জাতীয় সাপ্তাহিক ক্রাইম ডায়রি একটি অপরাধ বিষয়ক পত্রিকা।।

national weeklycrime diary

national weeklycrime diary
ক্রাইম ডায়রি(জাতীয় সাপ্তাহিক, অনলাইনদৈনিক, অনলাইন টেলিভিশন ও অপরাধ গবেষণা )

শুক্রবার, ২৯ এপ্রিল, ২০১৬


বগুড়ার ধনকুন্ডীতে আছেফুদ্দৌলা রেজা ইসলামী সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতা উদযাপিত

বগুড়ার ধনকুন্ডীতে আছেফুদ্দৌলা রেজা ইসলামী সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতা উদযাপিত

13084108_923906447708252_1606700035_n
মঞ্চে উপবিষ্ট প্রধান অতিথি আইয়্যুব উদ দ্দৌলা বেনু,আশরাফ উদ্দিন সরকার মুকুল,সভাপতি জনাব শামসুল হক,রফিকুল ইসলাম টিপু,গ্রাম্য প্রশাসক মোকসেদ মন্ডল ও মাওলানা শিবলী আহম্মেদ প্রমুখ।
জাকির হোসেন রণিঃ
আছেফুদ্দৌলা রেজা একটি নাম। একটি ইতিহাস। একজন অতিমানবীয় গুনাবলী নিয়ে জন্ম নেয়া আন্তর্জাতিক মানের কৃতি সাংবাদিক। বগুড়ার ঐতিহ্যবাহী ফুডভিলেজখ্যাত ধনকুন্ডী গ্রামের মাটি আজ যাকে নিয়ে গর্ব করে। গর্ব করে একজন দেশবরেণ্য সাংবাদিককে ধারণ করতে পেরে। ধনকুন্ডী গ্রামের জমিদার বাড়ির একটি অন্যরকম ঐতিহ্য আছে। আছে একটি অন্যরকম ইতিহাস। এই গ্রামের কৃতি সন্তান রা আজ সমাজের ,দেশের,আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নানা অবদানে অবদিত। জনতার নির্বাচনে বার বার নির্বাচিত জননেতা গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ এর সুনামধন্য প্রতিষ্ঠান ফুডভিলেজ লিঃ এর নামে আধুনিক ধনকুন্ডী পরিচিত হলেও আছেফুদ্দৌলা রেজা নামেই বগুড়াবাসীকে তথা ধনকুন্ডীকে চেনেন অনেক আন্তর্জাতিক মানের সাংবাদিক। এই গ্রামের প্রতিষ্ঠান ক্রাইম ডায়রি,দৈনিক কালের ছবি ও বিটিভির অপরাধ বিষয়ক অনুষ্ঠান ক্রাইম ডায়রির উপদেষ্টা এবং ভিকটিম সাপোর্ট এন্ড হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট চিত্ত রঞ্জন তালুকদার বলেন,শুধু মাত্র আছেফুদ্দৌলা রেজার গ্রাম বলেই জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানের এই প্রতিষ্ঠানগুলির উত্তরাঞ্চলীয় কার্যালয় এই গ্রামেই স্থাপন করা হচ্ছে। এছাড়া জাতীসংঘ কর্তৃক স্বীকৃত আন্তর্জাতিক মানের আন্দোলন গ্রামে চল এর প্রধান কার্যালয় ও এই গ্রামে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে শুধু আছেফুদ্দৌলা রেজা স্মরণে। আজ ২৯ শে এপ্রিল তারই স্মরনে এই গ্রামের মাটিতে অনুষ্ঠিত হলো ইসলামী  সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতা।
13101254_923906644374899_902593923_n
অনুষ্ঠানে গুরুত্বপুর্ণ বক্তব্য দিচ্ছেন জনাব নাজিমুদ্দৌলা নান্নু।
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন,আছেফুদ্দৌলা রেজার সুযোগ্য ছোট ভাই বিশিষ্ট ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব  জনাব  নাজিমুদ্দৌলা নান্নু। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবক জনাব  আইয়্যূব উদ দ্দৌলা বেনু । আর ও উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও ধনকুন্ডী বাসির গর্ব জননেতা আশরাফ উদ্দিন সরকার  মুকুল,সমাজসেবক জনাব গোলাম মাহবুব সরকার প্যারিস,সমাজসেবক রফিকুল ইসলাম টিপু,গ্রাম প্রশাসক জনাব শাহাদাতা হোসেন ফকিরসহ গ্রামের ও আশেপাশের গ্রাম এবং শেরপুর বগুড়ার বিভিন্ন প্রান্ত হতে আগত গুরুত্বপুর্ণ ব্যাক্তিবর্গ। অনুষ্ঠান সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ব্যাক্তিত্ব জনাব মুহাম্মদ শামসুল হক প্রিন্সিপাল সাহেব। অনুষ্ঠান শেষে প্রতিযোগীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
13101379_923906501041580_745958533_n
পুরস্কার বিতরণ করছেন গ্রাম প্রশাসক ও সমাজ সেবক জনাব ফরহাদ হোসেন সরকার
13115671_923906597708237_840341047_n
পুরস্কার বিতরণ করছেন বিশিষ্ট রাজনীতি বিদ জনাব আশরাফ উদ্দিন সরকার মুকুল।
https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl

শনিবার, ১২ মার্চ, ২০১৬


 বাংলার তরমুজে আছে একশ ভায়াগ্রার শক্তি



আজহারুল ইসলাম : বাজারে তরমুজের আমদানী শুরু হয়েছে কিন্তু কিছু অসৎ ব্যবসায়ীর অধিক মুনাফার আশায় এই স্বুসাদু ফল আজ সচেতন মানুষের কাছে আতঙ্ক। প্রথমেই নেতিবাচক মন্তব্য দিয়ে শুরু করতে বাধ্য হচ্ছি কারণ ক্রেতা আকৃষ্ট করার জন্য ইঞ্জেকশনের সুই দিয়ে তরমুজের ভেতরে পুশ করা হয় কৃত্রিম রঙ ও স্যাকারিন যা মানবদেহের জন্য কার্সিনোজেনিক। এ ছাড়া গ্যাস লাইটে ব্যবহৃত ইথিলিন তরমুজে দেয়া হয় লাল করার জন্য। এই তরমুজ খেয়ে ডায়রিয়া, বমি ও জ্বর হয়। বেশি খেলে এমনকি মৃত্যুও হতে পারে। তরমুজ ছাড়াও অন্যান্ন ফলেও ব্যবহার হচ্ছে বিভিন্ন প্রকার রাসায়নিক যা মানবদেহের জন্য হুমকিস্বরূপ। ফল পাকাতে সর্বাধিক প্রচলিত কেমিকেল হলো ক্যালসিয়াম কার্বাইড। এর ব্যবহারে মানবদেহের অপুরণীয় ক্ষতি সাধিত হয়।

ক্যালসিয়াম কার্বাইড সাধারণত স্টিল মিলে, ওয়েল্ডিংয়ের কাজে এবং আতশবাজি বা ছোট বোমা বানানোর কাজে ব্যবহার করা হয়। অসাধু ব্যবসায়ীরা এটিকে বিভিন্ন ফল পাকানোর কাজে ব্যবহার করে থাকে। ক্যালসিয়াম কার্বাইড পানি বা জলীয় বাষ্পের সঙ্গে মিশে ক্যালসিয়াম হাইড্রোক্সাইড ও এসিটাইলিন গ্যাস সৃষ্টি করে। এই এসিটাইলিন গ্যাস ইথিলিনের মতো কাজ করে। ফলে সহজেই আমসহ যে কোনো কাঁচা ফল পেকে যায়। ক্যালসিয়াম কার্বাইড দামে খুব সস্তা হওয়ায় দেশের ফল ব্যবসায়ীরা অজ্ঞতাবশত বা অতি মুনাফার লোভে সহজলভ্য ক্যালসিয়াম কার্বাইড দিয়ে ফল পাকিয়ে থাকে।

সাধারণত ক্যালসিয়াম কার্বাইড পানিতে মিশিয়ে সেই পানিতে ফল ভেজানো হয় বা ফলে স্প্রে করা হয়। ক্যালসিয়াম কার্বাইড পানির সঙ্গে মিশে এসিটিলিন নিঃসৃত করে ফল পাকিয়ে দিচ্ছে। একই সঙ্গে ক্যালসিয়াম কার্বাইড ফলের ত্বকে বিদ্যমান লেন্টিসেল ভেদ করে ফলের ভেতরে শাসে ঢুকে যায়। এই ক্যালসিয়াম কার্বাইডে মারাত্মক বিষ হিসেবে মিশ্রিত থাকে আর্সেনিক ও ফসফরাস। এই আর্সেনিক ও ফসফরাস ফলের ভেতর ঢুকে যায় ও ফল পাকার পরও ভেতরে এই আর্সেনিক ও ফসফরাস থেকে যায়। এই ফল খাওয়ার পর ক্যান্সার, মুখের প্রদাহ, ফুসফুসের সমস্যা, বিকলাঙ্গ ও মানসিক প্রতিবন্ধী বাচ্চার জন্ম এবং এবোরশানের মত ভয়াবহ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।

ফল পাকার সময় হলে প্রাকৃতিকভাবে ফলে ইথিলিনের পরিমাণ বেড়ে যায়। ইথিলিন ফলের এক ধরনের এনজাইম নিঃসৃত করে যাকে ‘এমাইলেজ’ বলে। এমাইলেজের কাজ হলো ফলের জটিল শর্করাকে বিভাজন করে সাধারণ শর্করা বা সুক্রোজ এবং ফ্রুক্টোজে রূপান্তরিত করা। ফলে ফল নরম ও সুস্বাদু হয়। পেক্টিনেজ এনজাইমের কাজ হলো ফলের ত্বককে নরম করা। পাশাপাশি ত্বকের ক্লোরোফিল (যা সবুজ রঙ দেয়) পরিবর্তিত হয়ে কেরোটিনয়েড হয়ে যায়, ফলে ফলের রঙ বদলে পাকা বা হলুদ রঙ ধারণ করে। এই প্রাকৃতিক ইথিলিনের কাজটা যখন ক্যালসিয়াম কার্বাইড ব্যবহার করে করা হয় তখন ফল বিষে রূপান্তরিত হয়।

যাই হোক তরমুজ নিয়ে লিখতে গিয়ে কৃত্রিম উপায়ে ফল পাকানোর ব্যাপারটা তুলে না এনে পারলাম না কারণ আমরা কিছু অসৎ লোকের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছি, জনস্বাস্থ্য আজ হুমকির মুখোমুখি। বাজার থেকে সহজলভ্য ও পুস্টিগুণসম্পন্ন ফল কেনার সময় এক পা এগিয়ে দুপা পিছিয়ে আসতে হয়। আমরা কতই না অসহায়! তরমুজের জন্মস্থান আফ্রিকা কিন্তু বর্তমানে সারা পৃথিবীতে এর দেখা মিলে। Watermelon নামটাও আফ্রিকানদের দেওয়া। এমন নামকরণের কারণ হলো অভিযাত্রীরা একে পানির বিকল্প উৎস হিসেবে ব্যবহার করতো। এর বহিরাবরণ খুবই পুরু ও ভৈতরে সুমিষ্ট পানি সমৃদ্ধ হওয়ায় অভিযাত্রীরা একে পানির আধার হিসেবে সাথে রাখত পিপাসা মেটানোর জন্য।

১৯৯৮ সালে বিশ্বের নামকরা যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ সিলডিনিফিল সাইট্রেট আবিষ্কার করে সারা দুনিয়াতে আলোড়ন সৃস্টি করে। উচ্চ রক্তচাপে ব্যবহারের ফলে কিছু সাইড এফেক্ট দেখা দেয়। যাই হোক পরবর্তীতে আবিষ্কৃত ওষুধটি ইন্ডিগেশনে (এখানে উচ্চ রক্তচাপ) ব্যবহার না হয়ে সাইড এফেক্টে ব্যবহার হচ্ছে, ফলে এখন এর সাইড ইফেক্টটাই হলো প্রধান ইন্ডিগেশান। আগেই বলেছি সিলডিনিফিল সাইট্রেট আবিষ্কারের পর দুনিয়াতে আলোড়ন সৃস্টি হয়ে গিয়েছিল। এর শেয়ারের দাম বেড়ে আকাশচুম্বি হয়ে গিয়েছিল। সারা দুনিয়ার গনমাধ্যমগুলো ফলাও করে প্রচার করেছিল এই সাফল্য। প্রিয় পাঠক সিলডিনিফিল সাইট্রেটের বাণিজ্যিক নাম হচ্ছে ভায়াগ্রা। এত ভূমিকা দিলাম এই কারণে তরমুজে যে উপাদান পাওয়া যায় তা ভায়াগ্রার মতই কার্যকর। বিজ্ঞানীরাও তাই দাবি করেছেন, অর্থাৎ ভায়াগ্রার মতোই কার্যকর হচ্ছে তরমুজ।



তরমুজে সিট্রোলিন নামের অ্যামাইনো অ্যাসিডের পরিমাণ এতো বেশি যে, যা আগে বিজ্ঞানীরা ধারণাও করতে পারেননি। কারণ বিজ্ঞানীরা মনে করতেন, সিট্রোলিন সাধারণত ফলের অখাদ্য অংশেই বেশি থাকে। সাম্প্রতিক গবেষণায় বিজ্ঞানীরা স্বীকার করেছেন তরমুজে সিট্রোলিন আছে, এটা আমাদের জানা কথা। কিন্তু এটা জানতাম না যে, সিট্রোলিনের পরিমাণ তাতে এতো বেশি থাকতে পারে। গবেষকরা ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, মানবদেহ সিট্রোলিনকে আরজিনিনিন নামের যৌগ পদার্থে রূপান্তরিত করে। আরজিনিনিন হচ্ছে ভিন্ন মাত্রার অ্যামাইনো অ্যাসিড, যা নাইট্রিক অ্যাসিডের অগ্রদূত হিসেবে কাজ করে। আবার নাইট্রিক অ্যাসিড দেহের রক্তবাহী শিরা বা ধমনীর প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর রক্তবাহী শিরা বা ধমনীর প্রসারণের কারণেই মানুষের বিশেষ অঙ্গটি সক্রিয় হয়। আর ভায়াগ্রাও (সিলডিনিফিল সাইট্রেট) দেহের নাইট্রিক অ্যাসিডকে সক্রিয় করার মাধ্যমে কৃত্রিম পন্থায় দেহে জৈবিক উত্তেজনা সৃষ্টি করে। তবে বিজ্ঞানীরা এখনো নিশ্চিত হতে পারেননি, জৈবিক তাড়না সৃষ্টি করতে একজন অক্ষম পুরুষকে ঠিক কত পরিমাণ তরমুজ গিলতে হবে।

তরমুজ আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। তরমুজে আছে প্রচুর ভিটামিন-এ। আর এটি ত্বকের সুস্থতা রক্ষায় প্রয়োজনীয়। এ ছাড়া এটি ভিটামিন সি-এরও উৎস, যা ত্বকের কোলাজেন কলারের নমনীয়তা বজায় রাখে ও ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করে। এক কাপ তরমুজ কুচিতে আপনি পেয়ে যাবেন সারা দিনের চাহিদার ২১ শতাংশ ভিটামিন-সি এবং ১৭ শতাংশ ভিটামিন-এ। সবচেয়ে বড় কথা, এই গরমে ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষা করা খুবই দরকার। আর তরমুজে ৯২ শতাংশই পানি। গরমে তরমুজ খেলে তাই ত্বকের আর্দ্রতা নষ্ট হবে না। সব মিলিয়ে বলা যায়, ত্বকের সুস্থতার জন্য তরমুজ মোটামুটি অপরিহার্য।

আমরা শুধু তরমুজের ভেতরের লাল অংশটিই খেয়ে থাকি এবং বীজগুলো ফেলে দেই কিন্তু এর বীজ আমাদের দেহের জন্য অনেক উপকারী। শুকিয়ে ভেজে খেতে পারেন। অথবা রান্নায় ব্যবহার করতে পারেন। প্রচুর ভিটামিন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রনে ভরপুর তরমুজের বীজ আমাদের স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়তা করে। তরমুজের বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন যা চুলের জন্য অনেক বেশি কার্যকরী। এ ছাড়াও উপস্থিত অ্যামিনো এসিড চুল করে তোলে মজবুত। তরমুজের বীজে মেলানিন নামক পিগমেন্ট তৈরি করে যা চুলের রঙ কালো রাখতে সাহায্য করে। তাই তরমুজের বীজ ভাজা প্রতিদিন খাওয়ার অভ্যাস করলে চুল সাদা হওয়ার সমস্যাও দূর হবে।


https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl

শনিবার, ৫ মার্চ, ২০১৬


প্রকাশ্যে লোক ভাড়া করে ট্রাফিক পুলিশের চাঁদাবাজি

এইচ আই বাচ্চু,চট্টগ্রাম ব্যুরো,ক্রাইম ডায়রি আপডেট,৫/৩/২০১৬ইং,১০.৫.পিএম, www.crimediarybd.com///www.crimedi …
এ দৃশ্য শুধু চট্টগ্রামের নয় এ দৃশ্য যেন সারা বাংলার।এ দুর্ভোগ শুধু চট্টগামবাসীর নয় বাংলার সমগ্র জনতার। প্রকাশ্য দিবালোকে শুধু নয় রাতের আধারের দৃশ্য আরও ভয়াবহ।। চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে যানবাহন থামিয়ে চাঁদাবাজি করতে নতুল কৌশল অবলম্বন করছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক সার্জেন্ট ও কনস্টেবলরা। শুধু দূরপাল্লার মালবাহী গাড়ি থেকে চাঁদা আদায় করতে ট্রাফিক পুলিশের নিয়োগ দেওয়া শতাধিক টেন্ডল (চাঁদাবাজ) দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে দায়িত্ব পালন করছে।
ট্রাফিক পুলিশের এসব টেন্ডল একজন ট্রাফিক সার্জেন্টকে দিনভর চাঁদা আদায় করে দেন। ওই চাঁদাবাজদের দৈনিক ৫০০-৬০০ টাকা পরিশোধ করেন ট্রাফিক সার্জেন্টরা। ট্রাফিক পুলিশ কর্তৃক অলিখিত নিয়োগ পেয়ে এসব চাঁদাবাজ নগরীতে অনেকটা বেপরোয়া। নগরীর প্রতিটি মোড়ে মোড়ে পুলিশের হয়ে এদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়। কাজ চাঁদাবাজি হলেও ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তারা এদের নাম দিয়েছে ‘টেন্ডল’। আগে ট্রাফিক সার্জেন্টদের উপস্থিতিতে কনস্টেবলদের চাঁদা আদায় করতে দেখা গেলেও সেই দায়িত্ব পালন করছে এখন ভাড়া করা টেন্ডলরা।
চট্টগ্রাম নগরীর অলংকার মোড়, এ কে খান মোড়, বারিক বিল্ডিং মোড়, জিইসি মোড়, সিটি গেট মোড়, দুই নম্বর গেট, মুরাদপুর, আগ্রাবাদসহ নগরীর প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম মোড়ে টেন্ডলদের চাঁদাবাজি করতে দেখা যায়।
চট্টগ্রাম জেলা ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি শফিকুর রহমান অভিযোগ বলেন, ‘আগে ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্টরা কনস্টেবল পাঠিয়ে চাঁদা নিত। এখন সার্জেন্টদের নিয়োগ দেওয়া সাদা পোশাকধারী কিছু লোক মোড়ে মোড়ে গাড়ি থামিয়ে টাকা আদায় করে। টাকা নিয়ে তারা সার্জেন্টদের হাতে তুলে দেয়। নগরীর অলংকার মোড়, সিটি গেট, নয়া বাজার, জিইসি, নতুন ব্রিজ, কালুরঘাট, বহদ্দারহাট, সদরঘাট এলাকায় পুলিশের ভাড়া করা এসব লোক ব্যাপক চাঁদাবাজি করছে। এসব বিষয় নিয়ে বিভিন্ন সময়ে আমরা ট্রাফিকের ডিসির কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণসহ অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।’
সরেজমিন অনুসন্ধান : ২৭ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) বেলা সোয়া ১টা। চট্টগ্রাম নগরীর অলংকার মোড়। সড়কের পাশে দাঁড়ানো আছেন সার্জেন্ট সাহেদ ইকবাল, কনস্টেবল মনির ও আমিনুল এবং সাদা পোশাকে থাকা এক যুবক। সিটি গেট এলাকার দিক থেকে একটি খালি ট্রাক (ফেনী-ট-১১-০৩৮৮) আসতে দেখে থামার সংকেত দেন ট্রফিক পুলিশের কনস্টেবল আমিনুল। সঙ্গে সঙ্গে ট্রাকের চালকের কাছে এগিয়ে যান সাদা পোশাকধারী ব্যক্তি। তার হাতে ১০০ টাকার কয়েকটা নোট গুঁজে দেন চালক। ট্রাক চলে যাওয়ার পর সার্জেন্টের কাছে গিয়ে ওই টাকা দিয়ে আসেন সাদা পোশাকধারী ব্যক্তিটি। ট্রাক-কাভার্ডভ্যানের কাছ থেকে এভাবেই একের পর এক চাঁদা আদায় করতে দেখা নগরীর প্রতিটি মোড়ে।
অভিযোগ আছে, চট্টগ্রাম নগরীর সিটি গেট থেকে নিমতলা ছাড়া অন্যসব স্থানে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান চলাচলে পুলিশের নিষেধাজ্ঞা আছে। এই নিষেধাজ্ঞা না মেনে নগরীতে চলাচল করা গাড়ি থেকেই সবচেয়ে বেশি চাঁদা তোলা হয়। এ ছাড়া বেশিরভাগ গাড়ির কাগজপত্র ঠিক থাকে না। এমনকি অনেক চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স পর্যন্ত নেই। কারো কারো আবার লাইন্সেসের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে অনেক আগেই। এ অবস্থায় মামলার ভয়ে বেশির ভাগ চালকই ট্রাফিক পুলিশকে চাঁদা দিচ্ছেন।
অলংকার মোড়ে সাদা পোশাকে থাকা চাঁদা আদায়কারী ব্যক্তির নাম জসিম। তিনি বলেন, ‘দিনের বেলায় নগরীতে ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান ঢোকার নিয়ম নেই। এতে ট্রাকের মালিক-চালকদের ক্ষতি হয়। তারা যেহেতু দিনে ট্রাক চালাচ্ছে, তাই খুশি হয়ে কিছু টাকা দেন ট্রাফিক সার্জেন্টদের। গাড়ির চালকদের কাছ থেকে সেই টাকা সংগ্রহ করে আমরা সার্জেন্টের হাতে তুলে দেই।’
ট্রাক থেকে চাঁদা তুলে সার্জেন্টকে দেওয়ার মাধ্যমে আপনার লাভ কী? এ প্রশ্ন শুনে বিব্রত হন জসিম। তিনি বলেন, ‘এতে আমাদের তেমন একটা লাভ নেই। প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা তুলে দিই ট্রাফিক পুলিশ ও সার্জেন্টের হাতে। অথচ আমাকে কোনোদিন দেয় ৫০০, কোনোদিন ৬০০ টাকা দেয়।’ এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে কোনো কথা বলতে রাজি হননি ট্রাফিক সার্জেন্ট সাহেদ ইকবাল।
২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ মার্চ পর্যন্ত নগরীর জিইসি মোড়, বারিক বিল্ডিং, সিটি গেট, নয়া বাজার, সিমেন্ট ক্রসিং, নতুন ব্রিজ এলাকা ঘুরে যানবাহন থেকে চাঁদাবাজির দৃশ্য দেখা গেছে। ট্রাফিক পুলিশের হয়ে চাঁদা তোলা সাদা পোশাকের মানুষদের ‘টেন্ডল’ নামে চেনেন চালকরা। আবদুল আজিজ নামের একজন ট্রাকচালকের মতে, যারা পুলিশের পক্ষে টাকা তোলে তারাই টেন্ডল।
অনুসন্ধানে নেমে এ ধরনের বেশ কয়েকজন টেন্ডলের নাম পাওয়া গেছে। তারা বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক পুলিশের সদস্যদের পাশাপাশি অবস্থান নিয়ে সক্রিয় থাকেন। এর মধ্যে রয়েছেন- ২ নম্বর গেটে রহিম ও কামাল, অলংকার মোড়ে জসিম ও আমির, সিটি গেটে আনোয়ার, নয়া বাজারে সোহেল, সিমেন্ট ক্রসিংয়ে আফসার ও আকতার, বারিক বিল্ডিংয়ে শাহেদ ও সাহাবুদ্দিন, নতুন ব্রিজে রফিক ও হৃদয়, চাক্তাই চামড়ার গুদাম এলাকায় সুমন ওরফে লম্বা সুমন, সল্টগোলা ক্রসিংয়ে জহির ও জাবেদ, জিইসি মোড়ে দুলাল ও পুলিশের ভাগিনা নামে পরিচিত এক যুবক।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরীতে বন্দর ও উত্তর জোন দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে কার্যক্রম চালাচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ। একজন ট্রাফিক সার্জেন্ট নির্দিষ্ট একটি স্পটে এক সপ্তাহ দায়িত্ব পালন করেন। সপ্তাহের প্রতি রোববার নতুন স্পটে দায়িত্ব পান ট্রাফিক সার্জেন্টরা। এর ফলে কোনো কোনো টেন্ডলও নতুন নতুন জায়গায় চাঁদা তোলার জন্য চলে যান। অভিযোগ রয়েছে, ঘুরেফিরে ২০-২৫ জন ব্যক্তিকে ভাড়া করে ট্রাফিক পুলিশের কিছু সার্জেন্ট চাঁদা আদায় করছে। উত্তর জোনের ট্রাফিক সার্জেন্ট জামাল হোসেন মীর যেখানেই যান তার সাথে আমির ও কামাল নামের দুজন টেন্ডল চাঁদা আদায় করেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অর্থ, প্রশাসন ও ট্রাফিক) এ কে এম শহিদুর রহমান বলেন ক্রাইম ডায়রিকে বলেন, ‘দালাল নিয়োগ দিয়ে ট্রাফিক পুলিশের চাঁদাবাজির অভিযোগ যদি প্রমাণিত হয়, আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।’
শিক্ষিত পুলিশের নিয়োগ দেয়া এসব অশিক্ষিত রিক্সাচালক কিংবা ঐ শ্রেনীর মানুষেরা এখন নিজেকে পুলিশ ভেবে জড়িয়ে পড়ছে নানা অপরাধে। আর অপরাধ যদি হয়েই থাকে তবে টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া কেন??এমন প্রশ্ন এখন সুধীমহলে। টাকার বিনিময়ে যদি মুক্তি মিলে বিনা বিচারে তবে অপরাধ কমার কোন সম্ভবনাই থাকেনা বলে মনে করেন অপরাধ বিশ্লেষকেরা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ক্রাইম ডায়রি পরিবারের নির্বাহী পরিচালক ও ক্রাইম ডায়রির বার্তা প্রধান, বিশিষ্ট অপরাধবিশেষজ্ঞ জনাব আতিকুল্লাহ আরেফিন রাসেল ক্রাইম ডায়রি এ প্রতিবেদককে বলেন, অপরাধ নিয়ন্ত্রন করতে হলে অপরাধী দের ন্যুনতমসাজার বিকল্প নেই। পুলিশের কাজে আরও গতি পেত যদি পুলিশ বাহিনী ছোট খাট অপরাধের জন্য নির্ধারিত সাজার ব্যবস্থা চালু রাখতেন। তাতে বড় অপরাধ সংগঠিত হবার মাত্রা কমে যেত বলে তিনি মনে করেন।।।
Comments
National weeklycrime diary
Write a comment...
www.criemdiarybd.com....শেয়ার করুন ,,লাইক দিন..ক্রাইম ডায়রি পরিবারের সাথে থাকুন।।
https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl

 সিরাজদিখানে ইয়াবা লর্ড আটক

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি,ক্রাইম ডায়রি,আপডেট ৫/৩/২০১৬ইং,শনিবার,১০.২২পি এম, www.crimediarybd.com//www.crimediarybd.blogspot.com:

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে একজন মাদক সম্রাটকে আটক করেছে সিরাজদিখান থানা পুলিশ।গত শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চিকনসার এলাকা থেকে ২১ পিস ইয়াবাসহ তাকে আটক করা হয়। আটককৃতের নাম তারেক হোসেন(৩৮)। ধৃত ব্যক্তি চিকনসার গ্রামের মৃত হাজী সাত্তার শেখের ছেলে।
থানা সুত্রে জানা গেছে এস আই রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি চৌকস দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে চিকনসার মসজিদের সামনে থেকে তাকে ইয়াবা সহ গ্রেফতার করে। সে দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকার যুবকদের মাঝে ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রি করে আসছিল। সিরাজদীখান থানার এস আই রহমান ক্রাইম ডায়রির প্রতিনিধিকে জানান ধৃতের বিরুদ্ধে থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা করা হয়েছে। বর্তমানে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এলাকাবাসীর দাবী যুব সমাজকে ধ্বংসকারী মরননেশা ইয়াবার ব্যবসায়ীদের যেন সঠিকসাজা হয়।

https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl

শনিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬



ময়মনসিংহে চেয়ারম্যানকে কুপিয়ে হত্যা

 শরীফা আক্তার স্বর্না ,ষ্টাফ রিপোর্টার,ক্রাইম ডায়রি,২৭/২/১৬,আপডেট ১০.২৫পি এম, www.crimediarybd.blogspot.com//www.crimediarybd.com:


ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার সহনাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দুলাল আহাম্মেদকে ঘুমের মধ্যে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা আজ শনিবার ভোররাতে সহনাটি ইউনিয়নের সোনাকান্দি গ্রামের নিজ বাড়িতে ঘটনা ঘটে
আহত চেয়ারম্যান দুলালকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে
ঘটনায় দুলালের তৃতীয় স্ত্রী সুরমীর নাহার সুমী বাদী হয়ে দুলালের দুই ভাই কাজল কাঞ্চন এবং তাঁর ছেলে উজ্জ্বলের নামে গৌরীপুর থানায় মামলা করেছেন
গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকতার মোর্শেদ মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে জানান, সোনাকান্দি গ্রামে নিজ বাড়িতে নিজ ঘরে ইউপি চেয়ারম্যান দুলাল আহাম্মেদ ঘুমিয়ে ছিলেন। ভোর রাতে তাঁর দুই ভাই ছেলে মিলে তাঁকে কুপিয়ে আহত করে। পরে দুপুরে তাঁর তৃতীয় স্ত্রী তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করেন

অন্যদিকে স্থানীয় লোকজন সাংবাদিকরা জানান, দুলালের তৃতীয় স্ত্রী সুরমির নাহার সুমী বেশ কিছুদিন আগে গৌরীপুর থানা পুলিশের হাতে ইয়াবাসহ আটক হন ঘটনার পর চেয়ারম্যান দুলাল তাঁকে আদালতের মাধ্যমে তালাক দেন এতে ক্ষিপ্ত হয়ে স্বামীকে হত্যার উদ্দেশে কুপিয়ে আহত করেন তিনি দুলালের ভাই ছেলেকে ফাঁসাতে মামলায় জড়িয়েছেন
গৌরীপুর থানার সহকারী পুলিশ সুপার সামসুজ্জামান বলেন, সুমি ইয়াবা ব্যবসা করতেন চেয়ারম্যানের সহায়তায়। পারিবারিক কলহের কারণে দুলাল আক্রান্ত হয়েছেন


https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl

 নেত্রকোনায় সাংবাদিক হত্যাঃ 

জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার নিন্দাজ্ঞাপন ও দ্রুত বিচার দাবী  

 শরীফা আক্তার স্বর্না ,ষ্টাফ রিপোর্টার,ক্রাইম ডায়রি,২৭/২/১৬,আপডেট ১০.২৫পি এম, www.crimediarybd.blogspot.com//www.crimediarybd.com: নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার কুতুবপুর গ্রামে দুর্বৃত্তদের হামলায় মুশফিকুর রহমান তুহিন (৩৮) নামের এক সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে এ ঘটনা ঘটে।
তুহিন সাপ্তাহিক ‘অপরাধজগত’-এর নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতেন। পূর্বশত্রুতার জের ধরে তাঁকে হত্যা করা হতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভোরে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে একদল সন্ত্রাসী তুহিনের বাড়িতে হামলা চালায়। তাদের আঘাতে আহত তুহিনকে গুরুতর অবস্থায় বারহাট্টা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। আটপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক আহম্মেদ বলেন, আসামিদের পরিচয় জানা যায়নি। হত্যার ঘটনায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এদিকে সাংবাদিক হত্যার কারনে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতীয় সাংবাদিক সংস্হার সম্মানিত সভাপতি ও সাংবাদিকদের অধিকার আন্দোলনের পুরোধা ব্যাক্তিত্ব মুহম্মদ আলতাফ হোসেন,দফতর সচিব মোঃ হেলাল উদ্দিন,অর্থ সচিব শাহাদাত হোসেন রিটন,যুগ্ম মহাসচিব কাজি সিরাজ,ক্রাইম ডায়রি বার্তা সম্পাদক ও জাতীয় গোয়েন্দা সাংবাদিক ইউনিটির মহাসচিব জনাব আতিকুল্লাহ আরেফিন রাসেল প্রমুখ । এক আলোচনা সভায় বক্তারা নেত্রকোনার আটপাড়ার নিহত সাংবাদিক মুশফিকুর রহমান তুহিনের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।


https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl

বুধবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬



এ বর্বরতার শেষ কোথায়? 

শিশু সোলায়মান হত্যার নিষ্ঠুর হত্যাকারী নির্মল দাস গ্রেফতার

কাজি সিরাজ ,ক্রাইম ডায়রি ,১৭ ফেব্রুয়ারী,২০১৬, আপডেট: ৯:৪৫ ,ঢাকা, www.crimediarybd.blogspot.com //www.crimediarybd.com:

বর্বরতার দিক দিয়ে আইয়ামে জাহেলিয়াতকেও ছাড়িয়ে গেল বাংলাদেশে মানবতা। ইদানিং কালে শিশু হত্যার বিষয়টি সেদিকেই ইঙ্গিত বহন করে। এনজিও থেকে নেওয়া ঋণের টাকার জামিনদার না হওয়ায় জেলার ভাঙারি ব্যবসায়ী মোকাররমের শিশুপুত্র সোলায়মানকে (৪) হত্যা করেছেন প্রতিবেশী সেলুন মালিক নির্মল রবিদাস।
গ্রেফতার হওয়া নির্মল রবিদাস (৩০) র‌্যাব-১-এর কাছে এ স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। রবিদাস নেত্রকোনার রামচরণ দাসের ছেলে এবং গাজীপুর সিটি করপোরেশনের আউটপাড়া এলাকার ‘ঈশিতা হেয়ার কাটিং’ সেলুনের মালিক।
মঙ্গলবার রাতে র‌্যাব-১-এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রবিদাস কিছুদিন আগে একটি এনজিও থেকে ঋণ নিতে চেয়েছিলেন এবং এই ঋণের জামিনদার হতে মোকাররমকে অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু তিনি জামিনদার না হওয়ায় তিনি প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত হন।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত শনিবার বিকেলে মোকাররমের শিশুপুত্র সোলায়মান তার দোকানে এলে নির্মল দোকানের শাটার বন্ধ করে দেন এবং শিশুটিকে গলা টিপে হত্যা করেন। এরপর লাশ পুরোনো কাপড় দিয়ে পেঁচিয়ে বাজারের ব্যাগে ঢুকিয়ে রিকশাযোগে কোনাবাড়ী যান। এরপর রিকশা বদল করে আরেকটি রিকশায় উঠে কাশিমপুর এলাকার সুরাবাড়ি (ডিবিএল গ্রুপের নির্মাণাধীন কারখানার নিকট) বাঁশঝাড়ের ভেতর ফেলে দিয়ে চলে আসেন।
এদিকে সোমবার বিকেলে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সুরাবাড়ি এলাকার বাঁশঝাড় থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার করে জয়দেবপুর থানা-পুলিশ। রাতে শিশুর স্বজনরা গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ মর্গে শিশুটির লাশ শনাক্ত করেন।
সোলায়মানের হত্যাকারীকে ধরার জন্য ব্যাপক কার্যক্রম শুরু করে র‌্যাব। মঙ্গলবার ভোরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিউল ইসলামের নেতৃত্বে একটি বিশেষ দল অভিযান চালিয়ে আউটপাড়া এলাকার ঈশিতা হেয়ার কাটিং সেলুনের মালিক নির্মল রবিদাসকে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদে নির্মল সোলায়মানকে অপহরণ ও হত্যার কথা স্বীকার করেন।
প্রসঙ্গত, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের চান্দনা চৌরাস্তা আউটপাড়া এলাকার ভাঙারি ব্যবসায়ী মোকাররমের একমাত্র ছেলে সোলায়মান গত শনিবার বিকেলে দোকানের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। পরে মোকাররম বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেন। ওই রাতে তার মোবাইলে অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তি ফোন করে দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। মুক্তিপণ না দিলে তার শিশুকে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেন। পরে এ ব্যাপারে মোকাররম জয়দেবপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি এবং র‌্যাব-১, উত্তরা, ঢাকায় একটি অভিযোগ করেন।
https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl,www.crimediarybd.com

সোমবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০১৬



প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান, স্কুলছাত্রীর ওপর হামলা

রাজু ,ঝালকাঠি সংবাদদাতা ,ক্রাইম ডায়রি ,২৫ জানুয়ারি ২০১৬, আপডেট: ৯:২৬ ,ঢাকা, www.crimediarybd.blogspot.com //www.crimediarybd.com:


প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলায় এক স্কুলছাত্রীকে প্রকাশ্যে মারধর করেছে বখাটেরা। গতকাল রোববার দুপুরে রাজাপুরের আদাখোলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহত অবস্থায় ওই স্কুলছাত্রীকে রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। আহত স্কুলছাত্রী স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী।
পুলিশ জানায়, বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে দীর্ঘদিন ধরে ওই স্কুলছাত্রীর প্রতিবেশী বখাটে সাইফুল ইসলাম তাকে উত্ত্যক্ত করছিল। সাইফুল প্রেমের প্রস্তাব দিলে ওই ছাত্রী তা প্রত্যাখ্যান করে। রোববার দুপুরে বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পথে সাইফুল ও তার দুই সহযোগী জুয়েল হাওলাদার ও জুয়েল হোসেন পথ আটকে স্কুলছাত্রীকে মারধর শুরু করে। একপর্যায়ে ওই স্কুলছাত্রী অচেতন হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। খবর পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে খবর দেয়। বিকেলে ছাত্রীর অবস্থার অবনতি হলে পরিবারের লোকজন রাজাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, স্কুলছাত্রীর কানে ও মাথায় আঘাত করা হয়েছে। তবে সে শারীরিক আঘাতের চেয়েও মানসিকভাবে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুনীর উল গিয়াস জানান, এ ঘটনায় ওই স্কুলছাত্রীর মা একটি মামলা করেছেন। ঘটনার পর থেকেই আসামিরা পলাতক। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান ওসি।

https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl

ডি এম পির রামপুরা থানা পুলিশের সাফল্য,০২ খুনী গ্রেফতার

শাহাদাত হোসেন রিটন ,ক্রাইম ডায়রি ,২৫ জানুয়ারি ২০১৬, আপডেট: ৯:২৯ ,ঢাকা, www.crimediarybd.blogspot.com //www.crimediarybd.com:
রাজধানীর রামপুরা এলাকায় গৃহকর্তা ও গৃহকর্তীর নির্যাতনে প্রাণ হারান মুন্নী নামের একজন গৃহকর্মী। পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায় , গৃহকর্মী মুন্নী রামপুরা থানাধীন বনশ্রীর বাসা-৩৫, রোড-৪, ব্লক-ডি, ঠিকানার বাসায় দীর্ঘদিন যাবৎ ঝিয়ের কাজ করে আসছিল । গত ২৪/০১/২০১৬ তারিখ মুন্নীর মা নজিবা বেগম মোবাইল ফোনে তার মেয়ে মুন্নীর মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে ঢাকায় আসেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে মেয়ে মুন্নীর লাশ সনাক্ত করেন। এরপর তিনি মুন্নীর গৃহকর্তাকে মৃত্যুর কারন জিজ্ঞেস করলে তারা বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চেষ্টা করেন। তখন তিনি আশপাশের বাসিন্দা ও দোকানীদের নিকট হতে জানতে পারেন , গত ৫/৭ দিন থেকে গৃহকর্ত্রী নাজমুন নাহার হাসনা ও গৃহকর্তা আবু ইউসুফ তার মেয়েকে শারিরিকভাবে নির্যাতন করে আসছিল।তার মেয়ে মুন্নী চিৎকার তারা শুনেছে এবং মুন্নী সুযোগ পেলেই জানালা দিয়ে ইশারা করে কখনও পাশের বাসিন্দাদের নিকট ও স্থানীয় দোকানদারের নিকট তার নির্যাতনের কথা কথায় কথায় বলেছিল। এরপর মুন্নীর লাশ পাওয়া যায়। মুন্নীর মায়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে রামপুরা থানার বনশ্রী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কাজের মেয়ে হত্যাকারী ২ জন কে গ্রেফতার করেছে রামপুরা থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের নাম গৃহকর্ত্রী নাজমুন নাহার হাসনা ও গৃহকর্তা আবু ইউসুফ।
রামপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ এর নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়

https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl



মোবাইল ফোনে প্রতারণাকারী ওয়েলকাম পার্টির ১ সদস্য গ্রেফতার

আফজাল হোসেন তপন ,ক্রাইম ডায়রি ,২৫ জানুয়ারি ২০১৬, আপডেট: ৯:৪৫ ,ঢাকা, www.crimediarybd.blogspot.com //www.crimediarybd.com:
মোবাইল ফোনে মিথ্যা মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানীর পরিচয় দিয়ে লটারী পেয়েছেন বলে অবলা এবং সরল মানুষের পকেট হতে টাকা হাতিয়ে নেয়া চক্রের হোতাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। ডি এম পি মিডিয়া সুত্রে জানা গেছে,ডিসি (ডিবি-পূর্ব) মোঃ মাহবুব আলম পিপিএম এর নির্দেশনায়, এডিসি এ এইচ এম আবদুর রকিব পিপিএম এর তত্ত্বাবধানে সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার মাঈনুল ইসলাম পিপিএম এর নেতৃত্বে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানাধীন রহমান কমপ্লেক্স এ অভিযান পরিচালনা করে মোবাইল ফোনে প্রতারণাকারী ওয়েলকাম পার্টির অন্যতম হোতা মোঃ শিপন মোল্লাকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশের এই দলটি । বিভিন্ন সময় পত্রিকায় এ জাতীয় সংবাদ পুলিশের দৃষ্টি গোচর হলে জনগণের বন্ধু পুলিশ সাধারন মানুষকে এ প্রতারণা থেকে মুক্তিদিতে বদ্ধপরিকর হয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগের পুলিশের চৌকস কর্মকর্তাদের এই দলটি একটি লিংক ধরে নিজস্ব গোয়েন্দা সংবাদের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় গ্রেফতারকৃতের হেফাজত হতে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত এজেন্ট মোবাইল ও ডেইলী ট্রানজেকশন রেজিস্টার উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা একটি চক্রের মাধ্যমে এ কাজ পরিচালনা করে। তারা পরষ্পর যোগসাজসে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে মোবাইল ফোনে প্রতারণা মূলকভাবে মিথ্যা লটারীর তথ্য প্রদান করে বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট থেকে অর্থ আত্মসাৎ করে থাকে।
উল্লেখ্য, জনৈক মিসেস মনোয়ারা ভূইয়া’র নিকট থেকে মোবাইলে প্রতারণার মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে প্রায় ৬,০৯,০০০/-টাকা আত্মসাৎ করেছে। এ সংক্রান্তে রাজধানী ঢাকার ওয়ারী থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। প্রতারণার সাথে জড়িত অপর প্রতারকদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।


https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl


সিরাজগঞ্জে পুলিশের ফোন নিয়ে প্রতারণা,যুবক গ্রেফতার

মাসুদ রানা শান্ত,সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি,ক্রাইম ডায়রি ,২৫ জানুয়ারি ২০১৬, আপডেট: ৯:০৯ ,ঢাকা, www.crimediarybd.blogspot.com //www.crimediarybd.com:

সিরাজগঞ্জে উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) ও পুলিশ সুপারের মুঠোফোনের সরকারি নম্বরের সঙ্গে মিল রেখে অন্য নম্বর দিয়ে ফোন করে প্রতারণা করার দায়ে আবদুল মমিন (৩৫) নামের এক যুবককে এক বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ রোববার উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সন্দীপ কুমার সাহা এ দণ্ডাদেশ প্রদান করেন। এর আগে সকালে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) ও সলঙ্গা থানা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল ইউনিয়নের চকপাড়ার নিজবাড়ী থেকে মমিনকে আটক করে।
পুলিশ সুপার মো. মিরাজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, আটক যুবক রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি ও আমার সরকারি মোবাইল নম্বরের (গ্রামীণফোন) হুবহু ডিজিটের এয়ারটেল নম্বর সংগ্রহ করে বিভিন্ন থানার পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছে ফোন দিয়ে প্রতারণা করছিল। বিষয়টি নজরে এলে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে মমিনকে আটক করা হয়।



https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl