষিক্ষেত্রের বিস্তার ও শিল্প স্থাপনার জন্য বনভূমির আকার ক্রমান্বয়ে সংকুচিত হয়ে আসছে। এই চাপ কমানো না গেলে জলবায়ু পরিবর্তনের বর্তমান প্রেক্ষাপটে অতি বৃষ্টিপাতে মাটিক্ষয়, বন্যা, বৃষ্টিপাতের পুনরাবর্তন এবং ভূত্বকের অভ্যন্তরে পানির সঞ্চয়ের ক্রমহ্রাসমানতার উন্নয়ন সম্ভব নয়। বিশেষ করে বনে বার্ষিক উৎপাদিত বনজদ্রব্যের পরিমাণের চেয়ে বেশি মাত্রায় বন থেকে এর সংগ্রহই বনের অব্যাহত উৎপাদন প্রক্রিয়া ব্যাহত করছে। বনের ক্ষয়ও হচ্ছে মূলত এ জন্যই। শিল্পোন্নত দেশে কাঠের ব্যবহার হচ্ছে কাগজ উৎপাদনের জন্য, আর গরিব দেশগুলোতে জ্বালানি হিসাবে। বাংলাদেশসহ তৃতীয় বিশ্বের অনেক দেশেই মোট শক্তি ব্যবহারের অর্ধেকেরও বেশি জৈব জ্বালানি থেকে আসে। আর তা গ্রামীণ এলাকায় শতকরা প্রায় ৯০ শতাংশ। জৈব জ্বালানির বেশিরভাগই আসে গৃহস্থালি বন ও কৃষিক্ষেত্র থেকে। এর মধ্যে গৃহস্থালি বন থেকে উদ্ভূত জৈব জ্বালানির ব্যবহার সর্বোচ্চ। সেখানে আবার জ্বালানি কাঠের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি। গ্রামীণ এলাকায় যত জৈব জ্বালানি ব্যবহার করা হয়, তার প্রায় ৯০ শতাংশই রান্নাবান্নার জন্য। রান্নায় যেসব চুলা ব্যবহার করা হয়, সেগুলোর বেশিরভাগই কম দক্ষতাসম্পন্ন। যার ফলে জ্বালানি কাঠের ব্যবহার স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি।
কাঠের এসব ব্যবহার কমিয়ে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়ার যে অন্তর্নিহিত দক্ষতা প্রত্যেক দেশের আছে, তা যদি কাজে লাগানো যায়, তাহলে বনের ক্ষয় অবশ্যই আটকানো সম্ভব। কাগজ পুনরাবর্তনের মাত্রা বিভিন্ন উন্নত দেশে বিভিন্ন রকম। ওয়াশিংটনের আর্থ পলিসি ইনস্টিটিউটের খধংঃবৎ জ. ইৎড়হিএর তথ্যমতে, সবচেয়ে বেশি কাগজ উৎপাদনকারী প্রথম দশটি দেশের মধ্যে চীন ও ফিনল্যান্ড যথাক্রমে ৩৩ ও ৩৮ শতাংশ কাগজ পুনরাবর্তন করে। অথচ দক্ষিণ কোরিয়া ও জার্মানিতে এ হার যথাক্রমে ৭৭ এবং ৬৬ শতাংশ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পৃথিবীর সর্বোচ্চ কাগজ ব্যবহারকারী হলেও কাগজের পুনরাবর্তনের মাত্রা দক্ষিণ কোরিয়ার চেয়ে অনেক কম। দক্ষিণ কোরিয়া যে মাত্রায় কাগজের পুনরাবর্তন করছে, সে মাত্রায় যদি পৃথিবীর প্রত্যেক দেশ করে, তাহলে মণ্ডের প্রয়োজন এক তৃতীয়াংশ কমে যেত। তাতে বনের উপর নির্ভরশীলতাও অনেকাংশে কমবে। কাগজের ব্যবহার কমানোর জন্য কতগুলি কৌশল অবলম্বন করা যায়। বিশ শতকে কাগজ ব্যবহারের একটি বিশেষ দিক আমরা বিশ্লষেণ করলে খুঁজে পাই; তা হচ্ছে, কাগজজাত দ্রব্য একবার ব্যবহার করে ফেলে দেওয়া এবং তা পুনরাবর্তন না করা। একবার ব্যবহারযোগ্য কাগজজাত দ্রব্য ব্যবহার না করে বিকল্প দ্রব্য ব্যবহার করা হলে কাগজের ব্যবহার অনেকাংশে কমবে। যেমন, ফেসিয়াল টিস্যু, কাগজের ন্যাপকিন, শিশুদের ডায়াপার, কাগজের শপিং ব্যাগ ব্যবহার না করে পুনঃব্যবহারযোগ্য কাপড় পরতে পারি। বনজদ্রব্য ব্যবহারে পরিবর্তনের ধারণাই হয়তো বনরক্ষায় যথেষ্ট নয়। পৃথিবীর যেসব দেশে বেশি বেশি বন ধ্বংস হচ্ছে, যেমন বাংলাদেশসহ চীন, ফিলিপিন্স ইত্যাদি দেশে আইনের মাধ্যমে বন সংরক্ষণ করতে হচ্ছে। এ পর্যন্ত আইন প্রয়োগ করে প্রায় ২৯০ মিলিয়ন হেক্টর বনভূমির কাঠ কাটা বন্ধ করা গেছে।
বিভিন্ন দেশে গৃহীত সরকারি নানা পদক্ষেপের পাশাপাশি বেসরকারি উন্নয়ন ও পরিবেশ বিষয়ক এবং আর্থিক সংস্থাগুলো বনরক্ষায় এগিয়ে আসছে। ১৯৯৭ সালে বিশ্ব ব্যাংক ডড়ৎষফ ডরফব ঋঁহফ ভড়ৎ ঘধঃঁৎব (ডডঋ)এর সঙ্গে জোট বেঁধেছে বিশ্বব্যাপী বনের টেকসই ব্যবহার ও সংরক্ষণের জন্য। তারা ২০০৫ সালের মধ্যে বিভিন্ন দেশে ৫৫ মিলিয়ন হেক্টর বনভূমি সংরক্ষিত ঘোষণা করতে সহযোগিতা করেছে। ২০০৫ সালের মাঝামাঝি তারা ঘোষণা দিয়েছে যে, ২০২০ সালের মধ্যে বনধ্বংস শূণ্যের কোটায় নিয়ে আসতে সব রকম সহযোগিতা করবে।
নতুন করে বনের সৃজন প্রাকৃতিক বনের উপর চাপ কমাতে পারে। ২০০৫ সাল নাগাদ পৃথিবীতে মোট সৃজিত বন ছিল ২০৫ মিলিয়ন হেক্টর। সৃজিত বনে বল্লি কাঠের (ঞরসনবৎ) উৎপাদন পৃথিবীব্যাপী বার্ষিক প্রায় ৪৩২ মিলিয়ন ঘন মিটার। যা সকল কাঠ উৎপাদনের ১২ শতাংশ। তাহলে বাকি ৮৮ শতাংশ নিশ্চয়ই প্রাকৃতিক বন থেকে আহরিত হয়। ঋঅঙ (ঋড়ড়ফ ধহফ অমৎরপঁষঃঁৎব ঙৎমধহরুধঃরড়হ ড়ভ ঃযব টহরঃবফ ঘধঃরড়হং) ধারণা করে, ক্ষয়প্রাপ্ত বনভূমি অন্য কোনো কাজে ব্যবহার না করে শুধু সৃজিত বনের জন্য ব্যবহার করা হলে সৃজিত বনের এলাকা ও উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। আর তাতে আগামী তিন দশকে দ্বিগুণেরও বেশি কাঠ আহরণ করা যাবে।
দক্ষিণ কোরিয়া বন পুনঃসৃজনের ক্ষেত্রে একটি অনন্য দৃষ্টান্ত। ৫৫ বছর আগে কোরিয়ার যুদ্ধ শেষ হলে দেশটির প্রায় সব বন ধ্বংস হয়ে যায়। ষাটের দশকের প্রথম দিকে প্রেসিডেন্ট পার্ক চুং হিএর নেতৃত্বে ও অনুপ্রেরণায় কোরিয়ান সরকার বড় ধরনের বন পুনঃসৃজন কর্মসূচি হাতে নেয়। এতে গ্রামীণ সমবায় গঠনের মাধ্যমে হাজার হাজার লোক ন্যাড়া পাহাড়গুলোতে গাছ লাগানো শুরু করে। বর্তমানে সেখানে প্রায় ৬৫ শতাংশ জায়গা বনে আবৃত। যা প্রায় ৬ মিলিয়ন হেক্টরের সমান। নতুন করে গাছ লাগানোর জন্য এখন সেখানে কোনো জায়গা খুঁজে পাওয়া দুস্কর। অধিক দক্ষতাসম্পন্ন রান্নার চুলা ও রান্নার বিকল্প জ্বালানি, কাগজের বিজ্ঞানসম্মত পুনরাবর্তন, একবার ব্যবহারযোগ্য কাগজের ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণা পৃথিবীর বনের উপর চাপ কমাতে পারে বলেই এই নিবন্ধ মত প্রকাশ করে। পাশাপাশি নতুন বন সৃজন ও পূনঃসৃজন বনজদ্রব্যের চাহিদা মিটিয়েও প্রাকৃতিক বন সংরক্ষণ করতে পারে। এ ক্ষেত্রে দক্ষিণ কোরিয়ার সাফল্যের পদ্ধতি অনুসরণ করা যেতে পারে। তবে প্রত্যেক কর্মসূচিতে জনসাধারণকে জড়ানো না গেলে সাফল্য আসবে না। এ জন্য সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা দরকার। সবার উপর দরকার রাজনৈতিক প্রতিজ্ঞা। যা দেশকে পরিবেশবান্ধব হয়ে টেকসই উন্নয়নের দিকে ধাবিত করবে। এই পৃথিবী আমাদের । পুরো পৃথিবীটাই একটা গ্লোবাল ভিলেজ। এ গ্রামের বাসিন্দা যারা তাদের গ্রাম মায়ের সাবলীল পথ চলাকে অব্যহত রাখতে এর পরিবেশ রক্ষা করা জরুরী।। যাদের কর্মকাণ্ডের ফলে পৃথিবীতে মানুষের অস্তিত্ব হুমকির মধ্যে পড়ছে, তাদেরকে শুধু দোষারোপ করে বসে থাকার সময় নেই। পৃথিবীর সব মানুষকে এখন দায়িত্বশীলতা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। নিজের প্রয়োজনে ,ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রয়োজনে বনভুমি রক্ষা,বৃক্ষ তরুলতা কিংবা খাল বিল জলাশয় রক্ষা এখন সময়ের দাবী। বিশেষ করে আমাদের বাংলাদেশ তথা ঢাকা শহরকে বসবাসের যোগ্য রাখতে হলে এর চারপাশের বনভুমি বিশেষ করে গাজীপুরের বিশাল বনভুমি ও নারায়নগঞ্জ অঞ্চলের বিশাল জলাভুমি রক্ষা এখন সময়ের দাবী । তা না হলে ধেয়ে আসবে ধ্বংস , যা রক্ষা করার সাধ্য আমাদের নেই।।
https://www.facebook.com/gramechol/
(সম্পাদিত)
Personal Blog · 202 Likes
Grame chol গ্রামে চল's photo.
Grame chol গ্রামে চল
https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl