জাতীয় সাপ্তাহিক ক্রাইম ডায়রি একটি অপরাধ বিষয়ক পত্রিকা।।

national weeklycrime diary

national weeklycrime diary
ক্রাইম ডায়রি(জাতীয় সাপ্তাহিক, অনলাইনদৈনিক, অনলাইন টেলিভিশন ও অপরাধ গবেষণা )

শনিবার, ১২ মার্চ, ২০১৬


 বাংলার তরমুজে আছে একশ ভায়াগ্রার শক্তি



আজহারুল ইসলাম : বাজারে তরমুজের আমদানী শুরু হয়েছে কিন্তু কিছু অসৎ ব্যবসায়ীর অধিক মুনাফার আশায় এই স্বুসাদু ফল আজ সচেতন মানুষের কাছে আতঙ্ক। প্রথমেই নেতিবাচক মন্তব্য দিয়ে শুরু করতে বাধ্য হচ্ছি কারণ ক্রেতা আকৃষ্ট করার জন্য ইঞ্জেকশনের সুই দিয়ে তরমুজের ভেতরে পুশ করা হয় কৃত্রিম রঙ ও স্যাকারিন যা মানবদেহের জন্য কার্সিনোজেনিক। এ ছাড়া গ্যাস লাইটে ব্যবহৃত ইথিলিন তরমুজে দেয়া হয় লাল করার জন্য। এই তরমুজ খেয়ে ডায়রিয়া, বমি ও জ্বর হয়। বেশি খেলে এমনকি মৃত্যুও হতে পারে। তরমুজ ছাড়াও অন্যান্ন ফলেও ব্যবহার হচ্ছে বিভিন্ন প্রকার রাসায়নিক যা মানবদেহের জন্য হুমকিস্বরূপ। ফল পাকাতে সর্বাধিক প্রচলিত কেমিকেল হলো ক্যালসিয়াম কার্বাইড। এর ব্যবহারে মানবদেহের অপুরণীয় ক্ষতি সাধিত হয়।

ক্যালসিয়াম কার্বাইড সাধারণত স্টিল মিলে, ওয়েল্ডিংয়ের কাজে এবং আতশবাজি বা ছোট বোমা বানানোর কাজে ব্যবহার করা হয়। অসাধু ব্যবসায়ীরা এটিকে বিভিন্ন ফল পাকানোর কাজে ব্যবহার করে থাকে। ক্যালসিয়াম কার্বাইড পানি বা জলীয় বাষ্পের সঙ্গে মিশে ক্যালসিয়াম হাইড্রোক্সাইড ও এসিটাইলিন গ্যাস সৃষ্টি করে। এই এসিটাইলিন গ্যাস ইথিলিনের মতো কাজ করে। ফলে সহজেই আমসহ যে কোনো কাঁচা ফল পেকে যায়। ক্যালসিয়াম কার্বাইড দামে খুব সস্তা হওয়ায় দেশের ফল ব্যবসায়ীরা অজ্ঞতাবশত বা অতি মুনাফার লোভে সহজলভ্য ক্যালসিয়াম কার্বাইড দিয়ে ফল পাকিয়ে থাকে।

সাধারণত ক্যালসিয়াম কার্বাইড পানিতে মিশিয়ে সেই পানিতে ফল ভেজানো হয় বা ফলে স্প্রে করা হয়। ক্যালসিয়াম কার্বাইড পানির সঙ্গে মিশে এসিটিলিন নিঃসৃত করে ফল পাকিয়ে দিচ্ছে। একই সঙ্গে ক্যালসিয়াম কার্বাইড ফলের ত্বকে বিদ্যমান লেন্টিসেল ভেদ করে ফলের ভেতরে শাসে ঢুকে যায়। এই ক্যালসিয়াম কার্বাইডে মারাত্মক বিষ হিসেবে মিশ্রিত থাকে আর্সেনিক ও ফসফরাস। এই আর্সেনিক ও ফসফরাস ফলের ভেতর ঢুকে যায় ও ফল পাকার পরও ভেতরে এই আর্সেনিক ও ফসফরাস থেকে যায়। এই ফল খাওয়ার পর ক্যান্সার, মুখের প্রদাহ, ফুসফুসের সমস্যা, বিকলাঙ্গ ও মানসিক প্রতিবন্ধী বাচ্চার জন্ম এবং এবোরশানের মত ভয়াবহ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।

ফল পাকার সময় হলে প্রাকৃতিকভাবে ফলে ইথিলিনের পরিমাণ বেড়ে যায়। ইথিলিন ফলের এক ধরনের এনজাইম নিঃসৃত করে যাকে ‘এমাইলেজ’ বলে। এমাইলেজের কাজ হলো ফলের জটিল শর্করাকে বিভাজন করে সাধারণ শর্করা বা সুক্রোজ এবং ফ্রুক্টোজে রূপান্তরিত করা। ফলে ফল নরম ও সুস্বাদু হয়। পেক্টিনেজ এনজাইমের কাজ হলো ফলের ত্বককে নরম করা। পাশাপাশি ত্বকের ক্লোরোফিল (যা সবুজ রঙ দেয়) পরিবর্তিত হয়ে কেরোটিনয়েড হয়ে যায়, ফলে ফলের রঙ বদলে পাকা বা হলুদ রঙ ধারণ করে। এই প্রাকৃতিক ইথিলিনের কাজটা যখন ক্যালসিয়াম কার্বাইড ব্যবহার করে করা হয় তখন ফল বিষে রূপান্তরিত হয়।

যাই হোক তরমুজ নিয়ে লিখতে গিয়ে কৃত্রিম উপায়ে ফল পাকানোর ব্যাপারটা তুলে না এনে পারলাম না কারণ আমরা কিছু অসৎ লোকের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছি, জনস্বাস্থ্য আজ হুমকির মুখোমুখি। বাজার থেকে সহজলভ্য ও পুস্টিগুণসম্পন্ন ফল কেনার সময় এক পা এগিয়ে দুপা পিছিয়ে আসতে হয়। আমরা কতই না অসহায়! তরমুজের জন্মস্থান আফ্রিকা কিন্তু বর্তমানে সারা পৃথিবীতে এর দেখা মিলে। Watermelon নামটাও আফ্রিকানদের দেওয়া। এমন নামকরণের কারণ হলো অভিযাত্রীরা একে পানির বিকল্প উৎস হিসেবে ব্যবহার করতো। এর বহিরাবরণ খুবই পুরু ও ভৈতরে সুমিষ্ট পানি সমৃদ্ধ হওয়ায় অভিযাত্রীরা একে পানির আধার হিসেবে সাথে রাখত পিপাসা মেটানোর জন্য।

১৯৯৮ সালে বিশ্বের নামকরা যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ সিলডিনিফিল সাইট্রেট আবিষ্কার করে সারা দুনিয়াতে আলোড়ন সৃস্টি করে। উচ্চ রক্তচাপে ব্যবহারের ফলে কিছু সাইড এফেক্ট দেখা দেয়। যাই হোক পরবর্তীতে আবিষ্কৃত ওষুধটি ইন্ডিগেশনে (এখানে উচ্চ রক্তচাপ) ব্যবহার না হয়ে সাইড এফেক্টে ব্যবহার হচ্ছে, ফলে এখন এর সাইড ইফেক্টটাই হলো প্রধান ইন্ডিগেশান। আগেই বলেছি সিলডিনিফিল সাইট্রেট আবিষ্কারের পর দুনিয়াতে আলোড়ন সৃস্টি হয়ে গিয়েছিল। এর শেয়ারের দাম বেড়ে আকাশচুম্বি হয়ে গিয়েছিল। সারা দুনিয়ার গনমাধ্যমগুলো ফলাও করে প্রচার করেছিল এই সাফল্য। প্রিয় পাঠক সিলডিনিফিল সাইট্রেটের বাণিজ্যিক নাম হচ্ছে ভায়াগ্রা। এত ভূমিকা দিলাম এই কারণে তরমুজে যে উপাদান পাওয়া যায় তা ভায়াগ্রার মতই কার্যকর। বিজ্ঞানীরাও তাই দাবি করেছেন, অর্থাৎ ভায়াগ্রার মতোই কার্যকর হচ্ছে তরমুজ।



তরমুজে সিট্রোলিন নামের অ্যামাইনো অ্যাসিডের পরিমাণ এতো বেশি যে, যা আগে বিজ্ঞানীরা ধারণাও করতে পারেননি। কারণ বিজ্ঞানীরা মনে করতেন, সিট্রোলিন সাধারণত ফলের অখাদ্য অংশেই বেশি থাকে। সাম্প্রতিক গবেষণায় বিজ্ঞানীরা স্বীকার করেছেন তরমুজে সিট্রোলিন আছে, এটা আমাদের জানা কথা। কিন্তু এটা জানতাম না যে, সিট্রোলিনের পরিমাণ তাতে এতো বেশি থাকতে পারে। গবেষকরা ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, মানবদেহ সিট্রোলিনকে আরজিনিনিন নামের যৌগ পদার্থে রূপান্তরিত করে। আরজিনিনিন হচ্ছে ভিন্ন মাত্রার অ্যামাইনো অ্যাসিড, যা নাইট্রিক অ্যাসিডের অগ্রদূত হিসেবে কাজ করে। আবার নাইট্রিক অ্যাসিড দেহের রক্তবাহী শিরা বা ধমনীর প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর রক্তবাহী শিরা বা ধমনীর প্রসারণের কারণেই মানুষের বিশেষ অঙ্গটি সক্রিয় হয়। আর ভায়াগ্রাও (সিলডিনিফিল সাইট্রেট) দেহের নাইট্রিক অ্যাসিডকে সক্রিয় করার মাধ্যমে কৃত্রিম পন্থায় দেহে জৈবিক উত্তেজনা সৃষ্টি করে। তবে বিজ্ঞানীরা এখনো নিশ্চিত হতে পারেননি, জৈবিক তাড়না সৃষ্টি করতে একজন অক্ষম পুরুষকে ঠিক কত পরিমাণ তরমুজ গিলতে হবে।

তরমুজ আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। তরমুজে আছে প্রচুর ভিটামিন-এ। আর এটি ত্বকের সুস্থতা রক্ষায় প্রয়োজনীয়। এ ছাড়া এটি ভিটামিন সি-এরও উৎস, যা ত্বকের কোলাজেন কলারের নমনীয়তা বজায় রাখে ও ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করে। এক কাপ তরমুজ কুচিতে আপনি পেয়ে যাবেন সারা দিনের চাহিদার ২১ শতাংশ ভিটামিন-সি এবং ১৭ শতাংশ ভিটামিন-এ। সবচেয়ে বড় কথা, এই গরমে ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষা করা খুবই দরকার। আর তরমুজে ৯২ শতাংশই পানি। গরমে তরমুজ খেলে তাই ত্বকের আর্দ্রতা নষ্ট হবে না। সব মিলিয়ে বলা যায়, ত্বকের সুস্থতার জন্য তরমুজ মোটামুটি অপরিহার্য।

আমরা শুধু তরমুজের ভেতরের লাল অংশটিই খেয়ে থাকি এবং বীজগুলো ফেলে দেই কিন্তু এর বীজ আমাদের দেহের জন্য অনেক উপকারী। শুকিয়ে ভেজে খেতে পারেন। অথবা রান্নায় ব্যবহার করতে পারেন। প্রচুর ভিটামিন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রনে ভরপুর তরমুজের বীজ আমাদের স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়তা করে। তরমুজের বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন যা চুলের জন্য অনেক বেশি কার্যকরী। এ ছাড়াও উপস্থিত অ্যামিনো এসিড চুল করে তোলে মজবুত। তরমুজের বীজে মেলানিন নামক পিগমেন্ট তৈরি করে যা চুলের রঙ কালো রাখতে সাহায্য করে। তাই তরমুজের বীজ ভাজা প্রতিদিন খাওয়ার অভ্যাস করলে চুল সাদা হওয়ার সমস্যাও দূর হবে।


https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl

শনিবার, ৫ মার্চ, ২০১৬


প্রকাশ্যে লোক ভাড়া করে ট্রাফিক পুলিশের চাঁদাবাজি

এইচ আই বাচ্চু,চট্টগ্রাম ব্যুরো,ক্রাইম ডায়রি আপডেট,৫/৩/২০১৬ইং,১০.৫.পিএম, www.crimediarybd.com///www.crimedi …
এ দৃশ্য শুধু চট্টগ্রামের নয় এ দৃশ্য যেন সারা বাংলার।এ দুর্ভোগ শুধু চট্টগামবাসীর নয় বাংলার সমগ্র জনতার। প্রকাশ্য দিবালোকে শুধু নয় রাতের আধারের দৃশ্য আরও ভয়াবহ।। চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে যানবাহন থামিয়ে চাঁদাবাজি করতে নতুল কৌশল অবলম্বন করছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক সার্জেন্ট ও কনস্টেবলরা। শুধু দূরপাল্লার মালবাহী গাড়ি থেকে চাঁদা আদায় করতে ট্রাফিক পুলিশের নিয়োগ দেওয়া শতাধিক টেন্ডল (চাঁদাবাজ) দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে দায়িত্ব পালন করছে।
ট্রাফিক পুলিশের এসব টেন্ডল একজন ট্রাফিক সার্জেন্টকে দিনভর চাঁদা আদায় করে দেন। ওই চাঁদাবাজদের দৈনিক ৫০০-৬০০ টাকা পরিশোধ করেন ট্রাফিক সার্জেন্টরা। ট্রাফিক পুলিশ কর্তৃক অলিখিত নিয়োগ পেয়ে এসব চাঁদাবাজ নগরীতে অনেকটা বেপরোয়া। নগরীর প্রতিটি মোড়ে মোড়ে পুলিশের হয়ে এদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়। কাজ চাঁদাবাজি হলেও ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তারা এদের নাম দিয়েছে ‘টেন্ডল’। আগে ট্রাফিক সার্জেন্টদের উপস্থিতিতে কনস্টেবলদের চাঁদা আদায় করতে দেখা গেলেও সেই দায়িত্ব পালন করছে এখন ভাড়া করা টেন্ডলরা।
চট্টগ্রাম নগরীর অলংকার মোড়, এ কে খান মোড়, বারিক বিল্ডিং মোড়, জিইসি মোড়, সিটি গেট মোড়, দুই নম্বর গেট, মুরাদপুর, আগ্রাবাদসহ নগরীর প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম মোড়ে টেন্ডলদের চাঁদাবাজি করতে দেখা যায়।
চট্টগ্রাম জেলা ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি শফিকুর রহমান অভিযোগ বলেন, ‘আগে ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্টরা কনস্টেবল পাঠিয়ে চাঁদা নিত। এখন সার্জেন্টদের নিয়োগ দেওয়া সাদা পোশাকধারী কিছু লোক মোড়ে মোড়ে গাড়ি থামিয়ে টাকা আদায় করে। টাকা নিয়ে তারা সার্জেন্টদের হাতে তুলে দেয়। নগরীর অলংকার মোড়, সিটি গেট, নয়া বাজার, জিইসি, নতুন ব্রিজ, কালুরঘাট, বহদ্দারহাট, সদরঘাট এলাকায় পুলিশের ভাড়া করা এসব লোক ব্যাপক চাঁদাবাজি করছে। এসব বিষয় নিয়ে বিভিন্ন সময়ে আমরা ট্রাফিকের ডিসির কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণসহ অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।’
সরেজমিন অনুসন্ধান : ২৭ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) বেলা সোয়া ১টা। চট্টগ্রাম নগরীর অলংকার মোড়। সড়কের পাশে দাঁড়ানো আছেন সার্জেন্ট সাহেদ ইকবাল, কনস্টেবল মনির ও আমিনুল এবং সাদা পোশাকে থাকা এক যুবক। সিটি গেট এলাকার দিক থেকে একটি খালি ট্রাক (ফেনী-ট-১১-০৩৮৮) আসতে দেখে থামার সংকেত দেন ট্রফিক পুলিশের কনস্টেবল আমিনুল। সঙ্গে সঙ্গে ট্রাকের চালকের কাছে এগিয়ে যান সাদা পোশাকধারী ব্যক্তি। তার হাতে ১০০ টাকার কয়েকটা নোট গুঁজে দেন চালক। ট্রাক চলে যাওয়ার পর সার্জেন্টের কাছে গিয়ে ওই টাকা দিয়ে আসেন সাদা পোশাকধারী ব্যক্তিটি। ট্রাক-কাভার্ডভ্যানের কাছ থেকে এভাবেই একের পর এক চাঁদা আদায় করতে দেখা নগরীর প্রতিটি মোড়ে।
অভিযোগ আছে, চট্টগ্রাম নগরীর সিটি গেট থেকে নিমতলা ছাড়া অন্যসব স্থানে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান চলাচলে পুলিশের নিষেধাজ্ঞা আছে। এই নিষেধাজ্ঞা না মেনে নগরীতে চলাচল করা গাড়ি থেকেই সবচেয়ে বেশি চাঁদা তোলা হয়। এ ছাড়া বেশিরভাগ গাড়ির কাগজপত্র ঠিক থাকে না। এমনকি অনেক চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স পর্যন্ত নেই। কারো কারো আবার লাইন্সেসের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে অনেক আগেই। এ অবস্থায় মামলার ভয়ে বেশির ভাগ চালকই ট্রাফিক পুলিশকে চাঁদা দিচ্ছেন।
অলংকার মোড়ে সাদা পোশাকে থাকা চাঁদা আদায়কারী ব্যক্তির নাম জসিম। তিনি বলেন, ‘দিনের বেলায় নগরীতে ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান ঢোকার নিয়ম নেই। এতে ট্রাকের মালিক-চালকদের ক্ষতি হয়। তারা যেহেতু দিনে ট্রাক চালাচ্ছে, তাই খুশি হয়ে কিছু টাকা দেন ট্রাফিক সার্জেন্টদের। গাড়ির চালকদের কাছ থেকে সেই টাকা সংগ্রহ করে আমরা সার্জেন্টের হাতে তুলে দেই।’
ট্রাক থেকে চাঁদা তুলে সার্জেন্টকে দেওয়ার মাধ্যমে আপনার লাভ কী? এ প্রশ্ন শুনে বিব্রত হন জসিম। তিনি বলেন, ‘এতে আমাদের তেমন একটা লাভ নেই। প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা তুলে দিই ট্রাফিক পুলিশ ও সার্জেন্টের হাতে। অথচ আমাকে কোনোদিন দেয় ৫০০, কোনোদিন ৬০০ টাকা দেয়।’ এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে কোনো কথা বলতে রাজি হননি ট্রাফিক সার্জেন্ট সাহেদ ইকবাল।
২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ মার্চ পর্যন্ত নগরীর জিইসি মোড়, বারিক বিল্ডিং, সিটি গেট, নয়া বাজার, সিমেন্ট ক্রসিং, নতুন ব্রিজ এলাকা ঘুরে যানবাহন থেকে চাঁদাবাজির দৃশ্য দেখা গেছে। ট্রাফিক পুলিশের হয়ে চাঁদা তোলা সাদা পোশাকের মানুষদের ‘টেন্ডল’ নামে চেনেন চালকরা। আবদুল আজিজ নামের একজন ট্রাকচালকের মতে, যারা পুলিশের পক্ষে টাকা তোলে তারাই টেন্ডল।
অনুসন্ধানে নেমে এ ধরনের বেশ কয়েকজন টেন্ডলের নাম পাওয়া গেছে। তারা বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক পুলিশের সদস্যদের পাশাপাশি অবস্থান নিয়ে সক্রিয় থাকেন। এর মধ্যে রয়েছেন- ২ নম্বর গেটে রহিম ও কামাল, অলংকার মোড়ে জসিম ও আমির, সিটি গেটে আনোয়ার, নয়া বাজারে সোহেল, সিমেন্ট ক্রসিংয়ে আফসার ও আকতার, বারিক বিল্ডিংয়ে শাহেদ ও সাহাবুদ্দিন, নতুন ব্রিজে রফিক ও হৃদয়, চাক্তাই চামড়ার গুদাম এলাকায় সুমন ওরফে লম্বা সুমন, সল্টগোলা ক্রসিংয়ে জহির ও জাবেদ, জিইসি মোড়ে দুলাল ও পুলিশের ভাগিনা নামে পরিচিত এক যুবক।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরীতে বন্দর ও উত্তর জোন দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে কার্যক্রম চালাচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ। একজন ট্রাফিক সার্জেন্ট নির্দিষ্ট একটি স্পটে এক সপ্তাহ দায়িত্ব পালন করেন। সপ্তাহের প্রতি রোববার নতুন স্পটে দায়িত্ব পান ট্রাফিক সার্জেন্টরা। এর ফলে কোনো কোনো টেন্ডলও নতুন নতুন জায়গায় চাঁদা তোলার জন্য চলে যান। অভিযোগ রয়েছে, ঘুরেফিরে ২০-২৫ জন ব্যক্তিকে ভাড়া করে ট্রাফিক পুলিশের কিছু সার্জেন্ট চাঁদা আদায় করছে। উত্তর জোনের ট্রাফিক সার্জেন্ট জামাল হোসেন মীর যেখানেই যান তার সাথে আমির ও কামাল নামের দুজন টেন্ডল চাঁদা আদায় করেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অর্থ, প্রশাসন ও ট্রাফিক) এ কে এম শহিদুর রহমান বলেন ক্রাইম ডায়রিকে বলেন, ‘দালাল নিয়োগ দিয়ে ট্রাফিক পুলিশের চাঁদাবাজির অভিযোগ যদি প্রমাণিত হয়, আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।’
শিক্ষিত পুলিশের নিয়োগ দেয়া এসব অশিক্ষিত রিক্সাচালক কিংবা ঐ শ্রেনীর মানুষেরা এখন নিজেকে পুলিশ ভেবে জড়িয়ে পড়ছে নানা অপরাধে। আর অপরাধ যদি হয়েই থাকে তবে টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া কেন??এমন প্রশ্ন এখন সুধীমহলে। টাকার বিনিময়ে যদি মুক্তি মিলে বিনা বিচারে তবে অপরাধ কমার কোন সম্ভবনাই থাকেনা বলে মনে করেন অপরাধ বিশ্লেষকেরা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ক্রাইম ডায়রি পরিবারের নির্বাহী পরিচালক ও ক্রাইম ডায়রির বার্তা প্রধান, বিশিষ্ট অপরাধবিশেষজ্ঞ জনাব আতিকুল্লাহ আরেফিন রাসেল ক্রাইম ডায়রি এ প্রতিবেদককে বলেন, অপরাধ নিয়ন্ত্রন করতে হলে অপরাধী দের ন্যুনতমসাজার বিকল্প নেই। পুলিশের কাজে আরও গতি পেত যদি পুলিশ বাহিনী ছোট খাট অপরাধের জন্য নির্ধারিত সাজার ব্যবস্থা চালু রাখতেন। তাতে বড় অপরাধ সংগঠিত হবার মাত্রা কমে যেত বলে তিনি মনে করেন।।।
Comments
National weeklycrime diary
Write a comment...
www.criemdiarybd.com....শেয়ার করুন ,,লাইক দিন..ক্রাইম ডায়রি পরিবারের সাথে থাকুন।।
https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl

 সিরাজদিখানে ইয়াবা লর্ড আটক

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি,ক্রাইম ডায়রি,আপডেট ৫/৩/২০১৬ইং,শনিবার,১০.২২পি এম, www.crimediarybd.com//www.crimediarybd.blogspot.com:

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে একজন মাদক সম্রাটকে আটক করেছে সিরাজদিখান থানা পুলিশ।গত শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চিকনসার এলাকা থেকে ২১ পিস ইয়াবাসহ তাকে আটক করা হয়। আটককৃতের নাম তারেক হোসেন(৩৮)। ধৃত ব্যক্তি চিকনসার গ্রামের মৃত হাজী সাত্তার শেখের ছেলে।
থানা সুত্রে জানা গেছে এস আই রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি চৌকস দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে চিকনসার মসজিদের সামনে থেকে তাকে ইয়াবা সহ গ্রেফতার করে। সে দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকার যুবকদের মাঝে ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রি করে আসছিল। সিরাজদীখান থানার এস আই রহমান ক্রাইম ডায়রির প্রতিনিধিকে জানান ধৃতের বিরুদ্ধে থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা করা হয়েছে। বর্তমানে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এলাকাবাসীর দাবী যুব সমাজকে ধ্বংসকারী মরননেশা ইয়াবার ব্যবসায়ীদের যেন সঠিকসাজা হয়।

https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl