জাতীয় সাপ্তাহিক ক্রাইম ডায়রি একটি অপরাধ বিষয়ক পত্রিকা।।

national weeklycrime diary

national weeklycrime diary
ক্রাইম ডায়রি(জাতীয় সাপ্তাহিক, অনলাইনদৈনিক, অনলাইন টেলিভিশন ও অপরাধ গবেষণা )

সোমবার, ২৯ জুন, ২০১৫


                                            রংপুরে পিবি আইয়ের কার্যক্রম শুরু
বিশেষ প্রতিনিধি,ক্রাইম ডায়রি, আপডেট ২৯.৬.১৫,৫.২৪ পি এমঃ
পুলিশের বিশেষায়িত শাখা হলো পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। সদ্য এই বিশেষায়িত শাখার কার্যক্রম শুরু করেছে রংপুর জেলা পুলিশ! রংপুর আদালত সুত্রে জানা গেছে ইতোমধ্যে তারা বেশ কিছু মামলার তদন্তও শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআই এর আদলে গড়া বিশেষায়িত তদন্ত সংস্থা পিবিআই। কার্যক্রম শুরুর পরও এরা সুনির্দিষ্টভাবে কোন কার্যক্রম চালাতে পারছেনা শুধু সুনির্দিষ্ট নীতিমালার জন্য। খুন,ডাকাতি ও খুনসহ ডাকাতি,ধর্ষণ, অস্ত্র মামলা,বিস্ফোরক দ্রব্য সংক্রান্ত মামলা,সাইবার ক্রাইম,মানব পাচার,চোরাচালান ও কালোবাজারি,
অপহরণ,মুক্তিপণ ও মাদকদ্রব্য সংক্রান্ত অপরাধ এর মামলায় সঠিক তদন্ত করবে এই সংস্থাটি। নীতিমালা বাস্তবায়ন হলে আদালতের নির্দেশ ছাড়াই পিবিআই সরাসরি এই ১০টি বিশেষ ধরনের মামলার তদন্ত করতে পারবে বলে জানা গেছে। যে কোন ব্যাক্তি প্রতিষ্ঠান উল্লেখিত যে কোন ধরনের মামলা পিবিআই কে দিয়ে তদন্ত করানোর জন্য আদালতের কাছে আবেদন করতে পারবেন। নতুন এই ইউনিটটি সকল মহলের আশা পুরন করতে পারে বলে মনে করে সুধীমহল। তারা মনে করেন ক্ষমতা পেলে অমিমাংসিত অনেক মামলার সঠিক তদন্ত হলে থলের বেড়াল বের হয়ে আসবে। সেই সাথে প্রত্যাশা পুরন হবে সাধারন জনগনের। নির্যাতিত নিপিড়ীত জনতা কিছুটা হলেও স্বস্থি পাওয়া শুরু করলেও এখনও হতাশায় আছে এই সংস্থাটি। সরকারের সুনজর,পৃষ্ঠপোষকতা ও ক্ষমতায়ন হলে সঠিক মামলা তদন্ত করে পিবিআই সবার আস্থার প্রতীকে পরিণত হতে পারে বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করেন।


https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl
             ক্রাইম ডায়রির বার্তা সম্পাদককে প্রাণনাশের হুমকি
ওমর ফারুক রবিন,চিফ রিপোর্টার,ক্রাইম ডায়রি,২৮.৬.১৫,৫.১৪ পি এম ঃ
ক্রাইম ডায়রি বার্তা সম্পাদককে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করা হয়েছে। আজ ২৮/৬/১৫ইং তারিখ বেলা ৩ ঘটিকায় গাজীপুরের কোনবাড়ি এলাকার ক্রাইম ডায়রি বার্তা সম্পাদকের পুর্ব পরিচিত এক ব্যক্তি০১৯৫৬৮১৯৩৯৩ মোবাইল নং থেকে পারিবারিক বিষয়ের জের ধরে রাজধানী হতে বের করে দেয়া ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করেছে। উল্লেখ্য ক্রাইম ডায়রি বার্তা সম্পাদক এর ছোট বোন গাজীপুর চৌরাস্তাস্থ একটি গার্মেন্ট ফ্যাক্টরি এ্যাডমিন সেকশনে কর্মরত। গাজীপুর কোনাবাড়িতে তার ছোটবোন বাসা নিয়ে থাকত। কিন্তু নেশাখোর ও চরিত্রহীন স্বামী নির্মম নির্যাতন করে বাসা থেকে বের করে দিলে সে ঢাকা তার ভাই ক্রাইম ডায়রির বার্তা সম্পাদকের বাসায় এসে ওঠেন। তখন থেকেই তার বোনের স্বামী একটি চক্রের সাহায্যে ও ঢাকায় অবস্থানরত তার বড় ভাইয়ের সহযোগীতায় তার বোনকে রাস্তায় শ্লীলতাহানি ও মারধরের চেষ্টা করে আসছে এবং ফোনে তার কর্মস্থলে গিয়ে সমস্যা সৃষ্টি ও প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসছে। তার বোনের ভাষ্য অনুযায়ী খারাপ মেয়েদের নিয়ে ঘরে এসে খারাপ কাজ করতে এবং মদ্যপানে বাঁধা দেয়ায় সে তাকে মারধর করে এবং ঘর হতে বের করে দেয়। তার নামে এলাকায় একাধিক বার নারীবিষয়ক বিচারশালিস হয়েছে বলে এলাকার কমিশনার সুত্রে জানা গেছে। গণভবনে চাকরি করে বাবুল নামের একজন লোক ফোন করে ও তার বোনের মোবাইলে মেসেজ করে এক লক্ষ টৃাকা না দিলে পত্রিকায় খারাপ ছবি দিয়ে সামাজিক মর্যাদা নষ্ট করার হুমকি দেয়। বিভিন্ন লোকের সহযোগীতায় মাঝে মাঝেই রাতবিরাতে ফোন দিয়ে হুমকি ধামকি ও কর্মস্থলে ঝামেলা সৃষ্টির ভয় দেখায়। এমতাবস্থায় ক্রাইম ডায়রির বার্তা সম্পাদক ফোনে ছেলের বড় ভাইকে জানালে তিনিও একই ভাষায় কথা বলার চেষ্টা করেন। এতে বোঝা যায় এই হুমকি র পিছনে তার হাত রয়েছে।।এতে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা,দৈনিক কালের ছবি,দৈনিক দেশকাল ,ভিকটিম সাপোর্ট এন্ড হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন ও ক্রাইম ডায়রি পরিবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। বিষয়টি নিয়ে ক্রাইম ডায়রির বার্তা সম্পাদক থানায় জিডি করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।

https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl



                                        কি লাচ্ছা সেমাই খাচ্ছি আমরা
ক্রাইম ডায়রি, কাহালু প্রতিনিধি,২৮.৬.১৫ আপডেট,৪.৪৫ পি এমঃ
ঈদ আসলেই লাচ্ছা ও সেমাই খাবার ব্যস্ততায় অস্থির হয়ে যায় আমরা। কিন্তু কি খাচ্ছি কোন খোঁজ রাখি কি??? সম্প্রতি প্রথম আলোর অনুসন্ধানে দেখা গেল, বগুড়ার কাহালু উপজেলার শেখাহার এলাকায় একটি মুরগির শেডে তৈরি করা হচ্ছে লাচ্ছা সেমাই।বসতবাড়ি ঘেঁষে মুরগির খামার। খামারের ভেতরে পা দিতেই নাকে ভেসে এল উৎকট গন্ধ। শেডের ওপরে ঝুলছে মুরগির পানি খাওয়ানোর প্লাস্টিকের পাত্র। তবে শেডে এখন মুরগি নেই। এক মাসের জন্য শেডে মুরগি তোলা বন্ধ করে তৈরি করা হচ্ছে লাচ্ছা সেমাই।
ঈদ বাজারকে সামনে রেখে বগুড়ার কাহালু উপজেলার শেখাহার বাজারে অস্থায়ীভাবে গড়ে ওঠা এ কারখানায় গত বৃহস্পতিবার গিয়ে দেখা গেল, শ্রমিকদের কেউ মেঝেতে ময়দা ঢেলে পা দিয়ে খামির তৈরি করছেন, কেউ খালি গায়ে ডালডার বল তৈরি করছেন, কেউ রিং করছেন। সবার গা থেকে টপটপ করে ঘাম বেয়ে পড়ছে। কারখানার মালিক আবু সাঈদ।
আবু সাঈদ বলেন, এক মাসের ব্যবসা। এ জন্য শেডে মুরগি তোলা বাদ দিয়ে লাচ্ছা তৈরি করছেন। এবার ময়দা, পামওয়েল ও ডালডার দাম বাড়লেও লাচ্ছার বাজার মন্দা। গতবার প্রতি মণ লাচ্ছা দুই হাজার থেকে দুই হাজার দুই শ টাকা দরে বিক্রি হলেও এবার সর্বোচ্চ এক হাজার আট শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
পাশের সেকেন্দার আলীর কারখানায় গিয়ে দেখা গেল, বিশাল কারখানায় একপাশে চলছে খামির তৈরির কাজ। পাঁচ থেকে ছয়জন শ্রমিক পা দিয়ে খামির তৈরি করছেন। গা থেকে ঘাম গড়িয়ে পড়ছে খামিরের ওপর। পাশেই তৈরি করে রাখা খামিরে মাছি বসেছে। এখানে খামির তৈরিতে ব্যবহার হচ্ছে পান করার অযোগ্য পানি।
সেকেন্দার আলী বলেন, কারখানায় ৩০ জন শ্রমিক কাজ করছেন। প্রতিদিন গড়ে ৫০ মণ লাচ্ছা তৈরি হচ্ছে। ৭৫ কেজি ময়দার লাচ্ছা তৈরি ও খামির করার জন্য মজুরি দিতে হচ্ছে ৪৫০ টাকা। গত বছর ছিল ৪৩০ টাকা। হাত দিয়ে খামির করতে গেলে খরচ বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উৎপাদনও কমে যাবে। তাতে বাজার ধরা সম্ভব হবে না।
ওই দুই কারখানার মতোই চিত্র দেখা যায় শেখাহার বাজারের ১৬টি কারখানার। এখানকার অর্ধশতাধিক কারখানার মধ্যে মাত্র দুটির অনুমোদন রয়েছে বিএসটিআইয়ের।
বিএসটিআই বগুড়া কার্যালয়ের মাঠ কর্মকর্তা দেবব্রত বিশ্বাস বলেন, বগুড়া জেলায় ৫৬টি লাচ্ছা কারখানার অনুমোদন রয়েছে। এর মধ্যে শেখাহারেরও দুটি কারখানা আছে। তবে লাচ্ছা তৈরির নামে শেখাহারে কয়েক বছর যা হচ্ছে, তা মেনে নেওয়া যায় না। গত বছর অভিযান চালানো হয়েছিল। এবার দুটি কারখানার অনুমোদন বাতিলসহ অভিযান চালিয়ে সব কারখানা বন্ধ করে দেওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছে বিএসটিআই।
চলছে ময়দার খামির বানানোর কাজকয়েকটি কারখানার মালিকেরা জানান, ২৫ বছর আগে এই বাজারে মনির হোসেন ও আবু বক্করসহ কয়েকজন লাচ্ছা তৈরি করে পাইকারি বাজারে সরবরাহ শুরু করেন। তাঁদের হাত ধরে এখানকার লাচ্ছার বাজার ছড়িয়ে পড়ে গোটা দেশে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে লাচ্ছা তৈরির সুযোগ নিয়ে কারখানার মালিকদের ঘুষ দিতে হয় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে।
সেকেন্দার আলীর কারখানায় পা দিয়ে ময়দা খামির করছিলেন বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার চাউলিয়াপাড় গ্রামের শ্রমিক মেহেদী হাসান। তিনি বলেন, তিনি মূলত কৃষিকাজ করেন। রোজার এক মাস এখানকার লাচ্ছার কারখানায় কাজ করতে আসেন। সাড়ে ৩৭ কেজি ওজনের এক বস্তা ময়দার খামির করে পান ৮০ টাকা। দিন শেষে গড়ে ৩০০ টাকা মজুরি মেলে। তিনি আরও বলেন, হাত দিয়ে খামির করলে সময় অনেক লাগে। খরচ বাঁচাতেই কারখানা মালিকেরা পা দিয়ে খামির করিয়ে নিচ্ছেন।
শেকাহার বাজারের ব্যবসায়ী আবদুর রাজ্জাক বলেন, ময়দা থেকে খামির করতে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে তিনি মেশিন কিনেছেন। মেশিনে খামির করা লাচ্ছার গুনগত মান ঠিক থাকায় বাজারে এর চাহিদা ও দাম বেশি।
শেখাহার বাজারের লাচ্ছার সবচেয়ে বড় কারখানা সাজ্জাদ হোসেন ও রুবেল হোসেনের। ভাই ভাই লাচ্ছা অ্যান্ড ফুড প্রোডাক্টসের সাজ্জাদ হোসেন বলেন, এখানে ছোটবড় প্রায় ৫০টি কারখানায় গড়ে এক হাজার মৌসুমি শ্রমিক কাজ করেন। কেউ পেশাদার কারিগর নন। তিনি আরও বলেন, অপরিকল্পিতভাবে লাচ্ছার কারখানা গড়ে ওঠায় লাচ্ছার গুনগত মান ঠিক রাখা সম্ভব হচ্ছে না। তবে খামির করার যন্ত্র কেনার জন্য সরকার সহজ শর্তে পুঁজি, কারখানা স্থাপনের জন্য জায়গা বরাদ্দ এবং গ্যাস সংযোগের দিকে নজর দিলে শেখাহারের লাচ্ছার বাজার বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব।
কক্সবাজার থেকে লাচ্ছা কিনতে আসা পাইকার জালাল উদ্দিন জানান, কয়েক বছর ধরে তিনি এখান থেকে লাচ্ছা কিনে বিভিন্ন শহরে সরবরাহ করছেন। এবার ৩০ মেট্রিক টন লাচ্ছা কিনে পাঠিয়েছেন। আরও ৫০ টন লাচ্ছা কিনবেন। তিনি বলেন, মান নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করতে পারলে বগুড়ার লাচ্ছা বিদেশে ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব।
বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. খোরশেদ আলম প্রথম আলোকে বলেন, অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে লাচ্ছা উৎপাদন কোনোভাবেই চলতে দেওয়া হবে না। শেখাহারের লাচ্ছা কারখানাগুলোতে ভেজালবিরোধী টাস্কফোর্সের অভিযান চালানো হবে। এই চিত্র কি শুধু বগুড়ার? দেশের বিভিন্ন স্থানে একই কায়দায় তৈরি হচ্ছে লাচ্ছা সেমাই। পদ্ধতি একই।। সাধারন মানুষের দাবী স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি স্বরুপ এমন ভাবে তৈরি লাচ্ছা ও সেমাই তৈরি দ্রুত বন্ধে আইনপ্রয়োগ কারী সংস্থা কার্যকরী পদক্ষেপ নিবেন।
সম্পাদিত
https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl

মঙ্গলবার, ২৩ জুন, ২০১৫

                       জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা ঃ
                                       সকল সদস্যদের উপস্থিত থাকার আহবান

শাহাদাত হোসেন রিটন,অর্থসচিব ঃ
জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার ইফতার মাহফিলপুর্ব আলোচনা সভায় আগামী শুক্রবার ৮ই রমজান ১৪২২ মোতাবেক ২৬শে জুন ২০১৫ বিকাল ৫টায় ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় ঢাকার ২২/১ তোপখানা রোডস্থ বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে পবিত্র মাহে রমজান ও সমাজ চেতনা শীর্ষক আলোচনা সভা এবং ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার চেয়ারম্যান মুহম্মদ আলতাফ হোসেন জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সদস্য ও শুভাকাংখীদের যথাসময়ে উপস্থিত থাকার অনুরোধ করেছেন।

https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl

                                                               পাহাড়ে অত্যাধুনিক অস্ত্র উদ্ধারঃ                                                              সামরিক প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত জঙ্গি গ্রেফতার
ক্রাইম ডায়রি ডেস্ক রিপোর্ট,আপডেট ২৩/৬/১৫,১০ এ এম,ঢাকাঃ
আধুনিক প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত বেশ কিছু জঙ্গি বাঁশখালির সাধনপুর লটকন পাহাড়ে অবস্থান করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায় র‌্যাব-৭। চট্টগ্রামের বাশঁখালীর সাধনপুর লটকন পাহাড়ে ‌জঙ্গি সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-৭)। এ সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় অত্যাধুনিক একে-২২ এ্যাসল্ট রাইফেল, পাঁচটি বিদেশী পিস্তল ও বিপুল পরিমাণ গুলি।
র‌্যাব-৭ এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সোহেল মাহমুদ জানান, রবিবার রাত ১০টা থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম-বাঁশখালী মহাসড়কের আড়াই কিলোমিটার দূরে গভীর জঙ্গলে সাধনপুর লটকন পাহাড় এলাকায় ‘জঙ্গি সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সন্ধান পায় র‌্যাব-৭।
প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে উদ্ধার করা আলামত থেকে ধারণা করা হচ্ছে, এখানে বিমান ছিনতাইয়ের কৌশল, গেরিলাযুদ্ধ, শারীরিক ও সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো। সেখানে কয়েকটি ফায়ারিং রেঞ্জ ও বাংকার তৈরি করা হয়েছিল। ওই অভিযানে বিপুল পরিমাণ বিদেশী অস্ত্র ও প্রশিক্ষণসামগ্রীসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-৭।


https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl



                                       পড়াশোনা না করেও হাতের নাগালে শিক্ষাসনদ ঃ
                                          জাল সার্টিফিকেট ব্যবসায়ীরা আবার ও সক্রিয়
ক্রাইম ডায়রি ডেস্ক রিপোর্ট,২৩/৬/১৫ইং,৩.৫১পি এম ,ঢাকাঃ
সার্টিফিকেট ব্যবসায়ীদের এখন পোয়াবারো অবস্থা।।। যেখানে সেখানে এখন গড়ে উঠেছে এই সার্টিফিকেট ব্যবসা। কি ঢাকা শহর! কি মফস্বঃল!!! সব জায়গায় এখন সক্রিয় সার্টিফিকেট ব্যবসায়ীরা। রাজধাণীর নীলক্ষেত এলাকায় এমন ব্যবসায়ীদের স্বর্গরাজ্য।নির্দিষ্ট লোক,আর নির্দিষ্ট কোড বললেই তৈরি করে দিচ্ছে সার্টিফিকেট।। অচেনা লোক দেখলে মুখটিও খুলবে না কেউ।। ইদানিং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় এরাও সার্টিফিকেট বিক্রি করছে দেদারছে ঢাকঢোল পিটিয়ে। কিছুদিন আগে গত ১৭ ই মার্চ,২০১৫ সন্ধ্যা ৮.০৫.৩৯ পি এম এ ক্রাইম ডায়রির বার্তা প্রধানের মোবাইলে মেসেজ আসে ০১৭১১১০৫৪৪২ এই নম্বর থেকে।।মেসেজটা ঠিক এই রকম--Need?Pure certificate of SSC/HSC/Degree/Masters.Any certificate of Southern/Gono University=50,000tk.SSC/HSC of Open University=20,000tk with online.-Dr.Sohel. বেশকিছুদিন পর দৈনিক দেশকালের প্রধান সম্পাদক জনাব মতিউর রহমান ভাইয়ের ফোন থেকে ফোন দিলে অপর প্রান্ত থেকে সারা দেন এক সুকন্ঠি মহিলা যিনি নিজেকে পুস্পিতা বলে পরিচয় দেন এবং ড. সোহেলের সাথে কথাও বলিয়ে দেন এবং সার্টিফিকেটের জন্য গুলশান-১ এ অবস্থিত সাউদার্ন ভার্সিটির ক্যাম্পাসে যেতে বলেন। ভিন্ন পরিচয়ে ফোন দিলে একই মহিলা ফোন ধরে একই জায়গায় যেতে বলেন। ভার্সির্টির ক্যাম্পাসে পৌছলে সেখানে প্রথমে রাজী হলেও পরে কথায় সন্দেহ হওয়ায় তারা নিজেদের প্রশাসনের লোক বলে পরিচয় দেন।।ঠিক এমনি ভাবে দারুল ইহসান ভার্সিটির ভিসির পরিচয়ে একদল লোক খোদ রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় সার্টিফিকেট ব্যবসা করে যাচ্ছেন।।মফস্বলের কম্পিউটার ব্যবসায়ীরাও সার্টিফিকেট ব্যবসা করেন বলে আমাদের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন। শিক্ষা সনদ প্রয়োজন হয় এদেশে চাকরির ক্ষেত্রে। এখন আবার বিদেশেও যেতে সার্টিফিকেট প্রয়োজন। এই সার্টিফিকেট প্রয়োজনের সময় সোনার হরিণ। কিন্তু সার্টিফিকেট এখন আর সোনার হরিণ নয়, কারণ ২ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা দিলেই পাওয়া যায় চাহিদা অনুযায়ী মনগড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সার্টিফিকেট। নামী-দামী কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় এমনকি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং হস্তশিল্পের সার্টিফিকেটও মেলে টাকায়। এই অবৈধ সার্টিফিকেট ব্যবসার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের রয়েছে বিশাল সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেটের কাজ হলো গ্রাহক যোগাড় করে প্রস্তুতকারক পর্যন্ত পৌঁছে দেয়া। চট্টগ্রামে এমন দুটি সিন্ডিকেটের কয়েক সদস্যকে গ্রেফতারের পর জাল সার্টিফিকেট ব্যবসার টপ টু বটম তথ্য উঠে এসেছে। গ্রেফতারকৃতদের চাঞ্চল্যকর তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চলছে সিন্ডিকেটের বাকি সদস্যদের গ্রেফতারে।
অভিযোগ রয়েছে, আমাদের দেশের আইন একটু ঢিলেঢালা। ফলে অপরাধীর পক্ষে চলে যায় তদন্ত রিপোর্ট। তদন্তকারী কর্মকর্তার রিপোর্ট আইনের বাইরে নয়। ফলে আইন অনুযায়ী প্রতারণা মামলায় অপরাধীদের বিরুদ্ধে তদন্ত রিপোর্ট দেয়া ছাড়া গতি থাকে না পুলিশের। এ ছাড়াও সাক্ষীদের অভাবেই অনেকটা মামলা হাল্কা হয়ে যায়। কারণ যেখানে জাল সার্টিফিকেট তৈরি হয় সেখানে কোন ব্যবসায়ী তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে না থাকায় সাক্ষ্য দিতে নারাজ পার্শ্ববর্তী ব্যবসায়ীরা। অপরদিকে, যাদের গ্রেফতার করা হয় তারা পুলিশের আইনের ধারা সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান রাখে। এমনকি পুলিশের প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্টেই দুর্বল আইনের প্রয়োগের কারণে সহজেই এই মামলায় জামিন পাওয়া যায়। তবে জামিনের পর পরই অপরাধীরা আবারও একই পেশায় ফিরে আসে সিন্ডিকেট তৎপর থাকার কারণে।
এদিকে চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের মুখপাত্র ও এডিসি এসএম তানভীর আরাফাত জানিয়েছেন, আমরা সিন্ডিকেটের সকল সদস্যকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রেখেছি। জাল সার্টিফিকেট ব্যবসার সঙ্গে যারা জড়িত তারা সাধারন মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছে। তবে যারা সার্টিফিকেট করে তারাও সমান অপরাধী। ক্রেতার কারনেই বিক্রেতারাও তৈরি করছে। এসব ক্রেতাদেরও খুঁজে বের করার চেষ্টা অব্যাহত আছে।
গোয়েন্দা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত ৯ জুন বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নিউ মার্কেট এলাকার দোস্ত বিল্ডিংয়ের নিচ তলায় অভিযান চালায় পুলিশ। সেখানে ফটোকপি, রঙিন ফটোকপিসহ কম্পিউটার ড্রাফটিংয়ের ব্যস্ততম পরিসর। কিন্তু এরই আড়ালে চলছে সার্টিফিকেট স্ক্যান করেই জাল সার্টিফিকেট তৈরির রমরমা ব্যবসা। এমন তথ্যের ভিত্তিতেই সেখানে অভিযান চালানো হয়। কপি বাজার নামের একটি দোকান হতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ পরিদর্শক এনামুল হকের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়।
সার্টিফিকেট ব্যবসার সঙ্গে জড়িত আনোয়ারার ঝিউরি এলাকার নূর হোসেনের ছেলে আমজাদ হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার জয়নগর এলাকার মৃত শহীদ মিয়ার ছেলে মোঃ শাহীন ও সন্দ্বীপের বাউরিয়া এলাকার মৃত ইদ্রিস আলমের ছেলে শামসুদ্দীন সেলিমকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর তারা নিজেদের অপরাধের কথা স্বীকার করেছে পুলিশের কাছে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে জাল সার্টিফিকেট ও জাল সার্টিফিকেট তৈরির কম্পিউটার সরঞ্জামাদি।
আরও জানা গেছে, গত ১৫ মে জাহাজে চাকরির বিভিন্ন জাল সনদ ও বিভিন্ন জাল কাগজপত্র সিলসহ আসামি নোয়াখালীর কবিরহাট এলাকার অমরপুর গ্রামের মৃত নূরুল ইসলামের ছেলে দ্বীন মোহাম্মদ, চাঁদপুরের আখনবাড়ী এলাকার মৃত আব্দুর রবের ছেলে মোঃ মহসিন ও সিরাজগঞ্জের কাজীপুর কুরাকান্দির মৃত আলতাফ তালুকদারের ছেলে আলম তালুকদারকে গ্রেফতার করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পরিদর্শক সৈয়দ আহসানুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি অভিযান চালানো হয়। আগ্রাবাদের ক্লিপটন প্লাজা এলাকা হতে আসামি দ্বীন মোহাম্মদকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে ১টি নেভী ব্লু রঙের ধারাবাহিক ডিসচার্জ সনদ বই উদ্ধার করা হয়।
তার তথ্য মতে জাইল্যাপাড়ার তার বাসা হতে ৯৩টি ধারাবাহিক ডিসচার্জ সার্টিফিকেট (সিডিসি) প্রকাশ নলি, ৭১টি সার্টিফিকেট অব কম্পোন্টেসি বই, ৭টি সার্টিফিকেট অব প্রফিসিয়েন্সি সনদ, বিভিন্ন নামে ইস্যুকৃত সনদ, ১৫০টি বিভিন্ন ডিজাইনের সীলমোহর উদ্ধার ও জব্দ করা হয়। অপরদিকে আসামি মোঃ মহসিনের বাসা হতে ১টি ধারাবাহিক ডিসচার্জ সার্টিফিকেট (সিডিসি) প্রকাশ নলি উদ্ধার ও জব্দ করা হয়। তাদের দেয়া তথ্য মতে তাদের অপর সহযোগী আলম তালুকদারকে আন্দরকিল্লা হতে গ্রেফতার করা হয়। এভাবেই চলছে জাল সার্টিফিকেট ব্যবসা। রাজধানীর নীলক্ষেতেও অহরহ পাওয়া যায় এমন সার্টিফিকেট । এছাড়া মতিঝিল অফিস পাড়া ও বায়তুল মোকাররম এলাকায় একাধিক বার এমন সার্টিফিকেট ব্যবসায়ীরা ধরা পড়লেও ছাড়া পেয়ে তারা একই কাজ করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।।
সম্পাদিত-------------

https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl

রবিবার, ২১ জুন, ২০১৫



                                   ভেজাল ও নকল রোধে ক্রেতা ভোক্তা ফাউন্ডেশন সক্রিয় ঃ
                                              ঔষধ প্রশাসনের সাথে বিশেষ মতবিনিময়
ক্রাইম ডায়রি ডেস্ক রিপোর্টঃ
ভেজাল নকল পণ্য ঔষুধ, প্রসাধনীসহ বহুমাত্রিক প্রতারণায় জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে জীবন রক্ষাকারি ঔষুধে ভেজাল এবং স্বাস্থ্য খাতে নানা অনিয়ম প্রতিটি নাগরিকের জন্য উৎকন্ঠার কারণ হয়ে উঠেছে। এ পরিস্থিতিতে করণীয় বিষয়ে বাংলাদেশ ঔষুধ প্রশাসনের সাথে বাংলাদেশ ক্রেতা ভোক্তা ফাউন্ডেশনের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল গত ২মে মঙ্গলবার মতবিনিময় করে। এতে বাংলাদেশ ঔষূধ প্রশাসনের পক্ষে উপস্থিত ছিলিন ঔষুধ প্রশাসনের মহা পচিলক মেজর জেনারেল মুস্তাফিজুর রহমান, পরিচালক গোলাম কিবরিয়া, পরিচালক রুহুল আমিন, উপপরিচালক মোঃ ছগির আহমেদ, উপ পরিচালক মিসেস নাহার সুলতানা। বাংলাদেশ ক্রেতা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ ফাউন্ডেশনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান লায়ন মোঃ নূর ইসলাম, উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ মুক্তিলীগের কেন্দ্রিয় সভাপতি মুজিবুর রহমান, পরিচালক ও দৈনিক কালের ছবি পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ জাহিদুল ইসলাম, এবং পরিচালক সাংবাদিক মোঃ মতিউর রহমান।
ঔষুধ প্রশাসনের কনফারেন্স রুমে অত্যন্ত আন্তরিক পরিবেশে অঅলোচনায় মহাপরিচালক মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, দেশের ঔষুধ বাজারে শৃঙ্খরা ফিরিয়ে আনতে সরকার বদ্ধ পরিকর। এ ক্ষেত্রে যে যত শক্তিশালী হোক কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। তিনি তথ্য দিয়ে এবং মাঠ পর্যায়ে জনসচেতনতা তৈরী করার পাআপাশি জাতীয় বৃহত্তর স্বার্থে সরকারের দেয়া আইনগত সুবিধা নিয়ে ঔষুধ প্রশাসনের সাথে কাজ করার জন্য ক্রেতা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ ফাউন্ডেশনকে আহবান জানান। সেই সাথে ভোক্তা অধিকার রক্ষায় ফাউন্ডেশন কাজ করে যাচ্ছে জেনে তিনি ফাউন্ডেশনের সকল কর্মি ও কর্মকর্তাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। সেই সাথে আগামী দিনে ঔষুধ প্রশাসনের যে কোন কাজের সাথে ফাউন্ডেশনকে সম্পৃক্ত করতে উপস্থিত কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে চেয়ারম্যান বলেন, ২০০৯সালে ভোক্তা অথিকার আইন পাশের মধ্যদিয়ে সরকার জন স্বার্থে যুগান্তকরি ভূমিকা নিয়েছে। এ আইনের সুফল ইতোমধ্যে জনগণ পেতে শুরু করেছে। তিনি বলেন, ঔষুধ প্রশাসনের যে কোন ট্রেনিং বা সেমিনারে যদি ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধিদের রাখা হয় তাহলে সরকারের কাজে তাদের অংশ গ্রহণের ধারা বুঝতে তাদের সহজ হবে। সেই সাথে জনসচেতনতাবৃদ্ধি ও ভেজাল নকল কারিদের সম্পর্কে প্রশাসনকে ব্যবহারে তারা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে। আলোচনায় অংশ নিয়ে ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা মুজিবুর রহমান কোন কারণেই ঔষুধের মতো বিষয়ে সরকার যেন কাউকে ছাড় না দেন সে আহবান জানান।
ভেজাল নকল পণ্য ঔষুধ, প্রসাধনীসহ বহুমাত্রিক প্রতারণায় জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে জীবন রক্ষাকারি ঔষুধে ভেজাল এবং স্বাস্থ্য খাতে নানা অনিয়ম প্রতিটি নাগরিকের জন্য উৎকন্ঠার কারণ হয়ে উঠেছে। এ পরিস্থিতিতে করণীয় বিষয়ে বাংলাদেশ ঔষুধ প্রশাসনের সাথে বাংলাদেশ ক্রেতা ভোক্তা ফাউন্ডেশনের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল গত ২মে মঙ্গলবার মতবিনিময় করে। এতে বাংলাদেশ ঔষূধ প্রশাসনের পক্ষে উপস্থিত ছিলিন ঔষুধ প্রশাসনের মহা পচিলক মেজর জেনারেল মুস্তাফিজুর রহমান, পরিচালক গোলাম কিবরিয়া, পরিচালক রুহুল আমিন, উপপরিচালক মোঃ ছগির আহমেদ, উপ পরিচালক মিসেস নাহার সুলতানা। বাংলাদেশ ক্রেতা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ ফাউন্ডেশনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান লায়ন মোঃ নূর ইসলাম, উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ মুক্তিলীগের কেন্দ্রিয় সভাপতি মুজিবুর রহমান, পরিচালক ও দৈনিক কালের ছবি পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ জাহিদুল ইসলাম, এবং পরিচালক সাংবাদিক মোঃ মতিউর রহমান।
ঔষুধ প্রশাসনের কনফারেন্স রুমে অত্যন্ত আন্তরিক পরিবেশে অঅলোচনায় মহাপরিচালক মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, দেশের ঔষুধ বাজারে শৃঙ্খরা ফিরিয়ে আনতে সরকার বদ্ধ পরিকর। এ ক্ষেত্রে যে যত শক্তিশালী হোক কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। তিনি তথ্য দিয়ে এবং মাঠ পর্যায়ে জনসচেতনতা তৈরী করার পাআপাশি জাতীয় বৃহত্তর স্বার্থে সরকারের দেয়া আইনগত সুবিধা নিয়ে ঔষুধ প্রশাসনের সাথে কাজ করার জন্য ক্রেতা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ ফাউন্ডেশনকে আহবান জানান। সেই সাথে ভোক্তা অধিকার রক্ষায় ফাউন্ডেশন কাজ করে যাচ্ছে জেনে তিনি ফাউন্ডেশনের সকল কর্মি ও কর্মকর্তাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। সেই সাথে আগামী দিনে ঔষুধ প্রশাসনের যে কোন কাজের সাথে ফাউন্ডেশনকে সম্পৃক্ত করতে উপস্থিত কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে চেয়ারম্যান বলেন, ২০০৯সালে ভোক্তা অথিকার আইন পাশের মধ্যদিয়ে সরকার জন স্বার্থে যুগান্তকরি ভূমিকা নিয়েছে। এ আইনের সুফল ইতোমধ্যে জনগণ পেতে শুরু করেছে। তিনি বলেন, ঔষুধ প্রশাসনের যে কোন ট্রেনিং বা সেমিনারে যদি ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধিদের রাখা হয় তাহলে সরকারের কাজে তাদের অংশ গ্রহণের ধারা বুঝতে তাদের সহজ হবে। সেই সাথে জনসচেতনতাবৃদ্ধি ও ভেজাল নকল কারিদের সম্পর্কে প্রশাসনকে ব্যবহারে তারা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে। আলোচনায় অংশ নিয়ে ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা মুজিবুর রহমান কোন কারণেই ঔষুধের মতো বিষয়ে সরকার যেন কাউকে ছাড় না দেন সে আহবান জানান।


https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl

বৃহস্পতিবার, ১৮ জুন, ২০১৫


                                         এখনও পদোন্নতি হয়নি গ্রেডভুক্ত কর্মকর্তাদেরঃ
                                            হুমকির মুখে কৃষিব্যাংকের উন্নয়ন কার্যক্রম
আতিকুল্লাহ আরেফিন রাসেল,ক্রাইম ডায়রি,১৮/৬/১৫ইং,১ পি এম,ঢাকাঃ
বাংলাদেশের কৃষিব্যাংক প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সহজ শর্তে ঋন প্রদান ও সহযোগীতার মাধ্যমে কৃষি উন্নয়নে অবদান রেখে চলেছে। আর এর পিছনে অবদান রয়েছে কৃষি ব্যাংকের কিছু দক্ষ ও মেধাবী কর্মকর্তাদের। এসব কর্মকর্তাদের যথোপযুক্ত পদোন্নতির মাধ্যমে উৎসাহ দিয়ে ব্যাংক আরও এগিয়ে যেতে পারে। ২০১৪-১৫ইং অর্থবৎসরের পদোন্নতি প্রক্রিয়ায় ( পত্র নং প্রকা/কব্যবি-২/৩৭(২)অংশ-১/২০১৪-২০১৫/৫০৭(২৫),তারিখ ১১-০৯-২০১৪) এ ব্যাংকের গ্রেডভুক্ত দক্ষ ও মেধাবী কর্মকর্তাদের তালিকা করে অর্থবৎসরের ৩০/৬/১৫ইং তারিখের মধ্যে শুন্যেপদের ভিত্তিতে পদোন্নতি দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের একজন দক্ষ প্রতিনিধির সমন্বয়ে গঠিত পদোন্নতি কমিটি ১২৬জন (৪২ *৩) কর্মকর্তার সাক্ষাতকার গ্রহন করে এর মধ্য হতে যোগ্য কর্মকর্তাদের একটি প্যানেল গঠন করেন। এই প্যানেল থেকে আগামী ৩০/৬/১৫ইং তারিখের মধ্যে শুন্যেপদের ভিত্তিতে পদোন্নতি দেয়া যাবে মর্মে সুপারিশও করেন পদোন্নতি কমিটির কর্মকর্তারা । কিন্তু কোন এক অজ্ঞাত কারনে নির্দিষ্ট সময় ঘনিয়ে আসলেও পদোন্নতি দেয়া হচ্ছেনা প্যানেলে থাকা যোগ্য কর্মকর্তাদের । কৃষিব্যাংক সুত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ১৫ টি উপমহাব্যবস্থাপক সহ বিভিন্ন গ্রেডে ৬৫টি পদ শুন্য রয়েছে। ব্যাংকের প্যানেল ভুক্ত পদোন্নতিপ্রত্যাশী একদল কর্মকর্তাদের অভিযোগ, ব্যবস্থাপক তার পছন্দকৃত বিশেষ কোন কর্মকর্তাদের ভবিষ্যৎ এ যোগ্য নির্বাচন করে পদোন্নতি দেয়ার জন্য বর্তমান শুন্য পদ পূরণ না করে প্যানেল বাতিল করার অপচেষ্টা করছেন । এতে ব্যাংক তার যোগ্য কর্মকর্তাদের হারাচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট বিভাগের অভিজ্ঞ কর্মকর্তারা মনে করছেন । তাছাড়া,বিশ্লেষকরা মনে করেন এতে করে যোগ্য কর্মকর্তারা পদোন্নতি না পেয়ে মনক্ষু্ন্ন হলে ব্যাংক যেমন তার যোগ্য কর্মকর্তাদের সেবা বঞ্চিত হবে, ঠিক তেমনি উপযুক্ত সেবার অভাবে আর্থিক দিক থেকেও ক্ষতির সম্মুখিন হবে। ইতোমধ্যে, সামাজিক ব্যবসা সহ ঋন আদান প্রদান ও অন্যান্য কাজে এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বলে সুবিধাবঞ্চিত কর্মকর্তারা মনে করছেন। এছাড়া ভবিষ্যৎ এ ব্যাংকের চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে পড়লে প্রশাসনিক দুর্বলতা প্রকট আকার ধারন করবে। বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া মাটি ও মানুষের ব্যাংক কৃষি ব্যাংককে বাঁচাতে হলে প্যানেল ভুক্ত কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেয়া প্রয়োজন বলে দাবী করেছেন কৃষিব্যাংকের সুবিধাবঞ্চিত বিভিন্ন গ্রেডের সকল কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্ট দপ্তর সহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করে অতিদ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনেরও দাবী জানিয়েছেন তারা।



https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl

মঙ্গলবার, ১৬ জুন, ২০১৫





https://www.facebook.com/pages/National-weeklycri
me-diary/639786429398358?ref=hl

 রাজধানীর উত্তরা থানা পুলিশের সাফল্যঃ
                                             ছিনতাই কৃত গার্মেন্ট সামগ্রী উদ্ধার,কাভার্ড ভ্যান আটক
ক্রাইম ডায়রি ডেস্ক রিপোর্ট,ঢাকা ১৫.৬.১৫ ইং,আপডেট-৫.১৬ পি এমঃ
রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে গাজীপুর জয়দেবপুরে ইনডেনসোর সোয়েটার্স লিঃ এর ছিনতাই কৃত সোয়েটার সহ একটি পিকাপ কাভার্ড ভ্যান আটক করে। যার নং চট্টমেট্রো ট-১১-২৯৫০। উদ্ধার কৃত পণ্যের বাজার মূল্য প্রায় এককোটি টাকা। পুলিশ সুত্রে জানা গেছে,সোমবার ১৫.৫০ টায় রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানাধীন ১৩ নং সেক্টরের ১২নং রোডের ৬৪ নং বাড়ি থেকে চট্টগ্রামে শিপমেন্টের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হওয়া ছিনতাইকৃত রপ্তানীমূখী ৪৯৫ কার্টুন গার্মেন্টস পণ্য উদ্ধার করেছে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ।
উত্তরা পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ আলী হোসেন জানান, গতকাল সোমবার রাত ০৩.৩০ টায় গাজীপুরের জয়দেবপুর থানাধীন ডেগেরচালা ইনডেসোর সোয়েটার্স লিমিটেড নামক গার্মেন্টস হতে রপ্তানীমূখী ৪৯৫ কার্টুন যাতে ১৮৮১০ পিস লেডিস সোয়েটার নিয়ে ১টি কাভার্ড ভ্যান চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওয়না হয়। কাভার্ড ভ্যানটি মীরের বাজার হয়ে কালিগঞ্জ থানা এলাকায় একটি ব্রিজের কাছে পৌঁছালে, পিছন থেকে সবুজ রংয়ের একটি প্রাইভেট কার ডান দিক থেকে এসে কার্ভাড ভ্যানের সামনে দাঁড়ায়। গাড়ি থেকে দু’জন বের হয়ে এক জন বাম পাশে ও অন্য জন ডান পাশ থেকে টানা হেঁচড়া করে কাভার্ড ভ্যানের ড্রাইভারকে সবুজ রংয়ের প্রাইভেট কারে উঠায়। তারা মোট চার জন গাড়ি এবং কাভার্ড ভ্যান নিয়ে রওয়ানা হয় এবং কিছুদুর গিয়ে কাভার্ড ভ্যানের ড্রাইভারকে রাস্তায় ফেলে দিয়ে চলে যায়। যাওয়ার সময় তারা ড্রাইভারের কাছে থাকা টাকা এবং মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। ইনডেসোর সোয়েটার্স লিমিটেড কর্তৃপক্ষ পরিবহন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে জানতে পারে মালামালসহ কাভার্ড ভ্যানটি ছিনতাই হয়েছে। পরবর্তীতে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশের সহায়তায় উক্ত ঠিকানা থেকে মালামাল উদ্ধার করে পুলিশ। পরে কাভার্ড ভ্যানটি এয়ারপোর্ট রোডের কাওলা ফুট ওভার ব্রিজের পাশে পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। এ ব্যাপারে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, আসামীদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে।

https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl

 ঢাকা মহানগর পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানে সফলতাঃ বিপুল পরিমান ফে ন্সিডিলসহ আটক ৩

https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl

রবিবার, ১৪ জুন, ২০১৫


https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl


দাদাকে ঐতিহাসিক লাল গালিচা সংবর্ধনা
বাংলাদেশ-ভারত ২২টি চুক্তি সমঝোতা ও প্রটোকল স্বাক্ষরিত
বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে -নরেন্দ্র মোদি
ক্রাইম ডায়রি ডেস্ক রিপোর্ট,ক্রাইম ডায়রি ঢাকা,আপডেট ৬.৬.১৫ ৩পি এমঃ
বাংলাদেশে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর আগমন আওয়ামীলীগ সরকারের একটি বড় অর্জন। এশিয়ার বৃহৎশক্তিশালী দেশের প্রধানমন্ত্রীর আগমন বাংলাদেশীদের গর্বিত করেছে। শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির মধ্যে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকের পর বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে দু’দেশের মধ্যে ২২টি চুক্তি, সমঝোতা ও প্রটোকল স্বাক্ষরিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর তেজগাঁওস্থ কার্যালয়ে এসব চুক্তি স্বাক্ষর করেন উভয় দেশের কর্মকর্তারা। এ সময় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও উপস্থিত ছিলেন। এর আগে ঐতিহাসিক স্থলসীমানা নির্ধারণ সংক্রান্ত চুক্তির অনুসমর্থনের দলিল বিনিময় হয়। এসব চুক্তি ও সমঝোতা স্বাক্ষরের পর যৌথ বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কানেক্টিভিটি শুধু দুই দেশের নয় এই অঞ্চলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনার আশ্বাস প্রদান করেন। দু’দিনের সফরে নরেন্দ্র মোদি গতকাল শনিবার ঢাকায় এসেছেন।
দুইদেশের প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দু’দেশের মধ্যে শীর্ষ পর্যায়ের দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকের পর স্বাক্ষরিত চুক্তি, প্রটোকল ও সমঝোতা স্মারকের মধ্যে রয়েছে- দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি, অভ্যন্তরীণ নৌ প্রটোকল, উপকূলীয় নৌ চলাচল চুক্তি, পণ্যের মান স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন সংক্রান্ত সহযোগিতা চুক্তি এবং সাংস্কৃতিক বিনিময় সহযোগিতা চুক্তি। এছাড়াও উভয় দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত বাহিনীর (কোস্টগার্ড) মধ্যে সহযোগিতা, মানবপাচার প্রতিরোধ, জাল নোট পাচার প্রতিরোধ, সমুদ্রভিত্তিক ব্লুু-ইকোনমির ক্ষেত্রে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, ২০০ কোটি ডলারের ঋণ বিষয়ক সমঝোতা, বঙ্গোপসাগর ও ভারত মহাসাগরে সামুদ্রিক অর্থনীতির সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা, চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহার বিষয়ক সমঝোতা, আখাউড়ায় ইন্টারনেটের আন্তর্জাতিক ব্যান্ডউইথ লিজ বিষয়ে বিএসএনএল ও বিএসসিসিএলের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি, বাংলাদেশে লাইফ ইনস্যুরেন্স করপোরেশনের (এলআইসি) কার্যক্রম শুরু নিয়ে সম্মতিপত্র। ভেড়ামারা ও মংলায় ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ অঞ্চল প্রতিষ্ঠাবিষয়ক সমঝোতা চুক্তিও সই হয়।
এছাড়াদুই নেতার উপস্থিতিতে কয়েকটি কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে কলকাতা-আগরতলা বাস সার্ভিস ও ঢাকা-শিলং-গুয়াহাটি বাস সার্ভিস। এছাড়া খুলনা-মংলা রেলওয়ে লাইন এবং কুলাউড়া-শাহাবাজপুর রেল সংযোগ পুনর্বহাল, শিলাইদহের কুঠিবাড়িতে রবীন্দ্র ভবন, সারদা পুলিশ একাডেমিতে একটি মৈত্রী ভবন, ফেনী নদীর ওপর সেতু নির্মাণ প্রকল্প, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন-এর একটি পরীক্ষাগার এবং একটি বর্ডার হাট উদ্বোধন করা হয়।
দুই প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ : এসব স্বাক্ষরের পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দেয়া ভাষণে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে বিদ্যমান বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে তার সরকারের তরফ থেকে সব রকম পদক্ষেপ নেয়ার ব্যাপারে ঢাকাকে আশ্বাস দিয়েছেন। বাংলাদেশের ইপিজেডে ভারতের বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের মাধ্যমে এই ঘাটতি কমবে বলে তিনি জানান।
বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার সম্পর্ক সামনের দিনগুলোতে আরো দৃঢ় হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ সময় তিনি দু’দেশের মধ্যকার সাংস্কৃতিক নৈকট্য ও ক্রিকেট নিয়ে উভয় দেশের মানুষের আগ্রহের কথা উল্লেখ করেন। বর্তমানে যে পাঁচশ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ভারত থেকে বাংলাদেশে আসছে আগামী দু’বছরের মধ্যে তা বাড়বে বলে তিনি তার বক্তব্যে জানিয়েছেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বি-পক্ষীয় বিভিন্ন বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘ভারত আমাদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী। আমি মনে করি, কানেক্টিভিটি শুধু দুই দেশের নয়, এই অঞ্চলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শিমুল মিলনায়তনে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী তাদের বক্তব্য রাখেন। ভারতের প্রশংসা করে শেখ হাসিনা বলেন, ভারত গত কয়েক বছরে অর্থনৈতিকভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের অর্থনীতিও সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। গত ছয় বছর ধরে ৬ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সহ¯্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার প্রায় সবগুলো অর্জন করতে পেরেছি। ভারতও আমাদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী দেশ। আমরা পরস্পর উন্নয়ন সহযোগী। আজকে এই অপরাহ্নে খুবই ফলপ্রসূ ও দ্বি-পক্ষীয় আলোচনা হয়েছে। আমাদের আলোচনা ছিল অত্যন্ত গঠনমূলক। আমরা পরস্পরের উদ্বেগ ও অগ্রাধিকারের বিষয়গুলো নিয়ে অবগত রয়েছি। দ্বি-পক্ষীয় সব নিয়ে আমাদের মধ্যে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং আমি উভয়ই এ বিষয়ে সম্মত হয়েছি যে, কানেক্টিভিটি শুধু দুই দেশের নয় এই অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’ তিনি বলেন, উপকূলীয় নৌচলাচল চুক্তি, বাণিজ্য চুক্তি নবায়ন, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন প্রটোকলে স্বাক্ষর এবং এর সঙ্গে সঙ্গে নতুন বাস সার্ভিসগুলোর উদ্বোধন এ অঞ্চলের সংযোগ প্রতিষ্ঠার প্রতি আমাদের অঙ্গীকারের দৃষ্টান্ত।
মোদি-মমতা বৈঠক : দুই দিনের বাংলাদেশ সফরের প্রথম দিনে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশটির পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতার সাথে বৈঠক করলেন ঢাকায়। গতকাল শনিবার এ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বিভিন্ন চুক্তি ও প্রটোকল সইয়ের পূর্বে তাদের এ বৈঠক নিয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তবে ভারতীয় এই দুই নেতার মধ্যে কি আলোচনা হয়েছে সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
নরেন্দ্র দামোরদাস মোদির ঢাকা সফরের একদিন আগেই গত শুক্রবার রাতে ঢাকায় পৌঁছেন মমতা। গতকাল শনিবার রাতেই মমতা আবার কলকাতা ফিরে যান। সর্বশেষ ২০১১ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-এর সঙ্গে ঢাকায় আসার কথা ছিল মমতার। কিন্তু শেষ মুহূর্তে মমতা ঢাকা আসতে রাজি হয়নি। ফলে আলোচিত তিস্তা নদীর পানি বণ্টন চুক্তিটি আলোর মুখ দেখতে পায়নি।
বিমান বন্দরে লাল গালিচা সংবর্ধনা : ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে গতকাল সকালে দু’দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ৮১ জন সফরসঙ্গীসহ এখানে পৌঁছার পর তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। ২০১৪ সালের ২৬ মে ভারতের ১৫তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণের পর এটি বাংলাদেশে মোদির প্রথম সফর। ভারতীয় বিমান বাহিনীর একটি জেট বিমান ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও তার সফর সঙ্গীদের নিয়ে সকাল ১০টা ৮ মিনিটে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করে। নরেন্দ্র মোদি ১০টা ২৫ মিনিটে ভারতীয় বিমান বাহিনীর জেট (কে-৫০১২) রাজদূত থেকে নেমে আসার পর ১৯ বার তোপধ্বনি করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিমান বন্দরে ভিভিআইপি টারমাকের কাছে নরেন্দ্র মোদিকে স্বাগত জানান। এ সময় একটি ছোট শিশু তাকে ফুলের তোড়া উপহার দেয়। এর পর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে বিমান বন্দরের ভিভিআইপি টারমাকের কাছে স্থাপন করা অস্থায়ী সালাম গ্রহণ মঞ্চে নিয়ে যাওয়া হয়। বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল নরেন্দ্র মোদিকে গার্ড অব অনার প্রদান করে এবং তিনি সালাম গ্রহণ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তিনি সুসজ্জিত মঞ্চ থেকে সালাম গ্রহণ করেন। এ সময় দু’দেশের জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়। পরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী গার্ড পরিদর্শন করেন।
এরপর, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেখানে উপস্থিত মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবর্গ এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে পরিচয় করিয়ে দেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রীও এ সময় তার সফরসঙ্গীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পরিচয় করিয়ে দেন।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর গণমাধ্যম উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদিকে স্বাগত জানাতে বিমান বন্দরে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া কেবিনেট সচিব মোশাররফ হোসাইন ভূঁইয়া, প্রধানমন্ত্রী মুখ্য সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ, পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, কূটনৈতিক কোরের ডিন, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার, ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এবং উচ্চ পদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
স্মৃতি সৌধে মোদি : বিমান বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে যান। সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান মোদি।
ক্রিম রঙের কোর্তা, চুড়িদার পায়জামা ও ছাই রঙের নেহেরু জ্যাকেট পরিহিত সৌম্য-দর্শন ভারতের প্রধানমন্ত্রী গতকাল সকাল ১১টা ২০ মিনিটে জাতীয় স্মৃতিসৌধে এসে পৌঁছান। এখানে তাকে স্বাগত জানান গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হকসহ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা ।
বেলা সাড়ে ১১টায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী স্মৃতিসৌধের মূল বেদীতে বাংলাদেশের জন্য সর্বোচ্চ আত্মত্যাগকারী শহীদদের প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা জানান। পুষ্পমাল্য অর্পণের পর শহীদদের স্মরণে কিছু সময় তিনি নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময় তিন বাহিনীর সুসজ্জিত একটি দল ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে অভিবাদন জানায়। এ সময় বিউগলে করুণ সুর বাজতে থাকে।
পরে নরেন্দ্র মোদি পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর করেন। তিনি লেখেন, মাতৃভূমির জন্য সর্বোচ্চ আত্মত্যাগকারী পুরুষ, নারী ও শিশুদের আমি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। তিনি সেখানে উদয়পদ্ম গাছের চারা রোপণ করেন ।
বঙ্গবন্ধু স্মৃতি যাদুঘরে মোদি : ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাজধানীর ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শনকালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। বেলা ১২টা পাঁচ মিনিটে তিনি ধানমন্ডিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে পৌঁছেন এবং জাদুঘর পরিদর্শনকালে পুষ্পতোড়া প্রদান করে জাতির জনকের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী এখানে এসে পৌঁছলে বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র এবং কন্যা শেখ রেহানার পুত্র রেদোয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি, তার স্ত্রী পেপ্পি সিদ্দিক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি ট্রাস্ট’এর সদস্য সচিব শেখ হাফিজুর রহমান, সদস্য শাহনাজ ইয়াসমিন শম্পা, প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী মাসুরা হোসেন প্রমুখ তাকে স্বাগত জানান।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী ২৭ মিনিট বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে অবস্থান করেন। তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পার্ঘ্য অর্পণ করে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এ সময় নীরবে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি। পরে মোদি জাদুঘরের বিভিন্ন কক্ষ ঘুরে দেখেন এবং পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা-পূর্বে বাড়ির যে বেলকুনিতে দাঁড়িয়ে বক্তব্য দিতেন সেখানেও কিছুক্ষণ অবস্থান করেন। মোদি হোটেল সোনারগাঁওয়ে অবস্থান করবেন। জাদুঘর থেকে ফিরে আসার পর বিকেলে তার হোটেল কক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী সাক্ষাৎ করেন।
বাংলায় টুইট করেন হাসিনাকে মোদি : ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় পৌঁছে বাংলায় টুইট করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান। মোদী দ্বিতীয় টুইট করে বলেন ‘বাংলাদেশ, আমি আমার সাথে ভারতের মানুষের ভালবাসা এবং শুভেচ্ছা নিয়ে এসেছি।’
মোদিকে বহনকারী ভারতীয় বিমানবাহিনীর বিশেষ ফ্লাইট ‘রাজদূত’ গতকাল শনিবার সকাল ১০টা ৮ মিনিটে ঢাকায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করে। বিমান বন্দরের এসব আনুষ্ঠানিকতার মাঝেই বাংলায় একটি টুইট করেন নরেন্দ্র মোদি। এতে তিনি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ, আমি আমার সাথে ভারতের মানুষের ভালবাসা এবং শুভেচ্ছা নিয়ে এসেছি।’
পরপরই একই বিষয়ে ইংরেজিতে টুইট করেন মোদি। কিছুক্ষণের মধ্যেই বাংলায় দ্বিতীয় টুইট করেন মোদি। এতে তিনি লিখেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, উষ্ণ অভ্যর্থনার জন্য ধন্যবাদ। আমি একটি সুন্দর সফর আশা করছি, যা ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ককে সুদৃঢ় করবে।’
বিনিময় হল সীমান্ত দলিল : ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সীমান্ত বিনিময় সংক্রান্ত চুক্তির অনুসমর্থন দলিল বিনিময় হয়েছে। বিকেলে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপস্থিতিতে এ দলিল বিনিময় হয়। গতকাল শনিবার এ চুক্তির অনুসমর্থন দলিল বিনিময় হয়।
আগরতলা ও গৌহাটি রুটে বাস সার্ভিস উদ্বোধন : বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পশ্চিম বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে তিনটি বাস সার্ভিস উদ্বোধন করেছেন। কলকাতা-ঢাকা-আগরতলা, আগরতলা-ঢাকা-কলকাতা এবং ঢাকা-শিলং-গৌহাটি রুটে তিনটি বাস চলাচল করবে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় চত্বরে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে দুই প্রধানমন্ত্রী এবং পশ্চিম বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপধ্যায় বাস সার্ভিস উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে দু’দেশের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং পশ্চিম বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ৩টা ৪০ মিনিট একই গাড়িতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আসেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফুলের তোড়া দিয়ে তাদেরকে শুভেচ্ছা জানান। এরপর তারা কলকাতা-ঢাকা-আগরতলা বাসে যান এবং বাস যাত্রীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এরপর তারা আগরতলা-ঢাকা-কলকাতা এবং ঢাকা-শিলং-গৌহাটি রুটের বাসে যান এবং বাস যাত্রীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
পরে দুই প্রধানমন্ত্রী এবং পশ্চিম বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী একটি সুসজ্জিত মঞ্চে উঠেন। সেখানে শেখ হাসিনা ঢাকা-শিলং-গোহাটি বাসের একটি প্রতীকী টিকেট ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপধ্যায় কলকাতা-ঢাকা-আগরতলা বাসের একটি প্রতীকী টিকিট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেন। পরে দুই প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রী পতাকা উড়িয়ে তিন বাসের যাত্রীদেরকে বিদায় জানান।
গতকাল সন্ধ্যায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী সোনারগাঁও হোটেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া নৈশভোজে যোগ দেন এবং তার আগে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
আজ রাষ্ট্রপতি ও খালেদা জিয়ার সাথে বৈঠক : প্রধানমন্ত্রী মোদি ঢাকা সফরের দ্বিতীয় দিনে আজ রোববার ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির ও পুরনো ঢাকায় রামকৃষ্ণ মিশন পরিদর্শনে যাবেন। তিনি পরে বারিধারায় ভারতীয় হাইকমিশনের নতুন চ্যান্সারি কমপ্লেক্সে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গভবনে প্রায় ১২টা ৪০ মিনিটে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং রাষ্ট্রপতি তাঁর সম্মানে দেয়া মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন। তিনি ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর পক্ষে রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে ‘বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা’ গ্রহণ করবেন। সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ বেলা ৩টা ১০ মিনিটে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি প্রধান বেগম খালেদা জিয়া, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এবং ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ৩৬ ঘন্টা ঢাকা সফরকালে তাঁর হোটেল কক্ষে দেখা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে ভারতীয় হাইকমিশন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেয়ার মাধ্যমে তার দু’দিনের সফর সমাপ্ত করবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ রোববার সন্ধ্যায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নরেন্দ্র মোদিকে বিদায় জানাবেন।
এদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফর উপলক্ষে মহানগরী ঢাকা উৎসবের সাজে সজ্জিত হয়েছে। মহানগরীর রাজপথ ও সড়ক দ্বীপগুলো বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় পতাকা এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বড় আকারের প্রতিকৃতি দিয়ে সাজানো হয়েছে।
এ ছাড়া নরেন্দ্র মোদিকে স্বাগত জানিয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়কের পাশে, সেতুর উপরে এবং গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে বিভিন্ন ব্যানার ও প্লেকার্ড স্থাপন করা হয়েছে।



https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl

                             ...................প্রেমের টানে.....................

ডেস্ক রিপোর্ট ঃ
ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার রাংরাপাড়া গ্রামে প্রেমের টানে ৬৫ বছর বয়স্কা বিধবা মহিলা আয়েশা বেগমের সাথে ১৬ বছরের যুবক আবু সাইদ ওরফে আবুর বিয়ের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, আয়েশা বেগম রাংরাপাড়া একাডেমী মোড়ের একজন চায়ের দোকানী। তার স্বামী প্রায় ১৫ বছর পূর্বে মারা গেছে।
অপরদিকে আবু ছাইদ নলকুড়া গ্রামের রহিমা খাতুনের ছেলে। ছোটবেলায় তার পিতার মৃত্যু হয়। মানুষের বাড়িতে কাজ করে তার মা রহিমা দিনাতিপাত করে।
এলাকাবাসী জানায়, আবু ছাইদ আয়েশার বাড়ীতে মাটি কাটার কাজ করত। সেখান থেকে তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে উক্ত প্রেমের সম্পর্ক জোড়ালো হলে গত ১৩ জানুয়ারী তারা ময়মনসিংহ জেলা নোটারী পাবলিকে উপস্থিত হয়ে এফিডেভিটের মাধ্যমে বিয়ের কাজ সম্পন্ন করে।
আয়েশা খাতুনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বয়সে আমার একজন মাথার ছাতা খুঁজে পেয়েছি।
আবু সাইদের কাছে এত বুড়ো মহিলাকে বিয়ে করার কারন জানতে চাইলে সে জানায়, আমার চোঁখ দিয়ে তো দেখতে পান না, যদি আমার চোঁখ দিয়ে দেখতেন তাহলে এমন বলতেন না, আমার ভাল লেগেছে, আমরা ভালবেসে বিয়ে করেছি এখানে বয়স বা দোষের কি?
এ ঘটনায় আয়েশা খাতুনের আত্মীয় স্বজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এটা কোন ভাবেই সম্ভব না। কোথায় কি?
এ বিয়ে নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। উৎসুক জনতা বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিন এই নবদম্পতিকে দেখতে আসছে।
উল্লেখ্য যে, আয়েশা বেগমের ২ কন্যা ও ১ পুত্র সন্তান রয়েছে, কন্যাদের বিয়ে দিয়েছেন নাতি নাতনীও রয়েছে।



https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl