ক্রাইম ডায়রি একটি অপরাধ বিষয়ক জাতীয় সাপ্তাহিক পত্রিকা , অনলাইন দৈনিক, অনলাইন টেলিভিশন। সম্পাদক ও প্রকাশক - আতিকুল্লাহ আরেফিন রাসেল । অনলাইন ডেইলিঃ www.crimediarybd.com অনলাইন টেলিভিশনঃ www.crimediarytv.net https://www.facebook.com/TheCrimeDiary Email:crimediary11@gmail.com Hotline- 01915506332
জাতীয় সাপ্তাহিক ক্রাইম ডায়রি একটি অপরাধ বিষয়ক পত্রিকা।।
বুধবার, ১৫ এপ্রিল, ২০১৫
https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl
চট্টগ্রামে নতুন জঙ্গি
সংগঠন ‘এসএইচবি’
গ্র“পের
সন্ধান
অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ
৪ নেতা
গ্রেপ্তার
চট্টগ্রাম সংবাদদাতা ,,ঃক্রাইম ডায়রি,১৫ ই এপ্রিল,২০১৫,আপডেট সময়: 9 এ এম ঃ
চট্টগ্রামে বিপুল পরিমান
অস্ত্র ও
গোলাবারুদসহ নতুন জঙ্গি সংগঠন শহীদ
হামজা (এসএইচবি)
গ্র“পের
৪ নেতাকে
গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। রোববার
রাত থেকে
সোমবার সকাল
পর্যন্ত কোতোয়ালি,
আকবর শাহসহ
বিভিন্ন এলাকায়
অভিযান চালিয়ে
জঙ্গিদের গ্রেপ্তার
পর এসব
অস্ত্র ও
গুলি উদ্ধার
করা হয়।
উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদের মধ্যে
রয়েছে, ৫টি
একে ২২,
৫টি বিদেশী
ওয়েবলে পিস্তল,
১৫টি ম্যাগাজিন
ও প্রায়
দু’ হাজার
রাউন্ড গুলি।
র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে.
কর্নেল মিফতাহ
উদ্দিন আহমেদ
জানান, ২১
ফেব্র“য়ারি
বাঁশখালী উপজেলার
সাধনপুর গ্রামের
লটমনি পাহাড়ে
একটি জঙ্গি
প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে থেকে বিপুল পরিমার
অস্ত্র,গুলি
ও বোমা
তৈরি সরঞ্জামসহ
৫ জন
জঙ্গিকে গ্রেপ্তার
করা হয়।
এসময় গ্রেপ্তাকৃতরা
জিজ্ঞাবাদে জঙ্গি অস্তানায় অস্ত্র সরবরাহকারী
মোজাহেরের নাম উল্লেখ করে। এর
পর থেকে
র্যাব
মোজাহেরে সন্ধানে
নামেন। সর্বশেষে
রোববার রাতে
গোপন সংবাদের
ভিত্তিতে নগরীর
কোতোয়ালী থানার
স্টেশন রোড
এলাকায় মিড
টাউন নামে
একটি আবাসিক
হোটেল থেকে
মোজাহেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে
তার দেওয়া
তর্থ্যের ভিত্তিতে
নগরী আকবরশাহ
এলাকা একটি
ভাড়া বাসা
থেকে আরও
২জন জঙ্গিকে
গ্রেপ্তার সক্ষম হই। এর পর
তাদের নিয়ে
পাঁচলাইশ কসমোপলিটন
আবাসিক এলাকার
একটি বাসা
অভিযান চালিয়ে
অস্ত্র ও
গোলাবারুদসহ আরও একজন জঙ্গিকে গ্রেপ্তার
করা হয়।
তিনি জানান,
জঙ্গি মোজাহেরসহ
অপর ৩
জন চট্টগ্রামের
বাঁশখালীতে জঙ্গি আস্তানায় অস্ত্র সরবরাহ
করতো। তারা
শহীদ হামজা
গ্রুপ নামে
নতুন একটি
জঙ্গি সংগঠনের
সদস্য। অভিযানে
৫টি একে
২২, ৫টি
বিদেশী পিস্তল,
১৫টি ম্যাগাজিন
এবং কয়েক
হাজার রাউন্ড
গুলি উদ্ধার
করা হয়েছে।
চট্টগ্রামের কোতোয়ালি, আকবর শাহসহ বিভিন্ন
এলাকায় অভিযান
চালিয়ে এসব
উদ্ধার করা
হয়। এদিকে
এরআগে ৯
ফেব্র“য়ারি
হাটহাজারি থেকে একটি মাদ্রাসা থেকে
১২ জঙ্গি,একই মাসের
২১ ফেব্র“য়ারি বাঁশখালির
একটি জঙ্গি
আস্তানা থেকে
অস্ত্র ও
গোলাবারুদসহ ৫ জন, ২৮ ফেব্র“য়ারি নগরীর
হালিশহর অস্ত্র
ও বোমা
তৈরির সরঞ্জামসহ
৩ জনসহ
সব মোট
২৮ জঙ্গিকে
গ্রেপ্তার করা হয়।
সিসিকের মশা নিধনের
ওষুধ ‘গায়েব’
উপদ্রবে অতিষ্ঠ
নগরবাসী
সিলেট সংবাদদাতা ঃ
মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ
হয়ে ওঠেছেন
সিলেট নগরবাসী।
মশা নিধনের
দাবিতে আন্দোলনে
নেমেছে বিভিন্ন
সামাজিক সংগঠন।
অথচ সিলেট
সিটি করপোরেশন
(সিসিক) কর্তৃপক্ষ
দাবি করছে
তারা নগরীর
২৭টি ওয়ার্ডে
মশার ঔষধ
ছিটিয়েছে। তবে নগরীর বেশিরভাগ এলাকার
লোকজনের অভিযোগ
তাদের এলাকায়
মশার ঔষধ
ছিটাতে সিটি
করপোরেশনের কোন কর্মী যাননি। সিলেট
নগরীতে সম্প্রতি
বেড়েছে মশার
উপদ্রব। দিন
ও রাতে
মশার উপদ্রব
চলছে সমানতালে।
মশার উপদ্রবের
কারণে এসএসসি
ও এইচএসসি
পরীক্ষার্থীরা রাতে মশারির ভেতর ঢুকে
পরীক্ষার প্রস্তুতি
নিতে হচ্ছে।
এ অবস্থায়
মশার উপদ্রব
থেকে রক্ষা
পেতে আন্দোলনে
নেমেছে বিভিন্ন
সামাজিক সংগঠন।
গত বুধবার সিলেট
কল্যাণ সংস্থার
নেতাকর্মীরা সিসিক’র সামনে মশারি
টানিয়ে মশা
নিধনে সিসিক’কে কার্যকর
ভূমিকা রাখার
দাবি জানান।
তারা নগরীর
মশা নিধনে
সিটি করপোরেশনকে
১৫ দিনের
সময় বেধে
দিয়েছেন।এদিকে, সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের দাবি
নগরীর ২৭টি
ওয়ার্ডে টানা
১৩ দিন
মশার ঔষধ
ছিটানো হয়েছে।
প্রতিটি ওয়ার্ডে
১ লাখ
টাকার ঔষধ
ছিটানো হলেও
তা পর্যাপ্ত
নয় বলে
স্বীকার করেছে
কর্তৃপক্ষ।তবে সিটি করপোরেশনের ঔষধ ছিটানোকে
‘গায়েবী’ কার্যক্রম
বলে অভিযোগ
করছেন নগরবাসী।
তাদের অভিযোগ
নগরীর বেশিরভাগ
এলাকায় সিটি
করপোরেশনের কর্মীরা ঔষধ ছিটাতে যাননি।
যে দু’এক জায়গায়
কর্মীরা গেছেন
সেখানেও রাস্তার
পাশের ড্রেনে
ঔষধ ছিটিয়ে
চলে এসেছেন।
ফলে এর
সুফল পাননি
নগরবাসী।সিলেট নগরীর পুরানলেনের রফিকুল ইসলাম,
জেল রোডের
গুলজার আলম
ও উপশহরের
শাকিল জামান
জানান- তাদের
এলাকায় মশার
ঔষধ ছিটাতে
কেউ যায়নি।
বিকেল হতেই
মশার উপদ্রব
বৃদ্ধি পায়
বলে জানান
তারা। চালিবন্দরের
দিব্যজ্যোতি জানান- তাদের এলাকায় সিটি
করপোরেশনের কর্মীরা গিয়েছিলেন। ড্রেনের পাশে
কিছু ঔষধ
ছিটিয়ে তারা
দ্রুত চলে
এসেছেন।এ ব্যাপারে
সিসিক’র
সেনেটারি ইন্সপেক্টর
আলবাব আহমদ
চৌধুরী বলেন,
২৭ ওয়ার্ডে
মশার ঔষধ
ছিটানো হয়েছে।
কিন্তু এ
ঔষধ চাহিদার
তুলনায় কম।
চলতি বছরে
আরেকবার মশার
ঔষধ ছিটানো
হবে বলে
জানান তিনি।
পাথরঘাটায় হরিণের মাংস
উদ্ধার
পাথরঘাটা প্রতিনিধি ঃ
বরগুনার পাথরঘাটা
উপজেলার ৮
কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে চরদুয়ানী এলাকা
থেকে চরদুয়ানীর
নৌপুলিশ ১২
কেজি হরিণের
মাংস উদ্ধার
করেছে। গত
সোমবার দুপুরের
দিকে এ
মাংসগুলো উদ্ধার
করা হয়।
চরদুয়ানী নৌপুলিশ
ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক তৌহিদুজ্জামান
সোমবার রাতে
জানান, গোপন
সংবাদ পেয়ে
দুপুরে চরদুয়ানীর
টাকারখাল এলাকায়
অভিযান চালায়
নৌপুলিশ। এসময়
জঙ্গলের পাশ
থেকে পরিত্যক্ত
অবস্থায় ১২
কেজি হরিণের
মাংস উদ্ধার
করেন। মাংস
উদ্ধার হলেও
এ ঘটনায়
জড়িত কাউকে
আটক করতে
পারেনি নৌপুলিশ।
উদ্ধার করা
মাংস বন
বিভাগের জ্ঞানপাড়া
বন কেন্দ্রে
হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে
জ্ঞানপাড়া বন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
(ওসি) মো.
আলমগীর হোসেন
পাঠান বলেন,
হরিণের মাংস
মাটিতে পুতে
ফেলা হবে।এ
ঘটনায় অজ্ঞাত
পরিচয় ব্যক্তিদের
আসামি করে
একটি মামলা
দায়ের করা
হয়েছে।
সম্পত্তি লিখে না
দেওয়ায় মায়ের
পা ভাঙলো
ছেলে
আড়াইহাজার সংবাদদাতা ঃ
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার
উপজেলার বিশ্বন্দী
এলাকায় সম্পত্তি
লিখে না
দেওয়ায় গর্ভধারিণী
মাকে পিটিয়ে
মারাত্মক জখম
করেছে এক
বখাটে ছেলে।
পেটানোর কারণে
ওই নারীর
দুই পায়ের
অবস্থা আশঙ্কাজনক
বলে জানা
গেছে। তাকে
ঢাকা পঙ্গু
হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর
২টায় এই
ঘটনা ঘটে।
গৃহকর্তা আবদুল
আজিজ জানান,
তার এক
ছেলে কাউসার
অটোরিকশা চালক।
এ ছাড়াও
তিনজন মেয়ে
রয়েছে। গত
কয়েকদিন ধরেই
কাউসার তার
মা সেলিনা
বেগমকে (৪০)
সম্পওি লিখে
দেওয়ার জন্য
বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করে আসছিল
। ঘটনার
দিন দুপুরে
ছেলের কথা
মতো মা
সম্পত্তি লিখে
না দেওয়ায়
সেলিনা বেগমকে
উপর্যুপরি লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত
করে।
এতে সেলিনার ২
পা সম্পূর্ণ
ভেঙ্গে যায়।
তাকে প্রথমে
আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে
গেলে কত্যর্বরত
চিকিৎসকরা তাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে
পাঠায়। আজিজ
আরো জানান,
ছেলের বিরুদ্ধে
কয়েক দিন
আগে আড়াইহাজার
থানায় একটি
সাধারণ ডায়েরি
(জিডি) করা
হয়েছিল।
https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl
একসঙ্গে থাকলেই স্বামী-স্ত্রীর মর্যাদা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক ঃ
বিয়ে না
করেও কোনো
জুটি যদি
স্বামী-স্ত্রীর
মতো বসবাস
করে তবে
তারা আইনত
স্বামী-স্ত্রী
হিসেবেই বিবেচিত
হবেন। এমনকি
ওই পুরুষের
মৃত্যু হলে
তার সঙ্গী
মৃতের সম্পত্তিরও
অধিকারী হবেন।
ভারতের সর্বোচ্চ
আদালত সম্প্রতি
এ রায়
দিয়েছে। টাইমস
অব ইন্ডিয়া
বিচারক এম ওয়াই
ইকবাল ও
অমিতাভ রায়ের
বেঞ্চ এক
রায়ে বলেছেন,
কোনো নারী-পুরুষ যদি
একত্রে অনেক
দিন ধরে
বসবাস করে
তাহলে তা
বৈধ বিয়ে
হিসেবেই অনুমোদিত
হবে। ২০১০
সালে করা
এক মামলার
পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ রায় দেন।
মামলা সূত্রে
জানা যায়,
এক ব্যক্তির
সঙ্গে ২০
বছর ধরে
স্বামী-স্ত্রীর
মতো বসবাস
করে আসছিলেন
এক নারী।
ওই ব্যক্তির
যৌথ পরিবারের
অংশ হিসেবেই
ছিলেন তিনি।
পরবর্তী সময়ে
ওই ব্যক্তির
মৃত্যু হলে
তার নাতী-নাতনীরা ওই
নারীকে সম্পত্তির
উত্তরাধিকার দিতে অস্বীকার করে। এ
ঘটনার পর
ওই নারী
মৃতের সম্পত্তির
অধিকার চেয়ে
মামলা দায়ের
করেন। মামলার
শুনানী শেষে
আদালত ওই
নারীকে বৈধ
স্ত্রীর মর্যাদা
দিয়ে সম্পত্তির
উত্তরাধিকার দান করেন। আদালত ওই
নারীকে সম্পত্তির
উত্তরাধিকার দিলেও সবার জন্য বিষয়টি
এতটা সহজ
হবে না।
এক্ষেত্রে বহুদিন ধরে একসঙ্গে থাকার
উপযুক্ত প্রমাণ
দাখিল করতে
হবে।
https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl
ওরিয়েন্টাল ব্যাংকের সাত
কর্মকর্তার ১০ বছর কারাদণ্ড
আফজাল
হোসেন তপন,ক্রাইম ডায়রি,১৫ ই এপ্রিল,২০১৫,আপডেট সময়: ৮ এ এম ঃ
ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে
টাকা ঋণ
নিয়ে আÍসাতের অভিযোগে
ওরিয়েন্টাল ব্যাংকের সাবেক ৭ কর্মকর্তার
১০ বছর
করে সশ্রম
কারাদণ্ড এবং
১ কোটি
৯০ লাখ
টাকা অর্থদণ্ডের
রায় দিয়েছেন
আদালত।
ঢাকার ২নং বিশেষ
জজ হোসনে
আরা বেগম
সোমবার এ
রায় ঘোষণা
করে অর্থদণ্ডের
টাকা ৬০
দিনের মধ্যে
প্রত্যেক আসামিকে
সমানুপাতিক হারে প্রদান করতে নির্দেশও
দিয়েছেন।
দণ্ডিতরা হলেন, ওরিয়েন্টাল
ব্যাংকের সাবেক
সিনিয়ার ভাইস
প্রেসিডেন্ট শাহ মো. হারুন, সাবেক
সিনিয়র এসিস্ট্যান্ট
ভাইস প্রেসিডেন্ট
আবুল কাশেম
মাহমুদ উল্লাহ,
সাবেব এভিপি
ভাইস প্রেসিডেন্ট
ফজলুর রহমান,
সাবেক ইও
ভাইস প্রেসিডেন্ট
মো. তরিকুল
আলম, সাবেক
এসইভিপি ভাইস
প্রেসিডেন্ট মাহমুদ হোসেন, সাবেক ইভিপি
কামরুল ইসলাম
ও সাবেক
ডিজিএম ইমামুল
হক। সব
আসামিই পলাতক।
মামলার অভিযোগে
বলা হয়,
২০০৫ সালের
২৭ জুলাই
মেসার্স তানভীর
এজেন্সি নামে
একটি ভুয়া
ও বেনামি
কোম্পানির নামে ওরিয়েন্টাল ব্যাংকের বাবুবাজার
শাখায় একটি
অ্যাকাউন্ট খুলে ১ কোটি ঋণ
গ্রহণের জন্য
আবেদন করলে
তা মঞ্জুর
হলে আসামিরা
তুলে নেয়।
পরবর্তীতে তদন্তে ওই প্রতিষ্ঠানের কোনো
অস্তিত্ব না
থাকায় সুদসহ
১ কোটি
৮৮ লাখ
৮২ হাজার
২৪৫ টাকা
আÍসাতের
অভিযোগে ২০০৬
সালের ২৯
ডিসেম্বর দুদকের
উপ-পরিচালক
মো. জাহাঙ্গীর
আলম মতিঝিল
থানায় মামলাটি
করেন।
২০১৩ সালের ৩
সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের
উপ-পরিচালক
শেখ ফাইয়াজ
আলম আদালতে
আসামিদের বিরুদ্ধে
চার্জশিট দাখিল
করেন। আদালত
মামলাটির বিচারকালে
৪ জনের
সাক্ষ্য গ্রহণ
করেন।
মামলাটির দুদকের স্পেশাল
পিপি কবির
হোসাইন জানান,
ওরিয়েন্টাল ব্যাংকের একইভাবে ৬৯৫ কোটি
টাকা আÍসাতের অভিযোগে
২৯টি মামলা
হয়। ওই
মামলাগুলোর মধ্যে ৩টি মামলায় রায়
হলো।
https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl
চাঁদপুরে নেশা খাইয়ে
সর্বস্ব লুট
চাদপুর সংবাদদাতা ,,ক্রাইম ডায়রি,১৫ ই এপ্রিল,২০১৫,আপডেট সময়: ৮ এ এম ঃ
চাদপুর জেলাধীন হাজীগঞ্জ
উপজেলার ছয়
নং বড়কুল
ইউনিয়নের মোল্লাডহর
গ্রামে ভাতের
সাথে নেশা
খাইয়ে সর্বস্ব
লুট করে
নিয়ে যাওয়ার
অভিযোগ উঠেছে।
অচেতন অবস্থায়
তিন পরিবারের
১৫ জন
হাজীগঞ্জ উপজেলা
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এদের
মধ্যে তিনজনের
অবস্থা আশংকাজনক
হওয়ায় কুমিল্লা
মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। থানা
পুলিশ এই
ঘটনায় রুফিয়া
বেগম (৩০)
কে জিজ্ঞাসাবাদের
জন্য আটক
করেছে। শনিবার
দিবাগত রাতে
মোল্লাডহর গ্রামের বেপারী বাড়ির জয়নাল
আবেদিন ও
প্রবাসী নজরুল
ইসলামের বসত
ঘরে এই
ঘটনা ঘটে।
এছাড়া একই
রাতে কুমিল্লা
জেলার বরুড়া
উপজেলার পয়ালগাছা
এলাকায় নেশা
খাইয়ে আবদুল
মজিদের পরিবারের
সর্বস্ব লুটে
নেয় অজ্ঞানপার্টির
চক্রের সদস্যরা।
কর্তব্যরত ডাক্তার পীযুষ সাহা জানায়,
রোববার সকাল
থেকে একের
পর এক
অচেতন অবস্থায়
১৫ জন
ভর্তি হয়েছে।
এদের মধ্যে
বরুড়া উপজেলার
পয়ালগাছা এলাকার
তিনজনের অবস্থা
আশংকাজনক হওয়ায়
কুমিল্লাতে রেফার করা হয়। এদিকে
হাজীগঞ্জ উপজেলার
মোল্লাডহর গ্রামের দুই পরিবারের ১২
জনের মধ্যে
১০ জন
ভর্তি রয়েছে।
বাকী দুইজন
চিকিৎসা নিয়ে
চলে গেছে।
হাজীগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তা মো. শাহআলম বিষয়টি নিশ্চিত
করে বলেন,
ক্ষতিগ্রস্ত দুই পরিবারের পক্ষ থেকে
অভিযোগ পেলে
প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে
প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রুফিয়া বেগমকে
আটক করা
হয়েছে।
https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl
এখনও নীরব চাঁদাবাজি পরিবহন সেক্টরে ঃ
সাধারন মানুষের নাভিঃশ্বাস
আতিকুল্লাহ আরেফিন রাসেল,,ক্রাইম ডায়রি,১৫ ই এপ্রিল,২০১৫,আপডেট সময়: ১০.৩০ এ এম ঃ
পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজি নতুন কিছু নয়। দেশের বিভিন্ন
বাস টার্মিনালগুলোতে প্রতিনিয়ত কোটিকোটি টাকা চাদা লেনদেন হয়। যার ফলে ফুলে ফেঁপে কোটিপতি
হচ্ছে একটি চক্র আর যার মাশুল গুনতে হচ্ছে সাধারন খেটে খাওয়া মানুষের। তেলের দাম যদি
লিটারে একটাকা বাড়ে পরিবহন মালিকেরা তখন সরকারকে চাপ দিয়ে যাত্রীপ্রতি মাথাপিছু ভাড়া
বাড়িয়ে দেয়। এছাড়া বিভিন্ন উপলক্ষ্যে ভাড়া বাড়ানোর প্রতিযোগীতাতো আছেই। ইদানিংকালে
যাত্রীকে ঠকিয়ে পয়সা আদায়ের নতুন কৌশল হলো সিটিং সার্ভিস। সিটিং সার্ভিস নাম দিয়ে লোকাল
চালালেও ভাড়া আদায় করছে সিটিং। রাজধানী সহ সারাদেশে চলছে একই পরিস্থিতি।
কেস ষ্টাডি ০১ ঃ
রাজধানীর মিরপুর থেকে বিভিন্ন
গন্তব্যে ছেড়ে যাওয়া বাস গুলোর এ প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। আর রাজধানীর সবচেয়ে বেশি মানুষ
বাস করে মিরপুর এলাকাতে। বাসের সংখ্যাও তাই বেশি। এখান থেকে চলাচলকারী বিহঙ্গ,সময়নিয়ন্ত্রন,ইউনাইটেড,বিকল্প,ইটিসি,শাহআলী,স্বকল্প,সেফটি,শিকড়,শিখর,সিল্কসিটি
ইত্যাদি গাড়ি গুলো নিউমার্কেট,গুলিস্থান,সদরঘাট,মতিঝিল,কমলাপুর,যাত্রাবাড়ি,পোস্তগোলা রুটে সিটিং সার্ভিস বলে নিজেদের পরিচয় দেয় এবং ভাড়া
বৃদ্ধির পর সরকারী নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত আদায় করে সিটিং চার্জ হিসেবে। মিরপুর ১২
থেকে গুলিস্থান ভাড়া ১৮ টাকা,শেওড়া পাড়া থেকে ১৫ টাকা এরপর পরের স্টপেজ গুলোতে আরও
কম হলেও প্রত্যেক স্টপেজ থেকেই এরা ২০/২২ টাকা আদায় করছে।অথচ প্রত্যেকটা গাড়িই লোকাল
গাড়ীর মতো প্রত্যেকটা স্টপেজ থেকে যাত্রী তুলছে এবং গাড়ি ভর্তি করে দাঁড়িয়ে যাত্রী
নিচ্ছে। এভাবে যাত্রাাবাড়ি পর্যন্ত ভাড়া বিশ টাকা হলেও সিটিং অযুহাতে ভাড়া আদায় করছে
২৮ টাকা। নিউমার্কেট এলাকায় যাতায়াতাকারী প্রত্যেকটা গাড়িই একই কাজ করছে। এদিকে লোকাল
গাড়ি গুলোও থেমে নেই। ইটিসি লোকাল গাড়িগুলোর নির্ধারিত ভাড়া গুলিস্থান পর্যন্ত ১৫ টাকা
হলেও এরা যাত্র্প্রীতি সিটিং ভাড়া ২০ টাকা আদায় করছে। মিরপুর ১২ থেকে বিকল্প গাড়ি যাত্রীপ্রতি
আদায় করছে ২৪ টাকা। গাবতলী , যাত্রাবাড়ি,মহাখালি কিংবা ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে
ছেড়ে যাওয়া প্রত্যেকটা গাড়িই সিটিং ভাড়া আদায় করলেও সিটিং এবং গেটলক যাচ্ছেনা কেউই।
অথচ পরবর্তীতে সরকার তেল কিংবা গ্যাসের দাম বাড়ায়নি। ভাড়া বৃদ্ধির কোনও ঘোষনাও দেয়নি।
একবার শুধু দাম বাড়ার কথা উঠলেই দাম বাড়–ক চাই না বাড়–ক পরিবহন মালিকরা ইচ্ছেমতো ভাড়া
বাড়িয়ে দেয়। এতে দুর্ভোগে পড়ছে সাধারন মানুষ। তারা না পাড়ছে কাউকে বলতে না পাড়ছে সইতে।
কেস স্টাডি ০২ঃ
দেশের প্রত্যেক জেলা শহরগুলোতেও
একই অবস্থা বিরাজ করছে। এমনিতেই বাসওয়ালাদের স্বেচ্ছাচারিতা ,যাতায়াতে বিলম্ব,কুলিদের
বিড়ম্বনা বিভিন্ন কারনে জেলা শহরগুলোতে সিএনজির প্রচলন আগের তুলনায় অনেকগুন বেড়ে গেছে।
এতে একশ্রেনীর সুবিধা হলেও সাধারন মানুষের হয়েছে জ্বালা । তারা বিভিন্ন কাজে আগের মতো
বাহিরে যাতায়াত করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। বগুড়া থেকে গুরুত্বপুর্ন বাজার এলাকা চান্দাইকোনায়
আগে প্রচুর যাত্রীবাহী বাস থাকলেও এখন ভাড়া বৃদ্ধির কারনে যাত্রী কমে যাওয়ায় বাসের
সংখ্যাও কমেছে। ফলে দীর্ঘ সময় গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে গিয়ে প্রয়োজনীয় কাজ করতে পারছে
না মানুষ। চান্দাইকোনা থেকে বগুড়ার ভাড়া আগে ছিল ১৫ টাকা । কয়েক দফা বৃদ্ধির পর এখন
ভাড়া হয়েছে বিশ টাকা। কিন্তু বাস ওয়ালারা আদায় করছে ৪৫ টাকা । এ বাড়তি ভাড়া কেন তার
কোন জবান মিলেনা বাস স্টাফদের কাছে। সিরাজগঞ্জ রোড থেকে নাটোর পর্যন্ত ,নাটোর থেকে
রাজশাহী এভাবে প্রত্যেক জায়গাতেই আদায় করা হচ্ছে বাড়তি ভাড়া।
ঈদ উপলক্ষ্যে রাজধানীর প্রত্যেক
টার্মিনাল থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছেড়ে যাওয়া লোকাল বাস গুলো ইচ্ছে মতো ভাড়া আদায়
করে থাকে। এক্ষেত্রে কাউন্টারগাড়ি গুলোও পিছিয়ে
নেই। ঈদের দু’একদিন আগে টিকিট কাটতে গিয়ে দেখা গেছে, ভাড়ার চাইতে টিপস হিসেবে কিছু
বেশি না দিলে টিকিট পাওয়া যায়না। ঈদুল ফিতরের সময় শ্যামলী গাড়িতে বগুড়াগামী একটি টিকিট
কাটতে হয় ৫৫০ টাকায়। কিন্তুু টিকিটের উপর লিখে দেয় ৩৮০ টাকা। প্রশ্ন করা হলে কর্তব্যরত
টিকিট বিক্রিকারী মোঃ জীবন জানান তাদের কিছুই করার নেই, মালিক পক্ষের নির্দেশে তারা
এটা করছেন। এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য তাদের গাড়ির মালিকের ফোন নম্বর চাওয়া হলে তিনি
এ প্রতিবেদককে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন। পরে বহু কষ্টে শ্যামলী পরিবহনের মালিক রমেশ
ঘোষের মোবাইল নম্বর যোগার করে ফোন দেয়া হলেও অন্য প্রান্ত হতে সারা পাওয়া যায়নি। এ
দৃশ্য শুধু শ্যামলী গাড়ির নয় সরেজমিন খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, প্রায় সব পরিবহনেই এটা
ঘটলেও কর্তব্যরত কর্মচারীদের এহেন আচরন মালিক পক্ষ জানতে ও পারেনা। এ ব্যাপারে বিশ্বস্ত
ও নির্ভরযোগ্য সুত্রে জানা গেছে,রাস্তায় মালিকসমিতি,শ্রমিকসমিতি,বড় ভাই,থানা ও লোকাল
পুলিশ অফিসার,স্থানীয় মাস্তান বিভিন্ন পয়েন্টে চাঁদা প্রদান করার পর যদি দু’পয়সা কামাই
করতে হয় তাহলে বাড়তি ভাড়া আদায় না কওে উপায়ও নেই। কিছু শ্রমিকের সাথে কথা বলে দেখা গেছে,বেশির ভাগ বাসমালিক তাদের
গাড়িগুলো নির্ধারিত কন্টাতে দিয়ে থাকেন। সেক্ষেত্রে শ্রমিকদের কিছু স্বেচ্ছাচারিতা
লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তারা তাদের নির্ধারিত জমা তুলে নিজেদের ভাগের টাকা তোলার জন্য মরিয়া
হয়ে বাড়তি ভাড়া আদায় করতে বাধ্য হয় । তবে চাঁদাবাজদের দৌড়াত্ব বন্ধ করা গেলে বা কমিয়ে
আনা সম্ভব হলে পরিবহনের ভাড়া কমানো সম্ভব বলে মালিক সুত্রে জানা গেছে। এছাড়াও সারা
দেশের ১২টি ফেরিঘাটে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার চাঁদাবাজি হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এর
মধ্যে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়াসহ কয়েকটি ফেরিঘাটে বেপরোয়া চাঁদাবাজি চলছে। কৃত্রিম যানজট
সৃষ্টি করে প্রভাবশালী মহলের আশ্রিত একটি সন্ত্রাসী চক্র চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে জানানো হলেও তা কোনো কাজে আসেনি। সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজদের
দৌরাত্ম্যের বিরুদ্ধে পরিবহন মালিক নেতৃবৃন্দ আগেও তীব্র আপত্তি জানিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ
করা না হলে ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি প্রদান করেন। এখন আবার আগের মতোই নৈরাজ্য সৃষ্টি করে
প্রতিটি ফেরিঘাট থেকে লাখ লাখ টাকা লুটে নেয়ার অপতৎপরতা শুরু হয়েছে। পত্রিকায় প্রকাশিত
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চাঁদাবাজি বন্ধ করার জন্য আইন-শৃক্মখলা বাহিনীর সদস্যরা তৎপর
হলেও প্রতি ফেরিঘাটে ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠিত হওয়ায় অবৈধ চাঁদাবাজি এখন বৈধতা লাভ করেছে।
কমিটিগুলোতে সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাসমূহের প্রতিনিধি ছাড়াও পরিবহন মালিক-শ্রমিক প্রতিনিধি
এবং স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ রয়েছেন। এখন থেকে ফেরিঘাটে প্রতি গাড়িতে ২০ টাকা হারে চাঁদা
দিতে হবে এবং প্রতি ট্রাকে চাঁদার পরিমাণ আরো
বেশি। পরিবহন মালিক নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেছেন, এই চাঁদাবাজির ভাগবাটোয়ারা উচ্চ পর্যায়ে
পৌঁছানোর জন্যই এই পন্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে তারা জানিয়েছেন, বিআইডব্লিউটিএ, বিআইডব্লিউটিসি, বিআরটিএ
ও পুলিশের সমন্বিত তৎপরতা অব্যাহত থাকার পরও আরেকটি কমিটি গঠন করার কোনো প্রয়োজন নেই।
সম্প্রতি আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে নৌপরিবহন মন্ত্রী পরিবহন মালিকদের ওপর এই অযৌক্তিক
সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিয়েছেন যার ধাক্কা গিয়ে পড়বে যাত্রীসাধারণ এবং ক্রেতাদের ওপর। দেশের
পরিবহন সেক্টরে ঘাটে-ঘাটে চাঁদাবাজি চলছে দীর্ঘদিন ধরে। চাঁদাবাজি বন্ধে নানা ব্যবস্থা
গ্রহণের কথা সরকারি তরফে শোনা গেলেও বাস্তবে এর কোনো সুফল দেখা যায়নি বরং কোনো কোনো
ফেরিঘাটে চাঁদাবাজি অব্যাহত রয়েছে বেপরোয়া ও উদ্বেগজনকভাবে। কাঁচামাল পরিবহনে চাঁদাবাজি
অব্যাহত থাকায় পরিবহন ব্যয়ও বহুগুণে বেড়ে যাচ্ছে এবং এতে করে ভোক্তা পর্যায়ে ক্রেতাসাধারণ
বেশি দাম দিতে বাধ্য হচ্ছেন। বেপরোয়া চাঁদাবাজির কারণে বিআইডব্লিটিসি, সরকারদলীয় ক্যাডার
এবং পুলিশের হাতে জিম্মি দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২২ জেলার পরিবহন মালিকসহ যাত্রীসাধারণ।
বিভিন্ন ফেরিঘাটের দুই তীরে কৃত্রিম যানজট সৃষ্টি করে পণ্যবাহী পরিবহনে চালানো হচ্ছে
বেপরোয়া চাঁদাবাজি। অপরদিকে দেশের উত্তরাঞ্চল থেকে রাজধানী ঢাকার বাজার পর্যন্ত ট্রাকপ্রতি চাঁদা আদায় করা হচ্ছে কয়েক হাজার টাকা।
ঘাট এলাকায় প্রতিদিন ২০ লাখ টাকারও বেশি চাঁদাবাজি চলছে। এছাড়া ফেরি ছাড়ার পর মাঝ নদীতে
নৌকাযোগে উঠে একশ্রেণীর অপরাধী যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী পরিবহন সংশ্লিষ্টদের কাছ
থেকে প্রকাশ্যে চাঁদা আদায় করে। ফেরিঘাটে চাঁদাবাজির বৈধতা দানের তৎপরতায় পরিবহন মালিকরা
ক্ষুব্ধ হলেও এতে কায়েমী স্বার্থবাদী মহলের হয়েছে পোয়াবারো। অনেকেরই প্রচুর বিত্তের
মালিক বনে যাওয়ার রাস্তা খুলে গেছে। পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের নানা কল্যাণের ধুয়া তুলে
এক শ্রেণীর নেতা নামধারী চাঁদাবাজরা ইতোমধ্যেই চাঁদাবাজির অঢেল টাকায় ফুলে-ফেঁপে নব্য
কোটিপতি হয়ে গেছে। প্রশাসন ও পুলিশ সবকিছু জানা সত্ত্বেও চাঁদাবাজি বন্ধ করার কোনো
কার্যকর উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। পরিবহন সেক্টর দেশের অর্থনীতি থেকে শুরু করে সকল ক্ষেত্রের
জন্য গুরুত্বপূর্ণ। লুটেরা ও কায়েমী স্বার্থবাদী চক্র যেভাবে এই সেক্টরে জেঁকে বসে
আছে তাদের ভয়ংকর থাবা থেকে অবিলম্বে পরিবহন সেক্টরকে মুক্ত করা জরুরি বলে আমরা মনে
করি।
https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl
বগুড়ার ফুডভিলেজ খ্যাত ধনকুন্ডির এডুকেটেড ইয়ুথ সোসাইটির উদ্যোগে ইভটিজিং ও অপরাধদমন
কমিটি গঠন
শরীফা আক্তার স্বর্না,বগুড়া জেলা
প্রতিনিধি,, ক্রাইম ডায়রি,১৫ ই এপ্রিল,২০১৫,আপডেট সময়: ১০ এ এম ঃ
বগুড়ার ফুডভিলেজ খ্যাত ঐতিহাসিক ধনকুন্ডি গ্রামের এডুকেটেড ইয়ুথসোসাইটি
দীর্ঘদিন নিস্ক্রিয় থাকার পর গত শুক্রবার এক জরুরী আলোচনায় মিলিত হন প্রতিষ্ঠানটির
উদ্দোক্তা ও প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্যরা।প্রতিষ্ঠানটির উদ্দোক্তা বগুড়া জিলা স্কুলের
প্রধান শিক্ষক মোঃ রমজান আলী মুক্তা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ আব্দুল আলীম রুবেল, মোঃ
জাহিদুল ইসলাম,মোঃ রফিকুল ইসলাম,মোঃ শাহ-আলম,মোঃ অছিমুদ্দিন ফকির সহ অন্যন্য সাধারন
সদস্যের উপস্থিতিতে আলোচনা সভায় বক্তারা ঐতিহ্যবাহী ধনকুন্ডী গ্রামের প্রাচীন ঐতিহ্য
ও সুনাম অক্ষুন্ন রাখা সহ গ্রামকে শতভাগ নিরাপদ ও নিস্কলুস রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এ গ্রামে রয়েছে একটি উচ্চ বিদ্যালয়,একটি আলিম মাদ্রাসা,প্রাইমারী স্কুল,ফুড ভিলেজ লিমিটেড
,বাংলাদেশ অক্সিজেন কর্পোরেশনসহ হোটেল পেন্টাগনের মত আন্তর্জাতিক মানের স্বনামধন্য
প্রতিষ্ঠান। সুনামের এ ধারাকে অব্যাহত রাখতে ও দেশব্যাপী ইভটিজিংকে না বলো আন্দোলনের
সুচনাকে কেন্দ্র করে এ আলোচনা সভায় বক্তারা ধনকুন্ডি গ্রামকে শতভাগ শিক্ষিত গ্রাম ঘোষনা
করে বলেন, আজ থেকে ধনকুন্ডি গ্রামের যুবসমাজ ইভটিজিংকে না বলার মাধ্যমে দেশব্যাপী ইভটিজিং
বিরোধী আন্দোলন শুরু হলো। সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে যুবশক্তিই পারে রুখে দাড়াতে। দেশ গঠনে
যুব শক্তির বিকল্প নেই। বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধশালী,সুখি ও সোনার বাংলা গড়ার জন্য যুবসমাজকে
দ্রুত এগিয়ে আসার আহবান জানিয়ে বক্তারা সকল প্রকার অপরাধদমনে গ্রামের ভুমিকা অগ্রগন্য
বলে দাবী করেন। তাই গ্রামের সকল শিক্ষিত যুবককে নিয়ে অপরাধদমন কমিটি গঠন করে গ্রাম
পর্যায়ে অপরাধ না করার প্রশিক্ষনের উপর বক্তারা জোর দেন।আলোচনা সভা শেষে গ্রাম থেকে
জাতীয় অপরাধ মুক্ত সমাজ চর্চা নামক একটি কমিটি গঠন করা হয়।যাদের কাজ হবে নিজ গ্রামসহ
পর্যায়ক্রমে সারাদেশের সকল গ্রামবাসীর মাঝে অপরাধ প্রবণতা হ্রাসে সহায়তা ও সচেতনতা
বৃদ্ধি করা ।
https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl
ফলোআপ
এখনও কমেনি অশ্লীলতা ও ছিনতাই
প্রকাশ্য ছিনতাইকারীদের অভয়ারন্য
রাজধানীর বিনোদন পার্র্র্র্র্র্ক
শরীফা আক্তার স্বর্না,,ক্রাইম ডায়রি,১৫ ই এপ্রিল,২০১৫,আপডেট সময়: ৮ এ এম ঃ
রাজধানীর ইট কাঠ পাথরে বন্দীমানুষ
একটু স্বস্থির নিঃশ্বাস ফেলার জন্য অবসর পেলেই ছুটে যায় জিয়া উদ্যান, রমনা পার্ক,ভিক্টোরিয়া
পার্কসহ রাজধানীর বিভিন্ন পার্কগুলোতে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে স-পরিবারে মানুষ বেড়াতে
আসে এই সব ঐতিহাসিক পার্কে। কিন্তুু, স্বস্থির বদলে অস্বস্থি আর তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়েই
ঘরে ফিরতে হয় তাদের। এক শ্রেনীর ছিচ্কে ছিনতাইকারীর প্রকাশ্যে আক্রমনে অসহায় সাধারন
মানুষের কিছুই যেন করার নেই।বার বার এসব ঘটনা নিয়ে পত্রিকায় একাধিক প্রতিবেদন ছাপানো
হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এখনও আগের মতোই
অশ্লীলতা,ছিনতাইও হয়রানী। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, জাতীয় চন্দ্রিমা উদ্যান
তথা সাবেক জিয়া উদ্যানে বেড়াতে আসা দম্পতি,প্রেমিক-প্রেমিকা কিংবা একাকী কোন মানুষ
কোথাও বসা বা দাঁড়ানো দেখলেই বিয়ার কোক্ কিংবা পেপসি হাতে একশ্রেনীর বখাটে যুবক দলবেঁধে
তাদেরকে ঘিরে ধরে। তারপর হাতে থাকা বিয়ার কিংবা পেপসি জোর পূর্বক কিনতে তাদেরকে বাধ্য
করে। এক্ষেত্রে ২০ থেকে ২৫ টাকা দামের এসব পানীয়ের দাম হাঁকা হয় ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা।
লাঞ্জিত কিংবা মার খাওয়ার ভয়ে অসহায় এসব দর্শনার্থীরা এগুলো কিনতে বাধ্য হয়। কোন কোন
ক্ষেত্রে এসব শিকারের হাতের ঘড়ি বা পছন্দনীয়
মোবাইল ফোনও জোরপূর্বক কেড়ে নেয়া হয়। আবার বেদের দলের কিছু মহিলারা দল বেঁধে
কিংবা একাকী সাপের ভয় দেখিয়ে বা অশ্লীল মন্তব্য
করে বা শরীরে হাত দিবে এরকম ভয় দেখিয়ে পাবলিককে তাদের দাবী অনুযায়ী টাকা দিতে বাধ্য
করে। রহিম নামের বিয়ার বিক্রিরত একজন টোকাইয়ের
সঙ্গে বন্ধুত্বের ভান করে জানা যায়, এদের মদদ দেয় পার্ক প্রশাসন এবং স্থানীয়
দলীয় প্রভাব যুক্ত বড় ভাইয়েরা। তাদেরকে উপযুক্ত মাসোহারা দিয়েই এ কাজ করে তারা। এ জন্য
পত্রিকায় লেখালেখি হলেও কিছু যায় আসেনা বলে মন্তব্য করে সে। এ ব্যাপারে পার্কের প্রশাসনিক
ভবনে গুরুত্বপূর্ন কাউকে না পেয়ে অবস্থানরত একজন কর্মকর্তার সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি
বলেন আমরা এগুলো উৎখাতে যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। তিনি কৌশলে তাদের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার
করেন। ডিউটিরত একজন আনসার সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, পার্ক প্রশাসন একটু
আন্তরিক হলে এগুলো মুহুর্তেই বন্ধ সম্ভব। বেড়াতে আসা যুবক যুবতীদের প্রকাশ্য অশ্লীলতার
কারনেও অস্বস্থিকর অবস্থার মধ্যে পড়তে হয় স্ব-পরিবারে বেড়াতে আসা দর্শনার্থীদের। উত্তরা এলাকা থেকে স্ত্রী-কন্যা নিয়ে বেড়াতে আসা বে-সরকারী
কোম্পানীতে চাকুরীরত হেদায়তুল বাকী মহব্বত জানান, যুবক যুবতীদের গাছের নীচে কিংবা লেকের
ধারে প্রকাশ্য চুম্বন এবং শরীর হাতাহাতির দৃশ্য দেখে তিনি পরিবার নিয়ে লজ্জাস্কর পরিস্থিতির
মধ্যে পড়েন। অন্যদিকে পতিতারা ভদ্রমহিলাদের মত সেজেগুজে বসে থেকে খদ্দের আহবান করার
কারনেও বিশ্রি অবস্থায় পড়তে হয় অনেককে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রকাশ্যে পতিতারা পদচারনায়
মুখরিত থাকে জিয়া উদ্যান এলাকা। সন্ধ্যার পর থেকেই প্রকাশ্যে টিজ করা সহ খদ্দের আহবান
করে পতিতারা। এতে বখাটেরা যেমন উৎসাহিত হয় অন্যদিকে নব্য যুবকেরা হাতের কাছে পেয়ে নিজেদের
চরিত্রকে কলুষিত করার সুযোগও হাত ছাড়া করেনা।জাতীয় ও সামাজিক চরিত্র ধ্বংসে এগুলো যথেষ্ট
ভুমিকা রাখছে।কারন জাতীয় এই উদ্যানে সারাদেশ
থেকেই ছেলে বুড়ো সবাই জীবনে একবার হলেও আসে।
তাছাড়া প্রেমের অভিনয়করে ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটে অনেক। এ রকম ঘটনায় সর্বস্ব হারানো
সরকারী কর্মচারী মোঃ শাকিল জানান, একটি সুন্দরী মেয়ে তাকে চোখের ইশারায় কাছে ডেকে নিয়ে
নির্জনে বসতে চায়। তিনি ঐ মেয়ের ডাকে সারা দিয়ে একটু নির্জন স্থানে বসলে কয়েকজন যুবক
তাকে ঘিরে ধরে। এরপর ঐ মেয়েটি হাস্যচ্ছলে তার পকেট থেকে মানিব্যাগ,মোবাইল ফোন ও হাতঘড়ি
কেড়ে নেয় এবং কোন কথা না বলে চুপচাপ সরে পড়তে বলে। তিনি একটু দুরে গিয়ে দেখেন মেয়েটি
ঐ যুবকদের সঙ্গে সেখান থেকে সটকে পড়েছে। এভাবে দিনের পর দিন চলছে সাধারন জনতার উপর নিরব এবং নির্মম ছিনতাই। চন্দ্রিমা উদ্যানের সামনেই সংসদ
ভবন এবং পাশে গনভবন। সেখানে প্রশাসনের লোকজনের রয়েছে সরব উপস্থিতি। এ রকম জায়গায় এ
ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা খুবই উদ্বেগের বিষয়। জাতীয় পর্যায়ের এ রকম উদ্যানের এই ঘটনাগুলো
নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এবং
জাতীয় চরিত্রের উপর। প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা সাধারন মানুষ এবং উঠতি বয়সি ছেলে
মেয়েরা এগুলো কালচার হিসেবে গ্রহন করছে বলেই অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে। অতিদ্রুত সংশ্লিষ্ট
কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারগুলোতে হ¯তক্ষেপ না করলে অপরাধীরা এসব কাজে উৎসাহ পাবে বলে অভিজ্ঞমহলের
ধারনা।
https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl
শিবালয়ে ধর্ষণের শিকার নববধূ
মানিকগঞ্জ সংবাদদাতা,,ক্রাইম ডায়রি,১৫ ই এপ্রিল,২০১৫,আপডেট সময়: ৮ এ এম ঃ ঃ
শিবালয় উপজেলার উথলী ইউনিয়নের বীরবাশাইল গ্রামের
রিকশাচালক রহিমের নব-বিবাহিত সুন্দরী স্ত্রীকে (১৯) গত রোববার রাতে প্রতিবেশী ইউনুছের
বখাটে পুত্র সেন্টু ও সহযোগী ধর্ষণ করেছে। পুলিশ বলছে, এ নিয়ে ধর্ষিতার শশুর আব্দুর
রহমান খন্দকার থানায় সেন্টু ও রতন শেখের পুত্র ইউসুবের নামে মামলা করলে তাদের গ্রেপ্তারে
জোর চেষ্টা চলছে।
অভিযোগে প্রকাশ, চিহ্নিত সেন্টু
বেশ কিছু দিন যাবৎ ভিকটিমকে নানাভাবে কুপ্রস্তাব ও উত্ত্যক্ত করে আসছিল। এতেও ক্ষান্ত
না হয়ে সেন্টু ও তার সহযোগী ঘটনার রাতে সুযোগ বুঝে নির্জন এলাকায় অবস্থিত রহিমের বাড়ীতে
ঢুকে জোড়পূর্বক স্ত্রীকে তুলে চকে ভুট্রা ক্ষেতে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে ধারালো অস্ত্রের
আঘাতে আহত করে ফেলে যায়।
https://www.facebook.com/pages/National-weeklycrime-diary/639786429398358?ref=hl
ফলোআপ-----
রাজধানীতে বি আর টি এ কর্মকর্তা
ও তার স্ত্রী খুন
শাহাদাত হোসেন রিটন,,ক্রাইম ডায়রি,১৫ ই এপ্রিল,২০১৫,আপডেট সময়: ৮ এ এম ঃ
রাজধানীতে ঘরের ভিতর ঢুকে খুনের
ঘটনা ঘটেই চলেছে।।রাজধানীর মোহাম্মাদপুরের বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ)
এক কর্মকর্তার বাসায় ঢুকে তার স্ত্রীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেছে এক দুর্বৃত্ত।
এই ঘটনায় ওই কর্মকর্তা ও তার দুই মেয়েও গুরুতর আহত হয়েছেন। নিহত কৃষ্ণা কাবেরী বিশ্বাস
(৩৪) একটি কলেজের শিক্ষিকা ছিলেন। আহত হয়েছেন তার স্বামী বিআরটিএর উপপরিচালক (অপারেশন)
শীতাংশু শেখর বিশ্বাস (৩৬), তাদের বড় মেয়ে শ্র“তি বিশ্বাস (১৫) ও অদ্রি বিশ্বাস (৬)।
আহতদের মহাখালী মেট্রোপলিটন হসপিটালে ভর্তি করা হয়েছে। গত সোমবার রাত ১০টায় মোহাম্মাদপুর
ইকবাল রোডের ৩/১২ নম্বর পাঁচতলা বাড়ির দ্বিতীয় তলার একটি ফ্ল্যাটে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশের
ধারণা পূর্বপরিচিত কেউ এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। প্রাথমিকভাবে জাকির হোসেন নামে একজন
ব্যবসায়ীকে সন্দেহ করা হলেও বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। এই ঘটনায় ওই ভবনের দুজন
সিকিউরিটি গার্ডকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী শ্র“তি বিশ্বাসের বরাত দিয়ে শীতাংশু শেখরের বোন সঞ্চিতা
বিশ্বাস জানান, গত সোমবার রাত ৯টার দিকে কোচিং থেকে বাসায় ফেরে বড় মেয়ে শ্র“তি বিশ্বাস।
এর কিছুক্ষণ পরই ফুল, কেক, জুস ও ফল নিয়ে এক ব্যক্তি বাসার নিচে আসেন। গেট থেকে দারোয়ান
ওই ব্যক্তির বিষয়ে শীতাংশুকে জানালে তিনি তাকে উপরে আসতে বলেন। উপরে এসে ড্রয়িং রুমে
বসে শীতাংশুর সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি। এ সময় ওই ব্যক্তি শীতাংশুকে স্যার বলে সম্বোধন
করছিলেন। ওই ব্যক্তি শীতাংশুর জš§দিন উপলক্ষে একটি কেক আনেন। কেকটি কাটার জন্য ড্রইং
রুমে একটি মোমবাতিও জ্বালানো হয়। এসময় তার আনা জুস খেয়ে শীতাংশু অচেতন হয়ে মেঝেতে পড়ে
যান। আর তখনই ওই ব্যক্তি সাথে নিয়ে আনা হাতুড়ি দিয়ে শীতাংশুর মাথায় আঘাত করেন। ঘটনা
আঁচ করতে পেরে শীতাংশুর স্ত্রী কৃষ্ণা কাবেরী বিশ্বাস রান্নাঘর থেকে বটি নিয়ে ছুটে
আসেন। তার হাত থেকে বটি কেড়ে নিয়ে ওই ব্যক্তি কৃষ্ণার মাথায় কোপ দিলে তিনি মেঝেতে লুটিয়ে
পড়েন। সঞ্চিতা বিশ্বাস আরও জানান, বাবা-মায়ের উপর হামলার বিষয়টি টের পেয়ে পাশের রুম
থেকে দুই মেয়ে ছুটে এলে তাদেরও উপর হামলা চালানো হয়। এক পর্যায়ে ঘরে আগুন ধরিয়ে দিয়ে
ওই ব্যক্তি চলে যান। পরে শীতাংশু ও তার দুই
মেয়ে পাশের ফ্ল্যাটের দরজায় আঘাত করেন। ওই ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা আগুন নিভিয়ে আহতদের
উদ্ধার করে প্রথমে শ্যামলীর কেয়ার হসপিটালে নিয়ে যান। সেখান থেকে অবস্থার অবনতি হলে
কৃষ্ণা কাবেরীকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে রাত ৩টায় চিকিৎসকরা
কৃষ্ণা কাবেরী বিশ্বাসকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত বাবা ও দুই মেয়েকে মেট্রোপলিটন হাসপাতালে
ভর্তি করা হয়েছে। প্রতিবেশী প্রকৌশলী সাবের আহমেদ বলেন, চিৎকার ও দরজায় শব্দ শুনে তিনি
দরজা খুলে দেখেন সুধাংশু ও তার দুই মেয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় তার বাসার দরজার সামনে পড়ে
আছে। তাড়াতাড়ি তাদের নিজের বাসার ভেতরে নিয়ে যান। এসময় এক মেয়ে তার মাকে বাঁচাতে অনুরোধ
করলে অন্য প্রতিবেশীদের নিয়ে তিনি শীতাংশুর বাসায় ছুটে যান। সেখানে গিয়ে দেখেন বাসার
আসবাবপত্রে আগুন জ্বলছে। ধোঁয়ায় পুরো ঘর আচ্ছন্ন। পরে নিজের বাসা থেকে পানি নিয়ে আগুন
নেভানোর চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে ঘরের এক পাশে দগ্ধ ও রক্তাক্ত অবস্থায় কৃষ্ণা কাবেরীকে
উদ্ধার করেন। সাবের বলেন, শীতাংশু এই ঘটনার জন্য জাকির নামে একজনকে দায়ী করছিলেন। তিনি
বলেছিলেন, এই ঘটনার জন্য জাকির দায়ী। সে পালিয়ে গেছে। আহতদের বরাত দিয়ে মোহাম্মাদপুর
থানার ওসি আজিজুল হক বলেন, কয়েকদিন আগে শীতাংশুর জš§দিন ছিল। সেদিন না আসতে পারায় সোমবার
রাতে তার পরিচিত এক যুবক কেক, মিষ্টি ও ফুল নিয়ে তাদের বাসায় যান। কেক টেবিলে সাজিয়ে
মোমবাতিও জ্বালানো হয়। এরপর হঠাৎ করেই সঙ্গে নিয়ে আনা হাতুড়ি দিয়ে শীতাংশুর মাথায় আঘাত
করে ওই যুবক। ওসি আরো বলেন, হামলার মধ্যে কৃষ্ণা জ্বলন্ত মোমবাতির ওপর পড়ে যান। এতে
তার কাপড়ে আগুন ধরে যায়। এরপর তিনি আগুন থেকে বাঁচতে পুরো ঘরে ছোটাছুটি করতে থাকেন।
এক সময় সোফায় বসার চেষ্টা করলে তাতেও আগুন ধরে পুরো ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ওসি বলেন,
শীতাংশু ও তার দুই মেয়ে এবং পাশের ফ্ল্যাটের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে হাজী
আহমেদ সিকিউরিটিজ নামের একটি ব্রোকার হাউজের জাকির হোসেন একাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। বিষয়টি
তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। শীতাংশু বিশ্বাসের গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ীর বালিকান্দি উপজেলার
মহরপুর গ্রামে। ৬ ভাই, ৪ বোনের মধ্যে তিনি নবম। বিআরটিএর প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক
(অপারেশন) হিসাবে কর্মরত রয়েছেন তিনি। স্ত্রী কৃষ্ণা কাবেরী বিশ্বাস মোহাম্মাদপুরের
আদাবরের মিশন ইন্টারন্যাশনাল কলেজে শিক্ষকতা করতেন। তার গ্রামের বাড়ি খুলনার ডুমুরিয়ায়।
আহত শ্র“তি মোহাম্মাদপুর প্রিপারেটরি স্কুলের দশম ও অদ্রি একই স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির
ছাত্রী। শীতাংশুর ছোট ভাই বরিশাল বিএম কলেজের গণিত বিভাগের শিক্ষক হীমাংশু শেখর বিশ্বাস
বলেন, ঘটনা যে বা যারাই ঘটাক এর সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে
হবে। উল্লেখ্য যে লাশ এলাকায় নিয়ে ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী সৎকার করা হয়েছে। এতে এলাকায়
শোকের ছায়া বিরাজ করছে।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)