জাতীয় সাপ্তাহিক ক্রাইম ডায়রি একটি অপরাধ বিষয়ক পত্রিকা।।

national weeklycrime diary

national weeklycrime diary
ক্রাইম ডায়রি(জাতীয় সাপ্তাহিক, অনলাইনদৈনিক, অনলাইন টেলিভিশন ও অপরাধ গবেষণা )

শনিবার, ২৯ আগস্ট, ২০১৫



মানুষের লোভের শিকাড় ১১০০ বাঙ্গালীর জীবন

মোঃ ওমর ফারুক রবিন,ক্রাইম ডায়রি,২৯/৮/১৫ইং,ঢাকাঃ

লোভ মানুষের জন্য সর্বনাশা হতে পারে তার প্রমান ২০১৪ সালের জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত সময়ে প্রায় এক হাজার একশ জনের বেশি বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গা মারা গেছে বিদেশ যাবার প্রতিযোগীতায়। এছাড়া চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত অনাহারে, পানিশূন্যতায়, রোগে এবং পাচারকারীদের নির্যাতনের শিকার হয়ে জাহাজ থেকে পালিয়ে সমুদ্রে ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে। জাতিসংঘের উদ্বাস্তুবিষয়ক সংস্থা গতকাল এ তথ্য জানায়। জাতিসংঘ উদ্বাস্তুবিষয়ক সংস্থা এপ্রিল-জুন মাসের ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে জানায়, জাহাজ থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় অনেক মানুষ ডুবে মারা যায় ও অনেকে নিখোঁজ হয়। এশিয়ার অভিবাসী সমস্যা পর্যবেক্ষণকারী মালয়েশিয়ায় অবস্থিত অঞ্চলভিত্তিক এনজিও ক্যারাম এশিয়া গত জুন মাসে জানায়, অনুমানিক পাঁচ শতাধিক বাংলাদেশি নিখোঁজ রয়েছে। মে মাসের প্রথম দিকে থাই কর্তৃপক্ষ অবৈধ অভিবাসী প্রবেশ বন্ধের জন্য অভিযানে নামলে এবং থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া নৌকায় ভাসমান এ উদ্বাস্তুদের নিজের দেশে স্থান না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর এসব মানুষ মারা যান। কিছু কিছু ক্ষেত্রে মানবপাচারকারীদের পরিত্যক্ত কিছু জাহাজ অভিবাসীসহ গভীর সমুদ্রে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরে অবশ্য এ দেশগুলো প্রায় চার হাজার বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেছে। জাতিসংঘ উদ্বাস্তু সংস্থা বলেছে, মে মাসে সমুদ্রে থাকা এক হাজার মানুষের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। সংস্থাটি আরও বলেছে, মনে হয় এ মানুষগুলো কর্তৃপক্ষের নজর এড়িয়ে সমুদ্রে ডুবে মারা গেছেন। মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং থাইল্যান্ডের উদ্ধার করা বাংলাদেশিদের স্বদেশে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। জাতিসংঘ উদ্বাস্তু সংস্থা আরও বলেছে, ২০১৪ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৫ সালের জুন পর্যন্ত প্রায় ৯৪ হাজার উদ্বাস্ত বা অভিবাসী বাংলাদেশ বা মিয়ানমার ত্যাগ করেছেন। তার মধ্যে চলতি বছরের গত ছয় মাসে ৩১ হাজার জন দেশত্যাগ করেছেন। গত মে মাসের ২৯ তারিখে আঞ্চলিক দেশগুলো, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থাইল্যান্ডে মানবপাচার রোধের জন্য এবং এর মূল কারণ বের করার জন্য আলোচনায় মিলিত হয়েছিল। তবে জাতিসংঘের উদ্বাস্তু সংস্থা জানিয়েছে, একটি যৌথ টাস্কফোর্স গঠনসহ সম্মেলনে গৃহীত বেশিরভাগ প্রস্তাব বাস্তবায়নের কাজ এখনও শুরু হয়নি।
https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl

কি ভয়াবহ! কি ভয়ানক!

মানুষের কিডনি অপসারনকারী চক্রের ৫ সদস্য গ্রেফতার

 

আয়াতুস সাইফ মুন,ক্রাইম ডায়রি,২৯/৮/১৫ইং,ঢাকাঃ
সাবাশ ডিবি!সাবাশ বাঘের বাচ্চা! মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রতি সাধারনজনতার এখন এমনই উচ্ছসিত আবেগ প্রকাশ। মানুষের কিডনি কেটে অপসারন করে এরাও কি মানুষ?? এ রকম অমানুষদের গ্রেফতার করে সত্যিই মানবজাতীর বড় উপকার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।। ভুক্তভোগীদের দোয়া সবসময় তাদের সাথে থাকবে। এমন আবেগও প্রকাশ করলেন সাধারন মানুষ। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ সন্ত্রাস নিরসনে সবসময় তৎপর। তারই ধারাবাহিকতায় রাজধানীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও গাবতলী বাসটার্মিনাল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আন্তুর্জাতিক কিডনী ক্রয়-বিক্রয় চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হল- আব্দুল জলিল, শেখ জাকির ইবনে আজিজ ওরফে শাকির, আশিকুর রহমান ওরফে জেবিন, ফজলে রাব্বি ও জিহান রহমান। এ সময় তাদের হেফাজত হতে ২টি চেতনানাশক ইনজেকশন ও সিরিঞ্জ, ১ টি ধারালো ছোরা ও ১টি তোয়ালে উদ্ধার করা হয়। কিডনী ক্রয়-বিক্রয় চক্রের দালাল আব্দুল জলিল জয়পুরহাট থেকে কিডনী বিক্রির উদ্দেশ্যে আবু হাসান নামের এক যুবককে নিয়ে ঢাকায় আসার পথে গাবতলীতে গ্রেফতার হয়। ভিকটিম আবু হাসান জানায়, একটি কিডনীর বিনিময়ে দালাল জলিল তাকে একটি সিএনজি কিনে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ঢাকায় নিয়ে আসে। পরবর্তী সময়ে আব্দুল জলিলের প্রদত্ত তথ্য মতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা একাডেমীর পার্শ্ববর্তী এলাকা হতে ভিকটিম মাহাবুবুর রহমান শান্তকে উদ্ধার করে ডিবি পুলিশ। একই স্থান থেকে আরও ৪ জন আসামীকে গ্রেফতার করে তারা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী আশিকুর রহমান ওরফে জেবিন জানায়, মাত্র ২০ হাজার টাকার লোভে সে তার পূর্ব পরিচিত ভিকটিম মাহাবুবুর রহমান শান্তকে রক্ত দেওয়ার কথা বলে সেখানে নিয়ে এসেছে। গ্রেফতারকৃত অপর আসামী শেখ শাকির জানায়, সে ৪ লাখ টাকার বিনিময়ে তার অন্যান্য সহযোগীদের (আশিক,ফজলে রাব্বি ও জিহান) নিয়ে ভিকটিম শান্তকে ইনজেকশন দিয়ে অচেতন করে কিডনী অপসারনের জন্য আন্তর্জাতিক দালাল চক্রের হাতে তুলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করেছিল। জিজ্ঞাসাবাদে শেখ শাকির আরও জানায়, কিডনী অপসারনের পর ভিকটিম শান্তকে হত্যা করে বুড়িগঙ্গা নদীতে ফেলে দেওয়ার পরিকল্পনাও তাদের ছিল এবং সে নিজেই এই মাস্টার প্ল্যান করেছিল। ঢাকা মহানগরী গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য (দক্ষিণ) বিভাগের তিন নক্ষত্র উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ মাশরুকুর রহমান খালেদ এর সার্বিক দিক নির্দেশনায় সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার মাহমুদা আফরোজ লাকী, পিপিএম এর নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়। সাধারন জনতার দাবী এসব অমানুষ নরপশুদের যেন সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যদন্ড হয়।

https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl

মাদকনিয়ন্ত্রনে ডিবির সাফল্যঃ

বিশেষ অভিযানে ৩০০০পিস ইয়াবা সহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

 

আরিফুল ইসলাম কাইয়্যুম,ক্রাইম ডায়রি,২৯/৮/১৫ইং,ঢাকাঃ
মরননেশা ইয়াবার বিরুদ্ধে জিহাদের অংশ হিসেবে রাজধানীর ভাটারা থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে হাজী সুপার মার্কেটের সামনে হতে ইয়াবাসহ ৪ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ’র গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগ। গ্রেফতারকৃতরা হলো- মোঃ রুবেল, মোঃ মাসুদ রানা, মোঃ মাকসুদুল আলম স্বপন ও হিরু হাওলাদার। এ সময় তাদের হেফাজত হতে ৩০০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানায়, তারা বিভিন্ন উৎস হতে ইয়াবা সংগ্রহ করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কৌশলে বহন করে পাইকারী ও খুচরা বিক্রি করে থাকে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ইয়াবার ভয়াবহতা এখন আর অজানা কোন বিষয় নয়। এ অভিশাপ থেকে জাতীকে মুক্ত করতে ডিবিপুলিশ অঙ্গিকারাবদ্ধ। দেশ ও জাতীর প্রতি এ দায়বদ্ধতা থেকেই বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের চৌকস কর্মকর্তা উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি-দক্ষিণ) মোঃ মাশরুকুর রহমান খালেদ এর সার্বিক নির্দেশনায়, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন পিপিএম(বার) এর তত্ত্বাবধানে পুলিশ পরিদর্শক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান এর নেতৃত্বে উক্ত অভিযান পরিচালিত হয়।


https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl

বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশকে ভয়ঙ্কর সংকেত দিলেন নাসা !

 

ক্রাইম ডায়রি ডেস্ক,২৯/৮/১৫ইং,ঢাকাঃ
আগামী এক থেকে দুই শতকের মধ্যে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাবে প্রায় তিন ফুট বা এক মিটারের মতো। এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।
বুধবার নাসার বিজ্ঞানীরা আনুষ্ঠানিকভাবে জানান, সমুদ্রপৃষ্ঠের এই উচ্চতা বৃদ্ধি অবশ্যম্ভাবী। কোনোভাবেই এটা এড়ানো সম্ভব নয়।
সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে হুমকির মুখে রয়েছে বিশ্বের বেশ কিছু ধনী শহর, গুরুত্বপূর্ণ বন্দরও। সবচেয়ে ভয়ের ব্যাপার হলো এই ঝুঁকির তালিকায় রয়েছে এশিয়ার একটা বড় অংশ। যার ভেতরে রয়েছে বাংলাদেশও।
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার আর্থ সায়েন্স বিভাগের পরিচালক মাইকেল ফ্রেইলস বলেন, সমুদ্রপৃষ্ঠের এই উচ্চতা বৃদ্ধি পুরো বিশ্বের ওপর গভীর প্রভাব ফেলবে। বিশ্বের ১৫০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ বর্তমানে সমুদ্রপৃষ্ঠের তিন ফুটের মধ্যে বাস করে। আর এর বেশির ভাগই এশিয়া অঞ্চলের।
যুক্তরাষ্ট্রের নিচু এলাকা ফ্লোরিডা বিলীন হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। সেই সাথে সিঙ্গাপুর ও টোকিওর মতো বড় শহরগুলোর বিলীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় কিছু দেশেও পুরোপুরি বিলীন হয়ে যেতে পারে বলে জানান নাসার ওই বিজ্ঞানী।
সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধিতে বিশ্বব্যাংক প্রকাশিত ঝুঁকিপূর্ণ ১২টি দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থায় দশম। বাংলাপিডিয়া বলছে, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা তিন ফুট বা এক মিটার বেড়ে গেলে বাংলাদেশের প্রায় ২২ হাজার ৮৮৯ বর্গ কিলোমিটার ভূমি হারিয়ে যাবে। আর এই ভূমি দেশের মোট এলাকার ১৫ শতাংশের বেশি।
মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র থেকে পাঠানো তথ্যে জানা গেছে, যে কোনো সময়ের চেয়ে দ্রুতগতিতে গলছে গ্রিনল্যান্ড ও অ্যান্টার্কটিকার বরফ। মহাসাগরগুলো উষ্ণ হয়ে উঠছে এবং আগের চেয়ে অনেক দ্রুতভাবে প্রশস্ত হচ্ছে। ফলে বাড়ছে ঝুঁকি।
রেসপন্ডিং টু ক্লাইমেট চেঞ্জ ওয়েবসাইটের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিলীন হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে থাকা উন্নয়নশীল দেশগুলোর বেশির ভাগেরই সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাওয়া সংক্রান্ত সমস্যা মোকাবিলায় সামান্যতম প্রস্তুতিও নেই।
তবে ইউরোপে যে দেশগুলো ঝুঁকিতে রয়েছে তারা এরই মধ্যে বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ করে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। তবে আগামী ৩০ বছরের মধ্যে আরো অনেক স্থানে এই বাঁধ নির্মাণ করতে হবে।
অন্যদিকে বাংলাদেশ, মিসর ও চীনের মতো দেশগুলোর অনেক অংশই এখন সাগরে বিলীন হয়ে গেছে।
নাসা বলছে, সামনের সময়গুলোতে বৈশ্বিক উপকূলের চেহারা পুরোপুরি বদলে যাবে এতে কোনো সন্দেহ নেই।
এনডিটিভি জানিয়েছে, কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ও নাসার সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি-সংক্রান্ত দলের প্রধান স্টিভ নেরেম বলেছেন, বর্তমান বৈশ্বিক উষ্ণতা ও ভবিষ্যতে উষ্ণতা কেমন হতে পারে তার ওপর ভিত্তি করে ধারণা করা হচ্ছে যে, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা তিন ফুটের বেশি বেড়ে যাবে। তবে সম্ভবত ভবিষ্যতে পরিস্থিতি আরো বেশি খারাপের দিকে যাবে। সবচেয়ে বড় অনিশ্চয়তা হলো এটা ধারণা করা যে, মেরু অঞ্চলের বরফ কত দ্রুত গলবে।
২০১৩ সালে জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন-বিষয়ক প্যানেল (আইপিসিসি) বরফ গলার বিষয়ে সবশেষ পূর্বাভাস দিয়েছিল।
আন্তর্জাতিক পর্যায়ের এক গবেষণা শেষে সে সময় তারা জানিয়েছিল, এই শতাব্দীর শেষ নাগাদ সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা এক থেকে তিন মিটার বাড়তে পারে। স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া সবশেষ তথ্য বলছে, এর চেয়ে বেশি উচ্চতায়ও বাড়তে পারে সমুদ্রের উচ্চতা।
১৯৯২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্বের সমুদ্রপৃষ্ঠের গড় উচ্চতা বেড়েছে প্রায় তিন ইঞ্চি। তবে কোথাও কোথাও এই উচ্চতা বেড়েছে নয় ইঞ্চিরও বেশি।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এই বাড়তি পানি এসেছে বরফ আর হিমবাহ গলে। তাই গ্রিনল্যান্ডের বরফের দিকে বেশি নজর রাখছেন বিজ্ঞানীরা। এক দশক ধরে এখানে ৩০৩ গিগা টন বরফ দ্বারা আচ্ছাদিত এই অঞ্চলটি। এ ছাড়া প্রতিবছর আটলান্টিক থেকে প্রায় ১১৮ গিগা টন বরফ গলে যায়।
নাসা বলছে, বিজ্ঞানীরা যে পরিমাণ আশা করেছিলেন, তার চেয়ে অনেক দ্রুতগতিতে গলছে বরফ। আগামী ২০ বছরের মধ্যে এই বরফ গলার হার আরো বাড়বে। তাই আরো বেশি প্রস্তুত থাকতে হবে বলে মনে করছে সংস্থাটি।
এখন পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা বরফের খণ্ড ভেঙে পড়তে দেখেননি। তাই কখন সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা হঠাৎ করে বেড়ে যাবে সে সম্পর্কে কিছু বলতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। তবে যদি বরফের খণ্ডগুলো দ্রুত নিজেদের থেকে আলাদা হয়ে যেতে শুরু করে তবে এক বা দুই শতকের মধ্যে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ১০ ফুট বেড়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন নাসার বিজ্ঞানী টম ওয়াগনার।
বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে পুরো পৃথিবীর তাপমাত্রাই বাড়ছে। তাই বরফ গলার হার আগের মতো থাকবে এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই বলে মনে করছেন গবেষকরা।
পদার্থবিজ্ঞানের সূত্র বলছে, বিশ্বের উষ্ণতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বরফ গলার হার বাড়বে। এবং সেটা এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে।

https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl

বৃহস্পতিবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৫


কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় নির্মমভাবে স্ত্রীকে আহত করল স্বামী

 

জামাল আহমেদ,কক্সবাজার প্রতিনিধি,ক্রাইম ডায়রি,২৬/৮/১৫ইং,কক্সবাজারঃ
নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সরকারের মহত্তর অনেক উদ্যেগ,উৎকন্ঠা থাকার পরও কমেনি নারী নির্যাতন। এরই ধারাবাহিকাতয় স্ত্রীর উপর নির্যাতন চালিয়েছে এক পাষন্ড স্বামী। স্বামীর নির্যাতনের শিকার পারভীন আক্তারকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার(২৪ আগষ্ট) সকাল ৭ টায় উপজেলার দক্ষিণ ধুরুং পেচার পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী ও নির্যাতিতা জানান,উত্তর ধুরুং হায়দার আলী সিকদার পাড়ার আবু সামা‘র কন্যা পারভীন আক্তার(২০)‘র সাথে দক্ষিণ ধুরুং পেচার পাড়ার টেক্সী চালক আনছারের সাথে গত ১৪ মাস আগে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় সে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা নিয়ে আসে। টেক্সী চালকের এটি দ্বিতীয় স্ত্রী। নির্যাতিতা পারভীন জানায়,গতকাল সকালে বিনা কারণেই তার স্বামী ও শ্বাশুড়ী মিলে তার উপর দা,রড দিয়ে অমানষিক নির্যাতন চালায়। এক পর্যায়ে প্লাস দিয়ে হাতের নখ তুলে ফেলে পাষন্ড স্বামী। দায়ের কোপে মুখে,মাথায় পিঠে গুরতর আহত রক্তাক্ত অবস্থায় প্রাণে বেচেঁ স্থানীয় আলী ফকির ডেইল মামার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। সেখান থেকে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।প্রতিদিনই তার স্বামী নির্যাতন চালিয়ে যৌতুকের টাকা দাবী করতো বলে সে জানায়।তার ৪ মাসের একটি শিশু সন্তান রয়েছে।

https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl

 বীর আব্দুল জলিল একজন সত্যিকারের মহৎ মানুষঃ

একজন সৎ ও দক্ষ পুলিশ কমিশনার


মোঃওমর ফারুক রবিন,ক্রাইম ডায়রি,২৭/৮/১৫ইং,ঢাকাঃ

একাত্তরের রণাঙ্গণে লড়াই করেছিলেন অসীম সাহসী কিশোর আব্দুল জলিল মন্ডল। ১৯৮৮ সালে যোগ দেন পুলিশ বিভাগে। ‘পুলিশ জনগণের বন্ধু’, কাজ করতে গিয়ে বারবার এর প্রমাণ দিয়েছেন আব্দুল জলিল মন্ডল। সাধারণ প্রথা ভাঙার জন্য আলোচিত আব্দুল জলিল মন্ডল ২০১৪ সালের ২১ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার হিসেবে যোগ দেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর ভূমিকার পাশাপাশি নগরীর এখানে সেখানে আবর্জনা অপসারণে ঝাড়ু হাতে নেমে পড়ে নগরবাসীকে চমকে দিয়েছেন বার বার। পুলিশের চিরন্তন রীতি থেকে বেরিয়ে মন্ডল
কখনও রাস্তায় নেমে গর্ত ভরাট করছেন, কখনও গণপরিবহনের সংকট মেটাতে পুলিশের যানবাহন নিয়ে যাচ্ছেন নগরবাসীর কাছে। সিএমপি কমিশনারের এই সেবাধর্মী কর্মযজ্ঞে খুশি সাধারণ মানুষ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তাকে নিয়ে আলোচনা চলে। পাবনার ছেলে মন্ডলের পুলিশ সার্ভিসে যোগদানের স্মৃতিচারণ দিয়েই
আলোচনার শুরু। মন্ডল ‍জানালেন, পুলিশ হবেন এমন কোন স্বপ্ন তিনি দেখেননি। তবে মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রশিক্ষণ নেওয়ার ‍সুবাদে নিজের অজান্তেই এমন একটি চিন্তা তার মনে ঠাঁই পায়, যে কারণে যুদ্ধের পর সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় প্রথম পছন্দ হিসেবে তিনি পুলিশ বিভাগকেই বেছে নিয়েছিলেন। ‘পুলিশে চাকরি হওয়ার আগ পর্যন্ত আমি কোনদিন লোকাল থানায়ও যাইনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় দু’য়েকবার
পুলিশের কাছে যেতে হয়েছিল। তবে মুক্তিযুদ্ধের সময় তো আমি হাফ পুলিশ ছিলাম,’
বললেন জলিল মন্ডল। ‘মুক্তিযুদ্ধের পর আমাদের পাবনা জেলা শহরে এনে ক্যাম্পে রাখা হলো। প্রশিক্ষণ দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের কাউকে সেনাবাহিনীতে, কাউকে নৌবাহিনীতে, ‍কাউকে পুলিশে নেয়ার কথা ছিল। আমি পুলিশের জন্য সিলেক্টেডও
হলাম। কিন্তু বাবা-মা বললেন, পড়ালেখা কর। তখনই আর আমার পুলিশে যাওয়া হলো না। আমি পড়ালেখা করলাম। তবে ট্রেনিং যেহেতু ছিল, গোলাবারুদের গন্ধ ভাল লাগত, সুপ্ত একটা আকর্ষণ তখন থেকেই ছিল। অগোচরে সেটারই বাস্তবায়ন হয়ে গেছে। ’ বললেন মন্ডল। মন্ডল জানালেন, ছোটবেলা থেকেই সাহসটা
তার একটু বেশি। পুলিশে এসে তার ব্যতিক্রম হয়নি। প্রথম পোস্টিং পার্বত্য জেলা
খাগড়াছড়িতে, ব্যাটালিয়নে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) পদে। খাগড়াছড়ি তখন অশান্ত। তিনি বলেন, ‘খাগড়াছড়িতে সহকর্মীরা সবাই খালি আতঙ্কে থাকত। সবাই বলত, এই গুলি আসবে, গুলি আসবে। আমি জানতাম গুলি ছোট একটা জিনিস। এটা মাথায়-বুকে লাগলে মরব, আর কোথাও লাগলে মরব না। সুতরাং আমি অতটা ভয় করতাম না। যখন কোথাও মুভ করতাম, সবাই গাড়ির জানালা বন্ধ করে দিত। আমি বলতাম কেন-জানালা বন্ধ করবো কেন?’ পুলিশ মানেই চোর-ছিনতাইকারীর পেছনে দৌঁড়ানো, অপরাধ দমন, মানুষ পেটানো-- প্রথাগত এই ধারণা থেকে শুরুতেই বেরিয়ে আসার পথ খুঁজতে লাগলেন মন্ডল। পুলিশেরও তো কিছু সামাজিক দায় রয়েছে,আছে দায়িত্ববোধও। সেটাকেই সম্বল করলেন তিনি। ‘নীলফামারীর এসপি যখন ছিলাম, সেখানে থানায় নারী নির্যাতনের মামলা বেশি হত। গরীব লোকজন, ছেঁড়া লুঙ্গি, ছেঁড়া শাড়ি পরে আমার কাছে আসতেন। ১৯৯৮ সালের দিকে নীলফামারিতে মাত্র একশ’ টাকায় ভাল ভারতীয় শাড়ি পাওয়া যেত, ৬০-৭০ টাকায়
লুঙ্গি পাওয়া যেত। আমার কাছে সবসময় একশ’টা করে শাড়ি, লুঙ্গি, গামছা মজুদ থাকত। গরীব লোকজন এলে তাদের দিতাম।’ - মানবসেবার একটি উদাহরণ ক্রাইম ডায়রির  সামনে তুলে ধরেন মন্ডল। মন্ডল বলেন, ‘আমি আগে মানুষ, তারপর আমি
পুলিশ, তারপর আমি অফিসার। বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, তিনিও তো প্রথমে মানুষ, তারপর প্রেসিডেন্ট। রাস্তার ভিখারিকে যেমন জবাবদিহি করতে হবে, আমি পুলিশ, আমাকেও করতে হবে। সুতরাং মানুষ হিসেবে
আমার দায়িত্ব তো আমাকে পালন করে যেতেই হবে। ’ মানবিক এবং সামাজিক দায়িত্ববোধ থেকেই চট্টগ্রাম নগরীতে আবর্জনা অপসারণ, সড়কের
গর্ত ভরাট, সাধারণ মানুষের জন্য গণপরিবহনের ব্যবস্থা করার মত কাজগুলো
করেছেন বলে জানালেন মন্ডল। সিএমপিতে যোগদানের পর নিজেই ঝাড়ু হাতে
রাস্তায় নেমেছিলেন, থানায় থানায় সভা করে সাধারণ মানুষকে নগরী পরিচ্ছন্ন রাখার
ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। এরপর মাঝে হঠাৎ সিএমপি কমিশনারের এই কর্মযজ্ঞ
কিছুটা থেমে থাকে। সম্প্রতি গর্ত ভরাটের কাজে নেমে আবারও মানুষের মুখে মুখে তাকে নিয়ে ‍আলোচনা। হঠাৎ আবর্জনা অপসারণের কাজ বন্ধ করে দেয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাকে তো বলা হয়েছে, এই কাজটা আমার না। দুই-একজন
মন্ত্রী বলেছেন, এ কাজটা আমার না। কিন্তু আমি মনে করেছি-কে কি বলল সেটা বড় কথা না। কাজটা আমার না, কিন্তু যখন কাজটাতে হাত দিয়েছি তখন তো আমি দশজন মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে পেরেছি, সচেতন করতে পেরেছি। ‘আমার কাজ শুধু চুরি-ডাকাতি বন্ধ করা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা, ঠিক আছে। কিন্তু বিবেকবান মানুষ হিসেবে আরেকটা মানুষকে সচেতন করাও তো আমার কাজ।’ ‘আমাদের ডিপার্টমেন্ট থেকেও বলা হয়েছে এটা তো তোমার কাজ না। কিন্তু কেউ যত্রতত্র ময়লা ফেলছে, তার বিরুদ্ধে মামলা করার, পানিশমেন্ট দেয়ার ক্ষমতা তো পুলিশকে দেওয়া আছে। সেই দায়িত্ব তো আমি এভয়েড করতে পারবনা,’ বলেন মন্ডল। ভবিষ্যতে পরিচ্ছন্নতার কাজ অব্যাহত রাখবেন কিনা, জানতে চাইলে সিএমপি কমিশনার
বলেন, আমাকে বলা হচ্ছে এটা তোমার কাজ না, তুমি করছ কেন? ভবিষ্যতে হিসাব করে করব, কেউ যেন আমার শত্রু কিংবা প্রতিপক্ষ হয়ে না যান। ‘মেয়র সাহেব (আ জ ম নাছির উদ্দিন) একটা ভিশন দিয়েছেন। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি মানুষকে সচেতন করবেন। তারপর জানুয়ারি থেকে ফাইনাল পানিশমেন্ট (শাস্তি) দেবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। মেয়র সকালে বের হন, রাত পর্যন্ত সচেতন করার কাজ করেন। কাজটা আমরাই শুরু করেছিলাম। তিনি (মেয়র) বলছেন, এটা সিটি করপোরেশনের কাজ, তার দায়িত্ব। সুতরাং সেটা তিনি করছেন। কাজটা কিন্তু
থেমে নেই। মেয়রকে আমরা সহায়তা করব, ইনশল্লাহ। ’
‘জানুয়ারি থেকে পানিশমেন্ট দেবেন মেয়র, তখন পুলিশের প্রয়োজন হবে। আমরা মেয়রকে সার্বিক সহযোগিতা দেব,’ বলেন মন্ডল। সম্প্রতি গর্ত ভরাটের কাজে নামার বিষয়ে মন্ডল বলেন, রাস্তায় বড় বড় গর্ত। ইপিজেডের সামনে একটা গর্তে আমরা দেড় হাজার ইট দিয়েছি। ওই গর্তে গাড়ি পড়লে ব্রেক ধরতে হয়। গাড়ির গতি স্লো হয়ে যায়। দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ মাঠে থাকে। তাদের সবার আগে বিষয়গুলো চোখে পড়ে। এটা দেখে তো আমরা বসে থাকতে পারি না। ‘গর্ত ভরাট করার পর আমি মেয়র সাহেবকে ফোন দিয়েছিলাম। উনি বলেছেন, আপনি করবেনই তো। সবার করা উচিৎ। আপনাকে দেখে সবাই করবে। ’ বলেন পুলিশ কমিশনার।
‘এটা করতে গিয়ে আমাকে যে খুব বেশি টাকাপয়সা খরচ করতে হয়ে তা নয়। পদ্মা
অয়েলকে বলেছি পাঁচ হাজার ইট দিতে। বন্দরকে বলেছি, শ্রমিক দিতে। এতে কাজ
হয়েছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো টাকা দিয়েছে। ভাল কাজে সবাই এগিয়ে আসে। আর
লাখ দু’য়েক টাকা খরচ করার মত তহবিল তো সিএমপি’র নিজেরও রয়েছে। ’
‘রমজানে দেখি গণপরিবহনের সংকট। ইফতারের সময় মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে
হচ্ছে। আমি পুলিশের বাস দিয়ে তাদের বাড়ি পৌঁছানোর ব্যবস্থা করলাম। টাকাপয়সা বিষয় না, আসল কথা হচ্ছে সদিচ্ছা,’ বলেন সিএমপি কমিশনার। সামাজিক কাজগুলো প্রাতিষ্ঠানিকভাবে, সরকারি বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে করা উচিৎ বলে মনে করেন আব্দুল জলিল মন্ডল। তিনি বলেন, আমরা যখন ঝাড়ু হাতে চট্টগ্রামে নামলাম, তার দুইদিন পর গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন সাহেব ঢাকায় শুরু করলেন। তারপর তো সারা দেশে শুরু হয়ে গেল। এতে তো বুঝতে পারছেন, মানুষ এটাকে গ্রহণ করেছে। এভাবে সব প্রতিষ্ঠানের এগিয়ে আসা দরকার। ‘সরকারি চাকরি মানেই হচ্ছে সার্ভিস দেয়া, মানুষের সেবা করা। কিন্তু এখন অবস্থা এমন
হয়েছে যে, সরকারি চাকরিজীবী মানে অনেক ক্ষমতাবান ব্যক্তি। ফাইলপত্র আসবে, আটকে রাখব, মানুষকে হয়রানি করব। ’ পুলিশ হব, টাকা কামাব-এমন চিন্তা থেকে এ
পেশায় আসেননি জানিয়ে মন্ডল বলেন, সততার জন্য চট্টগ্রামের সর্বমহলে এর প্রশংসা আছে। সামাজিক কাজ কোনভাবে নগরীতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, মোটেই না, একেবারেই না। এতে আমাদের অফিসাররা, সদস্যরা আরও উৎসাহিত হচ্ছেন। মানুষ পুলিশকে ভাল বলছে, এতে তারা অনুপ্রেরণা পাচ্ছে, আরেকটা ভাল কাজে উৎসাহিত হচ্ছে। আর খারাপ কাজের দিকে যাচ্ছে না। নেতিবাচক মন্তব্যে হতাশা আসে কি না জানতে চাইলে সিএমপি কমিশনার বলেন, হতাশা মাঝে মাঝে ধাক্কা দেয়, তবে প্রবল কিছু না। আমি মুক্তিযোদ্ধা। অল্প বয়সেই দেশ মাতৃকার টানে যুদ্ধে গিয়েছিলাম। মুক্তিযুদ্ধ তো আরেকবার আসবে না। আমার তো আর চাওয়া- পাওয়ার কিছু নেই। ‘যখন দেখি ফেসবুকে আমার কাজের ছবিতে ৭০ হাজার, ৭৫ হাজার লাইক পড়েছে, তখন হতাশা
আর থাকে না। আমার চাকরির জন্য হয়ত ফেসবুকের লাইক খুব ইতিবাচক কিছু না। তবে এই যে ৭০-৭৫ হাজার, এক লক্ষ লোক ছবিতে লাইক দেন, এটা তো তারা আমার কাজকে ভালবেসেই দিচ্ছেন। অতীতে অনেকে কমিশনার ছিলেন, ভবিষ্যতে অনেকে আসবেন, এই ভালবাসা তো সবাই পায়নি, পাবেও না। ’মুখে পরিতৃপ্তির হাসি মন্ডলের।
https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl

ডি এমপির সাফল্যঃ

পল্লবী থানা পুলিশের হাতে ৭ ডাকাত গ্রেফতার

 

মোঃওমর ফারুক রবিন,ক্রাইম ডায়রি,২৭/৮/১৫,ঢাকাঃ
রাজধানীর পল্লবী থানার কালশিতে অভিযান চালিয়ে দেশীয় অস্ত্রসহ পুলিশ পরিচয়দানকারী ৭ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পল্লবী থানা পুলিশ । গ্রেফতারকৃতরা হলেন মোঃ লিয়াকত আলী, মোঃ কামরুল, মোঃ শহীদুল ইসলাম ওরফে কামাল, মোঃ নাজমুল হক দিদার, মোঃ রুহুল আমিন ওরফে রিপন, ওবায়দুর রহমান বতু ও মেহেরুন নেছা কেয়া। এ সময় তাদের নিকট হতে ৩টি ছোরা, ১টি রামদা, ২টি খেলনা পিস্তল ও ১০ টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা তাদের দলের মেয়ে সদস্যদের মাধ্যমে মোবাইল ফোনে বিত্তবান ব্যক্তিদের টার্গেট করে। পরবর্তী সময়ে ঐ টার্গেটকৃত ব্যক্তিদের সাথে কৌশলে কথা বলে তাদের নির্দিষ্ট স্থানে ডেকে নিয়ে যায়। মেয়ের সাথে কথা বলার সময় পুরুষ সদস্যরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে উক্ত ব্যক্তিদেরকে জিম্মী করে বিভিন্ন বাসায় নিয়ে আটক করে। পরবর্তী সময়ে বিত্তবান ব্যক্তিদের নিকট থাকা মালামাল ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। শুধু তাই নয়, অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাদের দলের মেয়ে সদস্যদের সাথে বিবস্ত্র করে ছবি তুলে মান সম্মানের ভয় দেখিয়ে আটক ব্যক্তির মোবাইল দিয়ে তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে বিকাশের মাধ্যমে মুক্তিপন আদায় করে থাকে। টাকা আদায়ের পর চোখ বেঁধে তাদেরকে অজ্ঞাত স্থানে ছেড়ে দিয়ে ডাকাত সদস্যরা পালিয়ে যায়।
পল্লবী থানার এসআই/মোঃ রাসেল পিপিএম এর নেতৃতে উক্ত অভিযানটি পরিচালিত হয়। পল্লবী থানা পুলিশের এই সাফল্যে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এলাকার সুধীমহল।

https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl

বুধবার, ২৬ আগস্ট, ২০১৫

 বিজ্ঞানী মুন্নার আবিষ্কৃত ‘গ্যালাক্সি বাইক’ঃ

 অসাধারন সাফল্যে স্বীকৃতি, ৮ লাখ টাকার অনুদান ঘোষণা

মেহেদি হাসান ভূইয়া,ক্রাইম ডায়রি,২৬/৮/১৫ইং,ঢাকাঃ
 
ভাল সেবা ও স্বীকৃতি পেলে গ্রামবাংলায়ও তৈরি হতে পারে বিষ্ময়।। এমনই একটি বিষ্ময় সীতাকুণ্ড উপজেলার মুন্নার আবিষ্কৃত ‘গ্যালাক্সি বাইক’ সরকারি স্বীকৃতি পেল। বিস্ময় জাগানো আবিষ্কারটি পরীক্ষা করে গাড়িটি দেশের কল্যাণে ব্যবহার করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকারের তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। এই মন্ত্রণালয় থেকে ইতিমধ্যে তাকে ৮ লাখ টাকার অনুদানও প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া ভবিষ্যতে আরো অনুদানের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে দপ্তরটি। ফলে নতুন প্রেরণা নিয়ে অধিকতর গবেষণা শুরু করেছে মুন্না। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সীতাকুণ্ড উপজেলা গেইট সংলগ্ন পেশকারপাড়ার বাসিন্দা মো. তাজুল ইসলামের পুত্র কলেজ ছাত্র মনোয়ারুল ইসলাম মুন্না বিগত কয়েক বছরের মধ্যে বেশ কয়েকটি যন্ত্র আবিষ্কার করে এলাকাবাসীকে চমকে দেন। বিশেষত তার সর্বশেষ আবিষ্কার মোটর সাইকেলটি সর্বত্র ব্যাপক আগ্রহের সৃষ্টি করেছে। মাত্র ৩ টাকার বিদ্যুৎ খরচে এ গাড়িটি চলে সারাদিন। এতে কোন প্রকার তেল গ্যাসের দরকার পড়ে না। মুন্নার এই প্রযুক্তি বিস্মিত করেছে বুয়েটের প্রকৌশলীদেরও। বুয়েটের চৌকস প্রকৌশলীরা মুন্নার গ্যালাক্সি মোটর সাইকেলের ডায়োগ্রাম পরীক্ষা নিরীক্ষা করে বাংলাদেশের বাজারের জন্য এ ধরণের মোটর সাইকেল প্রয়োজন আছে বলে অভিমত দিলে সরকারের তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় তাকে উৎসাহিত করতে ৮ লাখ টাকা অনুদান ঘোষণা করে। যার মধ্যে ৪ লাখ টাকা ইতিমধ্যে প্রদানও করা হয়েছে।

পরিদর্শনকালে দেখা যায়, আবিষ্কৃত গ্যালাক্সি মোটর সাইকেলটি বাজারের অন্য মোটর সাইকেলগুলোর চেয়ে কিছুটা ব্যতিক্রম। এতে যন্ত্রপাতির ব্যবহার, গায়ের রং সবকিছুতেই কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে। এ গাড়ির বডিতে ব্যবহার করা হয়েছে স্টেইনলেস স্টিল। এছাড়া অন্যসব বাইকের মত হ্যান্ডল, ব্রেক, সিট, হেড লাইট, ব্রেক লাইট, ড্রাম ব্রেকসহ সবই আছে। মুন্না নিজের আবিষ্কৃত মোটর সাইকেলটির নাম রেখেছেন ‘গ্যালাক্সি বাইক’।
তার আবিষ্কৃত মোটর সাইকেল প্রসঙ্গে ক্ষুদে বিজ্ঞানী কলেজ ছাত্র মনোয়ারুল ইসলাম মুন্না জানান, এই মোটর সাইকেলটির বিশেষত্ব হলো এটি কোনরকম তেল গ্যাস ছাড়াই হলে। তবে এতে চার্জের প্রয়োজন হয়। মাত্র ৩/৪ ঘণ্টা চার্জ দিয়েই গাড়িটি পুরোদিন চালানো সম্ভব। মুন্না জানান, এই গাড়িটি তৈরিতে প্রচুর স্টেইনলেস স্টিল ব্যবহার করায় এর বডি দীর্ঘসময় সুরক্ষিত থাকবে। কোনরকম মরিচা পড়বে না। গাড়িটি চালানোর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে ১২ ভোল্টের ৫টি ব্যাটারি। অর্থাৎ ৬০ ভোল্টের ব্যাটারিতে মাত্র ৩ ঘণ্টা চার্জ দিলেই মোটর বাইকটি চলবে পুরোদিন।

একবার চার্জে কমপক্ষে ৬০ কি.মি. চলবে এই গাড়ি। এটি তৈরি করতে ৮০ হাজার টাকার মত খরচ পড়েছে জানিয়ে আবিষ্কারক মুন্না আরো বলেন, প্রথমে পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ বিভিন্ন কারণে ব্যয় একটু বেশি হয়েছে। যদি একসাথে অনেকগুলি মোটর সাইকেল তৈরি করা হয় তবে খরচ অনেক কম পড়বে। সেক্ষেত্রে ৫০ হাজার টাকাতেও একটি মোটর সাইকেল বাজারজাত করা যাবে।

প্রাথমিকভাবে মোটর সাইকেলটির নাম রেখেছেন গ্যালাক্সি বাইক। এই বাইক তৈরি করতে তার প্রায় দেড় মাস সময় লেগেছে। তবে উপযুক্ত পৃষ্টপোষকতা পেলে অল্প সময়ে আরো আধুনিক মোটর সাইকেল তৈরী করা যাবে বলে তার অভিমত। কিভাবে এই আবিস্কারের কথা মাথায় এলো ?

এমন প্রশ্নের জবাবে মুন্না বলেন, বাড়ি থেকে অনেক দূরে মৎস্য চাষের ব্যবসা থাকায় সেখানে তাকে প্রতিদিন যেতে হত। নিয়মিত এত দূরত্বে যাতায়াত করতে খরচ পড়ত অনেক বেশি। তাই কিভাবে খরচ কমানো যায় সেই চিন্তা করতে গিয়েই এই বাইক তৈরির চিন্তা মাথায় আসে। আবিষ্কারের প্রতি ঝোঁক তো আগে থেকেই ছিলো। তার উপর বাইকের চিন্তা এসে যাওয়ায় শুরু হয়ে গেল চেষ্টা। ২০১৪ সালের শেষ দিকে মোটর সাইকেলটি আবিষ্কার করা সম্ভব হয়। প্রথমদিকে তার মোটর সাইকেলে একটি চেইনও লাগানো হয়। পরে আরো আধুনিক করার পর চেইনটি তুলে ফেলা হয়। গ্যালাক্সি বাইকের আবিষ্কারক মুন্না আরো বলেন, প্রথমদিকে অনেকেই এই আবিষ্কার নিয়ে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য শুরু করে। এতে আমি অনেকটা হতাশ হয়ে পড়ি। শেষে আমি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, ডায়োগ্রাম ইত্যাদি সহকারে ফাইল তৈরি করে আইসিটি মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করি। সেখানে তারা বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নেন এবং আবিষ্কারটি কতটা নির্ভরযোগ্য তা খতিয়ে দেখতে বুয়েটের একটি প্রতিনিধি দলকে দায়িত্ব দেন। এরপর বুয়েটের প্রকৌশলীরা মোটর সাইকেলটির বিষয়ে আমার সাথে কথা বলেন এবং যন্ত্রপাতি, প্রযুক্তির ব্যবহারগুলো পর্যবেক্ষণ করেন।
তারা সব কিছু দেখে বিস্মিত হন এবং এটি দেশের বাজারে কতটা উপযোগী সে সম্ভাবনার বিষয়টিও যাচাই করে আবিষ্কারটি গুরুত্বপূর্ণ বলে নির্বাচন করেন। শেষে আমার ফাইলটি তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হলে এই মন্ত্রাণালয় আমাকে এই গবেষণায় সহযোগিতার জন্য ৮লাখ টাকা অনুদান প্রদানের ঘোষণা দেয়। ঘোষণা অনুযায়ী ইতিমধ্যে ৪ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে। মোটর সাইকেলটি আরো আধুনিক করাসহ কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা করে অবশিষ্ট ৪লাখ টাকাও প্রদান করা হবে। তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীসহ সকল কর্মকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ক্ষুদে বিজ্ঞানী মুন্না আরো বলেন, আমাদের দেশে ভালো কাজকে কেউ উৎসাহিত করতে চায় না। অনেক প্রতিবদ্ধকতার মধ্যেই এসব গবেষণা করতে হচ্ছে। বিগত কয়েক বছরে মোবাইল কলে যন্ত্রপাতি স্টার্ট, মটর অটো স্টার্ট যন্ত্র, অটোমেটিক পানির ট্যাংক ভর্তিকরণ ও খালি করার যন্ত্রসহ ১৭টি প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছেন তিনি।

তবে সর্বশেষ আবিষ্কার গ্যালাক্সি মোটর বাইকটি নিয়ে ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেছে। বেশ কয়েকটি মোটর সাইকেল প্রস্তুতকারক কোম্পানি তার সাথে যোগাযোগ করেছে। তাদের প্রস্তাবগুলোতে নিজেদের স্বাথের্র বিষয়টি বেশি ছিল। ফলে পরিস্থিতি বুঝে তিনি এড়িয়ে গেছেন বলে উল্লেখ করেন।

মুন্না বলেন, এখন আর সেরকম চিন্তা ভাবনা করছি না। আপাতত সরকারি অনুদান পেয়ে গবেষণায় আরো উন্নতি ঘটানোর চেষ্টা করছি। স্বল্পমূল্যে এই মোটর সাইকেলে দেশের মানুষ উপকৃত হলে তার আবিষ্কার সার্থক হবে বলে মনে করেন তিনি।

মুন্নার এই আবিষ্কার প্রসঙ্গে তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাসের বলেন, মুন্নার মোটর সাইকেল আবিষ্কারসহ গবেষণা কাজে সহযোগিতা করতে আইসিটি মন্ত্রণালয়ে একটি ফান্ড থেকে ৮ লাখ টাকা অনুদান প্রদানের সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ৪ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। কাজের অগ্রগতির উপর নির্ভর করে অবশিষ্ট টাকাও প্রদান করা হবে।

https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl

 বরিশালে ডাকাতি মামলায় ৪ জনের কারাদন্ড

মোঃ আরমান মৃধা, বরিশাল প্রতিনিধি, ক্রাইম ডাইরি,২৬/৮/১৫ইং,ঢাকাঃ

 বরিশালে ডাকাতি মামলা  ৪ ডাকাতকে পৃথক পৃথক ধারায় ১২ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ৪ মাসের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। ২৪/০৮/২০১৫ ইং তারিখ বরিশাল ১ম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ আদীব আলী এ রায় প্রদান করে। আসামীরা হলো বরিশাল জেলার মুলাদী থানার গোবিন্দপুর এলাকার ফজলুল রহমান রাড়ীর পূত্র মোঃ সালাউদ্দিন রাড়ী, আঃ মালেক সরদারের পুত্র ইউসুফ সরদার, মামুন সরদার ও  বরিশাল জেলার হিজলা থানার মাটিয়ালা এলাকার রত্তন রাড়ীর পুত্র মোঃ বাবুল রাড়ি। মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ২ জুলাই রাত পৌনে ৪ টায় ১২/১৩ জনের একদল ডাকাত ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে বরিশাল জেলার মুলাদী থানার গোবিন্দ্রপুর এলাকায় স্থানীয় গিয়াস উদ্দিনের ভাড়াটিয়া বসতঘরে বসে প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সময় স্থানীয় বালু শ্রমিকরা খবর পেয়ে ১৩ জনের মধ্যে থেকে ৪ জনকে আটক করে মুলাদী থানার পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে ঘটনস্থল থেকে ২টি রামদা, ১টি ছোরা ও ২টি গুপ্তি উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ওই বছর ৩ জুলাই মুলাদী থানার এসআই মোঃ জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে মোঃ সালাউদ্দিন রাড়ী, ইউনুস সরদার, মামুন সরদার ও মোঃ বাবুলকে অভিযুক্ত করে থানায় ডাকাতি মামলা দায়ের করে। একই বছর ২৯ জুলাই মুলাদী থানার এসআই মোঃ আবুল খায়ের অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট প্রদান করে । আদাতের বিচারক ৮ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামীদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমানিত হলে প্রত্যেক আসামীকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ২ মাসের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করে। এছাড়া ৪০২ ধারায় ৫ বছরের সশ্রম কারাদন্ড, ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ২ মাসের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করে।
https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl

মঙ্গলবার, ২৫ আগস্ট, ২০১৫

 কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় নির্মমভাবে স্ত্রীকে আহত করল স্বামী


জামাল আহমেদ,কক্সবাজার প্রতিনিধি,ক্রাইম ডায়রি,২৬/৮/১৫ইং,কক্সবাজারঃ

 
নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সরকারের মহত্তর অনেক উদ্যেগ,উৎকন্ঠা থাকার পরও কমেনি নারী নির্যাতন। এরই ধারাবাহিকাতয় স্ত্রীর উপর নির্যাতন চালিয়েছে এক পাষন্ড স্বামী। স্বামীর নির্যাতনের শিকার পারভীন আক্তারকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার(২৪ আগষ্ট) সকাল ৭ টায় উপজেলার দক্ষিণ ধুরুং পেচার পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী ও নির্যাতিতা জানান,উত্তর ধুরুং হায়দার আলী সিকদার পাড়ার আবু সামা‘র কন্যা পারভীন আক্তার(২০)‘র সাথে দক্ষিণ ধুরুং পেচার পাড়ার টেক্সী চালক আনছারের সাথে গত ১৪ মাস আগে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় সে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা নিয়ে আসে। টেক্সী চালকের এটি দ্বিতীয় স্ত্রী। নির্যাতিতা পারভীন জানায়,গতকাল সকালে বিনা কারণেই তার স্বামী ও শ্বাশুড়ী মিলে তার উপর দা,রড দিয়ে অমানষিক নির্যাতন চালায়। এক পর্যায়ে প্লাস দিয়ে হাতের নখ তুলে ফেলে পাষন্ড স্বামী। দায়ের কোপে মুখে,মাথায় পিঠে গুরতর আহত রক্তাক্ত অবস্থায় প্রাণে বেচেঁ স্থানীয় আলী ফকির ডেইল মামার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। সেখান থেকে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।প্রতিদিনই তার স্বামী নির্যাতন চালিয়ে যৌতুকের টাকা দাবী করতো বলে সে জানায়।তার ৪ মাসের একটি শিশু সন্তান রয়েছে।

https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl

শুধু গাড়ির কাগজপত্র নেই তাই তারা সাংবাদিক

ক্রাইম ডায়রি ডেস্ক রিপোর্ট,২৬/৮/১৫,ঢাকাঃ

 

ভুয়া সাংবাদিকদের দৌড়াত্ব্যে অস্থির প্রশাসন ও সাধারন মানুষ । এ বিষয়ে একাধিকবার ক্রাইম ডায়রি সংবাদ পরিবেশন করা হলেও এখনও হয়নি কোন প্রতিকার। অনেক সাংবাদিক আছেন যারা ব্যবসা কিংবা অনেক প্রতিষ্ঠানে কনসালটেন্সি করেন আর সেটা তারা করতেই পারেন। কিন্তু যারা সরকারী কিংবা প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে সরাসরি চাকরি করেন তারা যদি অফিসে যাবার পথে তাদের মোটরসাইকেলে সাংবাদিক লিখে ঘুরে বেড়ান কিংবা পরিচয় দেন সাংবাদিক তবে তা অবশ্যই গর্হিত কাজ। ইদানিং কালে এমনটাই পরিলক্ষিত হচ্ছে। রাজধানীতেই এমন প্রবণতা বেশি।গাড়ি চালানোর জন্য তারা অনেক টাকার বিনিময়ে সাংবাদিকতার আইডি কার্ড ক্রয় করেন। আর কালেভদ্রে প্রকাশিত কিংবা নতুন ছোট পত্রিকা কিংবা আন্ডারগ্রাউন্ডের অনেক পত্রিকার সম্পাদকই শুধু আইডি কার্ড বিক্রি করে চলেন। যারতার মোটরসাইকেলে লেখা সাংবাদিক কিংবা নম্বরপ্লেটই নেই। মনে রাখা প্রয়োজন রাজধানীতে সাধারনতঃ ষ্টাফ রিপোর্টারাই চাকুরী করেন। আর তারা নিয়মিত চাকুরে হিসেবে গণ্য। ষ্টাফ রিপোর্টাররা পত্রিকার এ্যাসাইনমেন্ট অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট জায়গায় ডিউটি পালন করেন । ফটোসাংবাদিকরাও যদি ফ্রি ল্যান্সার না হন তবে তাকেও সুনির্দিষ্ট পরিসীমাই কাজ করতে হয়।সুতরাং তাদের পক্ষে চাকুরী অপিস এবং ডি উটি বাদ দিয়ে যেনতেন ভাবে যে কোন সময় ঘুরে বেড়ানে সম্ভব নয়্। বিশেষ করে বিকেল বেলা সারাদিনের কাজ শেষে বেশির ভাগ সাংবাদিকদের অফিসে গিয়ে নিউজ জমা দিতে হয়। স্পেশাল কোন এ্যাসাইনমেন্ট কিংবা সম্পাদক কিংবা ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক ছাড়া এই সময়ে বাইরে হাওয়া খাওয়া তাদের পক্ষে সমভব নয়।তাই যে কোন সময় রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো ব্যক্তিরা প্রকৃত সাংবাদিক কিনা তা যাচাই প্রয়োজন।। এছাড়া ইদানিং কালে কিছু নামমাত্র দৈনিক কিংবা কালেভদ্রে ছাপানো কিছু পত্রিকা বিশেষতঃ অনলাইন প্রকাশনার পরিচয়ে কিছু লোক সুবিধা আদায়ের চেষ্টায় লিপ্ত। মনে রাখা দরকার কেউ বে আইনি কাজ করলে পুলিশ কিংবা সাংবাদিকরাই সেটা নিয়ে মাতামাতি করেন। আর নিজেরা বে আইনি কাজ করেন কোন অধিকারে। আইন সবার জন্যই সমান। কেউই আইনের উদ্ধে নন। রেজিষ্ট্রেশন সবার জন্য বাধ্যতামূলক। ড্রাইভিং লাইসেন্স সবার জন্যই বাধ্যতামুলক। সে হোক পুলিশ কিংবা সাংবাদিক।। একজন সৎ পুলিশ অফিসারের বক্তব্য থেকে বিষয়টি আরও স্পষ্ট ,
“আমার এক বন্ধু রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের সামনে থেকে আজ দুপুরে ছবিটি তুলে আমাকে ইনবক্সে পাঠিয়েছে! সেই সাথে আমাকে প্রশ্ন করেছে , পুলিশের মোটরসাইকেল এর পিছনে "পুলিশ" লিখা থাকলে যারা ছবি তুলে পত্রিকার পাতায় ছাপায় , পুলিশ কোথায় কি করছে না করছে সেদিকে ক্যামেরা তাক করিয়ে বসে থাকে ,সেই তারাই যদি রেজিট্রেশন ছাড়া মোটরসাইকেল এ স্টিকার লাগিয়ে রাস্তায় ঘুরে বেড়ায় এই ছবি কি তাদের চোখে পড়েনা?
আইন তো সবার জন্যই সমান। হোক সে পুলিশ বা সাংবাদিক বা অন্য কেও।
একটি ছবি যখন একটি বাহিনীর ইমেজ এর প্রশ্ন হয়ে দাড়ায় তখন যে/যারা এই কাজটি করেন তিনি/তারা কি নিজেরা আইনের প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল থেকে এই কাজটি করেন? আবার তাকে/তাদেরকেই যখন আইন মেনে চলতে বলা হয় তখন কতই না বিড়ম্বনার সৃষ্টি হয়! ভালো কাজ করতে গেলেও তখন জনগণের সামনে একজন পুলিশ অফিসার কে ভিলেইন হিসেবে উপস্থাপন করা হয়।
আমি বিশ্বাস করি সবাই এই কাজটি করে না। ভালো মন্দ সব পেশাতেই আছে। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা ক্ষমতার বাহাদুরী দেখাতে খুব পছন্দ করি! যার হাতে ক্যামেরা আছে সে তার ক্যামেরার বাহাদুরী দেখায় , যার হাতে কলম আছে সে তার কলমের বাহাদুরী দেখায় , যার গায়ে পোশাক আছে সে তার পোশাকের বাহাদুরী দেখায়! যার মামা , চাচা আছে সে দেখায় তার মামা , চাচার বাহাদুরী!
এক অদ্ভুদ নিয়মের ভিতরে চলছি আমরা। নিজে আইন না মেনে বড় গলায় কথা বলতে বা অন্যায় সুপারিশ করতে আমাদের কারো এতোটুকু লজ্জা লাগেনা।”
এতেই বোঝা যায় ,আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল পুলিশ অফিসার ও সাংবাদিক আছেন। তারা চান আইন সমভাবে প্রয়োগ হোক। আর এ চর্চাই জাতীকে উন্নতির শিখরে নিতে পারে।

https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl

সোমবার, ১৭ আগস্ট, ২০১৫


আইনজীবি কর্তৃক গৃহকর্মী নির্যাতিতঃ

 গ্রেফতার ১

ক্রাইম ডায়রি,যশোর সংবাদদাতা,১৭/৮/১৫ইং,ঢাকাঃ
রক্ষক যখন ভক্ষক হয় তখন কারো কিছুই করার থাকেনা। আর রক্ষন যদি হন আইনজীবি তবে তো কথাই নেই। যশোরে জজ আদালতের আইনজীবী হেলাল উদ্দিন ও তার স্ত্রী ইভা বেগমের নামে কোতোয়ালী থানায় ধর্ষণ, যৌন নিপীড়ন ও মারপিটের মামলা করেছে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের শিকার এক শিশু গৃহকর্মী । শুক্রবার এ ব্যাপারে এজাহার দিলেও আজ শনিবার তা মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়। এজাহার দেওয়ার পরপরই গৃহকর্মীকে ধর্ষণ, যৌন নিপীড়ন ও মারপিটের মামলায় যশোরের ঐ আইনজীবীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আদালত সূত্র জানায়, বিকেলে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মারুফ আহমেদের কাছে নির্যাতিত গৃহকর্মী তাঁর জবানবন্দি দেওয়ার জন্য হাজির হন।
পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার ওই গৃহকর্মী মা কোতোয়ালি থানার মামলার আবেদন করেন। তারপর রাতেই যশোর শহরের কাজীপাড়া এলাকার নিজ বাসা থেকে জজ আদালতের আইনজীবী হেলাল উদ্দিনকে আটক করা হয়। আজ শনিবার মামলাটি রেকর্ড করে পুলিশ।
মামলা সুত্রে জানা গেছে, আইনজীবী হেলাল উদ্দিনের বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার মল্লিকপুর গ্রামের এক দিনমজুরের স্ত্রী। তিনি বর্তমানে শহরের কাজীপাড়ায় আনু কাজীর বাড়িতে ভাড়া থাকেন।
মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, ২০০০ সাল থেকে তিনি ওই বাসায় কাজ করতেন। আট বছর আগে তিনি তাঁর ১০ বছরের মেয়েকে ওই বাসায় কাজে দেন। গত বছর মে মাসে তিনি ওই বাড়িতে গিয়ে মেয়েকে অসুস্থ অবস্থায় পান। মেয়েটির শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল। সে কারণে তিনি মেয়েকে বাড়ি নিয়ে যান।
পরে মেয়েটি তার মাকে জানায়, গৃহকর্ত্রী ইভা বেগম সন্তানসম্ভবা থাকাকালে আইনজীবী হেলাল উদ্দিন প্রায় রাতেই তাকে ধর্ষণ করতেন। বিষয়টি টের পেয়ে হেলালের স্ত্রী ইভা বেগম কাঁচি দিয়ে গৃহকর্মীর যৌনাঙ্গ জখম করে দেন। পাশাপাশি কারণে অকারণে তার ওপর চলত মারধর ও নির্যাতন।
বাদী অভিযোগে আরো বলেন, এ ঘটনা এলাকাবাসীকে জানালে তাঁরা সালিস করেন। সালিসে সিদ্ধান্ত হয়, আইনজীবী হেলাল মেয়েটির বিয়ের ব্যবস্থা করবেন। বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত প্রতি মাসে তিন হাজার টাকা করে চিকিৎসা খরচ দিতে বাধ্য থাকবেন। কিন্তু হেলাল প্রথম কয়েক মাস টাকা দিলেও পরে বন্ধ করে দেন। মেয়েটির শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত এখনো রয়ে গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আজ শনিবার কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিকদার আককাস আলী সময়ের কণ্ঠস্বরকে জানান, আইনজীবী হেলালকে আজ শনিবার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে । জেলা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মারুফ আহমেদ আইনজীবীকে আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। একই মামলায় আইনজীবীর স্ত্রী ইভা বেগমকেও আসামি করা হয়েছে। তাঁকে পাওয়া যায়নি। ইভাকে গ্রেপ্তারে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে। অবাক চোখে ওসি শিকদার আককাস আলী বলেন, ‘এ রকম একটি অসহায় মেয়েকে কেউ এভাবে নির্যাতন করতে পারে ভাবাই যায় না।’
https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl

প্রধানমন্ত্রীর এপিএস পরিচয়ে প্রতারণাঃ

 আটক ১

আরিফুল ইসলাম কাইয়্যুম,ক্রাইম ডায়রি,১৭/৮/‘১৫ইং,ঢাকাঃ
প্রতারকরা বিভিন্ন কৌশলে সাধারন মানুষকে ধোকা দেয়। এবার পুলিশ বা র‌্যাব সেজে নয়,নয়তো কোন ম্যাজিষ্ট্রেট সেজে । এবার প্রতারক সাজলো প্রধানমন্ত্রীর এপি এস। রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহকারী ব্যক্তিগত সচিব (এপিএস) পরিচয়দানকারী মো. শহিদুল ইসলাম নয়ন (২৮) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নয়নকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি পাবনার বাসিন্দা।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মুনতাসিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রীর এপিএসের নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন জায়গায় ফোন করে অবৈধ লেনদেন করত ওই প্রতারক। এ ঘটনা জানার পর প্রধানমন্ত্রীর এপিএস সাইফুজ্জামান শেখর শেরেবাংলা নগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এতে আরো জানানো হয়, রোববার দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের সামনে থেকে ওই প্রতারককে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন ও বিভিন্ন অপারেটরের তিনটি সিম জব্দ করে ডিবি পুলিশ। এসব সিমের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর এপিএস সাইফুজ্জামান শেখরের হারিয়ে যাওয়া ০১৯১১১১২২১৯ নম্বরধারী বাংলালিংক সিমটিও পাওয়া যায়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নয়ন প্রধানমন্ত্রীর এপিএসের ব্যবহৃত গ্রামীণ ফোন নম্বরের মতো বাংলালিংক নম্বর তৈরি করে বিভিন্ন জায়গায় ফোন দিয়ে অবৈধ লেনদেন করার কথা স্বীকার করে।


https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl

বাংলার জনগণের জন্য যে কোনো ত্যাগ স্বীকারে আমি প্রস্তুত

.............................................................  প্রধানমন্ত্রী


মোঃওমর ফারুক রবিন,ক্রাইম ডায়রি,১৬/৮/১৫ ইং,ঢাকাঃ
বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশনেত্রী বাঙ্গালী জাতির গর্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে তিনি যে কোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত রয়েছেন। জাতীয় শোকদিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় জাতিকে উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাঙালি জাতির ভাগ্যের পরিবর্তন আনতে হবে এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণ করতে হবে। বাঙালি জাতির ভাগ্যের পরিবর্তন করতে এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে আমি যে কোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত রয়েছি। অতীতে বহুবার বিভিন্ন উপায়ে তার ওপর বার বার হামলার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কোনো চক্রান্তই তাঁকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা থেকে বিরত রাখতে পারবে না।’
তিনি বলেন, ‘আমি কোনো চক্রান্তকে পরোয়ানা করি না। আল্লাহ জীবন দেয়া ও নেয়ার মালিক। আমি সবসময় এটি বিশ্বাস করি এবং এর ওপর নির্ভর করি। আমি আল্লাহ ছাড়া কারো কাছে কখনো মাথানত করিনি এবং করবোও না।’
আজ বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক আলোচনা সভায় ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ৪০ দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এ সভার আয়োজন করে।
আলোচনায় অংশ নেন সংসদ উপনেতা ও আওয়ামী লীগের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, আওয়ামী লীগ উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ ও সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, মোহাম্মদ নাসিম ও ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, বিশিষ্ট লেখক ও কবি সৈয়দ শামসুল হক, দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক ও মাহবুব-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ আজিজ ও সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। অন্ষ্ঠুানে কবিতা আবৃত্তি করেন বিশিষ্ট আবৃতিকার শিমুল মোস্তফা।
এর আগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৫ আগস্টের অন্যান্য শহীদ, চার জাতীয় নেতা, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদ এবং বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl

শনিবার, ১৫ আগস্ট, ২০১৫


নকল হিজরাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

আয়াতুস সাইফ মুন,ক্রাইম ডায়রি,১৫/৮/১৫ইং,সাভারঃ
National weeklycrime diary's photo.
তৃত্বীয় লিঙ্গের লোকদের নিয়ে সরকার এবং আন্তর্জাতিক এন জি ও গুলোর তৎপরতা থাকলেও সহজে চাঁদাবাজি করে দ্রুত ধনী হবার লোভে একদল লোক হিজরাদের দিয়ে কৌশলে চান্দাবাজি করাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।।সাভারের আশুলিয়ায় জোর করে অনেক পুরুষকে হিজড়া সাজিয়ে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি চক্র। প্রকাশ্যে এমন ব্যবসা করা হলেও প্রশাসন অনেকটা নীরব ভূমিকা পালন করছে।হিজরাদের প্রকাশ্য বেলাল্লাপনায় রাস্তায় বের হওয়া দায় হয়ে পড়েছে। রাস্তায় রিক্সা কিংবা মোটরসাইকেল দাড় করিয়ে জোর করে টাকা আদায় কিংবা এলাকার দোকান ও হোটেলগুলোতে গিয়ে সপ্তাহে বাধ্যতামুলক মোটা অংকের চাঁদা আদায়ের মত অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দেশের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে হত-দরিদ্র পরিবারের পুরুষদের কাজ দেয়ার কথা বলে ঢাকায় নিয়ে আসে গাজীরচট এলাকার হিজড়াদের সরদার নয়নতারা ও রাশেদা। এরপর তাদের নারী হিজড়ার পোশাক পরিয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করে টাকা আদায় করতে বাধ্য করা হয়। এজন্য প্রতিদিনের আয়ের তিন ভাগের দুই ভাগ সরদারদের দিতে হয় বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন হিজড়া জানান।
এভাবে ছয় মাস পার হলে অপারেশনের মাধ্যমে তাদের পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলা হয়। এমনকি এই পেশা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদের প্রাণনাশের হুমকি দেয়া বলে অভিযোগ করেন চাকরির খোঁজে আসা এসব লোকজন।
সোমবার সকালে আশুলিয়ার দক্ষিণ গাজীরচটের রশিদ মার্কেট এলাকায় এ ধরনের একটি চক্রের তিন পুরুষকে হিজড়া সেজে চাঁদাবাজিকালে আটক করে গণপিটুনি দিলে তারা এসব তথ্য দেয়। পরে নয়নতারা নামে ওই হিজড়া সরদারের হস্তক্ষেপে তাদের পুলিশে না দিয়ে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় এলাকাবাসী।
আটক ভুয়া হিজড়ারা হলেন- আতিকুল রহমান (৩০) ওরফে সাজেদা, মমিন উদ্দিন (২৬) ওরফে মাহি এবং মো. অন্তর (২১) ওরফে অন্তরা।
ভুয়া হিজড়া মমিন উদ্দিন ওরফে সাজেদা জানান, ‘সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থেকে কাজের সন্ধানে তিনি আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকার কাঁচাবাজারের আড়তে আসেন। এরপর থেকেই নানাভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে হিজড়া সর্দার নয়নতারা তাকে এই পেশায় আসতে বাধ্য করেন।’
আটক অপর এক ভুয়া হিজড়া আতিকুল রহমান ওরফে সাজেদা জানান, ‘দেশের বাড়িতে তার এক ছেলে ও মেয়ে রয়েছে। শুধু কথাবার্তায় মেয়েলি ভাব থাকায় সংসারে অভাব-অনটনের সুযোগে তাকে কাজ দেবে বলে এখানে এনেছে আরেক সরদার রাশেদা হিজড়া। এরপর তাকে জোর করে এই কাজে নামিয়েছে। যেন পালিয়ে যেতে না পারি সেজন্য সরদাররা একজনকে তাদের সঙ্গে সবসময় পাহারার জন্য বাইরে পাঠায়। ইচ্ছে থাকলেও এখন তিনি বাড়ি যেতে পারছেন না বলে জানান।’
আট বছর আগে এই কাজে যোগ দিয়েছিলেন বগুড়া থেকে আসা অন্তরা। মো. অন্তর (আগের নাম) জানান, যৌন অক্ষমতার কারণে তাকে জোর করে এখানে নিয়ে এসেছে হিজড়া সরদার নয়নতারা। পরে উত্তরার একটি ক্লিনিক থেকে অপারেশনের মাধ্যমে তার পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলা হয়। এরপর থেকেই শুরু হয় তার হিজড়া জীবন। তবে মানুষকে হয়রানি করে এভাবে টাকা নিতে আর তার ভালো লাগেনা বলে জানান।
স্থানীয় মো. কাজল নামে (২৮) এক হিজড়া জানান, গাজীরচটের বটতলা এলাকার হিজড়াদের সরদার নয়নতারা নিজেও অনেক দিন আগে নিজের পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলে এই পেশায় ঢুকেছেন। তাছাড়া সরকার হিজড়াদের ট্রাফিক পুলিশের চাকরি দেবে এমন কথায় নিজের ব্যবসা নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয়ে এভাবে অসহায় পুরুষদের দারিদ্রতার সুযোগ নিচ্ছে সরদার। তার দলে মোটামুটি শতাধিক হিজড়া রয়েছে। তাদের তোলা চাঁদার টাকায় নয়নতারা ইতোমধ্যে নিজ এলাকায় একটি পাঁচ তলা ভবনের মালিক হয়েছেন বলেও জানায় কাজল।
তবে এসব অভিযোগের ব্যাপারে হিজড়া সরদার নয়নতারার সঙ্গে যোগযোগ করা হলে তিনি বলেন, এমন ঘটনার সঙ্গে তিনি জড়িত নন।
জানতে চাইলে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল জানান, এমন কোনো ঘটনা তার জানা নাই। তবে কেউ এ ব্যাপারে অভিযোগ করলে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দিন দিন হিজড়াদের চাঁদাবাজি, চুরি ও টাকার জন্য নবজাতক শিশু ছিনিয়ে নেয়ার মত ঘটনায় অতিষ্ট হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। এসব চাঁদাবাজ হিজড়াদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ করলে হয়রানি বাড়ার আশঙ্কা থাকায় আতঙ্ক নিয়েই দিন পার করছেন এলাকার বাসিন্দারা।

https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl

 

রাজধানীর রূপসী বাংলা (শেরাটান) হোটেল মোড়ে ডিএমপির ভ্রাম্যমাণ আদালত

 মোঃওমর ফারুক রবিন,ক্রাইম ডায়রি,১৪/৮/১৫ইং,ঢাকাঃ
বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালালোর দায়ে এক চালককে ৫শ’ টাকা জরিমানা ও ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন পুলিশের ভ্রাম্যমাণ আদালত। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত চালকের নাম মো. কালাম (৩২)। রাজধানীর মিরপুর-যাত্রাবাড়ী রুটে চলাচলকারী ‘শিখর পরিবহন’ নামের একটি গাড়ির চালক তিনি। বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজধানীর রূপসী বাংলা (শেরাটান) হোটেল মোড়ে ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন নিয়ে বেপরোয়া গতি চালানোর কারণে তাকে এ কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ফিটনেসবিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে এ অভিযান পরিচালনা করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মশিউর রহমান। অভিযানে ৭টি বাস ও একটি মাইক্রোবাস আটক করে ডাম্পিংয়ে পাঠানো হয়। এর মধ্যে এভারেস্ট পরিবহন (ঢাকা মেট্রো-ব ১১-৭৪৩০), তিন নম্বর বাস (ঢাকা মেট্রো-জ ১১ ২৫৫৬), এফটিসিএল পরিবহন (ঢাকা মেট্রো-ব ১৪- ০৪৫৪), তরঙ্গ প্লাস (ঢাকা মেট্রো-ব ১১- ৪২৬৯), শিখর পরিবহন (ঢাকা মেট্রো-ব ১১-৩৫৮৩), দিপন পরিবহন (ঢাকা মেট্রো-ব ১১-২১৩৫), শিকড় পরিহন (ঢাকা মেট্রো-জ ১১-১৬৬৭) এবং একটি মাইক্রোবাস (ঢাকা মেট্রো-চ ১৩-৮০৩৯) রয়েছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, শিখর পরিবহনের একটি গাড়ি বেপরোয়া গতিতে চালিয়ে যাওয়ার সময় সামনে থাকা অন্য একটি বাসকে পেছন থেকে ধাক্কা মারলে পুলিশ ওই বাস চালককে থামার সিগন্যাল দেয়। কিন্তু চালক না থেমে গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরে কয়েকজন ট্রাফিক পুলিশ ওই গাড়িটি আটক করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মশিউর রহমান ক্রাইম ডায়রিকে বলেন, শিখর পরিবহনের ওই চালক বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। তাকে থামার সিগন্যাল দিলেও চালক পালানোর চেষ্টা করেন। পরে গাড়ির কাগজপত্র পরীক্ষা করলে সেখানে গাড়ির ফিটনেস সনদ ও চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকায় মোটরযান আইনের ১৩৭ ধারা অনুযায়ী চালক কামালকে ৫শ’ টাকা জরিমানা ও ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। যতোদিন না পরিস্থিতি সহনীয় পর্যায়ে আসছে ততোদিন আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি। বাবুল নামে এক যাত্রী বলেন, সরকারের এ উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই। তবে যাত্রীদের সাময়িক ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। ভোগান্তিতে পড়লেও আগামীতে আমরা এর সুফল পাবো।
https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl

শুক্রবার, ১৪ আগস্ট, ২০১৫


 এবার নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে গতিসীমাঃ

৮০কি.মি এর বেশি গতি হলেই বন্ধ হয়ে যাবে গাড়ি

মোঃওমর ফারুক রবিন,ক্রাইম ডায়রি,১৪/৮/১৫ইং,ঢাকাঃ
দুর্ঘটনা এড়াতে দেশের জাতীয় মহাসড়কের যানবাহনের গতিসীমা সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ‘স্পিড গভর্নর’ নামের একটি যন্ত্র গাড়িতে বসানো হবে। যাতে গাড়ির সর্বোচ্চ গতিসীমা নির্দিষ্ট থাকবে। ওই গতিসীমা ছাড়ালেই গাড়িটি বন্ধ হয়ে যাবে। আজ সোমবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভায় তিনি বলেন, গাড়ির গতিসীমা নিয়ে সিদ্ধান্তটি শিগগিরই বাস্তবায়ন করা হবে। মহাসড়কে চলাচলকারী গাড়িতে স্পিড গভর্নর নামের যন্ত্র বসানো থাকবে। তাতে গাড়ির সর্বোচ্চ গতিসীমা নির্ধারণ করা থাকবে। আর সর্বোচ্চ গতিসীমা ছাড়ালেই গাড়িটি নিজ থেকেই বন্ধ হয়ে যাবে।
https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl

নতুন করে দলগুছিয়ে আবারও আন্দোলনে নামবে বি এন পি

মুজিব,ক্রাইম ডায়রি,১৩/৮/১৫ ইং,৫.৩৪ পি এম,ঢাকাঃ
বার বার আন্দোলনে ব্যর্থতার পর পুনরায় দলের পুনর্গঠন প্রক্রিয়া শেষ করে আগামী জানুয়ারি থেকে আবার সরকারবিরোধী আন্দোলনে নামবে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। এমনটাই জানালেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীর বিক্রম।সরকার গনতন্ত্র দলন করায় আন্দোলনে সফলতা না আসলেও নতুন আন্দোলনে জনগণ তাদের সঙ্গে থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন বিএনপির এই শীর্ষ নেতা। হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘দল গোছানোর পর ইনশাআল্লাহ আগামী বছরের প্রথম থেকে অর্থাৎ জানুয়ারি মাস থেকে বিএনপি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে যাবে। এ আন্দোলন হবে ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার আন্দোলন এবং তার মধ্যদিয়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠা লাভ করবে। আশা করি এই সংগ্রামে দেশবাসী ২০ দলের সাথে থাকবে এবং বাংলাদেশে আবার গণতন্ত্রের ঐতিহ্য ফিরে আসবে।’ তিনি বলেন, ‘বিএনপি এই মুহূর্তে ঘর গোছানোতে ব্যস্ত। ছাত্রদল, যুবদল, মূলদল ইত্যাদি ক্ষেত্রে আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া পরিবর্তন আনবেন বলে আমরা আশা করি। সেই সঙ্গে জনগণের মধ্যে শেকড় আছে এ ধরনের ব্যক্তিদের নিয়ে দল গোছাবেন এটাই আমাদের আশা।’ সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে রাজনীতিবীদদের জন্য বড়ই দুঃসময়। দেশে গণতন্ত্র নেই, আইনের শাসন নেই, বিনাভোটের একটি সরকার জগদ্দল পাথরের মতো জনগণের বুকের ওপর চেপে বসে আছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির গুরুতর অবনতি হয়েছে। মাতৃগর্ভের শিশুও সন্ত্রাসীদের গুলির হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না। ব্যাংকগুলোতে অবাধে লুটপাট চলছে সরকারি পৃষ্ঠপোশকতায়। সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তিরা এই সমস্ত ব্যাংক লুটেরাদেরকে প্রটেকশন দিয়ে যাচ্ছে। দেশের অর্থমন্ত্রী নিজেই স্বীকার করছেন যে, এরা এতো বড় মাপের এতো প্রভাবশালী যে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষমতা তার নেই।’
তিনি বলেন, ‘পুলিশ বাহিনী বলছে- এই সরকারকে তারাই ক্ষমতায় রেখেছে। অর্থাৎ বাংলাদেশ আজকে একটি পুলিশ স্টেটে পরিণত হয়েছে।’ আক্ষেপ করে হাফিজ আহমদ বলেন, ‘বাংলাদেশে সবচেয়ে ভয়াবহ ভোট ডাকাতি অনুষ্ঠিত হয়েছে বিগত ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে। রাজধানী শহরে এ ধরনের ভোট ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। দেশের মানুষ চুপচাপ। তাদের কোনো মাথা ব্যাথা নেই। এটিই রাজনীতির জন্যে একটি অশনি সংকেত। কোথায় গেলো সেই একাত্তরের ছাত্র সমাজ? কোথায় গেলো দেশের বুদ্ধিজীবীরা? রাজপথের নামার জন্য কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না। সবাই ব্যক্তিগত হিসেব-নিকেশ নিয়েই ব্যস্ত। সুতরাং একটি দেশের জন্য বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো দেশ, যারা যুদ্ধ করে স্বাধীন হয়েছে তার জন্য খুবই ভয়ঙ্কর। একাত্তরে যাদের বীরত্ব গৌরব গাঁথা বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়েছিল সেই ধরনের একটি দেশে রাজনীতিবীদরা জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছে, বাকস্বাধীনতা হরণ করেছে। এমনই এক দুঃসহ পরিবেশে আমরা বসবাস করছি।’ হাফিজ বলেন, ‘তবে কি এমনভাবেই চলবে বাংলাদেশ? নিশ্চয়ই না। জনগণকে অপেক্ষা করতে হবে। যেখানে পরিশালিত রাজনৈতিক কর্মীরা দেশের দায়িত্ব নেবে, যেখানে জনগণের ইচ্ছা আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটাতে পারবে। এমন রাজনৈতিক দলের নেতারাই রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতে পারে, যারা দেশে সুশাসন আনবে, যারা হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে পারবে, গডফাদারের রাজনীতি বন্ধ করতে পারবে।’ বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বর্তমান যে অবস্থা চলছে এতে করে এ ধরনের পুলিশী শাসন থেকে মুক্ত হওয়া অত্যন্ত কঠিন। রাজপথে নামলেই গুলি করে। দেশে গণতন্ত্রের ‘গ’ বলতেও কোনো কিছু নেই। এমনই একটি সময়ে আমরা নিজেরা যারা রাজনীতিবীদ, আমরাও চিন্তিত, কী হবে দেশের ভবিষ্যৎ? দেশে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। অন্তত যতোদিন এই সরকার আছে। তারা ইতিমধ্যে সংবিধানের যে সংশোধনী এনেছে একটি পার্লামেন্ট বজায় রেখে আবার পার্লামেন্ট নির্বাচন, পৃথিবীর কোথাও এই ধরনের নেই। বোঝাই যাচ্ছে তারা ক্ষমতা হস্তান্তর করতে রাজি নয়।’ তিনি বলেন, ‘এই সরকারকে টিকিয়ে রেখেছে মেরুদণ্ডহীন নির্বাচন কমিশন। যাদের কোনো ব্যক্তিত্ব নেই। যারা দলীয় ক্যাডারের চেয়ে বেশি ক্যাডারগিরি করে। সুতরাং এদের মাধ্যমে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচনের সম্ভাবনা নেই। গণতন্ত্রের জন্য আগামী দিনগুলো অত্যন্ত বিপদসংকুল।’ দলের জনপ্রিয়তা নিয়ে তিনি বলেন, ‘বিএনপি দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল। নির্বাচন দিলে অবলীলায় ২৫০ থেকে ৩০০ আসনের কাছাকাছি পৌঁছে যাবে বিএনপি।’ হাফিজ আহমদ বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের ওপর আমার আশা আছে। একাত্তরে যে লড়াকু মনোভাব তারা প্রদর্শন করেছে, যে বীর বিক্রমে তারা যুদ্ধ করেছে হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে। আমি আশা করি একদিন নিশ্চয়ই বাংলাদেশে গণতন্ত্রকামী মানুষ, তরুণ সমাজ রাজপথে নামবে এবং আবার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করবে। সুশাসনের দেখা আমরা তখন নিশ্চয়ই পাবো। তবে কবে পাবো বলা মুশকিল।’

https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl

বুধবার, ১২ আগস্ট, ২০১৫

 বগুড়ায় জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার মত বিনিময় সভা

 

আবু মুসা,জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা বগুড়া অফিস,১২/৮/১৫ইং,ঢাকাঃ
জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা বগুড়া জেলা কমিটির আয়োজনে সোমবার বগুড়া শহরস্থ টাইম কাট চাইনিজ রেষ্টুরেন্টে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা বগুড়া জেলা কমিটির সভাপতি মুহাম্মাদ আবু মুসা’র সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক সংস্থা কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি নুরুজ্জামান প্রধান। সংস্থা’র জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক আল-আমিন মন্ডল এর পরিচালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দৈনিক বগুড়ার মফস্বল সম্পাদক ও ভোরের কাগজের জেলা প্রতিনিধি বাদল চৌধুরী, টাইম কাট চাইনিজ রেষ্টুরেন্ট এর স্বত্ত্বাধিকারী প্রকৌশলী রোকন তালুকদার, সাংবাদিক সংস্থা’র জেলা কমিটির ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক আরিফুর রহমান মিঠু, নির্বাহী সদস্য জাকির হোসেন, মতিউর রহমান মতি, সাংবাদিক শরিফুল ইসলাম পান্না প্রমূখ। নুরুজ্জামান প্রধান তাঁর বক্তব্যে বলেন, সাংবাদিক সমাজের মধ্যে বিরাজমান অনৈক্য নিরসন করে ঐক্যবদ্ধ সাংবাদিক কমিউনিটি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তিনি সাংবাদিক হত্যা, নির্যাতন ও হয়রানির বিরুদ্ধে পেশাগত ঐক্যের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাংবাদিক নিরাপত্তা আইন বাস্তবায়ন করার জন্য সরকারের নিকট দাবী জানান।
https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl

 বাসচালককে গণধোলাইঃ

অবশেষে মারা গেলেন সেই বাসচালক

 

ইমরানুল হক,ক্রাইম ডায়রি,১২/৮/১৫ইং,ঢাকাঃ
রাজধানীর সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে যাত্রীদের গণধোলাইয়ে শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসের চালক শিবু চন্দ্র দে ওরফে দেবনাথ (৪৫) নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে মুমুর্ষূ অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত শিবুর বাবার নাম মৃত হরিবোল চন্দ্র দে। সিলেট জেলার জাফলংয়ে তাদের বাড়ি বলে জানা গেছে।
বাসের সহকারী চালক (হেলপার) শামীম আহমেদ জানান, সোমবার রাতে ফকিরাপুল থেকে যাত্রী নিয়ে সিলেট ছাতকের উদ্দেশে রওয়ানা হওয়ার সময় সায়েদাবাদ জনপদ মোড় ৬ নম্বর কাউন্টারে আরও যাত্রী নেওয়ার জন্য বাস থামানো হয়।
এতে বাসে থাকা অন্যান্য যাত্রীরা উত্তেজিত হয়ে চালককে ধাক্কা দিয়ে ইঞ্জিন কভারের ওপর ফেলে গণধোলাই দেয়। এতে বাসের চালক গুরুতর আহত হন। পরে মুমুর্ষূ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত ১২টায় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতাল ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ ক্রাইম ডায়রিকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl

 পাসপোর্টে হঠাৎ করে নতুন সিদ্ধান্ত

মোঃওমর ফারুক রবিন,ক্রাইম ডায়রি,১২/৮/১৫ইং,ঢাকাঃ
পাসপোর্টে আবারও নতুন সিদ্ধান্ত আসছে। যারা ১৫ বছর বয়সের ঊর্ধ্বে সেসব নাগরিকের পাসপোর্টের মেয়াদ পাঁচ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করা হচ্ছে। একই সঙ্গে পাসপোর্টের সাধারণ ফি ভ্যাট বাদে তিন হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে চার হাজার টাকা ও জরুরি ফি ভ্যাট বাদে ছয় হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে সাত হাজার টাকা করা হচ্ছে।ইতোমধ্যে এসব বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে পাসপোর্টের মেয়াদ বৃদ্ধি ও তুলনামূলক হ্রাসকৃত ফি প্রবর্তনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের মতামতের জন্য পাঠিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পাশের কয়েকটি দেশের উদাহরণ বিবেচনায় নিয়ে পাসপোর্টের মেয়াদ ও ফি বাড়ানোর প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সম্পর্কে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রতিবেদককে বলেন, মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরবসহ বাংলাদেশী শ্রমিক অধ্যুষিত দেশগুলোর দূতাবাসের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে পাসপোর্টের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে ফি বাড়ানোর বিষয়ে মতামতের জন্য মে মাসের শেষদিকে একটি চিঠি অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিবের কাছে পাঠানো হয়েছে। এখনও ওই চিঠির জবাব পাওয়া যায়নি। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাসপোর্টের মেয়াদ ও ফি বাড়ানো সংক্রান্ত প্রস্তাবটি ট্রেজারি ও ব্যবস্থাপনা বিভাগে রয়েছে। তারা অতীতে পাসপোর্টের ফি কিভাবে বেড়েছে ওই বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। চলতি মাসের মধ্যেই একটি চিঠির মাধ্যমে তাদের মতামত জানিয়ে দেবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সাল থেকেই মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের (এমআরপি) ফি বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলছে। ওই সময় বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ইন্ট্রোডিউসিং অব মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট অ্যান্ড মেশিন রিডেবল ভিসা ইন বাংলাদেশ’ প্রকল্প থেকে ফি বাড়ানোর একটি প্রস্তাব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। ওই প্রস্তাবে প্রথম অবস্থায় রি-ইস্যু (পুনরায় জারিকৃত) পাসপোর্টের ফি বাড়ানোর কথা বলা হয়। এরপর ধাপে ধাপে সাধারণ ও জরুরি এমআরপি’র ফি বাড়ানোর কথা বলা হয়। এনিয়ে কয়েকটি বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়। তবে প্রস্তাব চালাচালির তিন বছর পর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ উপসাগরীয় দেশগুলোতে বাংলাদেশী কর্মীদের চাকরির ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য অবিলম্বে বাংলাদেশের পাসপোর্টের মেয়াদ ১০ বছর করার সুপারিশ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে একটি আধা সরকারি পত্র (ডিও লেটার) দিয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান। ডিও লেটারে তিনি বলেছেন, প্রবাসে অবস্থানরত ও বিদেশে গমনেচ্ছু সকল বাংলাদেশী নাগরিকদের আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার বিধান অনুযায়ী এ বছরের ২৪শে নভেম্বরের মধ্যে যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্ট দেয়ার কার্যক্রম চলছে। বর্তমানে ইস্যুকৃত এসব এমআরপি বুকলেট-এর মেয়াদ পাঁচ বছর। আগে হাতে লেখা পাসপোর্ট বিদেশস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে পাঁচ বছর মেয়াদ শেষে আরও পাঁচ বছরের জন্য নবায়নের সুযোগ ছিল। কিন্তু বর্তমানে এমআরপি বুকলেট শুধুমাত্র ঢাকাস্থ সদর দপ্তর থেকে ছাপা হয় এবং পাসপোর্ট ও বহিরাগমন অধিদপ্তর থেকে এমআরপি বুকলেট তৈরি হয়ে কূটনৈতিক ব্যাগযোগে দূতাবাসে আসতে কমপক্ষে ছয় থেকে আট সপ্তাহ সময় লাগে। এমআরপি বুকলেটটি অ্যাকটিভ করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা সই বা সিল দিয়ে বিতরণের জন্য প্রস্তুত করতে আরও ৮/১০ দিন সময়ের প্রয়োজন হয়। অন্যদিকে যে কোন দেশে ভিসা প্রদান/নবায়নের জন্য পাসপোর্টের মেয়াদ কমপক্ষে ছয় মাস থাকতে হয়। তাই পাসপোর্টটি সাড়ে চার বছরের আগেই নবায়নের প্রয়োজন হয়। ঢাকাস্থ সদর দপ্তর থেকে ছাপা হয়ে আসায় সময় ও অন্যান্য বিষয়াদি বিবেচনায় নিলে প্রকৃতপক্ষে একটি বাংলাদেশী পাসপোর্টের কার্যকরী মেয়াদ কমবেশি চার বছর বলে গণ্য করা যায়। ডিও লেটারে বলা হয়েছে, বর্তমানে প্রায় ৮/৯ লাখ বাংলাদেশী নাগরিক সংযুক্ত আরব আমিরাতে কর্মরত আছেন। গত প্রায় আড়াই বছর ধরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা বন্ধ রয়েছে। ভিসা নবায়ন চালু থাকলেও কর্মী/পেশাজীবীদেরকে তাদের চাকরি নবায়নের ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিদেশী কর্মীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে হয়। দীর্ঘমেয়াদি ভিসা প্রদানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশী পাসপোর্টের এই সীমিত মেয়াদ একটি অন্তরায় এবং এতে অনেক পেশাজীবী ও শ্রমজীবী কর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। পাসপোর্টের মেয়াদ কম থাকায় অনেকেই চাকরি ক্ষেত্রে অন্য দেশের কর্মীদের থেকে পিছিয়ে পড়ছেন। এসব বিষয় দূতাবাসের নজরে এনে প্রবাসী বাংলাদেশীরা দীর্ঘমেয়াদি চাকরি বা কর্মী ভিসা নবায়নের ক্ষেত্রে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। অনেকে চাকরির ধারাবাহিকতা না থাকার ও চাকরিচ্যুতির আশঙ্কা প্রকাশ করে অবিলম্বে বাংলাদেশী পাসপোর্টের মেয়াদ কমপক্ষে দশ বছর করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছেন। ডিও লেটারের সর্বশেষ প্যারায় বলা হয়েছে, দূতাবাস খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছে বর্তমানে প্রতিবেশী উপমহাদেশীয় রাষ্ট্রগুলোর অধিকাংশ দেশের পাসপোর্টের মেয়াদ কমপক্ষে ১০ বছর। এমন অবস্থায় সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ উপসাগরীয় দেশগুলোতে বাংলাদেশী কর্মীদের চাকরির ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে বাংলাদেশের পাসপোর্টের মেয়াদ ১০ বছর করার বিষয়টি বিবেচনার জন্য অনুরোধ করছি। এর আগে আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে ১৯০টি দেশের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তি অনুসারে ২০১১ সালের ১লা এপ্রিল থেকে সব দেশকে স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রের মাধ্যমে পাঠযোগ্য পাসপোর্ট ও ভিসার প্রচলন করার সিদ্ধান্ত হয়। সেই চুক্তির শর্তানুসারে বাংলাদেশে ২০১০ সালের ১লা এপ্রিল থেকে এমআরপি পাসপোর্ট চালু হয়। এ প্রকল্পের আওতায় তিন বছরে ৬৬ লাখ পাসপোর্ট ও ১৫ লাখ ভিসা স্টিকার দেয়া হয়েছে। এখন আরও দ্রুতগতিতে এমআরপি দেয়া হচ্ছে।
https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl

ভয়ংকর ইয়াবা একটি জলজ্যান্ত অভিশাপ

ওমর ফারুক রবিন,ক্রাইম ডায়রি,১২/৮/১৫ইং,ঢাকাঃ
 
শুরুটা ১৯১৯ সালে। জাপানিরা ওষুধ হিসেবে ইয়াবা তৈরির পরিকল্পনা করে। মূলত জীবন বাঁচানোর জন্যই তাদের এ আবিস্কার। এর পরবর্তী সময়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন জার্মান প্রেসিডেন্ট এডলফ হিটলার তার মেডিকেল চিফকে আদেশ দিলেন দীর্ঘ সময় ব্যাপি যুদ্ধক্ষেত্রের সেনাদের যাতে ক্লান্তি না আসে এবং উদ্দীপনায় যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারে বা বিমানের পাইলটের নিদ্রাহীনতা, মনকে উৎফুল, চাঙ্গা রাখার জন্য একটা কিছু আবিস্কার করতে। টানা ৫ মাস রসায়নবিদগণ চেষ্টা চালিয়ে মিথাইল অ্যামফিটামিন ও ক্যাফেইনের সংমিশ্রনে তৈরি করলেন ইয়াবা। ব্যাস! হিটলারের উদ্দেশ্য সফল। সেনারা মানসিক শক্তিতে বলিয়ান হল। মিয়ানমারে ওয়া এবং কোকাং নামের আদিবাসী সম্প্রদায় ইয়াবা এর সবচেয়ে বড় উৎপাদনকারী।
পরবর্তী সময়ে অন্যান্য দেশের যুদ্ধ ক্ষেত্রে দেশ মাতৃকার স্বার্থে অনেক সেনা প্রধান ইয়াবা ব্যবহার করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইয়াবার প্রভাব এত দূত ছড়িয়ে পড়বে ভাবতে পারেনি কেউ। বাংলাদেশের টেকনাফ বর্ডার দিয়ে মাদক হিসেবে ইয়াবা প্রথম প্রবেশ করে ১৯৯৭ সালে। কিন্তু এর আগে ইয়াবার নানা উপাদানকে প্রাণ রক্ষাকারী ওষুধ হিসেবে ব্যবহারের পরামর্শ দিতেন ডাক্তারা। ২০০১ এ বাংলাদেশের অভিজাত এলাকা গুলোতে ইয়াবা তরুণ-তরুণীদের মানিব্যাগে স্থান করে নেয়। এখন এ নেশাদ্রব্য ছড়িয়ে পড়েছে রাজধানীর অলিগলির মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে-মেয়েদের মাঝেও। নেশা গ্রহণকারীদের তালিকায় স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া ছেলে-মেয়ে, ব্যবসায়ী, গ্লামার জগতের বাসিন্দা থেকে শুরু করে গৃহবধূ পর্যন্ত। ইয়াবার নেশার টাকা যোগাড় করতে গিয়ে অনেক ছেলে-মেয়েরা অপরাধের সঙ্গেও জড়িয়ে পড়েছে। ইয়াবা খেলে সাময়িক আনন্দ ও উত্তেজনা, অনিদ্রা, খিটখিটে ভাব ও আগ্রাসী প্রবণতা বা মারা-মারি করার ইচ্ছা, ক্ষুধা কমে যাওয়া ও বমি ভাব, ঘাম, কান-মুখ লাল হয়ে যাওয়া এবং শারীরিক সঙ্গের ইচ্ছা বেড়ে যায়।তবে এ সবই অল্প কয়েক দিনের বিষয়।
বাড়ে হূৎস্পন্দনের গতি, রক্তচাপ, শ্বাস-প্রশ্বাস এবং শরীরের তাপমাত্রা।মস্তিষ্কের সূক্ষ্ম রক্তনালি গুলোর ক্ষতি হতে থাকে এবং কারও কারও এগুলো ছিঁড়ে রক্তক্ষরণ শুরু হয়ে যায়।কিছুদিন পর থেকে ইয়াবা সেবীর হাত-পা কাঁপে, হ্যালুসিনেশন হয়, পাগলামি ভাব দেখা দেয়, প্যারানয়া হয়। হ্যালুসিনেশন হলে রোগী উল্টোপাল্টা দেখে, গায়েবি আওয়াজ শোনে। আর প্যারানয়াতে ভুগলে রোগী ভাবে, অনেকেই তার সঙ্গে শত্রুতা করছে। তারা অনেক সময় মারা-মারি ও সন্ত্রাস করতে পছন্দ করে। কারও কারও শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, খিঁচুনি হয়। খিটখিটে ভাব, অহেতুক রাগা-রাগি, ভাঙচুর, নার্ভাসনেসে ভুগতে থাকে ইয়াবা আসক্ত ব্যক্তিরা। স্ম্বরন শক্তি কমে যায়, সিদ্ধান্তহীনতা শুরু হয় এবং কারও কারও সিজোফ্রেনিয়ার লক্ষণ দেখা দেয়। অনেকে পাগল হয়ে যায়। লেখাপড়ায় খারাপ হয়ে একসময় ডিপ্রেশন বা হতাশাজনিত নানা রকম অপরাধ প্রবণতা, এমনকি আত্মহত্যাও করে থাকে। হার্টের ভেতরে ইনফেকশন হয়ে বা মস্তিষ্কের রক্তনালি ছিঁড়ে অনেকে মারা যায়। অনেকে মরে রাস্তায় দুর্ঘটনায় পতিত হয়ে। কেউ কেউ টানা সাত থেকে ১০ দিন জেগে থাকে, তারপর ড্রাগ ওভার ডোজেও মরে যায়। দীর্ঘ মেয়াদি চিকিৎসা করলে ইয়াবার আসক্তি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তবে শারীরিক ক্ষতি পুরো-পুরি সারানো সম্ভব নাও হতে পারে। তাই আসক্ত ব্যক্তিকে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিতে হবে| ইয়াবা ট্যাবলেটে আসক্ত শিক্ষিত তরুণ-তরুণীরাই বেশি। তাও তারা সাধারণ কিংবা মধ্যবিত্ত নয়, অভিজাত এলাকার ধনীর দুলাল-দুলালী। পিতা-মাতারা কোটি কোটি টাকার দিকে ছুটছে আর বিলাস বহুল জীবনযাপন করে যাচ্ছেন। কিন্তু তাদের আদরের দুলাল-দুলালীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখা-পড়ার ফাঁকে মরণ নেশায় আসক্ত।
পিতা-মাতা একটু সচেতন হলে ইয়াবার মরণ ছোবল হতে তাদের মেধাবী সন্তানদের রক্ষা করা সম্ভব হতো। ইয়াবা একবার সেবন করলে সে আর এটা ছাড়তে পারবে না। সে ইয়াবার পিছনে ছুটতে থাকবে। বিশেষজ্ঞদের মতে ইয়াবা আসক্ত তরুণ-তরুণীরা জীবিত থেকেও মৃত। ইয়াবার বিস্তার রোধ করতে হলে চাই সামগ্রিক প্রতিরোধ।বন্ধ করতে হবে উৎপাদন ও পরিবহন। থাইল্যান্ড ও মিয়ানমার থেকে এর চোরাচালান আটকাতে হবে। পুল ক্লাব, লাউঞ্জ, বার, এন্টারটেইনমেন্ট ক্লাব গুলোতে কড়া নজরদারি রাখতে হবে। এটার ব্যবহার হয়ে থাকে হৈ-হুল্লোড় করা পার্টি প্রেমী তরুণ-তরুণীদের মধ্যে বেশি।
সমাজের সুশীল শ্রেনীর লোকজন সমাজকে ইয়াবা মুক্ত করতে সামাজিক সচেতনতার পাশাপাশি প্রশাসনের সুদৃষ্টি এবং ছাড় না দেয়ার আহবান জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার, ১১ আগস্ট, ২০১৫


জালনোট ও জালনোট তৈরির সঞ্জামাদিসহ গ্রেফতার ২

ক্রাইম ডায়রি ডেস্ক,১১/৮/১৫ইং,আপডেট ৩.০৩ পি এম,ঢাকাঃ
 
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার মীর হাজীরবাগ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ২ জাল টাকার ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপি’র গোয়েন্দা ও অপরাধতথ্য বিভাগ। সুত্রে জানা গেছে,ডিএমপি’র গোয়েন্দা ও অপরাধতথ্য (দক্ষিণ) বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার রুহুল আমিন সাগর এর নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন মোঃ আব্দুর রহিম ও মোঃ বাবু।এ সময় তাদের হেফাজত হতে ৫০ হাজার টাকার জাল নোট, ৩টি প্রিন্টার মেশিন, ৩টি কাঠের তৈরি স্কীন ফ্রেম উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানায়, তারা জাল টাকা তৈরি করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার নিরীহ মানুষের মাঝে সরবরাহ করে প্রতারণা করে আসছিল। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।

https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl

সোমবার, ১০ আগস্ট, ২০১৫

RAB-১০ এর বিশেষ অভিযানঃ

বিভিন্ন হোমিও ল্যাবরটরীজকে জেল জরিমানা!!

 

মোঃওমর ফারুক রবিন,ক্রাইম ডায়রি,১০/৮/১৫ইং,৪.১৩পি এম,ঢাকাঃ
রাজধানী সহ সারা বাংলাদেশে জনগনের অন্যতম বন্ধু র‌্যাব এর বিশেষ অভিযানে সার্বক্ষনিক তটস্থ থাকে অপরাধীরা। র‌্যাব এর বিভিন্ন ধরনের অভিযানে দেশে অপরাধ অনেকাংশে কমে এসেছে। রাজধানীর যাত্রাবাড়িতে RAB এর র্নিবাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব সরওয়ার আলম ও RAB-১০ এর এ,এস,পি জনাব, আলি হোসেন এর নের্তৃতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। আজ ১০/০৮/২০১৫ইং সোমবার সকাল আনুমানিক ১০ ঘটিকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চাঁদনি মাঠ কাজিরগাঁও(হাজী আব্দুস সামাদ রোড) যাত্রাবাড়ি ঢাকা অবস্থিত পদ্মা হোমিও ল্যাবরেটরীজে অভিযান চালিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ক্ষতিকারক ঔষধ তৈরির অভিযোগে প্রতিষ্টানটি সিলগালা করার পাশাপাশি জরিমানাও করেন র‌্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত।সরেজমিন সুত্রে জানা যায়,প্রতিষ্টানটিতে তৈরিকৃত ঔষধ গুলো মানব দেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর ।স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এর বিশেষজ্ঞ জনাব,মাহবুবুর রহমান জানান, আমরা বাজার বা মেডিসিন দোকান থেকে যে সব শক্তি বর্ধক ঔষধ যেমন-জিনসেন, আল-ফালা, বাসকসহ সেক্সুয়াল ঔষধ ক্রয় করি তা আমাদের দেশীয় লোকাল প্রতিষ্ঠানগুলোে যে প্রক্রিয়ায় তৈরি করে তা মোটেই স্বাস্থ্য সম্মত নয়। আর এগুলো এমন কিছু উপায়ে তৈরি হয় যা আমাদের মানব দেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।

 অভিযান চলা কালে সরেজমিনে দেখা যায় ,জীবন্ত মৌমাছিকে খোলা হাতে ছেচুনি দিয়ে ছেচে ঔষধ তৈরি হচ্ছে। এছাড়া বাথরুমের ভেতর বিভিন্ন রকম কেমিকেল পাওয়া যায় । এমন অবস্থায় র‌্যাবের র্নিবাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব সরওয়ার আলম উক্ত কোম্পানিকে দুই লক্ষ টাকা জরিমানা ও দুই বছরের জেল প্রদান করেন। পাশাপাশি যাত্রাবাড়ী সম্রাট কমিউনিটি সেন্টার এর পাশে র্হাব ইউনানি ল্যাবরেটরীজকে অপরিচ্ছন্ন উপায়ে ওষধ তৈরির কারনে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। ক্রাইম ডায়রি সাথে একান্তে ম্যাজিস্ট্রেট সরওয়ার আলম জানানে,জনস্বার্থে এমন অভিযান অব্যহত থাকবে।

বুধবার, ৫ আগস্ট, ২০১৫


       ফেসবুকে পর্ণো ছবিঃ

আপনার যা করণীয়

ওমর ফারুক রবিন,ক্রাইম ডায়রি,আগষ্ট ৫,২০১৫ইংঃ
ফেসবুক ছাড়া এখন খুব্ কম মানুষই আছে।।এখানে যেমন আছে কিছু খারাপ মানুষ।তেমনি ভালমানুষের সংখ্যাও কম নয়।।ফেসবুক সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম।।এখান থেকে ভাল কিছু শিক্ষা কিংবা ভাল বন্ধুত্বই কাম্য।। যেহেতু, আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অন্যতম অনুষঙ্গ ফেসুবক প্রযুক্তি।সুতরাং এই প্রযুক্তির নেশায় আমরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেসবুকে থাকি এবং বন্ধুদের সঙ্গে চ্যাট/তথ্য আদান-প্রদান করি। আমাদের ফেসবুকে থাকে হাজার হাজার বন্ধু। আমরা যা স্টাট্যাস দেই তা আমাদের সকল বন্ধু দেখেন। কিন্তু আপনি নিজে কোনো স্টাট্যাসে পর্নো ভিডিও শেয়ার করছেন না, অথচ আপনার একাউন্ট থেকে অটোমেটিক পর্নো ভিডিও শেয়ার হচ্ছে। এতে নিশ্চয়ই আপনি সামাজিক ভাবে মর্যাদাহীন হচ্ছেন কিংবা আপনার ভাল বন্ধুরা তাতে আপনাকে হেয় মনে করছে।
সেক্ষেত্রে আপনি কি করবেন?? এটা এক ধরনের ম্যালওয়ার যা প্রন-ট্রোজান নামে পরিচিত। কারও দেয়া লিংক খারাপ ফেসবুক অ্যাপস ক্লিকে আক্রান্ত হতে পারে আপনার আইডিটি। আক্রান্ত আইডি থেকে সঙ্গে সঙ্গে অটোমেটিক ২০ এর অধিক পর্নো বন্ধুদের টাইমলাইনে ট্যাগ হতে থাকে এবং সমস্ত পিসিতে ম্যালোওয়ার ছড়িয়ে পড়ে।
টাইমলাইনে পর্নো এলে যা করবেন:
১. শক্তিশালী পাসওয়ার্ড না থাকলে তা সহজেই হ্যাক হয়।আর মোবাইল নম্বর দিয়ে কিংবা সহজ অংক ব্যবহার করে কিংবা নাম দিয়ে পাসওয়ার্ড একটা কমন বিষয়। তাই তাড়াতাড়ি আপনার একাউন্টের পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করুন।
২. যে সব পর্নো ভিডিও আপনার টাইমলাইনে ইতোমধ্যে শেয়ার হয়েছে সেইগুলি ডিলিট ও রির্পোট করুন।
৩. ভাল এন্টিভাইরাস দিয়ে আপনার পিসিটি স্ক্যান করুন। কিছু কিছু ভাইরাস স্ক্যান করতে ব্যর্থ হয় এবং তা F-Secure scan, Trend Micro scan, ESET scan, Microsoft security software এর যে কোন একটি দিয়ে অনলাইনে সরাসরি স্ক্যান করুন। যদি আপনার ব্রাউজার গুগলক্রোম হয় তবে browser-specific scan স্ক্যান করুন।
৪. আপনার ব্রাউজারের ভার্সন আপডেট করুন।
৫. আপনার একাউন্টের সিকিউরিটি স্ট্রং করে ট্যাগ রিভিউ-এ রাখুন। কেউ যেন কোন কিছু ট্যাগ করলে আপনার রিভিউ ছাড়া যেন টাইমলাইনে প্রদর্শন না হয়। সেজন্য Setting>> Timeline and Tagging Settings>>> Who can add things to my timeline?>>> Review posts that friends tag you in before they appear on your Timeline?>>>Enable করুন।
৬. Suspicious ব্রাউজারের আড-অন রিমুভ করুন।
৭. এর পরেও আবারও পর্ণে শেয়ার হলে ,৭-৮ ঘন্টার জন্য আপনার একাউন্ট ডি-অ্যাক্টিভ করুন।
৮. আপনার একাউন্টে পর্নো শেয়ারের পরিণতির জন্য (দুঃখিত) একটি স্ট্যাটাস দিন। যদি আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে কোনও খারাপ পোস্ট চোখে পড়ে বা কোনও লিঙ্ক চোখে পড়ে তা যেন ক্লিক না করেন।
টাইমলাইনে যেন পর্নো না আসে তার জন্য করণীয়:
১. কারও দেয়া লিংকে ক্লিক করবেন না।
২. ফেসবুকে ছড়ানো খারাপ ভিডিওতে ক্লিক বা শেয়ার করবেন না ।
৩. ট্যাগ রিভিউ-এ রাখুন। কেউ যেন কোন কিছু ট্যাগ করলে আপনার রিভিউ ছাড়া যেন টাইমলাইনে প্রদর্শন না হয়। সেজন্য Setting>> Timeline and Tagging Settings>>> Who can add things to my timeline?>>> Review posts that friends tag you in before they appear on your Timeline? >>>Enable করুন।
৪. খারাপ ফেসবুক অ্যাপ বা গেইমস এ ক্লিক করবেন না। সন্দেহজনক অ্যাপ ডিলিট করুন।
আপনি ফেসবুকে নিরাপদ থাকুন। আপনার ফেসবুকেএকাউন্ট থেকে কোন অবস্থাতেই জঙ্গী কার্যক্রম কিংবা উস্কানি মুলক পোষ্ট কিংবা কোন খারাপ ছবি লাইক কিংবা কমেন্ট কিংবা শেয়ার করবেন না। কিংবা এগুলো যারা প্রচার করে এমন বন্ধুদের আনফ্রেন্ড করুন।।


https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl

মঙ্গলবার, ৪ আগস্ট, ২০১৫

                     শরীরে হাওয়া প্রবেশ করিয়ে,উল্লাস করে শিশু হত্যাঃ

                                                            মানবিকতার চরম নজীর

ক্রাইম ডায়রি খুলনা প্রতিনিধি,৫/৮/১৫ ইংঃ
 বন্দরনগরী খুলনায় শিশু রাকিবকে পায়ুপথে কমপ্রেসার মেশিন বসিয়ে বাতাস দিয়ে শিশু হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় নির্যাতনকারীরা উল্লাস করে । শিশুটির চিৎকারে আকাশ বাতাস কাঁদলেও তার চিৎকারে মন গলেনি মানুষরুপি এইসব নরপিচাশদের। কেউ আসেনি তাকে উদ্ধার করতে। তবে শিশু রাকিবের বন্ধু প্রত্যক্ষদর্শী নাবিল (১০) তার বাড়িতে নির্যাতনের খবর পৌঁছে দিয়ে রেখেছে বন্ধুত্বের মর্যাদা। ছোট্ট শিশু নাবিল যখন তারই চোখের সামনে বন্ধুকেনির্যাতনের ঘটনা সহ্য করতে না পেরে ছুটোছুটি করছে তখন একদল নরপিচাশ তা দেখে উল্লাস ও ঠাঠ্টা করছিল। ঘটনার খানিকটা বর্ণনা দিয়ে নাবিল বলে, ‘রাকিবকে নির্যাতনের সময় সে চিৎকার দিয়ে কাঁদছিল। কান্না শুনে মনে হয়েছে রাকিবকে নির্যাতন করা হচ্ছে। পরে দেখি কমপ্রেসার মেশিন দিয়ে তার পেটের ভেতরে বাতাস ঢুকানো হচ্ছে। সে আরো চিৎকার করছে। বাচাঁর জন্য আকুতি করে বলছে, ‘মামা আর দিয়েন না, আমি মরে যাবো। এক পর্যায়ে রাকিব বমি করতে থাকে। এরপর কিছু সময় মেশিন দিয়ে বাতাস দেয়া বন্ধ করে তারা। এরপর আবারো উল্লাস করতে করতে রাকিবকে চেপে ধরে তারা বাতাস ঢুকাতে থাকে। এ দেখে আমি ভয় পেয়ে যাই। আর সামনে না গিয়ে রাকিবের বাড়িতে গিয়ে ঘটনা জানাই।’

 সোমবার বিকেলে নগরীর টুটপাড়া কবরখানা সংলগ্ন শরীফের গ্যারেজের সামনে দিয়ে রঙ কিনতে যাওয়ার সময় রাকিবকে ডেকে নেয় গ্যারেজ মালিক শরীফ। এরপরে সহযোগী মিন্টু মিয়াসহ ৪/৫ জন মিলে তাকে টেনে-হিঁচড়ে গ্যারেজের ভেতরে নিয়ে যায় তারা। এক পর্যায়ে রাকিবের পায়ুপথে কমপ্রেসার মেশিন বসিয়ে পেটে বাতাস ঢুকিয়ে উল্লাস করতে থাকে। এসময় মৃত্যুর যন্ত্রণায় চিৎকার করতে থাকে সে। শিশু রাকিবের আর্তচিৎকার শুনতে পেয়ে গ্যারেজের সামনে খানজাহান আলী সড়ক দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় থমকে দাঁড়ায় একই এলাকার খেলার সাথী চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র প্রতিবেশী নাবিল। ক্ষুধা ও দারিদ্রতার কারণে বছর দেড়েক আগে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় একমাত্র ছেলে শিশু রাকিবকে টুটপাড়া কবরস্থানের পাশে শরীফ মটরস গ্যারেজে কাজে দেন হতদরিদ্র নূর আলম হাওলাদার। গ্যারেজে কাজ করা অবস্থায় প্রায়ই মারধর করত গ্যারেজে মালিক ও তার লোকজন। কিছুদিন আগে শিশু রাকিব গ্যারেজ মালিকের গালমন্দ ও কথায় কথায় মারপিটের কারণে ওই গ্যারেজ ছেড়ে খুলনার পিটিআই মোড়ে নাসিরের গ্যারেজে কাজ নেয়। এতে ক্ষুব্ধ হয় আগের গ্যারেজের মালিক শরীফ। রাকিবের মা লাকি বেগম আহাজারি করে বলেন, ‘নাবিলের কাছ থেকে খবর পেয়ে আমরা গ্যারেজে যাই রাকিবকে খুঁজতে। ওখানে গিয়ে শুনি তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। এরপরে হাসপাতালে যাই। হাসপাতালে গিয়ে দেখি রাকিবের কিছু জ্ঞান আছে। আমাকে বললো, ‘মা আমাকে বাঁচাও। মামা আমাকে অনেক নির্যাতন করেছে। আমি বাঁচবো না মা।’ রাকিবদের প্রতিবেশী সুমি বেগম জানান, হাসপাতালে গেলে ডাক্তাররা বলেন রাকিবের শরীরে অস্বাভাবিক পরিমাণ বাতাস প্রবেশ করানোর কারণে তার পেটের নাড়িভুঁড়ি ছিঁড়ে গেছে। ফুসফুসও ফেটে গেছে। এছাড়া তার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ অকেজো হয়ে যাওয়ায় অবস্থার অবনতি দেখে তারা রাকিবকে সেখান থেকে ঢাকায় নিতে বলে। কিন্তু ঢাকা নেয়ার পথে রাকিব মারা যায়। সুমী আরো জানান, রাকিবের মৃত্যুর পরও তার নাক-মুখ দিয়ে প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ হয়েছে। শিশু শরীর হলেও ফুলে ফেপে প্রাপ্তবয়স্কদের মতো মোটা হয়ে যায় সে। তিনি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ফাঁসির দাবি জানান। এদিকে, এ ঘটনায় খুলনায় ব্যাপক চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে। দফায় দফায় হয়েছে বিক্ষোভ মিছিল, সড়ক অবরোধ। সিলেটের শিশু রাজন হত্যার রেশ না কাটতেই খুলনায় ১২ বছরের রাকিবকে নির্মম নির্যাতন চালিয়ে হত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন ভিকটিম সাপোর্ট এন্ড হি উম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এ্যাড. চিত্তরঞ্জন তালুকদার,নির্বাহী পরিচালক হেলাল উদ্দিন ও পরিচালক প্রশাসন আতিকুল্লাহ আরেফিন রাসেল,বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন অ্যাডভোকেট এলিনা খান, খুলনা মহানগর শাখার সভাপতি মো. খবিরুজ্জামান, জেলা শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট স ম বাবর আলী, মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরিদ আহমেদ, জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মিজানুর রহমান মিলটন প্রমুখ। প্রদত্ত বিবৃতিতে নেতারা দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘটনার দোষী ও দর্শকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস জানান, মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালিয়ে শিশু রাকিবকে হত্যার ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে মামলা দায়ের হয়েছে। রাকিবের বাবা নুরুল আলম হাওলাদার তিনজনকে আসামি করে খুলনা সদর থানায় এ মামলা করেন। আসামিরা হলেন, গ্যারেজ মালিক শরীফ (৩৫), সহযোগি মিন্টু মিয়া (৪০), ও শরীফের মা বিউটি বেগম (৫৫)। এর মধ্যে শরীফ ও মিন্টু মিয়াকে আটক করা হয়েছে।
ওসি আরো জানান, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাকিবের লাশের ময়নতদন্ত শেষে বিকেলে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।


https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl